মেরামতের জন্য যে দ্বীপপুঞ্জ বন্ধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্থানীয়দের সাথে দ্বীপে মেরামতের কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবক পর্যটকরা/ ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয়দের সাথে দ্বীপে মেরামতের কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবক পর্যটকরা/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত স্ব-শাসিত এলাকা ফারো দ্বীপপুঞ্জ। ১৮টি দ্বীপ নিয়ে গড়া এই দ্বীপপুঞ্জের দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য্য শুধু ইউরোপ নয়, সারা বিশ্বের পর্যটকদের টানে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এপ্রিল মাসে হঠাৎ করে দ্বীপটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করার কারণ হিসেবে দেখানো হয়, দ্বীপে মেরামত কাজ চলবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের কাছ থেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার আবেদনপত্রও চাওয়া হয়।

দ্বীপপুঞ্জের কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাসেবকের বিজ্ঞাপনের বিপরীতে হাজারের উপর আবেদনপত্র জমা হয়। তার মধ্যে থেকে ১০০ জনকে নির্বাচন করা হয়, যার মধ্যে বিশ্বের ২৫টি দেশের নাগরিক আছেন এবং যাদের বয়স ১৮ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558495554314.jpg

এই স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নিজের খরচে ঐ দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছার জন্য রাজি হন। তবে দ্বীপপুঞ্জের কর্তৃপক্ষ স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য বিনামূল্যে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করে।

ফারো দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছার পর স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে যান। তাদেরকে ১৮টি দ্বীপের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পাঠানো হয় স্থানীয়দের সাথে কাজ করার জন্য। একেক দলের একেক রংয়ের পোশাক দেওয়া হয়, যা তাদের কাজের ধরণ নির্ধারণ করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558495574710.jpg

দ্বীপ মেরামতের প্রথম দিনে স্থানীয়দের সাথে পর্যটকরা কঠোর পরিশ্রম করেন। এতে অনেকেই শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েন। কিন্তু তাদের মানসিক অবস্থা ছিল তুঙ্গে। এই কাজ করতে পেরে তারা সন্তুষ্ট ছিলেন।

ডেনমার্ক থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবক ক্যাস্পার অ্যাবেন্থ তার অফিসের কাজে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন দ্বীপ মেরামতের কাজ করতে। তিনি বলেন, ‘কাজটি খুবই কঠিন। প্রচণ্ড বাতাস, এর মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে পাথর সরাতে হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/22/1558495515474.jpg

মেরামত কাজের দ্বিতীয় দিনও পাহাড়ি এই দ্বীপপুঞ্জে কঠোর পরিশ্রম করে যান স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয়রা। জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব পড়েছিল পুরাতন পাথরের পথ মেরামত করা, বিভিন্ন গেট ঠিক করা ও বিভিন্ন জায়গায় যে বেড়া দেওয়া আছে, সেগুলোতে পার হওয়ার ব্যবস্থা করা।

স্ব-শাসিত হলেও ফারো দ্বীপপুঞ্জটি ডেনমার্কের অধীনে। এটি নরওয়ে ও আইসল্যান্ডের মাঝে এবং দুটি দেশ থেকে সমান দূরত্বে অবস্থিত। ফারো দ্বীপপুঞ্জে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বাস। এখানকার দ্বীপগুলো রোড টানেল, ফেরি ও সেতুর মাধ্যমে একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত।

   

পুতিনকে অভিনন্দন জানালেন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিপুল জয়ের জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (১৮ মার্চ) এক্স-এ মোদি লিখেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য ভ্লাদিমির পুতিনকে শুভেচ্ছা জানাই।’

মোদি আরও লিখেছেন, ‘আগামী বছরগুলোতে ভারত-রাশিয়া মৈত্রী এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি তার সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।’

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ষষ্ঠবারের মতো ক্ষমতায় বসতে চলেছেন পুতিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলাই খারিতনভ পেয়েছেন মাত্র ৪ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট।

বিশ্লেষকদের মতে, গত আড়াই দশকে কার্যত বিরোধীহীন হয়ে পড়েছে রুশ রাজনীতি। আর তারই সুযোগে পুতিন হয়ে উঠেছেন অপ্রতিরোধ্য।

ক্রেমলিনের আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, আগের চারটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় এবার পুতিনের ভোটবৃদ্ধি নিশ্চিত। এর আগে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ভোটে পুতিন সাড়ে ৭৭ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন।

সেই নির্বাচনে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলেও সেই জোর করে ব্যালট বাক্স জাল ভোট ভর্তি করা, জালিয়াতি এবং ভোটে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছিল পুতিন-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এবারও নানা অভিযোগ উঠেছে।

২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় পুতিন কথা দিয়েছিলেন যে, ২০২৪ সালের পরে আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন না তিনি। কিন্তু, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত বদলেছেন তিনি।

গত ২৩ বছর ধরে রাশিয়ায় কর্তা হয়ে আছেন পুতিন। ২০০০ সালের মে মাস থেকে ২০০৮ সালের মে পর্যন্ত দুটি নির্বাচনে জিতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি। তৎকালীন রুশ আইন অনুযায়ী দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না। তাই অনুগত দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন পুতিন।

এরপর ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায় (তৃতীয় নির্বাচন জিতে) ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। পুনর্নির্বাচিত হন ২০১৮ সালে। টানা দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্যই ২০২১ সালেই আইন পরিবর্তন করেছিলেন সোভিয়েত জমানায় গুপ্তচর সংস্থা কেজিবির সাবেক প্রধান পুতিন।

পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ২০৩০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন তিনি। অর্থাৎ, তার সামনে এখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই নেতার রেকর্ড ভাঙা সময়ের অপেক্ষা। এর আগে কমিউনিস্ট জমানায়, টানা ২৪ বছর ক্রেমলিনে ক্ষমতায় ছিলেন জোসেফ স্ট্যালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ।

;

হাইতিতে গ্যাং সহিংসতায় নিহত ১০



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের একটি এলাকায় গ্যাং সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। ওই এলাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে মরদেহগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতির পোর্ট-অব-প্রিন্সের উপকণ্ঠে পেশন-ভিলে সশস্ত্র গ্যাংদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ১০ জন মারা গেছে। এ সময় সূর্যোদয়ের আগে বন্দুকধারীরা লাবোল এবং থমাসিনের পাহাড়ী সম্প্রদায়ের বাড়িঘর লুট করে।

হাইতিয়ান পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর কোন সম্পর্ক নেই।

এদিকে রয়টার্স এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সিগুলো জানায়, গুলিবিদ্ধ নিহতদের মরদেহ শহরতলির প্রধান রাস্তা থেকে এবং একটি জ্বালানী স্টেশনের বাইরে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অনেক দিন থেকেই হাইতিতে রাজনৈতিক ও মানবিক সংকট চলছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্যাংগুলোও বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। এমন অস্থিরতা বিরাজমান পরিস্থিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিও গত সপ্তাহে দ্বীপ দেশ থেকে পুয়ের্তো রিকোতে পালিয়ে যাওয়ার পরে পদত্যাগ করেছেন।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) অনুসারে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারী থেকে পোর্ট-অব-প্রিন্সের মেট্রোপলিটন এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকাকে সশস্ত্র আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। যার ফলে দেশটির প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

;

অনাহারে মৃত্যুঝুঁকিতে ৩ লাখ গাজাবাসী: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতে দুর্ভিক্ষ ও অনাহারে উত্তর গাজার ৩ লাখ মানুষ মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। 

বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেস ক্ল্যাসিফিকেশন (আইপিসি) জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণসহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘের বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আইপিসি

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিসি বলেছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশের ৭০ শতাংশ মানুষ সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়ের খাদ্য ঘাটতিতে রয়েছে। কোনো অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষ এই মাত্রায় খাদ্যসংকটে থাকলে তাকে দুর্ভিক্ষ বলে বিবেচনা করা হয়। আর গাজার উত্তরাঞ্চলে সেই অবস্থার ৩ গুণেরও বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে রয়েছেন।

গাজায় ১১ লাখ মানুষ খাদ্যের ‘বিপর্যয়কর’ ঘাটতিতে রয়েছে এবং প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে মৃত্যুর হারের পর্যাপ্ত তথ্য নেই আইপিসির কাছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকার কিছু অংশে চরম খাদ্য ঘাটতি দুর্ভিক্ষের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি ও যুদ্ধের কারণে বিচ্ছিন্ন উত্তরাঅঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ করা না হলে সেখানে বহু মানুষের মৃত্যু আসন্ন। 

আইপিসি সংস্থাটির অনুমান, দুর্ভিক্ষের কারণে যে হারে মানুষ মরতে শুরু করে, গাজায়ও সেই পরিস্থিতি শুরু হয়ে যাবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ক্ষুধা, অপুষ্টি আর বিভিন্ন রোগে সাধারণত প্রতি ১০ হাজার জনে ২ জন মারা যায়।

দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন তার মধ্যে গাজার সমগ্র জনসংখ্যার জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশের পাশাপাশি ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড শুরু এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজ বলে মনে করছে আইপিসি।

 

;

বাংলাদেশে পাঠাতে পেঁয়াজ কিনছে ভারত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য দেশের কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ কিনছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রপ্তানি সংস্থা ন্যাশনাল কো অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড (এনসিইএল)। প্রতি কেজি ২৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা) দরে এই পেঁয়াজ পাঠানো হবে বাংলাদেশে।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে এরই মধ্যে পেঁয়াজ কেনাও শুরু করেছে সরকার। শিগগিরই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলোতে পাঠানো হবে এই পেঁয়াজ।

নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সাড়ে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। ডিসেম্বরের শুরুতে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার পেঁয়াজ পাঠানোর অনুরোধের পর ‘বিশেষ বিবেচনায়’ ভারতীয় পেঁয়াজের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোতে মোট ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজের মধ্যে বাংলাদেশের ভাগে পড়েছে ১ হাজার ৬৫০ টন।

রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার জারি থাকায় সরকারি উদ্যোগেই এসব পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

এদিকে ভারতের বেরসরকারি পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, একদিকে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যদিকে রমজান মাসের জেরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের পুরোনো ক্রেতা বাংলাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে হু হু করে। এ পরিস্থিতিতে চোরাকারবারিদের মাধ্যমে ভারত থেকে প্রতিদিন পেঁয়াজ পাচার হচ্ছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ইস্যুতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রপ্তানিকারকরা। সেই চিঠিতে তারা বলেছেন, গত ৮ ডিসেম্বরের নিষেধাজ্ঞার পর থেকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে যত পেঁয়াজ ছিল, তার প্রায় ৫০ শতাংশই চোরা পথে দেশের বাইরে গিয়েছে।

এই অভিযোগের যথার্থতা নিয়ে অবশ্য সংশয় রয়েছে। কারণ ‘পেঁয়াজের রাজধানী’ বলে পরিচিত রাজ্য মহারাষ্ট্রে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭ রুপি থেকে সর্বোচ্চ ১৬ রুপি। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম ওঠানামা করছে ১০ থেকে ২০ রুপির মধ্যে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে। কয়েক দিন আগে অবশ্য এ দর ১২০ টাকা ছুঁয়েছিল।

;