তুরস্ক কি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে



কাওসার আহমেদ, তুরস্কের ইজমির থেকে
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পুরনো ছবি

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

তুরস্কের ভৌগলিক অবস্থান ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশে হওয়ায় দেশটি বিশ্ব রাজনীতিতে জিওপলিটিক্যালি বা স্ট্যাটিজিক্যালি খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সাথে দেশটির ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ মিত্রতা গড়ে ওঠে। কিন্তু কুর্দিদের সমর্থনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্বাস ভঙ্গের কারণে তুরস্কের বর্তমান ইসলামপন্থী একে (আকেপে) পার্টির সরকার হয়তো স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার প্রতিপক্ষ রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে ভারসাম্য রক্ষা করতে চাইছে।

গত প্রায় এক দশক ধরে তুরস্কের আশা ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দেওয়ার। কিন্তু ২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানেরর বিরুদ্ধে ব্যর্থ এক অভ্যুত্থানের পর ওই আলোচনা স্থবির হয়ে পড়েছে।

ইউরোপের নেতারা বলছেন, ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার পর এরদোয়ানের সরকার যে গ্রেফতার ও শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে, তা ইইউর সদস্য হওয়া এবং ভিসামুক্ত চলাচলের আলোচনার আবশ্যিক যেসব পূর্বশর্ত রয়েছে, তার লংঘন বলে বিবেচিত হতে পারে।

অন্যদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইইউ -এ যোগ দেওয়ার চিন্তার মধ্যে আটকে থাকা তুরস্কের উচিৎ নয়। তারা বরং রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে একটি 'ইউরেশিয়ান' গ্রুপে যোগ দিতে পারেন।

তুরস্ক কি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে?

এরদোয়ান বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই তার এই ভাবনা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনা করেছেন। তিনি রাশিয়া ছাড়াও কাজাকিস্তানের নীতিনির্ধারকদের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

এদিকে এ দু’টি দেশই সাংহাই প্যাক্ট নামে একটি গ্রুপের সদস্য, যা একটি শিথিল নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জোট। এর অন্য সদস্যরা হচ্ছে- চীন, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।

এখন আসি মূল প্রশ্নে, তুরস্ক কি আসলে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে পারছে? নাকি ক্রমাগতভাবে রাশিয়ামুখী হচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বাহিনীর দেশ তুরস্ক সিরিয়ায় মার্কিন স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে রাশিয়ার সাথে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করছে।

তাছাড়া সম্প্রতি যে বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের বেশ টানাপোড়ন চলছে তা হলো রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনা।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, রাশিয়ার কাছ থেকে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল এস-৪০০ প্রযুক্তি কেনায় তুরস্ককে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই প্রযুক্তিকে মার্কিন জেট বিমানের জন্য হুমকি হিসাবে দেখছে দেশটি।

মি. পেন্স বলেন, তুরস্ককে বেছে নিতে হবে, তারা কি গুরুত্বপূর্ণ ন্যাটো সদস্য হিসাবে থাকবে, না-কি এরকম দায়িত্বহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে যৌথ নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে?

তুরস্ক কি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে?

এর জবাবে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু বারবার বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ওই চুক্তিটি বাতিল করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে চুক্তি হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে টুইট করেছেন, ''যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই বেছে নিতে হবে- তারা কি তুরস্কের বন্ধু হিসেবে থাকতে চায়? না-কি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আমাদের বন্ধুত্বকে ঝুঁকিতে ফেলতে চায়। যারা শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ন্যাটো সহযোগীদের প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করে তুলতে চায়?''। (সূত্র: বিবিসি, ৪ এপ্রিল ২০১৯)

কিন্তু কী আছে এই এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থায়, যার কারণে এটি এতটা গুরুত্ব পাচ্ছে সবার কাছে? জেনে নেই বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক সাইমন ওয়াজেমান বলেন, ‘এস-৪০০ হচ্ছে এখন পর্যন্ত সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, পশ্চিমারা এখন পর্যন্ত যা তৈরি করেছে তার চেয়ে অনেক অগ্রসর এটি। এর রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা অন্যান্য সেন্সরের ক্ষমতা অনেক বেশি। এর রাডার ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকার ওপর নজরদারি করতে পারে। এটির ক্ষেপণাস্ত্রের সীমা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণেও অনেক নির্ভুল।’

তুরস্ক কি রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে?

‘আরেকটি বিষয় হচ্ছে, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই অস্ত্রটি স্থাপন করা, প্রস্তুত করা ও ফায়ার করা যায়। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নেওয়া যায় সহজেই।’

কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের সামরিক বিশ্লেষক কেভিন ব্রান্ড বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি হলো একের মধ্যে অনেক গুণাগুণ সমৃদ্ধ। এটি দিয়ে দূর পাল্লা, মাঝারি পাল্লার এমনকি স্বল্প পাল্লার রকেট ছোড়া যায়। এটি নির্ভর করবে ব্যবহারকারীর ইচ্ছের ওপর।’ (সূত্র: আল জাজিরা)।

পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে আঙ্কারা।

মস্কোর সাথে আঙ্কারার সম্পর্ক বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ- যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়া তুর্কি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীদের দ্বারা অভ্যুত্থানের চেষ্টা। তবে এই সম্পর্ক উন্নয়নের শিকড় আরো গভীরে, যেখানে আছে সিরিয়া নীতি নিয়ে তুরস্কের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতমুখী অবস্থান।

   

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় লিম্পোপো প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ৪৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানী জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের লিম্পোপো রাজ্যের মামটলাকালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি এতথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি একটি সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। এরপর বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়।

বাসটি প্রতিবেশী দেশ বতসোয়ানা থেকে যাত্রী নিয়ে লিম্পোপোর শহর মোরিয়া যাচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিলেন উদ্ধার কর্মীরা। ঘটনাস্থলে অনেকের আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের চিহ্নিত করা দুষ্কর। বাকিরা বাসের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে এবং অন্যরা ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে লিম্পোপোর পরিবহন বিভাগের পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

;

ন্যাটোর দেশে আক্রমণ নয়, তবে এফ-১৬ দিলে ধ্বংস করা হবে: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এছাড়া পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না রাশিয়া। তবে এসব দেশ যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তবে সে যুদ্ধবিমান গুলি করে ধ্বংস করা হবে।

রাশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন।

রুশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়ার দিকে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তাদের ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করে আসছে। সে কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, এসব যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে না। আমরা এখন যেমন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লাঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করি, ঠিক তেমনি আমরা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করব।

পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর কোনো সদস্যদেশের ওপর আক্রমণাত্মক চালানোর কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, সে স্থানগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। সেটি যে স্থানই হোক না কেন।

বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব দেশের একটি জোট ইউক্রেনের চালকদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিমান চেয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

;

‘ক্রিপ্টো কিং’ স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ২৫ বছরের কারাদণ্ড



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধসে যাওয়া ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কোম্পানি এফটিএক্স-এর সাবেক প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ব্যাংকম্যান ফ্রিডকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ম্যানহাটনের একটি আদালত।তাকে গ্রাহকদের বিলিয়ন ডলার চুরি করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতির অভিযোগে স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ৫০ বছরের সাজা চান প্রসিকিউটররা। তাদের যুক্তি জনসাধারণকে প্রতারক থেকে রক্ষা করা দরকার এবং একটি কঠোর শাস্তি অন্য অপরাধীদের নিবৃত্ত করবে। পরে বিচারক ৩২ বছর বয়সী স্যাম ব্যাঙ্কম্যান ফ্রিডের ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেন।

আদালতে দায়ের করা মামলায় প্রসিকিউটররা বলেছেন, আসামি একাধিক মহাদেশজুড়ে কয়েক হাজার লোক এবং কোম্পানির শত শত কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছে।

বিচারক কাপলান ‘ক্রিপ্টো কিং’ স্যাম ব্যাঙ্কম্যানের ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, আমি ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনকে সান ফ্রান্সিসকো এলাকার কাছাকাছি একটি মাঝারি-নিরাপত্তা কারাগারে স্যাম ব্যাঙ্কম্যানকে পাঠানোর পরামর্শ দেব। কারণ তিনি অন্য বন্দি বা কারাগারের কর্মীদের জন্য শারীরিক হুমকি হতে পারেন। তিনি একটি উচ্চ নিরাপত্তা অবস্থানে অন্যান্য বন্দীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

;

মুস্তফাকে প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী করে ফিলিস্তিনের নতুন মন্ত্রিসভা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফা বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন, যেখানে তিনি রিয়াদ আল-মালিকির স্থলাভিষিক্ত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ওই মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছেন।

এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা থামছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৭৬ ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে।

এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে এবং আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৭৫ হাজার জনে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) লাইভ আপডেটে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত অক্টোবর মাস থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৪৯০ জনে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাত থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে।

এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি ও এর শর্তগুলো বাস্তবায়নে যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তা হবে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের শামিল।

;