গান্ধী আশ্রম: যেখানে শান্তির খোঁজে আসে সকলে



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গান্ধী আশ্রম / ছবি: বার্তা২৪

গান্ধী আশ্রম / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আহমেদাবাদের গান্ধী আশ্রম থেকে: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু গান্ধী আশ্রম। গান্ধী আশ্রম নামে পরিচিতি হলেও এর অফিসিয়াল নাম সবরমতী আশ্রম। আবার কেউ বলেন সত্যাগ্রহ আশ্রম। ২০১৭ সালে আশ্রমটি শতবর্ষ পূরণ করেছে।

গুজরাতের রাজধানী আহমেদাবাদ শহরের উপকণ্ঠে সবরমতী নদীর তীরে গড়ে উঠে আশ্রমটি। মহাত্মা গান্ধী এই আশ্রমের যাত্রা শুরু করেন ১৯১৭ সালে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ মহাত্মা গান্ধীর আবাসস্থলও ছিল এই আশ্রম। এখান থেকেই তিনি স্বাধীনতার আন্দোলন করেছেন। ঐতিহাসিক ডান্ডি পদযাত্রাও করেছেন। এ জন্য কোটি মানুষের ভালোবাসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে আশ্রমটি। প্রতি বছর ১০ লাখ মানুষ এ আশ্রম পরিদর্শনে আসেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555163443545.jpg

গুজরাতের পোরবন্দর শহরে মহাত্মা গান্ধীর জন্ম হলেও আজ এ আশ্রমটি তীর্থক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার দূরে আহমেদাবাদ শহরের এ আশ্রমটিতে এসে গান্ধীর বাংলা সফরের কথা মনে পড়ে যায়।

১৯৪৬ সালে জাতিগত দাঙা লাগার পর শান্তির বাণী পৌঁছে দিতে মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলা ভ্রমণ করেন এবং বর্তমান সোনাইমুড়ি পৌরসভার জয়াগ নামক স্থানে তিনি পরিদর্শনে যান। সেখানকার তৎকালীন জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ তার সকল নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করেন মহাত্মা গান্ধীকে। এবং তার পিতামাতার নামানুসারে ‘অম্বিকা কালীগঙ্গা চেরিটেবল ট্রাস্ট’ নামের একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে এক সরকারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘অম্বিকা কালীগঙ্গা চেরিটেবল ট্রাস্ট’ ভেঙে ‘গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট’ সৃষ্টি করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555163462292.jpg

গান্ধী আশ্রমের তথ্য মতে, আহমেদাবাদ শহরের উত্তরে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে সবরমতী নদীর তীরে ৩৬ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এই আশ্রম। ১৯১৫ সালের ৯ জানুয়ারি গান্ধী আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে আহমেদাবাদ শহরে একটি আশ্রম গড়ে তোলার চিন্তা করেন। ওই বছরই কোচরাব পল্লিতে প্রথম গড়ে তোলেন আশ্রম। পরবর্তী সময় ১৯১৭ সালে আরও বড় পরিসের আশ্রম গড়ার জন্য সবরমতী নদীর তীরে উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পান। তার পরই ওই বছরের ১৭ জুন সেখানে গড়ে তোলেন এই আশ্রম। এখানে আন্দোলনের পাশাপাশি কৃষিকাজ, গবাদিপশু পালন, দুগ্ধ খামার এবং খাদি কাপড় তৈরির উদ্যোগ নেন। ১৯৬৩ সালের ১০ মে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এই গান্ধী আশ্রমকে গান্ধী স্মারক হিসেবে ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময় এখানেই গড়ে ওঠে বিশাল গান্ধী সংগ্রহশালা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555163340929.jpg

কোনো প্রবেশমূল্য নেই। সাজিয়ে তোলা হয়েছে আশ্রম। সুন্দর বাগান। নানা গাছ ও ফুল গাছে সাজানো। আশ্রমের পাশ দিয়ে চলেছে সবরমতী নদী। নদীর পানি পরিষ্কার। দু’ধারে কংক্রিটের বিশাল তীর বাঁধানো ঘাট। আশ্রমে ঢুকতেই বামপাশে গান্ধী সংগ্রহশালা। গ্রন্থাগার, ফটো গ্যালারি, গান্ধীর ব্যবহৃত নানা স্মারক, পাণ্ডুলিপি, চিঠি, তৎকালীন নানা খবরের কাগজ ইত্যাদি। কিছু দূরে ধ্যানরত গান্ধীর এক তাম্রমূর্তিও দেখা যায়। এ মূর্তি যেন আশ্রমে গান্ধীর উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।

সংগ্রহশালার এক কর্মকর্তা জানালেন, সংগ্রশালায় গান্ধীর লেখা বিভিন্ন গ্রন্থের প্রায় ৯ হাজার পাতার পাণ্ডুলিপি, ৩৪ হাজার ১১৭টি চিঠি, স্বাধীনতাসংগ্রাম, ডান্ডি পদযাত্রা থেকে তার জীবনের নানা মুহূর্তের আট হাজার আলোকচিত্র, গান্ধীকে নিয়ে ১৮৫টি তথ্যচিত্র এবং প্রায় ৪০ হাজার বই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555163363151.jpg

তিনি আরও জানান, এখানে হিটলারকে লেখা গান্ধীর চিঠি, গান্ধীকে লেখা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিঠি। এখানে নিয়মিত দেখানো হয় গান্ধীকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র। নদী ঘেঁষে গান্ধীর আবাসস্থল। নাম হৃদয়কুঞ্জ। চার কক্ষ বিশিষ্ট টালির ঘরের পাকা দেয়াল। বারান্দায় এখনো রয়েছে একটি সুতা কাটার চরকা। গান্ধী এই আবাসস্থলে থাকাকালীন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাত্মা উপাধি দিয়েছিলেন তাকে।

১৯৩০ সালের ১২ মার্চ ব্রিটিশের লবণ আইনের প্রতিবাদে গান্ধী এখান থেকে শুরু করেন স্বাধীনতা আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক ডান্ডি পদযাত্রা। ৭৯ জন সত্যাগ্রহী সঙ্গে নিয়ে গান্ধীজি ২৪ দিনে ৩৯০ কিলোমিটার পথ হেঁটে ক্যাম্বে উপসাগরের ডান্ডি গ্রামে পৌঁছান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/13/1555163418823.jpg

এরপর ৬ এপ্রিল সেখানে সমুদ্রের পানি ফুটিয়ে নুন বানিয়ে ব্রিটিশের কালাকানুনের প্রতিবাদ জানান। সেখান থেকেই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ভিত্তি পায়।

   

গাজায় ইসরায়েলি হামলা: নিহত বেড়ে ৩৪ হাজার ২৬২



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার হাজার ২৬২ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা ও বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনাদোলু ও আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৯ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৮৬ জন। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৪ হাজার ২৬২ জনে, আহতের সংখ্যা ৭৭ হাজার ২২৯ জনে পৌঁছেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর গাজার হাসপাতালে দুটি গণকবর থেকে ৩০০ টিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের আহ্বানকে সমর্থন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

এদিকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৯৫ বিলিয়ন ডলারের একটি নিরাপত্তা প্যাকেজ আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা এবং গাজাকে ১ বিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা।

;

হিজাব না পরা নারীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিজাব না পরে রাস্তায় বের হওয়া নারী ও তরুণীদের প্রতি কঠোর হচ্ছে ইরান। গত ১৩ এপ্রিল থেকে ‘নুর’ নামের একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করে দেশটি। এরপরই থেকেই হিজাব আইন কার্যকরে কঠোরতা শুরু হয়েছে।

ইরানে হিজাব পরিধানে কঠোর আইন রয়েছে। যারা এই আইন ভঙ্গ করেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

নারীদের ওপর চালানো ধরপাকড়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব ছাড়া বাইরে বের হওয়া নারীদের ‘নৈতিকতা পুলিশের’ সদস্যরা জোরপূর্বক গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।

একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাজধানী তেহরানের ব্যস্ততম তেহরান স্কয়ার দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক মা ও মেয়ে। ওই সময় তাদের ঘিরে ধরেন পুলিশের পাঁচ নারী ও দুই পুরুষ সদস্য। যখন তারা গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন তখন তাদের সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে তোলা হয়।

তেহরানের শহীদী বেহেস্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনা গালিবাফ নামের এক নারী শিক্ষার্থী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, তাকে মেট্রোতে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। যখন তিনি জোরাজুরি করেন তখন তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারধর ও যৌন হেনস্তা করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।  

এমন পোস্ট দেওয়ার একদিন পরই এই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে ইভিন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গ্রেফতার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের একজন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গত শনিবার পুলিশের আট সদস্য তাকে ঘিরে ধরে। ওই সময় ‘বেশ্যা’, ‘নগ্ন আমেরিকার বেশ্যাপ্রেমী’ বলে তাকে গালাগালি করে। এছাড়া নারী পুলিশ সদস্য ছাড়াও পুরুষরাও গ্রেফতার করা সময় তাকে স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেছেন এই তরুণী।




;

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে নিঃশ্বাস নেওয়া যাচ্ছে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিপাইনে তীব্র তাপদাহে সবকিছু ঝলসে যাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৪ এপ্রিল) কিছু এলাকার স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে এবং লোকজনকে বাইরে থাকার বিষয় সতর্কতা জারি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চ, এপ্রিল ও মে সাধারণত ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জের সবচেয়ে উষ্ণ ও শুষ্কতম মাস। তবে এই বছর এল নিনোর আবহাওয়ার প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

ম্যানিলার দক্ষিণে ক্যাভিট প্রদেশের একটি সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে কাজ করেন ৬০ বছর বয়সি এরলিন তুমারন।

তিনি বলেন, ‘এত গরম যে, আপনি নিশ্বাস নিতে পারবেন না।’ রিসোর্টটিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তাপ সূচক ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

এরলিন তুমারন বলেন, ‘এটা আশ্চর্যজনক যে, আমাদের পুলগুলো এখনও খালি। এই গরমে আপনি আশা করতে পারেন যে, লোকেরা এসে পুলগুলোতে সাঁতার কাটবে। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা গরমের কারণে বাড়ির বাইরে যেতে নারাজ।’

দেশটির আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বুধবার অন্তত ৩০টি শহর ও পৌরসভায় তাপ সূচক ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজ্যের আবহাওয়া পূর্বাভাসের প্রধান জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আনা সোলিস বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে তাপ আরো তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোলিস এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের বাইরে কাটানো সময় সীমিত করতে হবে, প্রচুর পানি পান করতে হবে, বাইরে যাওয়ার সময় ছাতা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।’

সোলিস বলেন, এল নিনোর কারণে ‘চরম তাপ’ দেশের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

অ্যাপাররি উত্তর পৌরসভায় মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

;

ইউক্রেন-ইসরায়েল সহায়তা ও টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে বাইডেনের স্বাক্ষর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়া সহায়তা বিল এবং টিকটক নিষিদ্ধকরণ বিলে স্বাক্ষর করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির সিনেটে বিলগুলো অনুমোদনের পর এটি অপেক্ষায় ছিল বাইডেনের স্বাক্ষরের। অবশেষে তার স্বাক্ষরের পর বিলগুলো চূড়ান্ত আইনে পরিণত হলো।

অনুমোদিত টিকটক বিলের শর্তে বলা হয়েছে, টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে আগামী নয় মাসের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করতে হবে। নয়তো এই অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক করে দেওয়া হবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট।

এক বিবৃতিতে বিলটি পাস করায় আইনপ্রণেতাদের প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই আইন আমাদের দেশ ও বিশ্বকে আরও বেশি সুরক্ষিত করবে। আমরা আমাদের সেই বন্ধুদের সহায়তা করছি, যারা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও (রুশ প্রেসিডেন্ট) ভ্লাদিমির পুতিনের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষায় লড়াই করছে।

এদিকে সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এটি গণতন্ত্রের আলোকবর্তিকা এবং মুক্ত বিশ্বের নেতা হিসেবে আমেরিকার ভূমিকাকে শক্তিশালী মনে করে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাস হওয়া বিদেশি সহায়তা প্যাকেজে ইসরায়েলে সামরিক ও গাজায় মানবিক সহায়তা হিসেবে ২৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মার্কিন মিত্র তাইওয়ানের জন্য ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কমিউনিস্ট শাসিত চীনকে মোকাবিলায় এই অর্থ সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

;