২০১৮ সালে যা যা ঘটবে



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
আগামী দিনগুলোতে কি ঘটবে, তা আগে থেকে জানবার আকাঙ্খা বোধহয় মানুষের চিরন্তন। সেই ভাবনা থেকেই আগামী বছরের প্রধান 'ট্রেন্ড' কি হবে তা বোঝার এই চেষ্টা। কে বা কি হয়ে উঠতে পারে আগামি বছরের বড় ঘটনা? আমরা এ মুহূর্তে যতটুকু জানি তার ভিত্তিতেই একটা অনুমানের চেষ্টা এটা। বৈদ্যুতিক গাড়ি’ মোটরগাড়ি শিল্পের বেশ কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, ২০১৮ সাল হবে বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর । যদি তাই হয়, তাহলে তা বোঝা যাবে বিক্রি বাড়ার মধ্যে দিয়ে। এ বছর বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে মোট বাজারের ৪ শতাংশ - যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এই বৃদ্ধির একটা বড় কারণ হলো চীনে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি। চাঁদের উল্টো পিঠে নামবে চীনা মহাকাশযান গত বছরের জানুয়ারিতেই চীন ঘোষণা করেছিল যে ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ তারা হবে চাঁদের উল্টো পিঠ অর্থাৎ অন্ধকার দিকটায় অবতরণকারী প্রথম দেশ। সরকারি বার্তা সংস্থা এ খবর দিয়েছিল। প্রোব চ্যাংই ফোর নামেও যানটি চাঁদের উল্টো পিঠের ভূতাত্বিক গঠন জরিপ করবে। চাঁদে চীনের অবতরণ অবশ্য এই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে প্রথম চীনা যান চাঁদে নেমেছিল, তাই তারা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আর সাবেক সোভিয়েক ইউনিয়নের পর এ ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশ। হান্নার উত্থান হান্না এ্যালপারের বয়েস মাত্র ১৪। কিন্তু নয় বছর বয়েস থেকেই পরিবেশ সংক্রান্ত ব্লগ লিখছে সে, এবং এ্যান্টি-বুলিইং আন্দোলনের জন্যও কাজ করছে সে। মনে করা হচ্ছে হান্নার কার্যক্রম দেখে চোখ কপালে তুলবেন এমন লোকের সংখ্যাও ২০১৮ সালে বাড়বে। পুরুষদের জন্মনিরোধক পুরুষদের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশনের পরীক্ষা শুরু হবে ২০১৮ সালেই। এটা হচ্ছে ভ্যাসালজেল নামে একধরণের হরমোনমুক্ত বস্তু, যা বাজারে এলে পুরুষদের আর কনডম ব্যবহার করতে বা ভ্যাসেকটমি সার্জারি করাতে হবে না। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডোনাল্ড ওয়ালার এই জেলটি তৈরি করেছেন। এটা ইনজেকশন হিসেবে নিতে হবে এবং তার ফলে পুরুষের বীর্য থেকে শুক্রাণু আলাদা করে ফেলা যাবে। ইনজেকশন বন্ধ করলে পুরুষেরা আবার পূর্বাবস্থায় ফেরত যেতে পারবেন। এখন পর্যন্ত খরগোশ ও বানরের ওপর পরীক্ষা আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে। কার্ল মার্কসের জন্মের ২০০তম বার্ষিকী জার্মান দার্শনিক কার্ল মার্কসের জন্ম হয়েছিল ১৮১৮ সালের ৫ মে। ২০১৮ সালের ৫ মে তার জন্মের ২০০তম বার্ষিকী। আশা করা চলে তার চিন্তা এবং উত্তরাধিকার নিয়ে এ বছর বহুমাত্রিক বিতর্ক হবে। কার্ল মার্কস সমাহিত আছেন লন্ডনের হাইগেট কবরস্থানে। তার কবর দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় এবার বেড়ে যেতে পারে। ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে জাতিসংঘের এক হিসেব অনুযায়ী ভারত হয়তো ২০১৮ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে চীনকে ছাড়িয়ে এক নম্বরে চলে আসবে। তাদের জিডিপি বাড়বে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হারে , অন্য দিকে চীনের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে 'মাত্র' ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় ২ দশমিক ৯ শতাংশ। এমবাপ্পির উত্থান কাইলিয়ান এমবাপ্পিকে এখন হয়তো আর অপরিচিত বলা চলে না। প্যারিস সঁ-জার্মেইনের এই তরুণ ফরাসী ফুটবলার এর মধ্যে ইউরোপের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন। ক্লাবে তিনি তার প্রথম ২৫ খেলায় গোল করেছেন ১৩টি। যেহেতু ২০১৮ সালে বিশ্বকাপ ফুটবল হতে যাচ্ছে রাশিয়ায়, সেখানে ফ্রান্সকে এবার সম্ভাব্য শিরোপাজয়ীদের একজন বলেও মনে করা হচ্ছে। হয়তো এমবাপ্পি এবারের বিশ্বকাপে মেসি বা রোনাল্ডোদের ম্লান করে দেবার একটা সুযোগ পেয়ে যেতেও পারেন। পোলিও নিশ্চিহ্ন হচ্ছে পৃথিবী থেকে পোলিওকে একসময় পৃথিবীর সবচেয়ে ভীতিকর রোগ বলে মনে করা হতো। কিন্তু এখন পোলিও বিলুপ্ত হবার পথে। ডিসেম্বর মাসেই পোলিও নির্মূলের বৈশ্বিক সংস্থা বলছে ২০১৭ সালে মাত্র ১৭ জনের পোলিও হয়েছিল। আর ২০ বছর আগে এক বছরে পোলিও রোগীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ৩ লাখ। তাই মনে করা হচ্ছে ২০১৮ শেষ হতে হতে পোলিও হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
   

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সক্ষমতা ইরানের আছে: চীন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর ইরানকে সরাসরি সমর্থন না জানালেও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ইরানের। এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, তারা সেটি দেখার সক্ষমতা ইরানের আছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৪ এপ্রিল) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ সময় ওয়াং ই বলেন, ইরান নিজেদের প্রতিরক্ষা ও সার্বভৌমত্বের চিন্তা করে হামলা করেছে বলে জানিয়েছে। সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।  

এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশিত চীনের বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবেশি ও আঞ্চলিক দেশগুলোতে হামলা না করার দিকে যেভাবে ইরান জোর দিয়েছে তাতে সমর্থন দিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 

এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান ওয়াং ইকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা নিয়ে ইরানও চিন্তিত। এ নিয়ে তারা পরিকল্পনা করছে। এই উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে সেজন্য তারা সব করতে রাজি। 

ইরানের হামলার পর সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফাহিয়ান আল সৌদের সঙ্গেও কথা বলেন ওয়াং ই। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে রিয়াদের সঙ্গে কাজ করতে বেইজিং প্রস্তুত বলে জানান তিনি। এমনকি গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়েও কাজ করবে চীন।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে একজন কমান্ডারসহ ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সাত কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ হামলার জবাবে রোববার ভোরে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।

ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের হামলায় খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ধ্বংস করা হয়েছে। এতে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান সহায়তা করেছে।

ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরায়েল কী করে, তা দেখতে উদগ্রীব পুরো বিশ্ব। তবে, এখনই ইসরায়েলকে কিছু না করার পরামর্শ দিয়েছে পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। উত্তেজনা না বাড়ানোর জন্য সোমবার ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রগুলো আহ্বান জানিয়েছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ইসরায়েলকে সংযত থাকতে বলেছেন। 

;

ইরানি হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলের ব্যয় ১৩৫ কোটি ডলার 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি ইসরায়েলে সংগঠিত ইরানি হামলার ঘটনায় শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা প্রতিরোধ করতে দেশটিকে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

দৈনিক ইয়েদিওথ আহরনোথ ব্রিগেডিয়ার মো. ইসরায়েলি চিফ অব স্টাফের সাবেক আর্থিক উপদেষ্টা জেনারেল রাম আমিনাচ এই প্রসঙ্গে বলেন, শনিবার রাতে ১৩৫ কোটি ডলার প্রতিরক্ষা ব্যয় গুনতে হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে প্রায় ৩৫ লাখ ডলার গুনতে হয়। যেখানে একটি ‘ম্যাজিক ওয়ান্ড’ ক্ষেপণাস্ত্রের দামও ১০ লাখ ডলার। এছাড়া ইরানি ড্রোনগুলো আটকাতে বিভিন্ন ধরনের ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। সেসব খরচ বাদ দিয়েই শুধু ইরানি হামলা মোকাবিলায় এই অর্থ খরচ হয়েছে।’

তেল আবিবের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের একজন সিনিয়র গবেষক ইহোশুয়া ক্যালিস্কি বলেন, শনিবার ইসরায়েলের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যারেজ আটকানোর খরচ আনুমানিক ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইসরায়েলি শেকেল বা ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। ডেভিড'স স্লিং এয়ার ব্যবহারসহ ইরানের অর্ধেক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন আটকানোর সাথে সম্পর্কিত ব্যয়কে বিবেচনা করে তিনি এই  অনুমান করেন। এতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এবং জ্বালানি ও অস্ত্রসহ ১০০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে ছয় ঘণ্টা বাতাসে রাখার খরচও বিবেচনা করা হয়েছে।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কালিস্কি বলেন, এই হামলার ব্যয় ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের খরচের সাথে তুলনীয়। তবে শনিবারের ইরানি হামলা প্রতিরোধের এই খরচ ইসরায়েলের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে না।

এর আগে রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিল, ইরান থেকে ইসরায়েলে প্রায় ৩৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

তিনি নিশ্চিত করেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিয়ারশেবারের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ৯৯ শতাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দানিয়েল হাগারি আরও বলেন, ‘৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ২৫টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং ১২০ টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র কয়েকটি ইসরায়েলের আকাশে প্রবেশ করতে পেরেছে। সেসব নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে পড়েছে।’ 

হাগারি উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর সক্ষমতা ধ্বংস করতে ইরানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং নেভাতিম ঘাঁটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে ইরানের পাশাপাশি লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের ভূখণ্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে।

 

;

ভারতে ফ্লাইওভার থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেল বাস, নিহত ৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভার থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস নিচে পড়ে গেছে। এতে পাঁচ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় ৪০ জন। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে পুরী থেকে কলকাতা আসার পথে জাজপুর জেলার বারবাতীর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জাতীয় সড়ক-১৬ ওপরে একটি ফ্লাইওভারে ওঠার সময় বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি নিচে পড়ে যায়।

বাসটিতে ৫০ জনেরও মতো যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। খবর পেয়েই পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর একটি দল বারবাটি সেতুর কাছে পৌঁছে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। আহতদের ১০টি অ্যাম্বুলেন্সে স্থানীয় ধর্মশালা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতদের পাঠানো হয়েছে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

;

ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েলের ৩ বিকল্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের এই প্রত্যক্ষ হামলার জবাবে ইসরায়েলের যুদ্ধ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ৩ ধরনের বিকল্প উপায় গ্রহণ করতে পারবে বলে মনে করেন বিবিসির ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে তিনি এই উপায়গুলো জানিয়েছেন।

প্রথমত, ইসরায়েল একটি ‘স্ট্র্যাটেজিক পেশেন্স’ বা কৌশলগত ধৈর্য প্রদর্শনের রাস্তায় হাঁটতে পারে। অর্থাৎ সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা হামলা না চালিয়ে তারা ওই অঞ্চলে ইরানের যেসব শরিকরা আছে তাদের ওপর অভিযান চালিয়ে যাবে। এর মধ্যে আছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী, সিরিয়াতে অবস্থিত ইরানের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ কেন্দ্রসমূহ।

দ্বিতীয়ত, ইরান যে ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা ঠিক সেই ধরনের হামলা চালাতে পারে। এসব হামলার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হবে ইরানের সেই ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটিগুলো। তবে ইসরাইল যদি এই অপশনটা বেছে নেয়, তাহলে ইরান সেটাকেও ‘এসক্যালেশন’ বা যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবেই দেখবে। কারণ বহু বছরের বৈরিতা সত্ত্বেও ইসরায়েল ইতিপূর্বে কখনওই সরাসরি ইরানের ভূখণ্ডে কোনো হামলা চালায়নি। বরং তারা ওই অঞ্চলে ইরানের সঙ্গী বা প্রক্সি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে আক্রমণেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে।

তৃতীয়ত, ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টায় ইরানের চেয়েও অনেক শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা শুধু নির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র বেসগুলোই নয়, ইরানের অত্যন্ত শক্তিশালী রিভোলিউশনারি গার্ডসের ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারগুলোকেও আক্রমণের নিশানা করবে।

ইসরায়েল যদি এই শেষ দুটো অপশনের কোনওটা বেছে নেয়, তাহলে ইরানকেও অবশ্যই আবারও পাল্টা আঘাত হানার পথে যেতে হবে। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, এই সংঘাতে কি আমেরিকাও জড়িয়ে পড়তে পারে?

উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের ছ’টি দেশেই কিন্তু মার্কিন সামরিক উপস্থিতি আছে। এছাড়া তাদের সামরিক ঘাঁটি আছে সিরিয়া, ইরাক ও জর্ডানেও। বহু বছরের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান যে ব্যালিস্টিক ও অন্য নানা ধরনের মিসাইলের বিপুল ভাণ্ডার তৈরি করেছে, মার্কিন এই সামরিক ঘাঁটিগুলো সেই সব ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানায় পরিণত হতে পারে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই আর একটা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যে তারা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।

কৌশলগতভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্রপথটি যদি ইরান মাইন, ড্রোন ও ফাস্ট অ্যাটাক ক্র্যাফট দিয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম ব্যস্ত রুটটি অচল হয়ে পড়বে এবং বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের এক-চতুর্থাংশ স্তব্ধ হয়ে যাবে।


;