যে ইস্যুগুলো ভারতের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে



কলকাতা ডেস্ক
যে ইস্যুগুলো ভারতের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে। ছবি: প্রতীকী

যে ইস্যুগুলো ভারতের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নেবে। ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

এ বছর ভারতে সাত দফায় নির্বাচন হবে। ইতোমধ্যে দিন ঘোষণা হয়ে গেছে। ভোটগ্রহণ শুরু ১১ এপ্রিল, আর তা শেষ হবে ১৯ মে। একদিকে যেমন রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট, তেমনই রয়েছে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট এবং রয়েছে মমতার নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলিও। যে যার মতো শক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে।

এই নির্বাচনে যে বিষয়গুলি বড় ইস্যু হতে চলেছে তা হল:

নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদ: একমাস আগেও এই বিষয়টি নিয়ে এতো আলোচনা ছিল না। তবে পুলওয়ামা হামলার পরে জাতীয় নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়টি নির্বাচনের অন্যতম বড় ইস্যু হিসেবে উঠে এসেছে। এবারের নির্বাচনে এটি বড় ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে মোদি সরকার, অন্যদিকে রয়েছে বিরোধী শিবির। দেশের সেনাকে মাঝখানে রেখে দুই শিবির দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। বিরোধীদের দাবি, সব কিছু আগে থেকে জেনেও নজর দেয়নি কেন্দ্র। অর্থাৎ জাতীয় নিরাপত্তাকে জলাঞ্জলি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অন্যদিকে কেন্দ্রের দাবি, এই আমলে শত্রুর চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছে সরকার।

মুদ্রাস্ফীতি: এই নির্বাচনে মোদি সরকারের বড় হাতিয়ার হতে চলেছে বিষয়টি। মুদ্রাস্ফীতির হার কমিয়ে আনতে মোদী সরকার সফল। কংগ্রেসের সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতির হার অনেক বেশি ছিল।

কর্মসংস্থান: বিরোধীদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হতে চলেছে কর্মসংস্থান। মোদি সরকার এই ইস্যুতে ব্যাকফুটে থাকবেই। ২০১৪ সালে এই কর্মসংস্থানকেই অন্যতম হাতিয়ার করে বিজেপি সরকারে এসেছিল। তারপরে জিএসটি, নোট বাতিলের মতো ঘটনায় কর্মসংস্থান কমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক সরকারি রিপোর্টেও কর্মসংস্থানের হার গত কয়েক দশকে সর্বনিম্ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সামাজিক অস্থিরতা: গ্রামীণ ভারতে অস্থিরতা আগেও ছিল এবং তা এই সরকারের আমলেও রয়ে গেছে। কৃষক আত্মহত্যা এবারে অন্যতম ইস্যু। গ্রামীণ মানুষদের মধ্যে তা নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস সাত দশক কিছু করেনি। কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি পাঁচ বছরে অবস্থার আরও অবনতি ঘটিয়েছে। ফলে নির্বাচনে এটি অন্যতম ইস্যু সন্দেহ নেই।

মেরুকরণ: দেশে যেন ধর্মের ভিত্তিতে আড়াআড়ি মেরুকরণ হয়ে গেছে। বিষয়টা বিজেপির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘু মুসলিমদের (প্রায় ২০ কোটি) ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে রয়েছে বলে অভিযোগ। আবার হিন্দু (১০৭.৭ কোটি) ভোটব্যাংক গতবারের মতো এবারো অটুট থাকলে তবেই তাদের কোর্টে বল থাকতে পারে।

জাতপাত: এ বিষয় নিয়ে রাজনীতি এর আগেও হয়েছে। ইস্যুটি বিশেষ কয়েকটি অঞ্চলে বড় ভূমিকা নেবে। আঞ্চলিক দলগুলো এ নিয়ে এবারো ফায়দা নেবে। বিশেষ করে অখিলেশ যাদব এবং মায়াবতী। তবে উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে আটকানোর পথে নামবে বলেই জানা যাচ্ছে। আবার অন্য রাজ্যগুলিতে (বিহার, ওড়িশা ইত্যাদি) জাতপাতের রাজনীতি বিজেপিকে সুবিধা দেবে। সবমিলিয়ে বিষয়টা নিয়ে লড়াই জমে উঠতে চলেছে।

দুর্নীতি: ২০১৪ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ছিল দুর্নীতি। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে নোট বাতিল থেকে রাফাল যুদ্ধ বিমানের ইস্যুতে বিরোধীরা সরব হবে। 

উন্নয়নমূলক প্রকল্প: মোদির আমলে উজ্জ্বলা যোজনা, স্বচ্ছ ভারত, কিষাণ যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো নানা প্রকল্প শুরু হয়েছে এবং বিজেপির বেলায় আন্তর্জাতিক রাজনীতি অনেকটা প্রকাশ পেয়েছে। যা ভারতের কাছে লাভজনক। মোদি সরকার এগুলিকে হাতিয়ার করে প্রচারে নামবে। কংগ্রেসও বিরুদ্ধে প্রচার করছে।

নরেন্দ্র দামোদর মোদি: এই নামটাই বিজেপির বড় ফ্যাক্টর। এবারের নির্বাচনে বিজেপির ফিরে আসা একমাত্র নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে বা কতটা প্রভাব এখনো রয়েছে তার ওপরে। যদি মোদির প্রতি জনগণের আস্থা অটুট থাকে তাহলে ফের সরকার হবে বিজেপি থেকেই।

গোমাংস: বিজেপি অবৈধ গোহত্যা বন্ধ করা ইস্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশে বিশাল জয় পেয়েছিল। তবে বিষয়টা নিয়ে রোষেও পড়তে হয়েছে। এই গোরক্ষার নামে নানা জায়গায় হামলা হয়েছে। এমনকি মৃত্যুও ঘটেছে, উত্তেজনা ছড়িয়েছে। শুধু সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগুরুরাও বিষয়টা ভালো ভাবে নেয়নি। বিষয়টা ভোটে বড় ইস্যু হতে চলেছে।

নবীন ভোটার: এ বছর দেড় কোটির বেশি নতুন ভোটার প্রথমবার ভোট দেবে এবং প্রায় সাড়ে ৮ কোটি নতুন ভোটার ২০১৪ সালের তুলনায় বেড়েছে। এই নবীন ভোটাররাই বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন।

নারী ভোটার: লক্ষ্যণীয় ভাবে নারী ভোটারা এবারে একটা ফ্যাক্টর হতে চলেছে। যা আগে সেভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। এবারের ভোটে নারীরা কাদের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয় তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে। গ্রামীণ ভারতে শৌচালয় বানানো থেকে শুরু করে উজ্জ্বলা যোজনা চালু, তিন তালাক নিয়ে নারীদের পাশে দাঁড়ানোর কাজ বিজেপি করেছে। বিরোধীরা এগুলিকে কীভাবে সামাল দেয় সেটাই দেখার।

এছাড়া অঞ্চল ভিত্তিক আরও ইস্যু আছে। কারণ কাশ্মীরে যা ইস্যু, তা কন্যাকুমারীতে নয়। আবার পশ্চিমবাংলায় যে সমস্যাগুলো আছে তার থেকে মনিপুর মিজোরামে ভিন্ন। বিশাল ভারতে ১৩৫ কোটি জনগণই শেষ কথা বলবে। ২৩ মে ফল ঘোষণার দিন বোঝা যাবে আগামী ৫ বছরের জন্য কোন শক্তি দিল্লীর মসনদে বলতে চলেছে।

 

   

তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। অবস্থার অবনতি হয়ে বিপজ্জনক মাত্রায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের ২৮ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ সংস্থা এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলেছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদান, বুর্কিনা ফাসো, সোমালিয়া এবং মালির লোকেরা সম্ভবত ২০২৩ সালে তীব্রভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে।

২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন করোনাভাইরাস আঘাত হানে, তখন ৫৫টি দেশের ওপর বৈশ্বিক খাদ্য সংকট নিয়ে করা গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন উদ্বেগজনক হারে খাদ্য সংকটে ভুগছিল। ঠিক পরের বছরই এ সংখ্যা পাঁচজনের মধ্যে একজনে চলে আসে।

২০২৩ সালে ৫৯টি দেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন তীব্র খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল, যেখানে ২০১৬ সালে ৪৮টি দেশে ১০ জনের মধ্যে একজন খাদ্য সংকটে ভুগছিল।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পরিচালক ডমিনিক বারজিন বলেছেন, ‘তীব্র খাদ্য সংকটের ফলে তীব্র ক্ষুধার সৃষ্টি হয়। এটি মানুষের জীবিকা ও জীবনের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকির সৃষ্টি করে। এমন খাদ্য সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হতে পারে এবং এতে ব্যাপক মৃত্যু হতে পারে।’

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লওিএফপি) এবং জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ১.২ শতাংশ বেশি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছিল। করোনা মহামারির পর থেকে এ সংকট উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে খাদ্য সংকট উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক জিয়ান কার্লো সিরি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, গাজা এবং সুদানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে। এসব এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষুধার কারণে ঘাস খাচ্ছে, ভিক্ষা করছে। যেখানে মানুষ স্পষ্টতই ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই এখন নিঃস্ব।

ডব্লিউএফপির এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনে দিনে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির কাছাকাছি চলে আসছি। শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা অনুমান করছি, দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু এখন তীব্রভাবে অপুষ্টি এবং উত্তরাঞ্চলের জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ তীব্র ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে। দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় এখন প্রয়োজন খুব স্বল্প সময়ে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা।

;

তিউনিসিয়া উপকূলে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির জেরবা উপকূল থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য তিউনিসিয়া এবং এর প্রতিবেশী লিবিয়া অভিবাসীদের কাছে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। ইউরোপে উন্নত জীবন যাপনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। তিউনিসিয়ার জেরবার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গত দুই দিনে তিউনিসিয়ার উপকূলে মৃত অভিবাসীর সংখ্যা আরও বাড়ল।

নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে এসেছিল। এদের মধ্যে একজন মিশরীয় ব্যক্তিও ছিলেন। তার কাছে থাকা পাসপোর্টটি থেকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির মেডেনাইনের আদালতের প্রসিকিউটর ফেথি বাককুচে।

এদিকে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথ অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় প্রায় ২ হাজার ৪৯৮ জন মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৫ শতাংশ বেশি।

 

;

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা

বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে বকেয়া রাজস্ব পরিশোধে আয়াটার আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর জোট ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আয়াটা) বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কাছ থেকে মোট ৭২ কোটি ডলার রাজস্ব পাওনা রয়েছে বলে দাবি করেছে। দ্রুত এ রাজস্ব পরিশোধের জন্য উভয় দেশকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আয়াটার মতে, বাংলাদেশের কাছে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ডলার এবং পাকিস্তানের কাছে ৩৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে এই জোট ভুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা সংস্থার। এই রাজস্ব থেকেই সংস্থার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ হয়ে থাকে, তাই রাজস্ব বকেয়া থাকায় পরিস্থিতি বর্তমানে গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে । এ অবস্থায় দ্রুত এই বকেয়া অর্থ পরিশোধে দুই দেশের সরকারকে তাগাদাও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়াটা।

আয়াটার এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিলিপ গোহ বলেছেন, পরিষেবা সংস্থাগুলোকে বিমান, ইঞ্জিন, খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানী খরচ, ওভারফ্লাইট ফি এর জন্য ইজারা সহ ডলার-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব বকেয়া থাকলে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় বিমান পরিষেবা কোম্পানিগুলোকে। এছাড়া রাজস্ব পেতে বিলম্ব হলে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামার কারণে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বুঝতে পারি যে করোনা মহামারির পর থেকে বিভিন্ন দেশ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে ব্যাপক চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তানও রয়েছে সেসব দেশের তালিকায়। কিন্তু আমরা নিরুপায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী রাজস্ব প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত বিলম্ব করা (চুক্তির) প্রাথমিক শর্তের লঙ্ঘণ। যদি শিগগিরই রাজস্ব পরিশোধ না করা হয়, তাহলে এ দুটি দেশে পরিষেবা প্রদান সংকুচিত করতে বাধ্য হবে সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়াটা। সংস্থাটির সদর দপ্তর কানাডার মন্ট্রিয়ালে। এর অন্তর্ভূক্ত সংস্থাগুলো প্রতিদিন বিশ্বের মোট বিমানযাত্রীর ৮৩ শতাংশকে পরিবহন পরিষেবা দেয়। এই পরিষেবা বাবদ এই সংস্থাটিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব দিতে হয় দেশগুলোকে। রাজস্বের অর্থ দিয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহ করে সংস্থাটি।

;

১৯৯৪ সালের বোমা হামলা

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৪ সালের বোমা হামলার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে চায় আর্জেন্টিনা। ৩০ বছর আগের সেই হামলায় ৮৫ জন নিহত হয়েছিল। এ বিষয়ে ইন্টারপোলকে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদির জন্য গ্রেফতারের নোটিশ জারি করতে বলেছে দেশটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার একটি আদালত ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি ইহুদি সম্প্রদায় কেন্দ্রে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করার দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এই অনুরোধ জানিয়েছে। এছড়া ওয়াহিদীকে গ্রেফতার করতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকেও আহ্বান জানিয়েছে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইন্টারপোল তথাকথিত ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। যদিও একটি রেড নোটিশ সদস্য দেশগুলোতে পুলিশকে আন্তর্জাতিকভাবে ওয়ান্টেড পলাতকদের সম্পর্কে কেবল সতর্ক করে, এটি গ্রেফতারি পরোয়ানা গঠন করে না।

যার জন্য রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোল পুলিশকে বাধ্য করতে পারে না, গ্রেফতার করা হবে কিনা তা সদস্য দেশের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।


বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি-সহ ইরানি প্রতিনিধিদল বুধবার শ্রীলঙ্কায় পৌঁছেছেন। তবে, বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদীকে প্রেসিডেন্টের সাথে যেতে দেখা যায়নি।

ইরানের সরকারি বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, আহমেদ ওয়াহিদী মঙ্গলবার ইরানে ফিরে এসেছেন। তবে তাদের প্রতিবেদনে রেড নোটিশের কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালে বুয়েনস আইরেসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বোমা হামলাটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। সেই সময় বিস্ফোরণে ৮৫ জন নিহত এবং তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিল। ইরান অবশ্য সবসময়ই এই হামলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

তবে গত ১১ এপ্রিল আর্জেন্টিনার কোর্ট অব ক্যাসেশন দেশের সর্বোচ্চ ফৌজদারি আদালত রায় দেয়, ইরান এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল এবং ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হামলাটি চালিয়েছিল।

আদালত এই হামলাকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রায় প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আদালত রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের জন্য ভিত্তিহীন এ বিষয়কে প্রমাণিত করার চেষ্টা করছে।

;