বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে স্মার্ট বেড়া বসাচ্ছে ভারত



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
বেআইনি অনুপ্রবেশ এবং অবৈধ অস্ত্র পাচার রুখতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর কাঁটাতারের স্মার্ট বেড়া বসাচ্ছে ভারত৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজ্জুর জানিয়েছেন এ কথা৷ স্মার্ট বর্ডার ফেন্সিং প্রযুক্তি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তের কিছু কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে৷ ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী, বিএসএফের ওপর এই কাজের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ তারা এই স্মার্ট ফেন্সিং প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখে বলেছেন, এই প্রযুক্তি খুবই কার্যকর প্রমাণিত৷ সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজ্জু৷ তামিলনাড়ুর আরাক্কোনামে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী, সিআইএসএফের আঞ্চলিক ট্রেনিং সেন্টারে মহিলা কনস্টেবলদের দ্বিতীয় ব্যাচের পাসিং-আউট প্যারেডের পার্শ্ব বৈঠকে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ভারতের একাধিক সীমান্ত এলাকা তারমধ্যে উপকূলবর্তী জলসীমা প্রায় সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ৷ পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানের সঙ্গে, বিশেষ করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সব থেকে বেশি অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে৷ দিল্লি ঐসব অনুপ্রবেশপ্রবণ এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে৷ চীনের সঙ্গে অনুপ্রবেশ সমস্যা নেই৷ যেটা আছে সেটা হলো সীমান্ত ইস্যু৷ মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের অভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে আছে বিস্তর ফাঁকফোঁকর৷ মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত ভিসা-মুক্ত, বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেণ রিজ্জু৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরা চালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ, জাল নোট, আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য পাচার রুখতে বিএসএফ আগামী বছরের মধ্যেই স্মার্ট-ফেন্সিংয়ের সঙ্গে কাজে লাগাবে মনুষ্য চালক-বিহীন আকাশযান ইউএভি৷ বিএসএফের মহা-নির্দেশক কে.কে. শর্মা সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়ে বলেন. কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ বিষয়ে বিএসএফের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷ আসামের ব্রহ্মপুত্র নদ বরাবর নদী-নালা অধ্যুষিত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ধুবড়ি সীমান্ত এলাকায় দেশীয় প্রযুক্তির সাহায্যে কাঁটাতারের স্মার্ট সীমান্ত বেড়া বসানো হবে চলতি বছরের মধ্যেই৷ দেশীয় প্রযুক্তির এই স্মার্ট বেড়া চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে কিভাবে কাজে লাগানো হবে, সে সম্পর্কে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ অফিসার বলেন, ইনফ্রা-রেড রশ্মির সাহায্যে অবৈধভাবে মানুষ কিংবা গরু পাচারের গতিবিধি ধরা পড়বে৷ উপগ্রহ-ভিত্তিক সংকেত সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যাবে কন্ট্রোল রুমে৷ সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কুইক-রেসপন্স টিম দ্রুত সেখানে পৌঁছে যাবে৷ বর্তমানে এই কাজটা করা হয় বিএসএফের পেট্রল বোটের মাধ্যমে৷ কিন্তু নদনদীর গতিপথ পরিবর্তনশীল৷ পরিবর্তনের ফলে কাজটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়৷ চোরাচালানকারি এবং অনুপ্রবেশকারীরা সেই সুযোগটা কাজে লাগায়৷ সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মহা-নির্দেশক বলেন, আপাতত চারটি মনুষ্য চালকবিহীন আকাশযান কেনার অনুমতি চাওয়া হয়েছে সরকারের কাছে, যেগুলি মোতায়েন করা হবে ৪০৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অতি স্পর্শকাতর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায়৷ পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও পাঁচটি বিএসএফ ব্যাটেলিয়ান (মোট সদস্য পাঁচ হাজার) গড়ে তোলার অনুমতি চেয়েছে সরকারের কাছে৷ বিএসএফ প্রধান বলেন, সীমান্ত এলাকায় অপরাধ দমনে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড (বিজিবি)-র সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই আন্তরিক৷ সীমান্ত অপরাধ দমনে বাংলাদেশিদের নিহত হবার সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ বর্তমান স্ট্র্যাটেজিতে তাই পরিবর্তন করা হবে না৷ করা হলে, অর্থাৎ আরও মারাত্মক ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বই কমবে না, সেটা হবে দুই দেশের স্বার্থের পরিপন্থী৷ ভারতের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা রোধে ভারত-বাংলাদেশ একই সঙ্গে যৌথ অপারেশন চালাবে৷ কারণ, বিএসএফ পাল্টা গুলি চালালে বাংলাদেশিদের হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে৷ আশা করা যায়, এর ফলে পরিস্থিতির ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ গবাদি পশু পাচার সম্পর্কে বিএসএফের মহা-পরিচালক বলেন, গবাদি পশু পাচারের সংখ্যা ক্রমশই কমে আসছে৷ কয়েক বছর আগে যেখানে ২০ লাখের মতো গবাদি পশু পাচার হতো, বর্তমানে সেটা পাঁচ থেকে ছয় লাখে এসে দাঁড়িয়েছে৷ চোরাচালান রুখতে বিএসএফ অতি মাত্রায় তত্পর৷ পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১২০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি হতাহত হয় এবং বিএসএফের দু'জন অফিসার নিহত হয়৷ সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাটির নীচে তিনটি সুড়ঙ্গ পথের সন্ধান পাওয়া যায়৷ এটা গুরুতর বিষয়৷ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে, বিশেষ করে জম্মু এলাকায় অনুরূপ সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্র পাচার করা হয়, বলেন বিএসএফের ডিজি কে.কে. শর্মা৷
   

দোনেৎস্কের আরেকটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্কের আরও একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। তাদের দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের গ্রাম নোভোমিমিকাইলিভকা তারা দখল করে নিয়েছে এবং তা তাদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে।

সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিকমাধ্যমে দাবি করেছে, তারা একটি গ্রামকে মুক্ত করেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরও ভালো করেছে। তবে ইউক্রেনের দাবি, তারা রুশ বাহিনীর অগ্রগতি থামিয়েছে।

জার্মানভিত্তিক বার্তাসংস্থা ডয়েচে ভেলের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের সেনা কর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া দোনেৎস্কে ২৩ বার তাদের প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে এগোবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি।

ইউক্রেনের হাতে এখন অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কমে এসেছে। তাই তারা রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে মাত্র।

গত সপ্তাহ শেষে মার্কিন পার্লামেন্টে ইউক্রেনকে ছয় হাজার এক শ’ কোটি ডলার সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সাহায্য ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক দ্য স্টাডি অৎ ওয়ার জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা এখন তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করবে। তারা মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করবে। ইউক্রেনের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র না থাকার সুবিধা তারা নেওয়ার চেষ্টা করবে।

;

ইরানে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে: মানবাধিকার প্রতিবেদন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের পরিস্থিতি হিসেবে ইরানের মানবাধিকারের রেকর্ড ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজকর্মীদের লক্ষ্যবস্তু করে ক্রমবর্ধমানভাবে দেশটি শাসন হতে থাকায় নারীদের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে।

ইরানী নারীরা বাধ্যতামূলক পোষাক কোড লঙ্ঘনকারী লোকদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য করা হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিবাদ এবং নাগরিক অবাধ্যতা সরকারকে ব্যাপক কর্মকাণ্ডের দিকে পরিচালিত করে।

ব্যুরো অফ ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস এবং শ্রমের সিনিয়র ব্যুরো অফিসার রবার্ট গিলক্রিস্ট মানবাধিকার অনুশীলনের ৪৮তম বার্ষিক কান্ট্রি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন এবং মুখপাত্র ম্যাট মিলার। ভয়েস অফ আমেরিকার গিটা আরিয়ান ইরান নিয়ে প্রশ্ন তুললে তিনি এসব কথা বলেন।

রবার্ট গিলক্রিস্ট বলেন, মানবাধিকার রিপোর্ট নামে পরিচিত এই কংগ্রেসের নির্দেশিত প্রতিবেদনটি ১৯৯৭ সাল থেকে ডিআরএল ব্যুরোর একটি প্রধান প্রচেষ্টা। মানবাধিকার প্রত্যেকের জন্য; এই প্রতিবেদনটি এই সর্বজনীন অধিকারের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করার একটি উপায়।

ভয়েস অব আমেরিকা থেকে গিটা আরিয়ান ইরান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান মার্চের শেষের দিক থেকে নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাবের উপর ক্র্যাকডাউন করেছে এবং যেদিন ইসরায়েলে আক্রমণ করেছে, সেদিন থেকে এটি সেই ক্র্যাকডাউনকে আরও তীব্র করেছে। একই সময়ে, ক্যাপিটল হিলে আইন রয়েছে যে প্রশাসন উচ্চ নেতৃত্বের কর্মকর্তাদের - সর্বোচ্চ নেতা, রাষ্ট্রপতিকে অনুমোদন দেয়।

গিলক্রিস্ট বলেন,  যেকোন আইনের ব্যাপারে অবশ্যই বিভাগটি কংগ্রেসে পাস হওয়া প্রতিটি আইন সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর তাই আইন বাস্তবায়নে দপ্তরের প্রতিশ্রুতি অবশ্যই আছে।

অনেক নারী ও মানবাধিকার কর্মী তাদের সক্রিয়তার জন্য কারাদণ্ড পেয়েছেন এবং কারাগারে রয়েছেন। নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন মাহসা জিনা আমিনির ২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর পর শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করার প্রচেষ্টায় কর্তৃপক্ষ লোকেদের আটক, সাজা এবং মৃত্যুদণ্ড অব্যাহত রেখেছিল ইরান প্রশাসন। তাই যুক্তরাষ্ট্রও বহুজাতিক অঙ্গনে কাজ করে যাচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রবার্ট গিলক্রিস্ট বলেন, বিভাগটি ইতিমধ্যেই সক্রিয়ভাবে ভিসা বিধিনিষেধ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো ব্যবহার করেছে। ইরানের কর্তৃপক্ষের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহিতা বাড়াতে ২০২২ সালের দাঙ্গার পর থেকে সাম্প্রতিকতম ক্র্যাকডাউনের বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা হচ্ছে।

;

সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের সমালোচনা 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরে রাজ্য ২০২৩ সালে সংঘটিত দাঙ্গায় হয়রানির শিকার হয়েছে সাংবাদিক ও সংখ্যালঘুরা। এছাড়া ভারতজুড়ে সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীরা মোদি সরকার ও তার সমর্থকদের চাপ প্রয়োগ ও হয়রানির শিকার হয়েছে। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত বার্ষিক মানবাধিকার মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মণিপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ ও সাংবাদিক-ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর নির্যাতনের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে। 

দেশটির একটি আদালতের আদেশকে কেন্দ্র করে গত বছরের মাঝামাঝি মণিপুরে দুই উপজাতি কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের শুরু হয়। সেই সংঘাত সহিংসতায় অন্তত ২০০ জনের মৃত্যু হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত দাঙ্গায় অন্তত ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের অন্যান্য অংশেও সরকার ও এর সমর্থকরা গণমাধ্যম ও সরকারের সমালোচকদের ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি ও হয়রানি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ২০২৩ সালে ভারতের বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর বিভাগ। হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনামূলক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশের পর এই তল্লাশি চালানো হয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে ভারতকে ১৬১তম স্থানে রেখেছিল, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন অবস্থান।

মার্কিন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা তাদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সহিংসতার আহ্বান জানানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন। তবে মোদি সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তার নীতিমালা সব ভারতীয়র উপকারের লক্ষ্যেই প্রণীত। 

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, মোদির শাসনামলে জলবায়ু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এছাড়া তার আমলে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রয়োগ এবং অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নামে মুসলিম স্থাপনা ভেঙে ফেলার মতো কাজ করা হয়েছে।

তারপরও চলতি বছরের নির্বাচনে রেকর্ড আসন নিয়ে মোদির দলের তৃতীয়বারের মতো জয় পাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচনী জরিপ সংস্থাগুলো।

;

২০২৩ ছিল এশিয়ার জন্য চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের বছর: জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সাল ছিল এশিয়া মহাদেশের জন্য চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগের বছর। জলবায়ু পরিবর্তন, চরম আবহাওয়া এবং নিরাপদ পানির জন্য বছরটি ছিল খুবই নাজুক।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতিসংঘের সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার কারণে সর্বোচ্চ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে এ বছর। এছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং তাপদাহের (হিট ওয়েভ) ঘটনাও ঘটেছে।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেসটি সাওলো বলেন, ২০২৩ সালে এশিয়ার অনেক দেশ তীব্র গরমের মধ্য দিয়ে পার করেছে। এছাড়া খরা, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং তীব্র তাপদাহের মতো ঘটনাও ঘটেছে অনেক দেশে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ৭৯টি দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। এর শতকরা ৮০ ভাগই ঘটেছে বন্যা এবং ঘূর্ণিঝড়ের কারণে। এ ঘটনায় ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর পশ্চিম সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

 

 

 

;