বন্ধ করে দেয়া হলো শতবর্ষী পত্রিকা মালয় মেইল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪
মালয় মেইলের এডিটর ইন চিফ, ছবি: সংগৃহীত

মালয় মেইলের এডিটর ইন চিফ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্ধ হয়ে গেলো ১২২ বছর ছাপায় থাকা মালয়েশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দ্যা মালয় মেইল’। মূলত ইন্টারনেট প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও অনলাইন পত্রিকার প্রতি মানুষের  ঝুঁকে পড়ার কারণে পত্রিকাটির ছাপার সংস্করণ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে এক প্রকার বাধ্য হতে হলো।

‘দ্যা পেপার দ্যাট কেয়ার’ প্রতিপাদ্যে চলা ‘দ্যা মালয় মেইল’ বিশেষভাবে জনপ্রিয় ছিলো ফুটবল সংক্রান্ত খবরের জন্য। তবে পাশাপাশি তারা স্থানীয় খবরও প্রকাশ করতো।

কিন্তু ডিজিটাল যুগে প্রবেশের পর পত্রিকাটির ছাপা সংস্করণে নাটকীয়ভাবে বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ হতে থাকে। ফলে ১৯৮০ সনে যে পত্রিকা প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ কপি সার্কুলেশন হত সেটা নেমে আসে মাত্র ২০ হাজার কপিতে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/04/1543899076651.gif

ছাপার সংস্করণের এই নাটকীয় অধঃপতন দেখে পত্রিকাটির এডিটর ইন চিফ ওং সাই ওয়াং বলেন, ‘আমি প্রচণ্ড দুঃখ পেয়েছি ছাপার সংস্করণের এই অধঃপতন দেখে, যা আমাদের বিশ্বাসের বাইরে ছিলো, তবে আমরা চেষ্টা করছি এই জনপ্রিয়তাকে ডিজিটাল ভার্সনে ধরে রাখতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ছাপার ভার্সনের ১৬৫ জন কর্মচারীকে এত দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম ভর্তুকি দিয়েও অন্তত চালু রাখতে। কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতির জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় এই খাতে আরো খরচ করা কোম্পানি সমীচীন মনে করছেনা।

দ্যা মালয় মেইল অনলাইন ভার্সনে প্রতিদিন ৫০ লক্ষ ইউনিক ভিজিটরের কথা উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, ‘আমরা যে সময়মত অনলাইন ভার্সনে চলে গিয়েছিলাম তা ছিলো এক যুগোপোযুগী সিদ্ধান্ত তা না হলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে যেত। যারা এই নতুন প্রযুক্তি সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে পারবেনা, কোম্পানি তাদেরকে বাধ্য করবে অন্য কোন উপায় খুঁজে বের করতে।’

বর্তমানে দ্যা মালয় মেইলের ৮০ শতাংশ ভিজিটর আসে মোবাইল থেকে যার বেশির ভাগই ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম নির্ভর।

দ্যা মালয় মেইল এর ইতিহাসঃ

১৮৯৬ এর ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হওয়া দ্যা মালয় মেইল মালয়েশিয়ার প্রথম ট্যাবলয়েড পত্রিকা হিসাবে প্রকাশিত হয়ে। ন্যাশনাল লাইব্রেরী বোর্ড অব সিঙ্গাপুর এর রেকর্ড থেকে দেখা যায় জেএইচএম রবসন নামের একজন সরকারী কর্মকর্তা প্রথম ৪ পাতার এ পত্রিকা প্রকাশ করেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের অধীনে থাকা অবস্থায় মালয় সিনপোর জায়গা দখল করে সিয়োনান সিনবুন কাই এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত দ্যা মেইল। যুদ্ধকালীন সময়ে প্রকাশ বন্ধ থাকলেও যুদ্ধ শেষে আবার পত্রিকাটি চালু হয়।

কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে এসে জৌলুস হারাতে শুরু করে পত্রিকাটি। পূর্বে যে পত্রিকা ১০০ মিলিয়ন রিঙ্গিতের ব্যবসা করতো ধীরে ধীরে তার পরিমাণ কমতে শুরু করে।

ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ২০০৮ সাল থেকে দ্যা মালয় মেইলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ নানা ধরনের ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা কিছু ফ্রি কপি দেয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ম্যাগাজিন ‘মালয়সিয়াকিনি’ এর সাথে কন্টেন্ট ভাগাভাগি করা শুরু করে। কিন্তু কিছুতেই যেন ছাপার পত্রিকার বাজার ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/04/1543899105647.gif

ডিজিটাল কন্টেন্ট এর সাথে পাল্লা দিতে সর্বশেষ ২০১৩ সালে ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেয়। অতিদ্রুত পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সন চালু করার।

অনলাইনের জনপ্রিয়তাকে লক্ষ্য রেখে দ্যা মালয় মেইলের অনলাইন ভার্সনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক লেসলি লাউ বলেন, ‘সব পত্রিকারই এই ভাগ্য মেনে নিতে হবে। কিন্তু আফসোসের বিষয় অনেক পত্রিকা মালিকপক্ষ এই কথাটি বুঝতে পারছেনা। নতুন প্রযুক্তির আশীর্বাদ আমাদের মেনে নিতে হবে, আমাদের মনে রাখতে হবে অনলাইনই ভবিষ্যৎ।’

নতুন ব্যবসা মডেলর কথা উল্লেখ করে লেসলি বলেন, ‘এখন আমাদের শুধু কন্টেন্ট তৈরির দিকে মন দিলেই চলবেনা, টিকে থাকতে হলে আমাদের একটি ডিজিটাল মিডিয়া গ্রুপও তৈরি করতে হবে। যেখানে নানাবিধ জিনিস থাকবে।

তিনি বলেন, বর্তমান বাজার এখন খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ। তবে ‘দ্যা মালয় মেইল’ এখনো দেশের সেরা ৫ টি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি। আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, আমদের সব পাঠকই বুড়ো। তাই তরুণদের মধ্যে এই পত্রিকা সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করতে শুধু কন্টেন্ট নয় মাল্টিমিডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে’।

এডিটর ইন চিফ ওয়াং এর দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি পত্রিকা তৈরিতে ১ রিঙ্গিত আয়ের বিপরীতে খরচ পড়ছিল ২.৭৫ রিঙ্গিত। তাই অনলাইনের বিকল্প এখন আর কিছুই নেই বলে যুক্ত করেন তিনি।

   

সন্দেশখালির ঘটনায় প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলো সিবিআই



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আদালতের নির্দেশে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ধর্ষণের তদন্তে নেমে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন ও জমি দখলের যাবতীয় অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে ই-মেইল আইডি তৈরি করে স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রহণ করে সিবিআই।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ই-মেইলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এক নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে কথা বলে অভিযোগকারী নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। সেই বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। তবে ধর্ষণে অভিযুক্ত কে বা কারা তা জানা যায়নি।

এর আগে সন্দেশখালিতে তৃণমূল মাফিয়া শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রাম্য নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যে নারী শাহজাহান বাহিনীর চোখে পড়ত তাকে রাতে তৃণমূল পার্টি অফিসে যেতে বাধ্য করা হতো। কেউ যেতে না চাইলে বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যেত শাহজাহান বাহিনী। এমনকী মারধর করা হতো ওই নারীর স্বামীকে।

গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে সব রকম সাহায্য করার নির্দেশ দেন আদালত।

নির্দেশে আদালত জানায়, ই-মেইল আইডি তৈরি করে অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে সিবিআইকে। সঙ্গে রাজ্য সরকারকে সন্দেশখালির সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বাতি লাগাতে হবে।

;

দুই শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির দুটি গ্রামে কমপক্ষে ৫৬ জন শিশুসহ ২২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন্দিন ও সোরোর উত্তরাঞ্চলীয় গ্রামে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গণহত্যার ঘটনা ঘটে।

আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, গণহত্যাটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক সামরিক অভিযানের অংশ বলে ধারণা হচ্ছে।

বুরকিনা ফাসোর সেনারা ননদিনে ২০ শিশুসহ কমপক্ষে ৪৪ জনকে এবং কাছাকাছি সোরোতে ৩৬ জন শিশুসহ ১৭৯ জনকে হত্যা করে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, তারা গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে কয়েক ডজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের শেয়ার করা ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করেছে।

তারা জীবিতদের দ্বারা নিহতদের নামের তালিকাও পেয়েছে এবং গত ১৫ মার্চ থেকে স্যাটেলাইট চিত্রের ভিত্তিতে আটটি গণকবরের ভূ-অবস্থান সনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যারাক এবং ঘাঁটিসহ সামরিক লক্ষ্যবস্তু এবং ধর্মীয় স্থানগুলোর মতো বেসামরিক অবকাঠামোতে দেশজুড়ে হামলা চালায়। এতে বহু বেসামরিক নাগরিক, সেনা এবং মিলিশিয়া সদস্য নিহত হন।

বুরকিনা ফাসোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাহামুদু সানা ওই হামলাকে একযোগে এবং সমন্বিত আক্রমণ হিসাবে অভিহিত করে নিন্দা করলেও নন্দিন এবং সোরোতে বেসামরিকদের গণহত্যার বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, আল-কায়েদা, আইএসআইএল (আইএসআইএস) এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের ফলে বেসামরিক লোকেরা মারা পড়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বর্তমানে বুরকিনা ফাসোর প্রায় অর্ধেক সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। চলমান সহিংসতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরের নেতৃত্বে একটি সামরিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি অভ্যুত্থানেন মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বুর্কিনা ফাসোর থিউ জেলার মধ্যে নন্দিন এবং সোরোকে আল-কায়েদার সহযোগী জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম) দ্বারা অবরুদ্ধ করা অনেক গ্রামের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়।

এইচআরডব্লিউ-এর নির্বাহী পরিচালক তিরানা হাসান বলেন, ‘নন্দিন এবং সোরো গ্রামে গণহত্যা হলো বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী কর্তৃক বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের সর্বশেষ গণহত্যা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের নৃশংসতা প্রতিরোধ ও তদন্ত করতে বুর্কিনাবে কর্তৃপক্ষের বারবার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে। মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধের একটি বিশ্বাসযোগ্য তদন্তকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।’

জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নকে তদন্ত সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।

;

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বলেছে, তারা গাজা যুদ্ধ থেকে সরে আসার জন্য পশ্চিমা জোটের একটি প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও মার্কিন এবং ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বুধবার (২৪ এপ্রিল) গভীর রাতে একটি ভিডিও ভাষণে বলেছেন, হুতিরা এডেন উপসাগরে মারস্ক ইয়র্কটাউন কার্গো জাহাজে হামলা চালিয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীও নিশ্চিত করেছে যে, হুতিরা তাদের ভূখণ্ড থেকে জাহাজটির দিকে একটি অ্যান্টিশিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ১৮ মার্কিন এবং চার গ্রীক ক্রু’র মাধ্যমে পরিচালিত জাহাজটিকে মার্কিন পতাকাবাহী ও মালিকানাধীন বলে চিহ্নিত করা গেছে।

তবে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মার্কিন, জোট বা বাণিজ্যিক জাহাজে কোনো হামলা বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’

এদিকে, গ্রিসের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছে, লোহিত সাগরে হুতিদের মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ-মিশনে কাজ করা দেশটির সামরিক জাহাজগুলোর একটি ইয়েমেন থেকে একটি বাণিজ্যিক জাহাজের দিকে যাত্রা করা দুটি ড্রোনকে বাঁধা দিয়েছে।

এ ছাড়াও ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এর আগে এডেন উপসাগরে জিবুতি বন্দরের প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে একটি হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে।

শারি বলেন, ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ভেরাক্রুজকে লক্ষ্যবস্তু করে এবং মার্কিন যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুতিরা।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে যে, মারস্ক ইয়র্কটাউনে হামলার দুই ঘন্টার মধ্যে তাদের বাহিনী ইয়েমেনের চারটি ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করেছে।

সেন্টকম জানিয়েছে, ‘এই পদক্ষেপগুলো ন্যাভিগেশনের স্বাধীনতা রক্ষা করতে ও মার্কিন জোট এবং বণিক জাহাজগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমাকে আরও নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থনকারী হুতিরা নভেম্বর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে তাদের উপকূলের কাছাকাছি জলসীমায় ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।

গোষ্ঠীটি ধীরে ধীরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজ থেকে মার্কিন এবং যুক্তরাজ্য-মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজ এবং যুদ্ধজাহাজে আক্রমণ প্রসারিত করেছে। কারণ, ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।

ইউএস মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, নভেম্বরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ জব্দ করা এবং মার্চ মাসে যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন একটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি হুতিরা নভেম্বর থেকে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ৫০টিরও বেশি আক্রমণ শুরু করেছে।

;

দুর্নীতি মামলায় তদন্তের মুখোমুখি মাহাথির ও তার ছেলেরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছেন, তারা এমন একটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছেন যে মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ও তার ছেলেদের নাম রয়েছে।

মিডিয়া সংস্থাগুলোর দ্বারা প্রকাশিত অফশোর আর্থিক এবং ব্যবসায়িক রেকর্ডগুলোর তদন্তের অংশ হিসাবে গত জানুয়ারিতে মাহাথিরের ব্যবসায়ী পুত্র মিরজান এবং মোখজানিকে তাদের সম্পদের পরিমান ঘোষণা করার নোটিশ দিয়েছিল দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন।

রয়টার্স জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন প্রধান কমিশনার আজম বাকি বৃহস্পতিবার মাহাথির বা তার ছেলেদের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছেন।

তিনি এক মন্তব্যে টেলিভিশন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগে তদন্ত শেষ হতে দিন। একটি উপযুক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, যখন আমরা মামলার ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের দীর্ঘদিনের শত্রু ৯৮ বছর বয়সি মাহাথিরের সঙ্গে মিত্রতা রয়েছে এমন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে কমিশন বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলা চালু করেছে।

তবে, আনোয়ার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের টার্গেট করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘তদন্তগুলো উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি মোকাবেলায় সরকারের প্রচেষ্টার অংশ।’

;