ভারতে শাড়ি নিয়ে তীব্র বিতর্ক



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
বিশিষ্ট ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি হার্ভার্ডে বলেছেন, যে ভারতীয় মহিলারা শাড়ি পরতে পারেন না, তাদের লজ্জা হওয়া উচিত৷ এ মন্তব্য নিয়ে শুরু প্রবল বিতর্ক৷ ‘‘যদি কেউ আমাকে বলেন যে, আপনারা জানেন না কীভাবে শাড়ি পরতে হয়, তা হলে বলব, আপনাদের লজ্জা হওয়া উচিত৷ এটা সংস্কৃতির অংশ৷ প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের সংস্কৃতির পাশে দাঁড়ানো৷'' সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডিয়া কনভেনশনে বক্তৃতা করার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়৷ উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে শাড়ি নিয়ে কাজ করছেন তিনি৷ তার তৈরি পোশাক পরার জন্য মুখিয়ে থাকেন মুম্বাইয়ের বিখ্যাত অভিনেত্রীরা৷ রানি মুখোপাধ্যায় থেকে ঐশ্বরিয়া রাই সকলেই তার পোশাক নিয়ে মুগ্ধ৷ পৃথিবীর সমস্ত বড় বড় ফ্যাশন শো'তে সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় একটি নাম৷ তার বাচনভঙ্গি, বক্তব্য, ভাবনা নিয়েও সকলেরই উচ্চ ধারণা ছিল৷ কিন্তু হার্ভার্ডে সব্যসাচী এ কথা বলার পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তার এই বক্তব্যের নিন্দা হয়৷ বলা হয়, সব্যসাচীর বক্তব্য নারীবিদ্বেষী৷ অপমানজনক৷ যে মহিলারা শাড়ি পরেন না, বা পরতে পারেন না, কেন তাদের লজ্জা পেতে হবে, সে প্রশ্নও ওঠে৷ কেউ কেউ আরো গভীরে গিয়ে প্রশ্ন করেন, ভারতের সমস্ত রাজ্যে শাড়ি সত্যিই ঐতিহ্য তো? সব্যসাচী জানেন কি যে, দেশের সর্বত্র ঐতিহ্যবাহী পোশাক যে শাড়ি নয়! দীর্ঘ প্রতিবাদের পর সোশ্যাল নেটওয়ার্ককেই উত্তর দেওয়ার মঞ্চ হিসেবে বেছে নেন সব্যসাচী৷ ইনস্টাগ্রামে পর পর তিনটি চিঠি পোস্ট করেন তিনি৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘লজ্জা' শব্দটি ব্যবহার করার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী৷ ক্ষমা চাওয়ার সুযোগটুকু অন্তত দেওয়া হোক তাকে৷ শুধু তাই নয়, কোন পরিস্থিতিতে, কোন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে, কেন তিনি এ কথা বলেছেন, তার উত্তরও দেন সব্যসাচী৷ তার দ্বিতীয় পোস্টে সব্যসাচী লিখেছেন, ১৬ বছর ধরে তিনি শাড়ি নিয়ে কাজ করছেন৷ অনেক সময়েই শাড়ি নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের কাছে নানা বিরূপ মন্তব্য শুনেছেন৷ মেয়েদের গর্ব করে বলতে শুনেছেন যে, তারা শাড়ি পরতে পারেন না৷ এগুলি কোনোদিনই মেনে নিতে পারেননি তিনি৷তারই প্রেক্ষিতে কথাগুলি বলেছিলেন হার্ভার্ডে৷ তার তৃতীয় পোস্টে সব্যসাচী লিখেছেন, তার সঙ্গে যারা কাজ করেন, তাদের অনেকেই মহিলা৷ সব্যসাচী তাদের সর্বোচ্চ বেতন দেন বলেও জানান৷ দেন, কারণ, সেই বেতন পাওয়ার যোগ্য তারা৷ অর্থাৎ, ব্যক্তিগত স্তর থেকে সংস্থা পর্যন্ত কোথাও মহিলাবিদ্বেষী কোনো কাজ তিনি করেন না৷ শুধু তাই নয়, জানিয়েছেন, প্রত্যেক শুক্রবার তার সংস্থার কর্মীরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেন৷ সব্যসাচী ক্ষমা চাইলেও বিতর্ক এখনই থামছে না৷ সব্যসাচীর বক্তব্য ধরে ফিরে এসেছে পুরনো বিতর্ক৷ ভারতীয় ঐতিহ্য বলতে যা বোঝানোর চেষ্টা করে কোনো কোনো ধর্মীয়সংগঠন কিংবা উগ্র রাজনৈতিক দল, সব্যসাচীর মনোভাবের মধ্যেও কি একই আভাস দেখা যাচ্ছে না? কেউ কেউ বলছেন, আসলে মূলস্রোতের ভারতীয়রা ঐতিহ্যের কথা বলার সময় ভারতের বৈচিত্রের কথাটিই মনে রাখেন না৷ তাই ঠিক যে অজ্ঞতা থেকে তারা উত্তর-পূর্বের মানুষদের ভারতীয় বলে মনে করেন না, ‘চিংকি' বলে গালিগালাজ করেন, ঠিক একইভাবে তাদের সংস্কৃতিকেও গুরুত্ব দেন না৷ লক্ষণীয়, গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে কিংবা কাশ্মীরে, কিংবা আদিবাসী জঙ্গলে শাড়ি পরার প্রচলন নেই৷ মণিপুরের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম ইন্নাফি এবং ফানেক৷ মিজোরামের মহিলারা পরেন পুয়ান৷ নাগাল্যান্ডে মহিলাদের পোশাকের নাম আজু জাংনুপ পু৷ কাশ্মীরের পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে পরেন ফিরান এবং পুট৷ এসবের কোনোটির সঙ্গেই শাড়ির সামান্যতম সংযোগ নেই৷ এভাবে তালিকা বানালে দেখা যাবে, ভারতের বহু অঞ্চলেই শাড়ি ঐতিহ্য নয়৷ সব্যসাচীর মতো বিশিষ্ট মানুষও যদি সেই বৈচিত্র মাথায় না রাখেন, তাহলে সাধারণ মানুষের আর কী দোষ?
   

গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছে, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, এই রায়টি যথেষ্ট নয়। দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানোর জন্য যেকোনও নতুন দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে আমরা আশা করি যে গাজায় আমাদের লোকেরা যে সমস্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে তার সমাধান হিসেবে আদালত যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভোট দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট থেকে বিরত ছিল, কিন্তু ভেটো দেয়নি।

;

গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া মুখতার আনসারি মারা গেছেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)  রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার কারাগারে অজ্ঞান হয়ে গেলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে জেলার রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। পরে নয়জন ডাক্তারের একটি দল তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৪ ঘণ্টা আইসিইউতে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ৫ বারের এই সংসদ সদস্য ২০০৫ সাল থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আনসারিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই হাসপাতালের বাইরে পুলিশের একটি বড় দল মোতায়েন করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যুর পরে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেছেন, বান্দা, মাউ, গাজিপুর এবং বারাণসী জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।

;

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় লিম্পোপো প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ৪৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানী জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের লিম্পোপো রাজ্যের মামটলাকালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি এতথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি একটি সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। এরপর বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়।

বাসটি প্রতিবেশী দেশ বতসোয়ানা থেকে যাত্রী নিয়ে লিম্পোপোর শহর মোরিয়া যাচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিলেন উদ্ধার কর্মীরা। ঘটনাস্থলে অনেকের আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের চিহ্নিত করা দুষ্কর। বাকিরা বাসের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে এবং অন্যরা ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে লিম্পোপোর পরিবহন বিভাগের পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহণ মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মর্মান্তিক এই বাস দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তদন্ত করবে।

;

ন্যাটোর দেশে আক্রমণ নয়, তবে এফ-১৬ দিলে ধ্বংস করা হবে: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এছাড়া পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না রাশিয়া। তবে এসব দেশ যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তবে সে যুদ্ধবিমান গুলি করে ধ্বংস করা হবে।

রাশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন।

রুশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়ার দিকে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তাদের ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করে আসছে। সে কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, এসব যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে না। আমরা এখন যেমন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লাঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করি, ঠিক তেমনি আমরা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করব।

পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর কোনো সদস্যদেশের ওপর আক্রমণাত্মক চালানোর কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, সে স্থানগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। সেটি যে স্থানই হোক না কেন।

বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব দেশের একটি জোট ইউক্রেনের চালকদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিমান চেয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

;