ইউরোপের প্রথম পানির নিচের রেস্তোরাঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নরওয়েতে পানির নিচের রেস্তোরাঁ/ ছবি: সংগৃহিত

নরওয়েতে পানির নিচের রেস্তোরাঁ/ ছবি: সংগৃহিত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরওয়ের সর্বদক্ষিণের উপকূলে উত্তর সাগরে পাঁচ মিটার পানির নিচে ইউরোপের প্রথম পানির নিচের রেস্তোরাঁ নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে। গত জুলাই মাসে নিমজ্জিত পেরিস্কোপের মত ১১০ ফুট দীর্ঘ একটি বাঁকানো কংক্রিটের ফলক ডুবানো হয় এবং বর্তমানে ভেতরের কারুকাজ চলছে যা ২০১৯ সালের বসন্তে খোলা হবে ধারণা করা হচ্ছে।

পানির নিচের এই রেস্তোরাঁর নকশা করেছে নরওয়ের সাজসরঞ্জাম প্রতিষ্ঠান স্নোহেট্টা যার আরও কিছু কাজের জন্য সুনাম অর্জন করেছে। যেমন- মিশরের বিবলিওথেকা আলেক্সান্ড্রিনা, অসলো অপেরা হাউস, নিউইয়র্কের ন্যাশনাল সেপ্টেম্বর ১১ মেমোরিয়াল প্যাবিলিয়ন ও টাইমস স্কয়ার।

কাজ শেষ হলে তিন স্তর বিশিষ্ট এই রেস্তোরাঁর ৫ হাজার ৩০০ বর্গ মিটারের অভ্যন্তরীণ জায়গায় প্রায় ১০০ জন অতিথি একসাথে বসতে পারবেন। ১১ মিটার প্রশস্ত প্যানরোমিক জানালার মধ্য দিয়ে চারদিকে সামুদ্রিক পরিবেশ ঘেরা মনোরম দৃশ্য দেখা যাবে।  

উপকূলের নিকট একটি প্রমোদতরীতে ছয় মাস যাবৎ রেস্তোরাঁটি তৈরি হচ্ছিল, তারপর ভারী নৌযানের সাহায্যে ৬০০ ফুট দূরে এটি বর্তমান অবস্থানে স্থাপন করা হয়। কাঠামোটি ডুবানোর জন্য এর ভেতরে পানিভর্তি কন্টেইনার স্থাপন করা হয়। সমুদ্রতটে স্থাপন করার জন্য এটিকে ১৮টি নোঙর দ্বারা আটকানো হয়েছে।

সিএনএনকে দেওয়া বক্তব্যে স্নোহেট্টা’র জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী রুনে গ্রাসডল বলেন, ‘এটি খুবই আনন্দদায়ক অপারেশন ছিল, কাঠামোটি যখন নির্ধারিত স্থানের দুই ইঞ্চি দূরে।’

কাঠামোটির অর্ধেকেরও বেশি পানিতে নিমজ্জিত করা হয় এবং উপকূল থেকে স্বচ্ছ কাচের রাস্তা দিয়ে হেঁটে অতিথিরা রেস্তোরাঁর দরজা পর্যন্ত পৌঁছাবেন। হাঁটার রাস্তাটি উপকূলের সমান্তরালে করা হয়েছে।

নরওয়ের এই তটরেখার কঠিন পরিস্থিতি এড়াতে রেস্তোরাঁর ভেতরটা শক্ত কংক্রিট দিয়ে তৈরি। প্রকৌশলী গ্রাসডল বলেন, ‘যখন আমরা উপরিভাগ থেকে পাঁচ মিটার নিচে যাই, প্রধান সমস্যা হচ্ছে পানির চাপ। কিন্তু সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে ঢেউ। এখানে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউ। সকল বাধা প্রতিরোধ করতে কাঠামোটি হালকা বাঁকানো অবস্থায় রাখা হয়েছে যাতে ঢেউয়ের সাথে ভালভাবে পাল্লা দিতে পারে এবং এটি পুরু করে তৈরি করা হয়েছে। কাঠামোটির কংক্রিটের পুরুত্ব আধা মিটার এবং এক্রাইলিক জানালার পুরুত্ব প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার।’

কাঠামোটি একটি ক্ষত এলাকায় স্থাপনের সিদ্ধান্ত ছিল সুচিন্তিত। গ্রাসডল বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে আসার আগেই বর্তমান স্থানের পাশেই তার একটি প্রতিকৃতি করেছিল। আমরা তাদেরকে আরও কয়েকশত মিটার দূরে তা স্থাপনের পরামর্শ দিই, যেখানে আসলেই সাগর আরও উত্তাল। আমরা ভেবেছিলাম সেটি প্রকৃতি দর্শনের জন্য আরও ভাল হবে। আমি মনে করি এটি রেস্তোরাঁটিকে বিশ্বের অন্যান্য পানির নিচের রেস্তোরাঁ থেকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।’

রেস্তোরাঁটির নিকটেই একটি হোটেল চালাচ্ছেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মী গাউটে ও স্টিগ আবোস্ট্যাড। উভয় নরওয়ের সর্বদক্ষিণের মাথায় সবচেয়ে পুরাতন ও জনপ্রিয় বাতিঘর এলাকা লিন্ডেসনেসে বসেন। সেখানে যাওয়া এত সহজ নয়, সবচেয়ে ভাল উপায় হল অসলো থেকে বিমানে লাগোয়া বিমানবন্দর ক্রিস্টিয়ানসেন্ডে এক ঘণ্টার একটি স্বল্প সময়ের যাত্রা। গ্রাসডল জানান নৌসেবা নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ হচ্ছে।

   

‘এই গ্রীষ্মে অপ্রত্যাশিত এলাকায় হামলা চালাবে রাশিয়া’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা যখন ইউক্রেনে তাদের গ্রীষ্মকালীন আক্রমণ পরিচালনা করবে, তখন তারা ফ্রন্টের অপ্রত্যাশিত অংশে হামলা চালাবে এবং তারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করতে পারে।

রয়টার্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দ্বারা হামলা চালানো হয়েছে।

তবে ওলেক্সান্ডার পিভনেঙ্কো বলেছেন, কিয়েভের বাহিনী মস্কোর যেকোনো আক্রমণকে ব্যর্থ করতে প্রস্তুত থাকবে।

তিনি ইউক্রেনের নিউজ আউটলেট রিগা ডট নেট-কে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। হ্যাঁ, শত্রুরা আমাদের অপ্রীতিকরভাবে চমক দেবে। তারা এমন এলাকায় হামলা করবে, যেখানে আমরা আশা করি না। কিন্তু, তারা লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।’

এদিকে, রাশিয়া পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে। কিন্তু, দীর্ঘ বিলম্বিত মার্কিন সামরিক সহায়তা অবশেষে এই সপ্তাহে অনুমোদিত হবে এবং শীঘ্রই ইউক্রেনে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই সহায়তার আওতায় গোলাবারুদের ঘাটতি দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বিজয় দিবস মস্কো ৯ মে’র মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাঞ্চলীয় শহর চসিভ ইয়ার দখল করতে চাইবে।

পিভনেঙ্কো বলেন, তিনি কিয়েভের সেনাদের কিছু অসুবিধা আগে থেকেই দেখেছেন। তবে, রাশিয়ান বাহিনী জয় লাভ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া সম্ভবত তাদের লক্ষ্যের ১০-১৫% পূরণ করতে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু, এটি কৌশলগত বিজয় হবে না।’

তিনি আশা করেন যে, রাশিয়ার সেনারা খারকিভের বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হানবে, যার বেশিরভাগই ইতিমধ্যে রাশিয়ান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের ইরান-সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ নিতে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের দুটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে তারা ওই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ইসরায়েলের ওই ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর এক যোদ্ধা নিহত হয়।

জবাবে মঙ্গলবার, হিজবুল্লাহ একরির উত্তরে দুটি ইসরায়েলি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়।

গ্রুপটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, লেবাননে মঙ্গলবার ইসরায়েলের হামলায় ইরান-সমর্থিত ওই যোদ্ধা নিহত হন। ওই যোদ্ধা গাড়িতে করে যাওয়ার সময় ইসরায়েলের হামলার শিকার হন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হচ্ছে।

এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, সীমান্ত থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে উপকূলীয় তায়ার নগরীর কাছে আবু আল-আসওয়াদ এলাকায় সর্বশেষ এ হামলার ঘটনা ঘটে।

সূত্রটি এএফপিকে জানায়, নিহত যোদ্ধা হিজবুল্লাহর বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন প্রকৌশলী ছিলেন।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত জাতীয় বার্তা সংস্থা জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী তার গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এএফপি’র এক সাংবাদিক জানান, ওই ড্রোন হামলায় গাড়িটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

খবরে বলা হয়, হিজবুল্লাহ সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে তাদের রকেট হামলা জোরদার করেছে এবং রবিবার সন্ধ্যায় তারা ইসরাইলের একটি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩৭৭ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই
হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। তবে নিহতদের মধ্যে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছে।

এদিকে ইসরায়েল বলছে, তাদের দেশের সীমান্তে হিজবুল্লাহ গ্রুপের বিভিন্ন হামলায় ইসরায়েলের ১১ সেনা ও আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

;

সুগার বেড়েছে কেজরিওয়ালের, জেলেই দেওয়া হলো ইনসুলিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন দেওয়া হয়েছে তিহাড় জেলে। জেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে এনডিটিভি জানিয়েছে, সোমবার (২৩ এপ্রিল) রাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে সুগারের মাত্রা অতি উচ্চে পৌঁছে যায়। তার পরই তাকে ইনসুলিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত কয়েকদিন ধরেই কেজরিওয়ালকে ঘিরে সুগার-বিতর্ক শুরু হয়েছে। তার দল আম আদমি পার্টির (আপ) পক্ষ থেকে বার বার অভিযোগ করা হচ্ছিল যে, কেজরিওয়ালের রক্তে সুগারের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই বেশি। কিন্তু তাকে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না। একই অভিযোগ করতে শোনা গেছে কেজরিওয়ালকেও।

‘রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি, ইনসুলিনের প্রয়োজন। জেলে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না’-এমন অভিযোগ তুলে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবী।

আপ নেতার আবেদন ছিল, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার পারিবারিক চিকিৎসকের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলতে দেওয়া হোক। সোমবার অবশ্য আদালত সেই আবেদন খারিজ করে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দিল্লির এমস’কে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেন আদালত।

সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পরেই জেলে কেজরিওয়ালের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখে ইনসুলিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই প্রসঙ্গে আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, ‘এটা থেকে পরিষ্কার যে, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একদম ঠিক ছিলেন। কিন্তু, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ তাকে হুমকি দিচ্ছিল। বিজেপির লোকেরা এখন বলুন, যদি সত্যিই ইনসুলিনের প্রয়োজন না পড়ে, তবে এখন কেন দেওয়া হল?’

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি হেফাজতে থাকার পর আপাতত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ঠিকানা তিহাড় জেল।

;

চীনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি, জার্মান রাজনীতিকের সহযোগী গ্রেপ্তার



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এক কট্টর ডানপন্থী সাংসদের সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে জার্মানির পুলিশ।

প্রসিকিউটররা মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঘোষণা করেছেন যে, জিয়ান জি বেশ কয়েক বার চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের কাছে ইউরোপীয় সংসদের কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য প্রেরণ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই গ্রেপ্তার ইউরোপে সতর্কতা জাগিয়েছে যে, আগামী জুনে ইইউ নির্বাচনের আগে গণতন্ত্র হুমকির মুখে রয়েছে। কারণ, এই গ্রেপ্তারের ঘটনার মাধ্যমে বেইজিংয়ে ক্ষোভ উস্কে দেওয়া হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কোন রাজনীতিবিদের সহযোগী ছিলেন তা প্রকাশ করেনি জার্মান কর্তৃপক্ষ। তবে, মিডিয়া জানিয়েছে যে, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহের সহযোগী ছিলেন।

ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ হলেন আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য জার্মানির (এএফডি) দলের চরম ডানপন্থী অল্টারনেটিভ ফর এমইপি প্রধান প্রার্থী।

প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, সোমবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে জিয়ান জি’কে ড্রেসডেনে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালানো হয়।

গত জানুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আলোচনা ও সিদ্ধান্তের তথ্য পাচারের পাশাপাশি তিনি জার্মানিতে চীনা বিরোধী ব্যক্তিদের উপরও গুপ্তচরবৃত্তি করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। যদি নিশ্চিত করা হয় যে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে চীনা গোয়েন্দাদের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়েছে, তবে এটি ইউরোপীয় গণতন্ত্রের উপর ভেতর থেকে আক্রমণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের সদস্যকে যিনি নিয়োগ দিয়েছেন, এই দায় তারও রয়েছে। মামলাটি অবশ্যই পরিষ্কার করা উচিত।’

এএফডি একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই গ্রেপ্তারের ঘটনা খুব বিরক্তিকর।’

এএফডি মুখপাত্র মাইকেল ফালজগ্রাফ বলেছেন, ‘যেহেতু আমাদের কাছে মামলার আর কোনো তথ্য নেই, তাই আমাদের ফেডারেল প্রসিকিউটরদের দ্বারা আরও তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’

এদিকে, এই গ্রেপ্তারের ঘটনাকে বেইজিংকে কলঙ্কিত করার এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করার প্রচেষ্টা বলে সকল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই ধরনের প্রচারের উদ্দেশ্য খুবই সুস্পষ্ট। এর উদ্দেশ্য চীনকে অপমান করা এবং দমন করা এবং চীন ও ইউরোপের মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ ধ্বংস করা।’

;