হিজবুল্লাহ’র কোষাধ্যক্ষ বারাকাত ব্রাজিলে আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী-তালিকাভুক্ত লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র কোষাধ্যক্ষ আসাদ আহমেদ বারাকাতকে আটক করেছে ব্রাজিলের পুলিশ। বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনা সীমান্ত সংলগ্ন ব্রাজিলের ফজ ডু ইগুয়াকু শহরে লেবাননের নাগরিক বারাকাতকে আটক করে পুলিশ।

পরিচয় গোপন করার দায়ে প্যারাগুয়ের পুলিশের নিকট ‘ওয়ান্টেড’ তালিকাভুক্ত আসামী বারাকাত। কর ফাঁকি দেওয়ার অপরাধে প্যারাগুয়েতে ছয় বছর জেলও খাটেন তিনি।

আর্জেন্টিনার পুলিশ সেদেশের ইগুয়াজু ফলস এলাকার একটি ক্যাসিনোত হিজবুল্লাহ’র পক্ষে দশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাচারের অভিযোগ আনে বারাকাতের বিরুদ্ধে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্রাজিলের ফেডারেল পুলিশ জানায়, ২০০৮ সালে প্যারাগুয়ের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও চিলিতে বারাকাত তার কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

এখন বারাকাতকে কি প্যারাগুয়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে নাকি ব্রাজিলেই বিচারের মুখোমুখি করা হবে সে বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বারাকাত

ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্ত এলাকা যা ‘ত্রি-সীমান্ত’ নামে পরিচিত। এই এলাকার উল্লেখযোগ্য আরব সম্প্রদায়ের মধ্যে ইসলামিক তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকরা জলপ্রপাত ও সমৃদ্ধ উপকূলীয় বন দেখতে সেখানে ভীড় করে। কিন্তু বিশাল আকারের চোরাচালান ও মাদক পাচারের জন্য এলাকাটির খ্যাতি আছে।

২০০৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ বারাকাতকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী’র তালিকাভুক্ত করে এবং হিজবুল্লাহকে আর্থিক সহযোগিতার অভিযোগে ত্রি-সীমান্ত এলাকার মানুষদের মধ্যে যে তালিকা করা হয় সেখানেও তাকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। নয়জন ব্যক্তি ও দুটি কোম্পানির সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে একজন ছিলেন বারাকাত।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের বৈদেশিক সম্পদক নিয়ন্ত্রণ শাখার তৎকালীন পরিচালক অ্যাডাম জুবিন বলেন, ‘ত্রি-সীমান্ত’ এলাকায় বারাকাতের নেটওয়ার্কটিই হল লেবাননে হিজবুল্লাহ’র অর্থায়নের মূল শক্তি।’

   

চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘুষ নেয়ার অভিযোগে রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভ কে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার একজন উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা। তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার বলেছে, তৈমুর ইভানভকে আটক করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ, রুশ সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে বলেছেন, ইভানভকে আটকের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া তাকে আটকের বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে আগেই জানানো হয়েছে।

দেশটির সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৪৮ বছর বয়সী ইভানভের ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।

বিবিসি বলছে, ২০১৬ সালে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়া ৪৭ বছর বয়সী তৈমুর ইভানভ দেশটির সামরিক অবকাঠামো প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। মূলত অ্যাক্টিভিস্টরা দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ায় কথিত ব্যাপক মাত্রার দুর্নীতির সমালোচনা করে আসছেন।

তৈমুর ইভানভ পূর্বে মস্কো অঞ্চলের উপ-প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর এখানেই বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি শোইগুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, ইভানভের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরাপের পাশাপাশি তার সম্পদও জব্দ করেছে।

;

জিবুতিতে নৌকাডুবি, ৩৫ অভিবাসীর মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বিবিসি

ছবি: বিবিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

লোহিত সাগরের জিবুতি উপকূলে অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত ৩৫ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃত এসব অভিবাসীর মধ্যে শিশুও রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়ায় ১৯ অভিসানপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে জিবুতি উপকূলে একটি নৌকাডুবে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২৮ জন।

তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, এরই মধ্যে ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ইউরোপের দেশ ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

উদ্ধারের পর জিবুতির উপকূলে গডোরিয়া শহরে নিয়ে আসা জীবিতদের চেহারায় বিপর্যয় এবং ভয় স্পষ্ট ছিল। পরে সেখানে চিকিৎসার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম তাদের ইথিওপিয়ায় প্রত্যাবাসন করে।

জিবুতি কোস্টগার্ডের সিনিয়র কর্মকর্তা ইস ইইয়াহ বলেছেন, যারা ডুবে যাওয়া নৌকায় ছিলেন তারা ইয়েমেন ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কারণ তাদের নিজের দেশের তুলনায় সেখানে জীবন আরও বেশি সংগ্রামের ছিল।

এ ঘটনায় জিবুতিতে নিযুক্ত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত বারহানু সেগায়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে অভিবাসীদের মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জিবুতি থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অবৈধপন্থায় ভ্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এতে করে ক্রমাগত আমাদের নাগরিকরা তাদের জীবন হারাচ্ছেন।’

প্রসঙ্গত, যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও উন্নত জীবনের আশায় প্রতি বছর হাজার হাজার আফ্রিকান অভিবাসনপ্রাত্যাশী লোহিত সাগরের ওপারে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করেন। নৌকাডুবে মারা যান অনেকে।

;

ফের বৃষ্টির শঙ্কা দুবাইয়ে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরশাহির আবহাওয়া অফিস ‘দ্য ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটেরিয়োলজি’ (এনসিএম) দুবাইয়ে ফের বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে।

তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, ফের বৃষ্টি হলেও তা গত সপ্তাহের মতো ভয়াবহ অবস্থা হবে না। বুধবার (২৪ এপ্রিল) নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তবে তাপমাত্রা ৫-৭ ডিগ্রি কমতে পারে।

গত সপ্তাহে এক দিনে ৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে দেশটিতে। রেকর্ড গড়া বৃষ্টিতে চার দিন ধরে পানিতে ডুবে ছিল দুবাই বিমানবন্দর। আবু ধাবি, শারজার অবস্থাও শোচনীয় হয়েছিল।

এনসিএম-এর জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আহমেদ হাবিব বলেন, ‘‘চিন্তার কিছু নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আর যাই হোক, ভারী বৃষ্টি হবে না। গত সপ্তাহের সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই নেই। মাঝারি বৃষ্টি হবে। মেঘ পশ্চিম উপকূল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ঢুকছে।’’

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রায় গোটা পৃথিবী জুড়েই স্পষ্ট। মরুভূমির দেশের বৃষ্টি হচ্ছে, মেরু অঞ্চলে হিমবাহ গলছে। সম্প্রতি ওমানে প্রবল ঝড় হয়। ২০ জনের মৃত্যু হয় সে দেশে। তার পরে সেই ঝড়-বৃষ্টি ধেয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।

;

মধ্যস্থতার জন্য ইতিবাচক হলে দোহায় থাকবে হামাস নেতারা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাতার মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জানিয়েছে, হামাসের রাজনৈতিক নেতারা ততক্ষণ দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার জন্য ইতিবাচক হবে।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা সবসময় বলেছি, ততক্ষণ তারা দোহায় থাকবেন, যতক্ষণ তাদের উপস্থিতি মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কার্যকর এবং ইতিবাচক হবে।’

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরসহ মধ্যস্থতাকারীরা রমজান মাসে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ব্যর্থ হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘কাতার তার ভূমিকা পুনর্মূল্যায়ন করছে।’

এই ঘোষণার ফলে হামাস নেতাদের গ্যাসসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাষ্ট্রটি ছেড়ে দিতে বলা হতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল।

সেই গুঞ্জন অবসানে আনসারি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাতার তার মধ্যস্থতা ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং দোহাতে হামাস সদস্যদের উপস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।’

রয়টার্স জানিয়েছে, এই অঞ্চলের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পরিচালনাকারী কাতারের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার সকল সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

আনসারি মঙ্গলবার বলেন, ‘সবাই জানে যে, মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় কাতারের ভূমিকা কী।’

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে সফলভাবে গাজা যুদ্ধের একমাত্র বিরতির মধ্যস্থতা করেছে কাতার।

;