পুলিশের ফাইনাল রিপোর্টেই শেষ ৩৩৪ মামলা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিচার, পর্ব-২



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (আইসিটি) ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮১৮টি মামলা একতরফা নিষ্পত্তি হয়েছে। এরমধ্যে ৩৩৪টিরই ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে পুলিশের ফাইনাল রিপোর্টে (চূড়ান্ত প্রতিবেদন)। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি এসব মামলার কোনো আসামিকে। এর মধ্যে আইসিটি আইনের মামলা ২৭৯টি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৫টি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, দুইপক্ষের শুনানিতে দোতরফা ভাবে যে ১৩৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে তার মধ্যে আইসিটির মামলা ১৩১টি এবং ডিজিটাল আইনের ৪টি। একতরফা ও দোতরফা মিলিয়ে সাজা ছাড়া শেষ হয়েছে ৯৫৩টি মামলা। সাত বছরে দুই আইনের মোট ২ হাজার ৬৫১ মামলার মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ১৫টিতে ১৯ জনের। সাজার হার প্রায় ৪ শতাংশ। ৯১টি মামলায় খালাস পেয়েছেন আসামিরা।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, মামলার অভিযোগ প্রমাণে প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষ) ব্যর্থতার পাশাপাশি ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগ, পুলিশি তদন্তে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়া (ফাইনাল রিপোর্ট), দুর্বল পুলিশি তদন্তে দায়সারা অভিযোগপত্র, সাক্ষী হাজিরের পর যথাযথ সাক্ষ্য না দেওয়া ও সাক্ষীদের ডিজিটাল মাধ্যমের সম্পর্কে ধারণা না থাকায় একতরফা মামলা নিষ্পত্তি, অব্যাহতি, সাজা কম এবং খালাসের ঘটনা ঘটছে। এসব কারণে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হলেও অপরাধ প্রমাণ করা যাচ্ছে না। এতে প্রকৃত অপরাধীরাও পার পেয়ে যাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় এটা স্পষ্ট যে মামলাগুলোর অভিযোগ ছিল ‘মিথ্যা’। প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা ও হয়রানির জন্য মামলাগুলো করা হয়েছিল। আদালতের উচিত মিথ্যা মামলার দায়ে বাদী পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এজন্য আসামিপক্ষও ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করতে পারে। কারণ, মামলার পর কোনো না কোনো পর্যায়ে আসামিকে কারাগারে যেতে হয়েছে।

প্রসিকিউশনও তাদের দূর্বল পুলিশি তদন্ত এবং সক্ষমতার অভাব ও মিথ্যা মামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে। কিন্তু মিথ্যা মামলার শিকার ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বা মামলা করার বিধান রাখা হয়নি এই দুই আইনের কোনোটিতে। তাই ট্রাইব্যুনালকেও মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

আইসিটি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- ডিজিটাল ফরেনসিক প্রতিবেদন, প্রচারিত ইউআরএল ও আলামত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিজিটাল মাধ্যমের জ্ঞানের অভাবে অধিকাংশ সময় গতানুগতিক মামলার মতো দায়সারা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে এসে তখন অপরাধের কোনো উপাদানই খুঁজে পান না ট্রাইব্যুনাল। ফলে মামলা খারিজ হয় বা আসামিরা দায় থেকে অব্যাহতি পান।

আরও পড়ুন: সাত বছরে ২৬৫১ মামলা সাজা ১৫টিতে

আইসিটি ও ডিজিটাল আইনে অভিযোগপত্র দেওয়ার পরই মামলা শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে অভিযোগপত্র ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর পর শুরু হয় মুল বিচার প্রক্রিয়া।

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের ফাইনাল রিপোর্ট (চূড়ান্ত প্রতিবেদন) দাখিলের পর তা ট্রাইব্যুনালে গেলে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। ধার্য দিনে বাদীপক্ষ আপত্তি না জানালে (নারাজি) সেটি গৃহীত হয় ট্রাইব্যুনালে। আর নারাজি আবেদন করলে কখনো কখনো অধিকতর তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। গত সাত বছরে নারাজি আবেদন পড়েছে ২৫ মামলায়। কিছু মামলায় বাদীপক্ষের নারাজি আবেদন নামঞ্জুর করেছে ট্রাইব্যুনাল।

নথি বিশ্লেষণে দেখা যায়, যে ১৫টি মামলায় রায় হয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটিতে মূল আসামির সাজা হলেও বাকি সবাই খালাস পেয়েছেন।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, চারভাবে মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে সাইবার ট্রাইব্যুনালে। সেগুলো হচ্ছে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, হয়রানির বা প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং গতানুগতিক অভিযোগের মামলা আমলে না নিয়ে সরাসরি খারিজ আদেশে, দুই পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠনের উপাদান না পেলে আসামিকে অব্যাহতির মাধ্যমে এবং অভিযোগ গঠনের পর দুইপক্ষের শুনানি শেষে সাজা বা খালাসের রায়ে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (শামীম) বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বেশিরভাগ মামলা আপোষে নিষ্পত্তি হচ্ছে। বাদী-বিবাদীরা আপোষ করে আদালতে আসেন। যখন আদালতের বাইরে আপোষ হয় তখন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে এসে বলেন ‘আমি ভুল বুঝে মামলা করেছিলাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নাই।’ সাক্ষীর এ ধরণের বক্তব্যে আদালত মামলা নিস্পত্তি করে দেয়।

অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় নিষ্পত্তি করা মামলাগুলো মিথ্যা মামলা কিনা চানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই মিথ্যা মামলা। এ কারণে আদালত, পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআইর মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।

পুলিশের গাফিলতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের তদন্তে অবহেলা আছে, পারদর্শিতা ও অভিজ্ঞতার অভাব আছে। তাদের সক্ষমতার অভাবের বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আস্তে আস্তে এসব সমস্যা ঠিক হয়ে যাবে।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, সাইবার অপরাধের মামলায় প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রয়োজন। তদন্ত কর্মকর্তাদের এটার ঘাটতি ছিল। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

   

দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে মেজর মান্নান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে, একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। উক্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।

;

চেক প্রতারণার অভিযোগে ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকার ৬ষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবিরের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিশেষ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার অনলাইনের (ইভ্যালি ডটকম) মাধ্যমে দেখতে পেয়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৫ টাকা পরিশোধ করে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়ের অর্ডার করেন বাদী।

বাদীকে মোটরসাইকেলটি অর্ডারের ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে মোটরসাইকেলের মূল্য বাবদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা বাদীকে প্রদান করবেন।

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেলটি ডেলিভারি করতে না পারায় ২৮ জুন দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সিটি ব্যাংকের একটি চেক ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের পক্ষ থেকে সিনিয়র ম্যানেজার ফাইন্যান্স ও ম্যানেজার ফাইন্যান্স স্বাক্ষর করে বাদী তোফাজ্জল হেসেন বরাবর একটি চেক ইস্যু করেন।

ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে চেকটি ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে বাদি আসামীদের বরাবর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধের তাগিদ দেন। তবু তারা টাকা পরিশোধ না করায় বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন।

;

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার দায়ে স্বামী মো. পারভেজকে (২৫) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন। মো. পারভেজ সাতকানিয়া উপজেলার চুড়ামনি এলাকার মো. সোলায়মানের ছেলে।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভিকটিম রোকেয়া বেগমের সঙ্গে মো. পারভেজের ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রোকেয়ার পরিবার পারভেজকে ৩ লাখ টাকা দিয়েছিল। এরপরও যৌতুকের জন্য রোকেয়াকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন তিনি। পরে বিষয়টি রোকেয়া তার পরিবারকে জানালে তার ভাই মহিউদ্দীন এক লাখ টাকা পারভেজকে দেন। তবুও এতে খুশি ছিলেন না পারভেজ, আরও ২ লাখ টাকার জন্য রোকেয়াকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল পারভেজ রোকেয়ার মা ও বোনকে কল দিয়ে নানা অসংলগ্ন কথা বলেন। এরপর তার পরিবার পারভেজের বাড়িতে গেলে খাটের ওপর রোকেয়ার মরদেহ তারা দেখতে পান। এ ঘটনায় রোকেয়ার বড় ভাই মো. মহিউদ্দিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দিলে পারভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ বলেন, ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন ও গলা টিপে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. পারভেজকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা মূলে পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

হত্যা মামলায় বগুড়া মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোটর মা‌লিক গ্রু‌পের সাধারণ সম্পাদক, বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম‌কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম মোজা‌ম্মেল হক চৌধুরী তা‌কে কারাগারে পাঠা‌নোর আদেশ দেন।

আমিনুল ইসলাম বগুড়া সদর উপজেলা বিএন‌পি'র সাধারণ সম্পাদক এ‌্যাড‌ভো‌কেট মাহবুব আলম শাহীন হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সেই মামলায় বুধবার জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ এবং অভিযোগ গঠন শুনানি ছিল।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২০১৯ সা‌লের ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়ার নিশিন্দারা উপশহর বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ওই বছ‌রের ১৬ এপ্রিল নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী বাদী হয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের চলমান বিরোধ নিয়ে শাহীনকে হত্যা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত কালে জড়িতদের স্বীকারোক্তিতে হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে আমিনুল ইসলামের নাম আসে। পরে তাকে প্রধান আসামি করে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। জেলা জজ আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম উচ্চ আদালতে থেকে জামিনে ছিলেন।

বুধবার শাহীন হত্যা মামলার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এসময় আমিনুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা জজ আদালত।

;