ছিনতাই মামলায় পুলিশ কনস্টেবলসহ দুইজন রিমান্ডে
দশ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় বংশাল থানা পুলিশের কনস্টেবল মো. আল মামুনসহ দুই আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন, জাহিদুল ইসলাম জিতু। যিনি নিজেকে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক পরিচয় দিতেন।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার এসআই এনামুল হক শিমুল তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাতদিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদন বলা হয়, গত বুধবার আসামিরা মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদকে জোরপূর্বক মোটর সাইকেলে উঠিয়ে তার কাছে থাকা ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা জানতে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট প্রদীপ রঞ্জন দেবনাথ, ইমরান হোসেনসহ প্রমুখ।
শুনানিতে তারা ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোন ঘটনায় ঘটেনি।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় জামিনের আবেদন নাকচ করেন তিনি।
বাদী আবুল কালাম আজাদ মামলায় উল্লেখ করেন, বাদী গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে মতিঝিল এনআরবিসি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মোহামেডান ক্লাবের সামনের সড়কে এলে তিনজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার কাছ থেকে টাকার ব্যাগ চান।
এতে বাধা দিলে মামুন তার হাতে থাকা হ্যান্ডকাপ দিয়ে আজাদের মাথায় আঘাত করেন। পরে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালানোর সময় জনতা দুইজনকে ধরে ফেললেও একজন পালিয়ে যান।
ওই ঘটনায় ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত একটার দিকে মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন তিনি।