স্কয়ারে ভুল চিকিৎসা: ঢাবি ছাত্রকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে রুল



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)  শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শামীম

ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শামীম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি)  শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান শামীমকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তাকে কেন ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এবং বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি, স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তার কৃষ্ণা প্রভু ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সাতজনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

স্কয়ার হাসপাতালকে মেহেদি হাসান শামীমের চিকিৎসার যাবতীয় নথি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলেছেন আদালত ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ক্ষতিপূরণ চেয়ে মেহেদি হাসান শামীমের করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন কুমার বড়ুয়া ও ফুয়াদ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর উস সাদিক।

এর আগে গত ১৪ জুলাই পঙ্গু মেহেদি হাসান শামীমের পক্ষে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়।

রিট আবেদনে মেহেদি হাসান শামীমকে নিয়ে “ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু ঢাবি ছাত্র ক্ষতিপূরণ দাবি” শিরোনামে গত ১৯ এপ্রিল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করে শামীম জানান, সামান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর তিনি স্কয়ার হাসপাতালে ডা. কৃষ্ণা প্রভুর কাছে যান। ওই সময় চিকিৎসক বলেন, তার মস্তিষ্কের রক্তনালিতে টিউমার বা ইনসুলার ক্যাভারনোমা হয়েছে। দ্রুত অপারেশন না করলে যে কোনো সময় তিনি স্ট্রোক করে মারা যেতে পারেন। ওই সময় কৃষ্ণা প্রভু নিজেকে সিএমসি ভেলোরের সিনিয়র কনসালটেন্ট দাবি করে বলেন, এ সমস্যা সামান্য, এ জন্য কোথাও যাওয়ার দরকার নেই। তিনি সহজেই এই অপারেশন করতে পারবেন।

সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে না জানিয়েই গত ২৩ জানুয়ারি স্কয়ার হাসপাতালে ওই অপারেশন হয়। তিনি বলেন, অপারেশনের পর আইসিইউতে থাকাবস্থায় আমার ছোট ভাইকে আমার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। ২৫ তারিখে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আমার শরীরের বাম পাশ আর কাজ করছে না। উন্নত চিকিৎসার সুবিধার্থে চিকিৎসকের কাছে আমার অপারেশনের সিডি চাইলে তিনি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা দিতে টালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে ১ এপ্রিল স্কয়ার হাসপাতালের সিইও ইউসুফ সিদ্দিকীর কাছে অপারেশনের সিডির জন্য গেলে গোঁজামিল হিসাব দেন। পরে ৭ এপ্রিল সিইও বরাবর আমার অপারেশন সিডি ও রোগীর ফাইল চেয়ে লিখিত আবেদন করি। কিন্তু তারা আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।

‘গত ১৫ এপ্রিল চিকিৎসক কৃষ্ণা প্রভুর সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, অপারেশনের সময় আমার মস্তিষ্কের কয়েকটি নার্ভ কাটা গেছে। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি আমাকে থাইল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অপারেশনের আগে এই ঝুঁকি সম্পর্কে জানাননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, তার কারণেই নাকি আমি পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছি। অন্য কেউ অপারেশন করলে আমি মরেও যেতে পারতাম,’- বলেন শামীম।

শামীম জানান, চিকিৎসাবাবদ এ পর্যন্ত তার ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ফলে বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ তার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন মেহেদি হাসান শামীম।

মেহেদি হাসান শামীম ঢাবির উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন।

 

   

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চান হাইকোর্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গাকে ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ জুনের মধ্যে কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের এ তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৩৮ রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।

এর আগে মঙ্গলবার কত রোহিঙ্গা কক্সবাজারে নাগরিকত্ব পেয়ে ভোটার হয়েছেন তার তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গাদের বাদ দেওয়ার আর্জি জানানো হয় রিটে। এছাড়া ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিলে নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ বন্ধ বা স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

স্থানীয় ভোটার মো. হামিদুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ রিট দায়ের করেন।

আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়েছেন ৩৮ রোহিঙ্গা। তাদের তালিকা যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়। এছাড়াও একই ইউনিয়নে কয়েকশ’ (সাড়ে তিনশ) রোহিঙ্গা নাগরিক হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা হাল নাগাদ না করা পর্যন্ত ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানানো হয়েছে রিটে।

;