মঞ্জুর হত্যা: বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর (বামে) ও মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর (বামে) ও মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মঞ্জুর হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঐ বছরের ১৫ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহহার আকন্দ। এর আগে ১ মার্চ আসামি এমদাদুল হক, ১২ মার্চ মোহাম্মদ আবদুল লতিফ ও শামসুর রহমান এবং ১৮ জুন মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়।

একই বছরের ১১ জুন কারাগারে থাকা এরশাদকেও এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর ৩৮ বছর আর মামলা দায়েরের পর ২৪ বছর পার হলেও শেষ হয়নি জেনারেল মঞ্জুর হত্যার বিচার। মঞ্জুরের দূর সম্পর্কের কোনো আত্মীয় স্বজনকেউ দেখা যায় না মামলার খোঁজখবর নিতে। মামলার তারিখে কেউ আদালতে হাজির থাকেন না।

মামলাটিতে মোট ২২ জন বিচারক দায়িত্বপ্রাপ্ত হন ও বদলি হন। মঞ্জুর হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।

কিন্তু রায় ঘোষণার কয়েকদিন আগেই ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক হোসনে আরাকে বদলি করা হয়। আদালতের নতুন দায়িত্ব নেন বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজকে।

নতুন জজ দায়িত্ব পাওয়ায় ফের যুক্তিতর্ক গ্রহণ করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা না করে ঐ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ফের যুক্তিতর্ক গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করা হয়।

নতুন বিচারকের ঐ দিন যুক্তিতর্ক শোনা হয়নি। যুক্তিতর্ক শুনানির দিন আদালতে মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি আসাদুজ্জামান খান রচি।

এ মামলায় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। ফলে আরো অনেককে সাক্ষী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি। সঠিকভাবে তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনসহ ঐ সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা যেতো। তাদের সাক্ষ্য-প্রমাণে মামলাটি সঠিকভাবে প্রমাণ করা যেতো। এমন যুক্তিতে মামলাটি অধিকতর তদন্তে পাঠানোর আবেদন করেন আসাদুজ্জামান খান রচি।

বিচারক খন্দকার হাসান মো. ফিরোজ  রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে ২২ এপ্রিলের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। প্রথমে এ মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল এক মাস ২৩ দিন। কিন্তু এ সময় গত ৫ বছরেরও শেষ হয়নি।

মামলার প্রধান আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ‘অধিকতর প্রতিবেদন দাখিল না করায় মামলার বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।’ তবে ন্যায় বিচার নিশ্চিতে মামলাটি অধিকতর তদন্তে পাঠানোকে তিনি যুক্তিযুক্ত মনে করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রচি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা। এ মামলায় সে সময় সঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। মঞ্জুরকে ঐদিন তার স্ত্রী ও মেয়ের সামনে থেকেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। ঐ সময় কারা তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল এ সমন্ধে তার স্ত্রী ও মেয়েই ভাল বলতে পারবেন। কিন্তু মূল চার্জশিটে তার স্ত্রী ও মেয়েকে সাক্ষী করা হয়নি। মামলাটির ন্যায় বিচারে তাদের সাক্ষী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

মামলাটি অধিকতর তদন্তে পাঠানোর পর একের পর এক তারিখ পড়লেও আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ।

বিচারক প্রদীপ কুমার সরকার ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন।

মামলার পাঁচ আসামির সবাই জামিনে আছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া জামিনে থেকে আদালতে শুনানিতে উপস্থিত থাকেন।

অপর দুই আসামি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল লতিফ ও লে. কর্নেল (অব.) শামসুর রহমান শামসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত আছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

মঞ্জুর হত্যা মামলায় মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২০১২ সালের ২ অক্টোবর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এরশাদ। এর সমর্থনে আদালতে লিখিত বক্তব্যও দাখিল করেন তিনি।

   

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

তিন মামলায় মামুনুল হকের জামিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল থানার পৃথক তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।

তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তিনি কারামুক্ত হতে পারছেন না।

২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।

;