চামড়ার দেনা-পাওনার সমাধান মেলেনি



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
চামড়া সংকট সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চামড়া সংকট সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির চামড়া নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক কোনও সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। বৈঠকে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের মধ্যে লেনদেন নিয়ে ব্যাপক হট্টগোলও হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২২ আগস্ট দুই পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনকে (এফবিসিসিআই)।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুর তিনটায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকার, ট্যানারি মালিক, আড়তদার ও কাঁচা চামড়া সংশ্লিষ্টদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক চলে প্রায় তিন ঘণ্টা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে আড়তদার ও ট্যানারি মালিকরা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। আড়তদাররা পাওনা টাকা না পাওয়ায় চামড়া কিনতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন। আর ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের ফলে কিছুদিন চামড়া উৎপাদন কাজ বন্ধ থাকায় বিদেশি ক্রেতারা চাহিদামত সরবরাহ না পাওয়ায় অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে নতুন কারখানা স্থাপন করায় ট্যানারি মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই তারা আগের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি বিধায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন:অপরিকল্পিত ট্যানারি স্থানান্তরের কারণেই চামড়ার বাজারে..

কাঁচা চামড়া রফতানিতে লাভবান হবেন পাইকারি..

এ সময় ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন গত সাড়ে তিন বছরে কেউ বকেয়া টাকার জন্য তার কাছে আসেননি। তার এই বক্তব্যে হট্টগোল শুরু হয়, প্রতিবাদ জানান আড়তদাররা এবং টাকা পরিশোধের সমাধান চান। এসময় দুই পক্ষের হট্টগোল থামান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বৈঠকের হাল ধরেন। তিনি জানতে চান কোরবানিতে কত চামড়া হয়। উত্তরে তাকে জানানো হয়, প্রায় এক কোটি পিস চামড়া হয়। পরে তিনি জানতে চান এক কোটি পিসের মধ্যে কত পিস চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে? উত্তরে একজন বলেন ২৫ লাখ, এসময় সবাই প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন এতো নষ্ট হয়নি। আর আড়তদারদের একজন দাবি করেন, যা প্রচার হচ্ছে তা সঠিক নয়, আমার মনে হয় মাত্র এক হাজার পিস চামড়াও নষ্ট হয়নি। জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, যদি এক কোটির মধ্যে এক হাজার পিস নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে আমরা এখানে বসে মিটিং করছি কেন? তাহলে সরকারের তরফ থেকে কি অ্যাকশন নিতে হবে, সে অ্যাকশনে আমি যাবো। কয়েকজন বললেন ২৫ শতাংশ, আরেকজন ১০ শতাংশ আরেকজন বললেন ১ শতাংশ। কিন্তু আমি বিশ্বাস করব না আপনারা ব্যবসায়ীরা জানেন না কত চামড়া নষ্ট হয়েছে।

এসময় চট্টগ্রামের আড়তদারদের প্রতিনিধি জানান, তার ২৫ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানতে চান সারাদেশে হলো না আপনার এখানে কেন হলো? যদি নাটোর, কুষ্টিয়া, বগুড়ায় না হয় তাহলে চট্টগ্রামে কেন হয়েছে? এটা আমি তদন্ত করব। জবাবে চট্টগ্রাম আড়তদারদের ওই প্রতিনিধি জানান, ৭০ ভাগ লোক টাকার অভাবে ব্যবসা করতে পারেনি।

আর রাজশাহী আড়তদারদের প্রতিনিধি এ ঘটনায় একটি মনিটরিং কমিটি করার দাবি জানান। কমিটিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের প্রতিনিধিদের রাখার জন্য প্রস্তাব করেন তিনি। তার এই প্রস্তাব বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে কমিটি গঠনের বিষয়ে মত দেন বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীসহ অনেকেই।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, দুই পক্ষের আলোচনায় উঠেছে টাকার বিষয়টি, কিন্তু কে কত টাকা পান সেটা আমাদের লেভেলের কাজ নয়। সেটি আপনাদের বসে ঠিক করতে হবে। দুই চারজনের কারণে চামড়া শিল্পের উপর ব্যাংকিং সেক্টর ভরসা হারিয়েছে। জনতা ব্যাংক থেকে জীবনে আপনারা আর টাকা পাবেন না। কারণ জনতা ব্যাংকের কাস্টমার আপনাদের ট্যানারি মালিকরা যা করেছেন তাতে তারা বলছে, আমরা মাফ চাই; এটি হচ্ছে অবস্থা। শুধু জনতা নয় অন্য ব্যাংকেরও একই অবস্থা। আপনারা দেনা-পাওনা যা আছে তা সমাধানের চেষ্টা করেন, না পারলে আমাদের কাছে আসুন।

এসময় আড়তদাররা অভিযোগ করে বলেন, ট্যানারি মালিকরা সিন্ডিকেট করে। চামড়া লবণজাত করে আমরা একমাস থেকে তিনমাস রাখতে পারি। এর বেশি রাখলে তাদেরই ক্ষতি হবে। কিন্তু তারা কোরবানি থেকে দুই আড়াই মাস চামড়া কেনেন না। ফলে এই চামড়া গন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা অর্ধেক চামড়া বাদ দেয়, আবার কিছু কেনেন। তার এই বক্তব্যের পর আবার হট্টগোল শুরু হয়। ট্যানারি মালিকরা বলতে থাকেন, আমরা কি এভাবে চামড়া কিনি? এভাবে হয় না। এসময় দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা উত্তেজিত বাক্য বিনিময় করেন।

ট্যানারি মালিকরা দাবি করেন, যেভাবে হোক ব্যাংককে আমাদের টাকা দিতে হবে। চামড়া ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৫০ ভাগ ব্যাংক দেয়, ৫০ ভাগ আমরা দেই। সেটি হলে আমরা সহজেই চামড়া কিনতে পারি। নইলে আমাদের চামড়া কিনতে দুই মাসের বেশি সময় লাগতে পারে। জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, চামড়া খাতে এ বছর প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা তাদের জন্য থোক বরাদ্দ রেখেছিলাম সরকারি ব্যাংকে, যদি ডিমান্ড আসে সে অনুযায়ী তাদের বিতরণ করার জন্য। ব্যাংকিং অ্যাক্টে কিন্তু বলা আছে যারা ঋণ খেলাপি তাদের ঋণ দেয়া যাবে না। সেজন্য অনেককেই ঋণ দেওয়া যাচ্ছে না। এ সময় আড়তদাররাও ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধার দাবি জানান।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার বিব্রত। আমরা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ চাই। একদিকে আপনারা এক্সপোর্ট করতে দেবেন না, আরেকদিকে চামড়া কিনবেন না, বলবেন টাকা নেই। যাতে করে এটি নিয়ে আর কথা না হয়, আপনারা এর সমাধানে যান।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, আপনারা অবশ্যই ব্যবসা করবেন, তবে ব্ল্যাকমেইলের সুযোগ নেই। প্রয়োজন মনে করলে সরকার চামড়া রফতানি করবে। সরকার কারো কাছে জিম্মি হবে না। আগামীতে জেলায় জেলায় চামড়া বিক্রি করতে না পারলে সরকার দায়িত্ব নিয়ে চামড়া কিনবে। এটা ব্যবসায়ীদের সমাধান করতে হবে, তারা না পারলে আমরা যুক্ত হবো। আমরা এখানে রাজনৈতিক কোন ফায়দা লুটতে দেবো না।

আরও পড়ুন:চামড়া সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আসতে চাই: শিল্পমন্ত্রী

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আজকের বৈঠকে আমরা সমস্যা সমাধানে আলোচনা করেছি। আমরা এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। সত্যিকার অর্থে আড়তদাররাও তো আমাদের কাছে টাকা পান, সেটি সমাধান করা প্রয়োজন। আমরা নিজেরা আবার বসব, আর ২২ তারিখ দুই পক্ষের বৈঠক আছে সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে। আর ব্যাংক ঋণের কিছু নিয়ম কানুনও আছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে, সেটি নিয়েও আমরা আলোচনা করব।

বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পৃথিবীর মধ্যে কাঁচা চামড়া বিক্রি করে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশ। আমরা কাঁচা চামড়ার ব্যবসা কোনদিন করিনি। ফলে এই ব্যবসা করতে গেলে কিছু দেশের সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়, যা আমাদের নাই। আমাদের এক্সপোর্ট লাইসেন্সই নাই। সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করিনি। যেহেতু ট্যানারি মালিকরা বলেছে আমাদের বকেয়া টাকাগুলো তারা ব্যবস্থা করবে।

তিনি বলেন, আগামী ২২ তারিখ এফবিসিসিআই তাদের সঙ্গে বসে আমাদের বকেয়া টাকার ব্যবস্থা করে দেবে। আজকের বৈঠকের পর আমরা চামড়া বিক্রি শুরু করে দিলাম। নইলে আমাদের চামড়া গরমে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা এবার ক্যাশ টাকা যাদের কাছে পাবো তাদের কাছেই চামড়া বিক্রির চেষ্টা করব। ঢাকার ব্যবসায়ীরা এখনো প্রায় দেড়শ কোটি টাকা পাওনা আছি। আর সারাদেশ মিলিয়ে চারশ কোটি টাকা পাবো।

বিষয়টি সমাধানে কি উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি এফবিসিসিআই'র ভাইস প্রেসসিডেন্ট মো: রেজাউল করিম রেনজু।

   

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভের পরিমাণ জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরে দেশে ডলার সংকটের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বেশষ গণনায় দেশের রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে তা ২৪ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত ২১ মার্চ সঞ্চিত বিদেশি অর্থের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের গণনা পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। যা শুধু প্রকাশ করা হয় না, শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। জানা গেছে, ওই হিসাবে বর্তমানে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় সাড়ে ১৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মিটবে।

অর্থাৎ, পণ্য কেনা বাবদ মাসিক প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার করে দায় পরিশোধ করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। বাংলাদেশেরও সেই পরিমাণ রিজার্ভ রয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সহযোগিতায় “বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ.ব.ম ফারুক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা মো. জয়নাল আবেদীন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামী ব্যাংক ইউনিটের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম মেহেদী। অনুষ্ঠানে প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

চীনের সঙ্গে এফটিএ করতে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময়

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করার বিষয়ে যৌথভাবে খসড়া সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করেছে দুই দেশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সমীক্ষা প্রতিবেদন বিনিময় করে বাংলাদেশ ও চীন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেন, যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রপ্তানির সময় শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো এবং মূল্য সংযোজনের হার অন্যতম। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যকে ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে ওই সকল দেশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।

কবে নাগাদ এফটিএ সই হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এখনো চুক্তি হয়নি। এখন আলোচনা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করতে পারলে ভালো। যদি না হয় আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা শেষ না হলে ততোদিন যেন আমাদের এলডিসি হিসাবে এই সুবিধাগুলো তাঁরা দেয় এর জন্য বলবো।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশ কি ধরনের সুবিধা পাবে এ বিষয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য গার্মেন্টের বাইরে আরও কিছু পণ্য আছে। রাষ্ট্রদূততের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন আম ও পাটজাত পণ্যের অনেক সম্ভাবনা আছে। তারপর হস্তশিল্পের বিষয় আছে।

তিনি বলেন, এছাড়া আরও পণ্য আছে। আমরা ইতোমধ্যে চামড়া রপ্তানি করছি। আমরা মানসম্মত চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারি। চীনে ১৪০ কোটি মানুষ। সেখানে যদি আমরা বৈচিত্র্য পণ্য নিয়ে যেতে পারি, বড় বাজার। চুক্তি হয়ে গেলে বিনিয়োগ বাড়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আমরা প্রধানত তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমরা চীনে ৬৭৭ মিলিয় মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছি। বিপরীতে চীন থেকে ২২ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার আমদানি করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে চীনের বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এখন চীন বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। এফটিএ সই হওয়ার পর বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ চীনে আম, কাঠাল, আলু, পাটপণ্য, চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাজার সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সাথে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

;

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।

এর আগে বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

;