আমদানি বাড়লে স্থিতিশীল থাকবে পেঁয়াজের বাজার



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বগুড়ার রাজাবাজারের একটি পাইকারি আড়ত | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়ার রাজাবাজারের একটি পাইকারি আড়ত | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুরবানি ঈদের আগে আগে দেশের বাজারে বেড়ে যায় পেঁয়াজের চাহিদা। আমদানি কম হচ্ছে এমন অজুহাতে চলতি মাসে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। এতে হিমশিম খেতে হয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের। তবে সমস্যা কাটিয়ে এবার ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পর্যাপ্ত এলসি খুলেছেন আমদানিকারকরা। আর বন্দরগুলোতেও প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাক দেশে প্রবেশ করতে পারলে পেঁয়াজের বাজার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, এক মাস আগে পেঁয়াজের আন্তর্জাতিক বাজারদর ছিল ২১২ দশমিক ১০ ডলার, বর্তমানে তা ২৩১ দশমিক ৪২ ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গত ৩১ মে পর্যন্ত ১০ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে এবং ১০ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে। অন্যদিকে আগের বিগত অর্থবছরে একই সময়ে এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৮ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন ও ৭ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশে এই মৌসুমে পেঁয়াজের চাষ না থাকায় গত বছরের সংরক্ষিত দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি বছরজুড়েই আমদানির পেঁয়াজ দিয়ে ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিকে পেঁয়াজের দাম সামান্য বাড়লেও তার প্রভাব যতটা পড়ার কথা বাজারে তারচেয়েও বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল। তবে সরকারের নির্দেশনা এবং ব্যবসায়ীরা বেশি বেশি এলসি খোলায় পেঁয়াজের পাইকারি দাম সহনীয় পর্যায়ে আসতে শুরু করেছে। প্রতিদিন স্থলবন্দরগুলোতে গড়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকতে পারছে আর ওপারে অপেক্ষায় থাকছে শত শত ট্রাক। যার প্রভাব পড়ে পেঁয়াজের দামে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980900123.jpg
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রাক্কালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যেমন- পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মসলা ইত্যাদির মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং গবাদি পশু পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে সভা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সভায় বাজার নিয়ন্ত্রণে তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সহযোগিতা চান।

সভা সূত্রে জানা গেছে, সভায় পেঁয়াজের দাম নিয়ে আলোচনা বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। যেভাবেই হোক ঈদে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। এর জবাবে ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে ভারত থেকে আমদানির ওপর। বর্তমানে বর্ডার দিয়ে মাত্র ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক পেঁয়াজ প্রবেশ করানো হয়। এ সংখ্যা আরো অনেক বাড়াতে হবে। তাহলে পেঁয়াজের বাজারে দাম স্থিতিশীল থাকবে। সামনে কুরবানির ঈদ হওয়ায় সোনা মসজিদ ও ভোমরা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ১৫০টি গাড়ি ঢোকার ব্যবস্থা করলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এটা না হলে বাজার অনিয়ন্ত্রিত থেকে যাবে। স্থলবন্দরগুলো আরো বেশি সময় খোলা রাখার অনুরোধ জানান ব্যবসায়ীরা।

জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় এখন বেশি সংখ্যক পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করছে। উত্তরে অনেক ব্যবসায়ীরা বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী বন্দর বাড়তি সময় খোলা রাখা হচ্ছে না।

এরপর বাণিজ্য সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উপ-সচিব জিন্নাত রেহানার উদ্দেশে বলেন, ‘আমি যে কাস্টমস আরও এক ঘণ্টা বেশি খোলা রাখার জন্য চিঠি দিতে বলেছিলাম। সেটা কি দিয়েছেন?’ তখন উপসচিব উত্তর দিতে পারেননি।

মফিজুল ইসলাম চিঠি দেখতে চাইলে উপসচিব বলেন, ‘সাতক্ষীরার ডিসিকে দিতে বলা হয়েছে।’ এরপর সচিব বলেন, ‘আমি তো আপনাকে দিতে বলেছি। দিয়েছেন কিনা?’ উত্তরে উপসচিব বলেন, ‘দেওয়া হয়নি।’ এর পরিপ্রেক্ষিতে সচিব বলেন, ‘দেন নাই কেন? মিটিং থেকে আপনি উঠে যান। গিয়ে চিঠি দিয়ে আসেন।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980929836.jpg
এরপর মিটিং চলাকালেই বাণিজ্য সচিব সাতক্ষীরার ডিসির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। ডিসিকে সচিব বলেন, ‘তোমাকে অনুরোধ করেছিলাম যে, পেঁয়াজের ট্রাক যেন বেশি করে ঢুকতে পারে সে জন্য কী করতে পারলা?’ ডিসি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এক ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে বেশি ট্রাক আসতে দিতে হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি চিঠি দিতে হবে।’ বৈঠক চলা অবস্থায় সচিব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এদিকে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে স্থলবন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা যায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ‘এ সংক্রান্ত আইন আছে। অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস আইনের মাধ্যমে প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা থাকবে।’

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘ঈদের সময় যেন সাধারণ মানুষ কষ্ট না পায়। তারা যেন সহনীয় মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে— এ ব্যাপারে আপনারা (ব্যবসায়ীরা) সহযোগিতা করবেন। কোথাও প্রয়োজন হলে সরকার ভর্তুকি দেবে। পেঁয়াজ ও রসুনসহ যেসব পণ্যের মূল্য বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে টিসিবি সেসব পণ্য ট্রাক সেলে বিক্রি করবে।’

ঈদে নিত্য প্রয়োজনীয় কোন পণ্যের দাম না বাড়াতে ব্যাবসায়ীদের অনুরোধ জানান টিপু মুনশি।

বৈঠক শেষে ঢাকা মহানগর কৃষিপণ্য আমদানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বাবুল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ভারতের সীমান্তে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ' গাড়ি পেঁয়াজ দাঁড়িয়ে থাকে। সেগুলো সেখান থেকেই কন্ট্রোল করা হয়। পেঁয়াজের দাম ঢাকার আমাদিকারকদের হাতে নেই। এটি নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের দিকের ব্যবসায়ী ও বর্ডারের যারা নিয়ন্ত্রক আছেন তারা। আগে ৫০ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকত, এখন সেই জায়গায় ৭০ গাড়ি ঢুকছে। কিন্তু এখন দেড়শ' থেকে ২০০ গাড়ি ঢুকতে পারলে পেঁয়াজের দাম একদম কমে যাবে। তখন পেঁয়াজ থাকবে ২০ থেকে ২২ টাকা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563980978797.jpg
বন্দরে অতিরিক্ত ট্রাক ঢোকাতে বাড়তি সময় স্থলবন্দর খোলা রাখার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আরো বেশি সংখ্যক ট্রাক যাতে ঢুকতে পারে সে জন্য আরো বেশি সময় বন্দর খোলা রাখার জন্য চেষ্টা করছি। বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদসহ বন্দরগুলোতে শুল্ক বিভাগের অফিসগুলো যেন বেশি সময় কাজ করে সে জন্য চিঠি দেব। যাতে করে আমাদানি ও মজুদ বাড়ানো যায়।

বাজারে পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে প্রয়োজনে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে টিসিবিকে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে টিসিবি'র চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল হাসান জাহাঙ্গীর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আজকে বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব। বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রিতে আমাদের সক্ষমতা আছে।

   

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে একভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

;

শসা চাষিদের পাশে ‘স্বপ্ন’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসা চাষিরা শসার দাম নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। তবে এমন দুঃসময়ে শসা চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ ।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয় যে, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসা চাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ থেকে ৪ টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। এমন সময় সেই শসা চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে শসা কিনেন ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) খোলা বাজারে ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২টাকা কেজিতে অর্থাৎ সাশ্রয়ী মূল্যে খোলা বাজারের চেয়ে কম দামে গ্রাহকরা কিনতে পারছেন ।

এরইমধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে ২ টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ৬ টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্ন’র আউটলেটে, স্টক থাকা অবধি এই অফার গ্রাহকরা পাবেন। স্বপ্ন’র নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির জানান, আমরা শসা চাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশকিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাঁদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্যমূল্যে। অনান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে । মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধনের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এই চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।

এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন’র হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসা চাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেই যে, এই কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াবো। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরইমধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি। দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার। কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায় । প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পর ৫ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্টও হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল। আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানীর ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার । তাঁদেরকে অশেষ ধন্যবাদ ।

;

বিকাশ অ্যাপে ‘সেন্ড মানি’ এখন আরও সুরক্ষিত, নির্ভুল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাহকের লেনদেন আরও নির্ভুল ও সুরক্ষিত করতে বিকাশ অ্যাপের ‘সেন্ড মানি’ সেবায় যুক্ত হলো আরও একটি সতর্কীকরণ ধাপ বা ‘ডিসক্লেইমার’। সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বারে তাড়াহুড়ো করে সেন্ড মানি করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর বিড়ম্বনা এড়াতেই বিকাশ অ্যাপে এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

এখন থেকে বিকাশ অ্যাপে সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে ‘সেন্ড মানি’ করার সময় একটি ‘ডিসক্লেইমার প্রম্পট’ বা সতর্কীকরণ বার্তা দেখা যাবে, যেখানে বলা আছে “নাম্বারটি সঠিক কি না তা অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন”। সে অনুযায়ী নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী ধাপে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে সেন্ড মানি করলেই ভুল নাম্বারে টাকা পাঠনোর কোনো বিড়ম্বনা থাকেনা। ‘সেন্ড মানি অটো পে’ সেট করার সময় এবং ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ -তে সেভ করা নাম্বারের বাইরে অন্য কোনো নাম্বার যোগ করার সময়েও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এছাড়া আরও কিছু বিষয়ে নজর রাখলে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর কোনো বিড়ম্বনাই থাকেনা –

• নতুন কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার আগে প্রাপকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত করে নেয়া যেতে পারে
• সেভ করা নাম্বার ছাড়া অন্য কোনো নাম্বারে সেন্ড মানি করার সময় নাম্বারটি কয়েকবার মিলিয়ে নেয়া ভালো
• টাকার পরিমাণ প্রবেশ করার পর টাকার অংক ঠিক আছে কি না তা দেখে নেয়া দরকার
• ভুল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে ফেললে দ্রুত বিকাশ হেল্পলাইন ১৬২৪৭, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট/লাইভ চ্যাট অথবা ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করতে হবে

সুরক্ষিত এই সেন্ড মানি সেবার পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। এভাবেই নতুন নতুন উদ্ভাবনী সেবা আনার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হয়ে বিকাশ, গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও স্বাধীনতা ও সক্ষমতা আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

;

নারীর অধিকার আদায়ে ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা মোহর সঞ্চয়ী হিসাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহর ইসলামে নারীর প্রতি সম্মান আর অধিকার প্রদর্শনের একটি নিদর্শন। বিবাহের সময় কনের দাবিকৃত অর্থ মোহর, আর বরের পক্ষ থেকে কনেকে এই মোহর আদায় করা অত্যবশকীয় কর্তব্য।

পবিত্র কোরানের সুরা নিসায় আল্লাহ বলেন “আর তোমরা আনন্দের সাথে স্ত্রীদের মোহর আদায় করে দাও। তবে যদি তারা স্বেচ্ছায় মাফ করে দেয়, তাহলে তা সানন্দে ভোগ করতে পার”।

মোহর যে স্ত্রীর অপরিহার্য অধিকার এবং স্বামীকে যে অবশ্যই পালন করতে হবে এমন চিন্তা বেশিরভাগ মানুষের থাকে না। ফলে সমাজে মোহর আদায়ের সংস্কৃতি কিছুটা কম। বিয়েতে মোটা অংকের মোহর নির্ধারণ করা হয়, কিন্তু সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে এই মোহর আদায় কারো কারো পক্ষে কঠিন হয়ে উঠে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু রাখতে ও আরো সহজ করতে মুদারাবা মোহর সেভিংস একাউন্ট চালু করেছে।

সমাজের সর্বস্তরের মুসলিম জনসাধারণ বিশেষত পেশাজীবী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী তাদের সামর্থ অনুযায়ী মাসিক কিস্তিতে টাকা জমা দিয়ে এই প্রকল্পের আওতায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। মাসিক কিস্তি ৫০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকার কিস্তিতে ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদী এ হিসাব পরিচালনাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করবে স্বামী বা বিবাহেচ্ছুক পুরুষ। কাবিননামায় উল্লেখিত মোট টাকার পরিমাণ, আদায়কৃত টাকা এবং আদায়যোগ্য টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে আদায়যোগ্য টাকার উপর মাসিক হার নির্ধারণ করা হয়। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ হাজার গ্রাহক ইসলামী ব্যাংকে মোহর একাউন্ট খুলেছেন।

বাংলাদেশের যে কোন বৈধ নাগরিক তার জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, নিজের ২ কপি ছবি, স্ত্রীর ২ কপি ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও নমিনির এক কপি ছবি নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের যে কোন শাখা, উপশাখা কিংবা এজেন্টে মোহর একাউন্ট খুলতে পারবে, এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ডিজিটাল অ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমেও এই একাউন্ট খোলা যায়। অন্য শাখা, উপ-শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দেওয়া যায়। মোবাইল ভিক্তিক ব্যাংকিং আ্যাপস সেলফিনের মাধ্যমে মাসের যে কোন দিন যে কোন স্থান থেকে খুব সহজে মাসিক কিস্তি দেওয়া যায় অথবা শাখায় স্পেশাল ইনস্ট্রাকশন দিয়ে রাখলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমেটিক সংশ্লিষ্ট সেভিংস হিসাব থেকে মোহর একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এমক্যাশের মাধ্যমেও মাসিক কিস্তি পরিশোধ করা যায়। গ্রাহক চাইলে কিস্তির টাকা অগ্রিম পরিশোধ করতে পারেন। উক্ত একাউন্টের মূল টাকা ও প্রদত্ত মুনাফা সবই স্ত্রীর প্রাপ্য। হিসাব খোলার সময় কিস্তির হার ও মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে। পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করা যাবে না।

মুদারাবা মোহর হিসাবে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একজন স্বামী তার স্ত্রীর মোহরের ঋণ থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন। মোহর পরিশোধের মাধ্যমে নারীর জীবনে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। এবং সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বোপরি সমাজে নারীর অধিকার আদায়ের মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায়ন হয়। মোহর আদায়ের সংস্কৃতি চালু করতে ইসলামী ব্যাংকের এ উদ্যোগ কৃতিত্বের দাবিদার।

;