১১০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিল বিএসআরএম!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১১০ কোটি টাকার কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের বিরুদ্ধে। দেশের ভেতরে পণ্য বিক্রি করে তা বিদেশের রফতানি দেখিয়ে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের কর ফাঁকি দিয়েছে কোম্পানিটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চট্টগ্রাম কমিশনারেটের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। কর ফাঁকির এই অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে ইতোমধ্যেই ঋণে জর্জরিত প্রতিষ্ঠানটিকে চিঠি দিয়েছে এনবিআরের চট্টগ্রাম শাখা। কোম্পানিটি চিঠিটি আমলে নিলেও চিঠির নিয়মের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেছে তারা।

এনবিআর -এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রফতানিকৃত বলিয়া গণ্য’ সংজ্ঞার আওতায় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময়ে মূল্য সংযোজন কর বিধিমালা আইনের অপব্যবহার করে পণ্য সরবরাহের বিপরীতে গৃহীত বিধি বহির্ভূত প্রত্যর্পণ ও অপরিশোধিত মূসকের হিসেবে সরকারকে ১১০ কোটি ৫৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৫ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে। বিভিন্ন কর মেয়াদে দাখিলকৃত দলিলাদি ও দফতরের সংরক্ষিত রেজিস্ট্রার যাচাইয়ের মাধ্যমে এই ফাঁকির তথ্য খুঁজে পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে ২০১৬ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসআরএম প্রায় আড়াই হাজার টন পণ্য সরবরাহের বিপরীতে শুল্ককর প্রত্যর্পণ নিয়েছে তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকা, আর ভ্যাট পরিহার করেছে ১৪ লাখ টাকা।

২০১৭ সালে দুই ধাপে প্রায় ১০ হাজার টন পণ্য সরবরাহের বিপরীতে শুল্ককর ও ভ্যাট ফাঁকি ১২ কোটি টাকার ওপরে। আর ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ৮৯ হাজার টন পণ্য সরবরাহের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটি শুল্ককর প্রত্যর্পণ নিয়েছে ৯১ কোটি টাকা। আর ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে তিন কোটি ৪৪ লাখ টাকা।

সব মিলে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহ করা পণ্য ‘রফতানি বলে গণ্য’ দেখিয়ে ১০৬ কোটি টাকার শুল্ককর ও চার কোটি টাকার ভ্যাট অপরিশোধিত রাখে।

এদিকে এনবিআর-এর প্রতিবেদনে উঠে আসা কর ফাঁকির বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তপন সেনগুপ্ত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘বিএসআরএম কখনো কর ফাঁকি দেয় না। আমাদের কোনো কর ফাঁকি নেই। এনবিআর যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ ভুল। আমরা আদালতেই সেটা প্রমাণ করব।’

তিনি আরো বলেন, ২৫ বছর ধরে বিদেশি অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্পে পণ্য সরবরাহ করে শুল্ককর প্রত্যর্পণের এ বিষয়টি চলে আসছে। এনবিআর হঠাৎ করে এমন দাবি করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এরই মধ্যে এনবিআর থেকে এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সে ব্যাখ্যা বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিএসআরএম -এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত জানান চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক। ‘রফতানি বলে গণ্য’ হওয়ার প্রক্রিয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কোনো পণ্য ‘রফতানি বলে গণ্য’ হতে হলে বেশকিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। প্রথমত, এ সুবিধা পেতে হলে পণ্য সরবরাহের বিপরীতে প্রাপ্য অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আসতে হবে। আর পণ্য চালান কীভাবে কোন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণে এনবিআরের প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। এর বাইরেও আরও অনেক প্রক্রিয়া রয়েছে, যা বিদ্যমান মূসক বিধিতে উল্লেখ রয়েছে।

অথচ এসব প্রক্রিয়া ঠিকভাবে অনুসরণ না করে একটি প্রতিষ্ঠানে পণ্য সরবরাহ করে কেউ যদি শুল্ককর প্রত্যর্পণ দাবি করে, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। তাছাড়া এ ধরনের কাজ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রাথমিক যে ঠিকাদার তারা একবার প্রত্যর্পণ নিয়েছেন। ওই ঠিকাদার কাউকে সাব-কন্ট্রাকটর নিয়োগ দিলে তারাও যদি প্রত্যর্পণ দাবি করেন, তাহলে বিষয়টি দু’বার এসে যায়।

বিএসআরএম-এর কর ফাঁকির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএসআরএম কর্তৃপক্ষ দেশের অভ্যন্তরে পণ্য বিক্রি করে বিদেশে রফতানি করেছে বলে দেখিয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠানটির সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। অথচ তারা এগুলো মানতে চাইছে না বরং উচ্চ আদালতে তিনটি আর কাস্টমস; এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে আরও দু’টি মামলা করেছে। আমরা সঠিক প্রমাণাদি আদালতে প্রেরণ করেছি। আশা করছি আদালত বিষয়টি বুঝবে।

এনবিআরের তথ্য মতে, বৈদেশিক অর্থায়িত বিভিন্ন প্রকল্পে এভাবে পণ্য সরবরাহ করে ‘রফতানি বলে গণ্য’ সংজ্ঞার আওতায় সুবিধা নিয়ে আসছে বেশকিছু কোম্পানি। পরে এ বিষয়ে এনবিআরের ভ্যাট নীতি শাখা থেকে একটি ব্যাখ্যা সব কমিশনারেটে পাঠানো হয়।

কিন্তু সে ব্যাখ্যা উপেক্ষা করে ‘রফতানি বলে গণ্য’ সুবিধার আওতায় শুল্ককর অব্যাহতি চাচ্ছে বিএসআরএম। বিষয়টিকে আইন ও বিধিবহির্ভূত বলে আখ্যা দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখা থেকে দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিদেশি মুদ্রায় বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত কোনো প্রকল্প সম্পাদনে আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নিয়ে যদি দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠান কাজ পায়, তাহলে তারা এ প্রত্যর্পণ পাবে।

কিন্তু দরপত্রে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়ে যদি পণ্য সরবরাহের জন্য দেশীয় কোনো প্রতিষ্ঠানকে তারা সরবরাহকারী নিয়োগ দেয়, তাহলে তারা এ ধরনের প্রত্যর্পণ পাবে না। যেসব ক্ষেত্রে প্রত্যর্পণ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক দরপত্রে কাজ পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান। আর ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য সরবরাহ করছে বিএসআরএম। কাজেই তারা প্রত্যর্পণ পাওয়ার যোগ্য হবে না।

বর্তমানে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর আইনের ২(শ) ধারা ও মূল্য সংযোজন কর বিধিমালার ৩১ক বিধি মোতাবেক কোনো প্রতিষ্ঠান উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রফতানি করলে শুল্ক, কর ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি পায়।

তবে দেশের অভ্যন্তরে বিদেশি অর্থায়নে (ফরেন কারেন্সি) বাস্তবায়িত নির্দিষ্ট কোনো প্রকল্পে পণ্য বিক্রি করলেও সেক্ষেত্রে রফতানির সুবিধা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মূল দরপত্রে সরবরাহকারী হিসেবে নাম উল্লেখ থাকতে হবে। বিএসআরএম স্টিল এ ধরনের প্রকল্পে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য সরবরাহ করে শুল্ককর প্রত্যর্পণ নিয়েছে, কিন্তু প্রকল্পের মূল ঠিকাদার হিসেবে তারা তলিকাভুক্ত নয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ পেয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য সরবরাহ করছে বিএসআরএম। সুতরাং তারা এ ধরনের প্রত্যর্পণ পাওয়ার যোগ্য হবে না বলে মনে করে এনবিআর। তাই প্রত্যর্পণ নেওয়া অর্থ বিএসআরএমকে ফেরত দিতে বলেছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।

   

জ্বালানি তেল পরিবহনের খোলনলচে বদলে দিচ্ছে ৩ মেগা প্রকল্প



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন মেগা প্রকল্প বাংলাদেশের জ্বালানি তেল পরিবহনের খোলনলচে বদলে দিতে যাচ্ছে। মেগা প্রকল্প তিনটি হলো, এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং), বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্প এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন প্রকল্প।

এর মধ্যে এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) ও বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ইতোমধ্যেই অপারেশনে এসেছে। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন চলতি বছরেই শেষ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

এখন ভোক্তার হাতে জ্বালানি তেল পৌঁছাতে বহুঘাট ঘুরতে হবে না। আবার বৃষ্টি-বাদল কিংবা হরতাল, ধর্মঘটেও জ্বালানি তেল সরবরাহ থাকবে নির্ভার। শুধু কী নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চয়তা, তাও নয়, এক এসপিএম বছরে সাশ্রয় করবে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা! কমে যাবে জ্বালানি তেলের সিস্টেম লসও।

জ্বালানি তেল পরিবহনের খোলনলচে পাল্টে দিচ্ছে মেগা তিন প্রকল্প

এজন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্থাপন করা হয়েছে, এসপিএম উইথ ডাবল পাইপলাইন। এতদিন আমদানি করা জ্বালানি তেলের জাহাজ গভীর সমুদ্রে নোঙর করতো। সেখান থেকে লাইটার জাহাজে করে রিফাইনারি ট্যাংকে পৌঁছাতে সময় লাগত ১১, ১২ দিন। এসপিএম হওয়ায় সমপরিমাণ তেল পরিবহনে সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। এতে করে মাদার ভেসেলের ওয়েটিং চার্জ এবং লাইটারেজ জাহাজের পরিবহন খরচ আর থাকছে না।

মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে গভীর সমুদ্রে স্থাপন করা হয়েছে, ভাসমান বয়া। সেই বয়া থেকে সাগরের তলদেশ দিয়ে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের পৃথক দুটি পাইপলাইন পৌঁছে গেছে স্টোরেজ ট্যাংক টার্মিনালে। একটি ক্রড অয়েল সঞ্চালনের জন্য। আরেকটি দিয়ে সফলভাবে ডিজেল পরিবহন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

গভীর সমুদ্রে বয়াতে এসে নোঙর করবে মাদার ভেসেল। সেখান থেকে পাাইপলাইনের মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টায় তেল পৌঁছে যাবে চট্টগ্রামের জ্বালানি তেলের প্রধান স্থাপনায়।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেল ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী ও টেকসই করতে এসপিএম (সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং) কার্যকরী অবদান রাখবে। প্রকল্পটি চালু হলে বছরে ১ হাজার কোটি টাকা খরচ সাশ্রয় হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় ২শ ২০ কিলোমিটার পাইপলাইনে পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে ৬টি বিশালাকৃতির স্টোরেজ ট্যাঙ্ক; যার মাধ্যমে বাংলাদেশের তেল মজুত সক্ষমতা পৌঁছে গেছে নতুন এক উচ্চতায়।

এসপিএম প্রকল্পের পরিচালক শরীফ হাসনাত বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বড় জাহাজ থেকে তেল খালাস করতে অন্তত ১১ দিন সময় লাগে। কখনো কখনো এই তেল খালাস করতে আরো সময় লেগে যায়। বিশেষ করে সমুদ্র উত্তাল হয়ে পড়লে তখন খালাস করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। জাহাজ মালিকদের সঙ্গে চুক্তির চেয়ে বেশি সময় লাগায় কখনো কখনো জরিমানা গুণতে হতো। এসপিএম প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ২৮ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় ডিজেল ও ক্রুড অয়েল খালাস করা সম্ভব হবে। এতে একদিকে যেমন জাহাজ ভাড়া কমে আসবে, অন্যদিকে তেল পরিবহনে সিস্টেম লস ও নানান ধরনের চুরিও প্রতিরোধ সম্ভবপর হবে।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল উৎপাদন করে না। গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে প্রাপ্ত কনডেনসেট থেকে পেট্রোল এবং ৪০ শতাংশের মতো অকটেন জোগান আসে। বিপুল পরিমাণ ডিজেলসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে জোগান দেওয়া হয়। বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করা হয়, নদীপথে। কিন্তু নদী বন্দরগুলোতে নাব্যতার অভাবে বড় বড় জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারে না। সে কারণে নির্ভর করতে হয় লাইটারেজ জাহাজের ওপর।

মেগা প্রকল্প বদলে দিচ্ছে জ্বালানি তেল পরিবহনের ব্যবস্থা

মাদারভেসেল থেকে লাইটার বা ছোট জাহাজে করে তেল আনা হয়, বিপিসি’র (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) ডিপোতে।

বিপিসি থেকে আবার জাহাজে করে তেল দেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে রেলের ওয়াগন এবং ট্যাংকলরিতে করেও তেল পৌঁছাতে নানান রকম ঝাক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়। বিষয়টি ছিল সময়সাপেক্ষ ও অনেক কিছুর ওপর নির্ভরশীল। সেখানেও পরিবর্তনের হাওয়া লাগতে শুরু করেছে।

অবশেষে, ঢাকা-চট্টগ্রাম তেলের পাইপলাইন করার কাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ২০১৭ সালে প্রাক-সমীক্ষা শেষ হলেও নানা কারণে নির্ধারিত গতিতে চলতে পারেনি প্রকল্পটি।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অর্থায়নে গৃহীত এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ২শ ৩৭ কিলোমিটার, কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার, ফতুল্লা থেকে থেকে গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত সাড়ে ৮ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হবে। পাইপলাইনটি চালু হলে বছরে ৬৫ কোটি টাকা পরিবহন খরচ সাশ্রয় হবে বলে আশা করছে বিপিসি।

প্রকল্পের আওতায় ২শ ৩৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন চট্টগ্রাম ডেচপার্স টার্মিনাল ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রিসিভিং পয়েন্টের ফিনিশিংয়ের কাজ চলছে। ডিসেম্বরের আগেই পাইপলাইনটি চালু করার বিষয়ে আশাবাদী জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।

অন্যদিকে, দেশের শস্যভাণ্ডার খ্যাত উত্তরাঞ্চলের জ্বালানি পরিবহন ব্যবস্থা ছিল খুবই জটিল ও বহুঘাট, হাত ঘুরে। লাইটারেজে করে তেল নেওয়া হতো। এছাড়াও ট্যাংকলরি, আরেকটি রুট হচ্ছে রেলওয়ের মাধ্যমে পৌঁছানো। এখন সেখানেও পরিবর্তন এনেছে, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন।

দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সাশ্রয়ীভাবে জ্বালানি সরবরাহের জন্য ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ৩ হাজার ৬শ ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১শ ৩১.৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন নির্মাণের সময়কাল ছিল ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের আগেই পাইপলাইনটি চালু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতের নুমালীগড় থেকে বাংলাদেশের পার্বতীপুর ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত এই পাইপলাইনের কারণে উত্তরাঞ্চলের দৈনিক অতিরিক্ত ২৯ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি মজুত সক্ষমতা বৃদ্ধি হবে। সহজে বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ করা, উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় কম খরচে এবং দ্রুততম উপায়ে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে এই পাইপ লাইনের কারণে।

;

বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে প্রতিষ্ঠিত হলো ‘জেবিসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও মজবুত ও জোরদার করার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিলের (জেবিসি) প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এ উপলক্ষ্যে চুক্তি সই করেছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কাতারের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (কিউসিসিআই)।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং কিউসিসিআই চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। মূলত বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করতে এই চুক্তি স্বাক্ষ্যরিত হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে জেবিসি প্রতিষ্ঠা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে। এ চুক্তির আওতায় কাতারের ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পক্ষেও কাতারের রপ্তানি বাজার ধরা আরও সহজতর হবে এবং কাতার থেকে জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি সহজ হবে। একইসঙ্গে জেবিসির মাধ্যমে কাতারের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআই ও কিউবিসিসিআই’র মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও কাতারের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি হস্তান্তর, সেবা এবং অন্যান্য শিল্প খাতে বাণিজ্য কার্যক্রম জোরদারের একটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল।

এফবিসিসিআই এবং কিউসিসিআই উভয়ই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং পরিষেবা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উপকৃত হবে। পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসায়ীক তথ্যের আদান-প্রদান, সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেওয়া, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করাসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করবে জেবিসি।

এছাড়া উভয় পক্ষই বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য যৌথ বৈঠক আয়োজন করতে পারবে। চুক্তি অনুযায়ী প্রয়োজনে এফবিসিসিআই ও কিউসিসিআই সাব-কমিটি ও টাস্কফোর্স গঠন করতে পারবে।

 

;

সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৩১৩৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মাসে তিন দফা বৃদ্ধির পরে দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়েছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;

বোয়িং

৬ ড্রিমলাইনার নিয়ে শঙ্কা, কী আপডেট বিমানের



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিশ্বের সর্বাধুনিক উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৮৭ ‘ড্রিমলাইনার’-এর নির্মাণে ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে বলে দাবি করে এই মডেলের সব উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলী স্যাম সাহেলপৌর সম্প্রতি এ কথা বলায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ওই প্রকৌশলী অভিযোগ করেছেন, বোয়িং ৮৭৮ ড্রিমলাইনার ছাড়া বোয়িং ৭৭৭ অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে সব উড়োজাহাজের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এদের ঝুঁকি বিপর্যকর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।

স্যাম এটাও বলেন, আমি কখনোই উড়োজাহাজের এমন গুরুতর অবস্থা দেখিনি। তাই, কখনোই আমার পরিবারের সদস্যদের বোয়িং ড্রিমলাইনারে উঠতে দেবো না।

এই ঘটনার পর বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

এরপর বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিমানের পক্ষ থেকে বোয়িংয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো আপডেট পেলে মন্ত্রীকে জানাবো।

পরবর্তীতে মন্ত্রী বলেছেন, বিমানের বহরে থাকা ‘ড্রিমলাইনার’ উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় আপাতত কারিগরি সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এবং যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে কারিগরি বিষয়গুলো নিয়ে উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে দ্রুত কথা বলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশ সরকার ও বিমানের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তাই মুখ্য বিষয়।

ড্রিমলাইনার কতটা নতুন
বিমানমন্ত্রী ফারুক খান বোয়িংয়ের ত্রুটির বিষয়ে ত্বরিত নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি যেমন প্রশংসিত, তেমনি তিনি বলেছেন, ‘ড্রিমলাইনার’-এর উড়োজাহাজগুলো নতুন হওয়ায় এর কারিগরি ত্রুটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বোয়িং কোম্পানির উড়োজাহাজ, ছবি- সংগৃহীত

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের আগস্টে দেশে প্রথম ড্রিমলাইনার অবতরণ করে। এরপর একে একে বিমানের বহরে যুক্ত হতে থাকে ‘ড্রিমলাইনার’-এর উড়োজাহাজগুলো। সর্বশেষ, ‘ড্রিমলাইনার’টি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। সে হিসাবে এসব উড়োজাহাজ পুরোপুরি নতুন নয়।

দুর্ঘটনা পিছু ছাড়ছে না বোয়িংকে
মাঝ আকাশে আলাস্কা এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের দরজা খুলে যাওয়ার ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় এলো একই কোম্পানির ‘ড্রিমলাইনার’ মডেলের উড়োজাহাজগুলো।

‘ম্যাক্স’-এর ঘটনার পর বোয়িং ৭৮৭-৮০০ উড়োজাহাজের জানালায় ফাটলের ঘটনায় জাপানের তোয়ামা বিমানবন্দর থেকে নিপ্পন এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজটি ছেড়ে গিয়ে দ্রুতই আবার বিমানবন্দরে ফিরে আসে। দুটি ঘটনাতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় উড়োজাহাজ দুটি। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে বোয়িং ৭৪৭-এর একটি উড়োজাহাজে মাঝ আকাশে আগুন লাগে।

কেন বিমানের ড্রিমলাইনারের উইন্ডশিল্ডে ফাটল
বোয়িংয়ের উড়োজাহাজের দুর্ঘটনার ঝাপটা এসে লেগেছে বিমানেরও। গত জানুয়ারিতে বিমানের বোয়িং ৭৮৭-৯ উড়োজাহাজের উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখা দেয়।

দাম্মামগামী উড়োজাহাজটি দুই ঘণ্টা ফ্লাই করার পর ফের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরে আসে। বোয়িংটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন তানিয়া রেজা। উড়োজাহাজটি ২৮৫ জন যাত্রী নিয়ে ফের ঢাকায় অবতরণ করতে সক্ষম হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ করে। ওই উড়োজাহাজের উইন্ডশিল্ডেও ফাটল দেখা দিয়েছিল। যদিও সেটি বিমানের নিজস্ব উড়োজাহাজ নয়। এটি লিজে আনা হয়েছিল।

উইন্ডশিল্ডে ফাটলের বিষয়ে এক বৈমানিক বলেন, উইন্ডশিল্ডে ফাটল সচরাচর ঘটে না। মাঝ আকাশে উইন্ডশিল্ডে ফাটল অবশ্যই ভীতিকর। উইন্ডশিল্ড ভেঙে গেলে উড়োজাহাজের ভেতরে চাপ কমে তা ভারসাম্যহীন হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বিমানের প্রকৌশল পরিদপ্তরের পরিচালক এয়ার কমোডর মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, চার বছরের মাথায় সাধারণত উড়োজাহাজে এ ধরনের ঘটনা ঘটার কথা না।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এ বিষয়ে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য ও বিমান চলাচল বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘বোয়িং ম্যাক্স’ দুর্ঘটনার পর বোয়িংয়ের নিরাপত্তা ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার আবার নতুন করে ‘ড্রিমলাইনার’-এর নিরাপত্তার ইস্যুটি সামনে এলো। তাই, এটি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপিত বিষয়টির সুরাহা করা উচিত।

 

;