২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট
নতুন ব্যবসা উদ্যোগে বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা
যুবকদের মধ্যে সকল প্রকার ব্যবসা উদ্যোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো হবে। বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হলো। শক্তিশালী মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে।
জনপ্রত্যাশার এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। আর পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৬২ কোটি টাকা।
এবারের বাজেট মোট জিডিপির পাঁচ শতাংশ। টাকার অংকে বর্তমানে দেশের মোট জিডিপির পরিমাণ ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭২ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট হলো ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট।
ব্যয় মেটাতে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ ৭৭ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা। বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও এনবিআর-এনবিআর বহির্ভূত, সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার।
এবারও এক লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেট ঘোষণা করছেন অর্থমন্ত্রী। ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা।
উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। বিশেষ প্রণোদনা বাবদ ব্যয় দেখানো হয়েছে ১ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এছাড়াও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি রাখা হয়েছে ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকার।
বাজেটে ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেবে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা, ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা, জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ২৭ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও অনান্য খাত থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৩ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে স্বল্পমেয়াদী ১৯ হাজার ২৭০ কোটি এবং দীর্ঘমেয়াদী ২৮ হাজার ৯৪ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে।