নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অগ্রাধিকারে বরাদ্দ বেড়েছে ১৪৬০০ কোটি টাকা

অর্থবছর ২০১৯-২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন অর্থবছর ২০১৯-২০২০ এর প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। যেখানে নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অগ্রাধিকার খাতে গত বছরের তুলনায় ১৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার ( ১৩ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নতুন বাজেটে আসন্ন নতুন অর্থবছরে নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু অগ্রাধিকারের ব্যয়ের এ প্রস্তাব পেশ করেন।

গত বছর এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। যেটা আগামী অর্থ বছরে জন্য ৮০ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হবে। যা মোট বাজেটের ১৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বেড়েছে ১৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

   

একনেকে ৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম সংবাদ সম্মেলনে জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি।

তিনি জানান, সভায় ১১ টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

;

শেয়ার কারসাজির দায়ে হিরুদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে সমবায় অধিদফতরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও বিশিষ্ট শেয়ার ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হিরু ও তার সহযোগিদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই জরিমানা করেছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২২ অক্টোবরে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ারের দাম ছিল ৬৮ টাকা। যা এক মাসের ব্যবধানে শেয়ারটির দাম ১১৬ টাকায় তোলা হয়।

এর আগে, ২০২২ সালের জুনে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স এবং গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগে বিএসইসি আবুল খায়ের হিরুকে ২ কোটি টাকারও বেশি জরিমানা করেছিল।

২০২২ সালের মে মাসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আবুল খায়ের হিরু এবং তার সহযোগিদের সাফকো স্পিনিং মিলের শেয়ার ব্যবসায় সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড বাংলাদেশের বৃহত্তম কল সেন্টার পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ২০১৯ সালে শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক পাবলিক অফারের মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৬ শতাংশ ক্যাশ ও ৪ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২২ সালে দিয়েছিল ১১ শতাংশ ক্যাশ ও ২ শতাংশ বোনাস।

;

অসাধু ব্যবসায়ীদের রুখতে বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো ব্যবসায়ী অসাধু উপায়ে বাড়তি মুনাফা করার চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটি।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজারে স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এফবিসিসিআই'র বাজার মনিটরিং কমিটির মতবিনিময় সভায় এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই'র সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং বাজার মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মো. আমিন হেলালী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আমিন হেলালী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ী এবং তাদের সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষকে চিহ্নত করে সাজা নিশ্চত করতে হবে। এফবিসিসিআই'কে অসাধু ব্যবসায়ীদের তথ্য দিন। আমরা সরকারের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো।

রমজানে বাজার সহনশীল রাখতে বেসরকারি খাতের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এফবিসিসিআই বাজার মনিটরিং করছে বলে জানান সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে ভোক্তাদেরও ক্রয় অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। এক মাসের বাজার একদিনে না করে আরও সংযোমী হতে হবে।

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রতিটি বাজারে বণিক সমিতি বা বাজার কমিটির নিজস্ব নজরদারি ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মন্ডল। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা সচেতন ও সোচ্চার হলে পণ্যে ভেজাল রোধ এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার এবং এফবিসিসিআই এর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে জানান মোহাম্মদপুর টাউনহল কাঁচাবাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বাবুল।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই'র পরিচালকবৃন্দ, সাবেক পরিচালকবৃন্দ, বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

;

ক্ষুদ্রঋণে ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার বাড়াতে বিকাশ ও ডাটাসফটের উদ্যোগ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষুদ্রঋণে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মঘণ্টা সাশ্রয়, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি, সহজে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন, ২৪/৭ লেনদেনের রিপোর্টিং, ক্যাশ বহন করার ঝুঁকি কমানো, ক্যাশ ম্যানেজমেন্টসহ সার্বিক ক্ষুদ্রঋণ খাতে দক্ষতা ও গতিশীলতা আনা সম্ভব বলে মত প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারে অভ্যস্ততা ও সচেতনতা বাড়াতে বিকাশ ও ডাটাসফট-এর আয়োজনে এক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফট-এর মাইক্রোফিন-৩৬০ সল্যুশন ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর এবং ডাটাসফট-এর প্রেসিডেন্ট এম. মনজুর মাহ্‌মুদ, বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সেমিনারে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের সুবিধা যেমন – সহজে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা কালেকশন, ২৪/৭ লেনদেনের রিপোর্টিং, ক্যাশ বহন করার ঝুঁকি কমানো, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা বৃদ্ধি, অটোমেটিক ব্যাংক সেটেলমেন্ট, ডিজিটাল রিসিট ও পাসবুক, যেকোনো সময়/স্থান থেকে কিস্তি ও সঞ্চয়ের টাকা প্রদান, *২৪৭# ডায়াল করে মাইক্রোফাইন্যান্স পেমেন্ট, এজেন্ট পয়েন্ট থেকে পেমেন্ট প্রদান সহ সার্বিক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম আরও কার্যকর, সহজ, দ্রুত, সময় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ করার বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

এসময় ক্ষুদ্রঋণ কর্মকাণ্ডে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন মুসলিম এইড বাংলাদেশ-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহফুজুর রহমান চৌধুরী ও পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)-এর মাইক্রোফাইন্যান্স বিভাগের ডিরেক্টর মশিউর রহমান। এছাড়াও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ব্যুরো বাংলাদেশের অপারেশন ডিরেক্টর ফারমিনা হোসেন, সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন এন্ড প্র্যাকটিসেস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিফতা নাঈম হুদা এবং বাসা ফাউন্ডেশন-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আ. ক. ম. সিরাজুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ডাটাসফট দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের মাইক্রোফিন৩৬০ সল্যুশনের মাধ্যমে ডাটা ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম সেবা দিয়ে আসছে। ডাটাসফটের এই সেবা ব্যবহার করা দুইশতাধিক ক্ষুদ্রঋণদানকারী এনজিওর প্রায় এক কোটি গ্রাহক এখন বিকাশ-এর মাধ্যমে কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ঋণের কিস্তি পরিশোধের সুবিধা পাচ্ছেন যা তাদের মূল্যবান সময় ও খরচ বাঁচাচ্ছে। বিকাশ ও ডাটাসফটের যৌথ সেবা সারাদেশের পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সম্বন্বয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তারা।

;