বিজিএমইএ নির্বাচন: একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিলের হুমকি



উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একই পরিবার থেকে একাধিক ব্যক্তির সদস্যপদ বাতিল করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। ইতোমধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্যকে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৪ মার্চ বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে উপস্থিত হয়ে কেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্ত্রী কাজী মেহজাবিন মমতাজ ও বোন আয়শা আক্তারের সদস্য পদ বাতিল হবে না- সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, পোশাক শিল্প খাতে একই পরিবারের তিন সদস্য উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। তারা তিনজনই বিজিএমইএ’র সদস্য। গড়ে তুলেছেন ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেড, ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্ট, জেড এ অ্যাপারেলস ও ওয়েমার্ট অ্যাপারেলস লিমিটেড।

এর মধ্যে প্রথম দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. জাহাঙ্গীর আলম। আর তৃতীয়টির চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সহধর্মিনী কাজী মেজাবিন মমতাজ ও ওয়েমার্ট’র পরিচালক বোন আয়েশা আক্তার।

আরো জানা গেছে, বারবার নির্বাচন পিছিয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদ নির্ধারণ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আর এই প্রক্রিয়ায় যারা পরিবর্তন চান তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মো. জাহাঙ্গীর আলম পরিবর্তনের পক্ষে কথা বলায় তিনি ও তার পরিবার সদস্যদের বিজিএমই’র সদস্য পদ বাতিলের হুমকি দিয়েছে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ।

তিন দফায় বিজিএমইএ’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল প্রায় দেড় বছর। ফের সমঝোতার মাধ্যমেই কমিটি গঠন করতে চাচ্ছে ফোরাম ও পরিষদ। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে স্বাধীনতা পরিষদকে নিয়ে। সমঝোতা নয় নির্বাচন চায় স্বাধীনতা পরিষদ।

স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘ভোটের প্রক্রিয়া না থাকলে ভোটারদের কদরথাকে না। ভোটারদের অধিকার আদায়ও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই যাইহোক নির্বাচন হওয়াটা জরুরি। তাহলে ভোটারদেরঅধিকারের বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হবেন নেতারা।’

কিন্তু এরই মধ্যে বিজিএমইএ’র নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য স্বাধীনতা পরিষদের সদস্যদের ওপর নানামুখী চাপপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে কথা বলে বিজিএইএ’র ভাবমূর্তি নষ্টের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয় জাহাঙ্গীর আলমকে। গত জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে ও ফেব্রয়ারির শুরুর দিকে দুই দফায় চিঠি দেওয়া হয় মো.জাহাঙ্গীর আলমকে।

দুই দফা জবাবও দেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। কিন্তু থেমে যায়নি বিজিএমইএ। কোনোভাবেই যখন নির্বাচন থেকে সরে যেতে রাজি নন, তখন স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম সহ তার স্ত্রী ও বোনের বিজিএমইএ থেকে সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না- সেটা জানতে চেয়ে চিঠি দেয় বিজিএমইএ।

এসব বিষয়ে স্বাধীনতা পরিষদের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমি গণমাধ্যমকে এমন কোনোকথা বলিনি যাতে বিজিএমইএ’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। আমি আমার অবস্থানের স্পষ্ট ব্যাখা দিয়ে বিজিএমইএ‘র চিঠির জবাব দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনোটিই ঠিক নয়। নির্বাচনে প্রর্থী হতে চাওয়া একজনসদস্যের প্রতি এ ধরণের আচরণ সত্যি দুঃখজনক।’

তিনি আরো বলেন, ‘এসব বিষয়ের সাথে আমার স্ত্রী বা বোন কোনোভাবেই জড়িত না। তাহলে তাদের সদস্য পদ বাতিলকরার বিষয়ে কেন প্রশ্ন আসছে- তা বুঝতে পারছি না।’

জানো গেছে, ডিজাইন অ্যান্ড সোর্স লিমিটেড ও ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্টের পক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলমের সদস্যপদ নম্বর ৩১০৮ ও ৬২২১, জেড এ অ্যাপারেলসের পক্ষে কাজী মেহজাবিন মমতাজের সদস্যপদ নম্বর ৫৫৪৩ এবং ওয়েমার্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডের পক্ষে  আয়শা আক্তারের বিজিএমইএ’র সদস্য পদ নম্বর ৪৫২৫।

তবে নির্বাচনের আগে এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিজিএমইএ’র বর্তমান কর্তৃপক্ষ। বিজিএমইএ’র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এসব বিষয়ে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, আগামী ৬ এপ্রিল বিজিএমইএ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

   

ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থী নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থীভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তিও বাতিল করেছে ওয়ালটন। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ৬টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সাথে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।

এর আগে, ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটন জানিয়েছে দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ওয়ালটন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বর্ণাঢ্য এ ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপক সহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছি এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ পরবর্তী প্রথম কর্মদিবসে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এক বর্ণাঢ্য ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান কার্যালয়ে এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন- ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

এসময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ, আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান, ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানগণ, বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, ঢাকাস্থ কয়েকটি শাখার ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন নির্বাহীদের বক্তব্যের পাশাপাশি অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঈদ ও বাংলা নববর্ষ বরণের অনুভূতি ব্যক্তকরণ, স্মৃতিচারণ, কৌতুক, গান, স্বরচিত কবিতা ও কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি পরিবেশনা অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত ও বর্ণিল করে তোলে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাফর আলম নিজের ঈদ উদযাপনের অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে যাদের সাথে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটাই তারা আমাদের আরেকটি বৃহৎ পরিবার। এই পরিবারের সকলের সাথে ঈদ ও নববর্ষের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরেছি, এটা অনেক আনন্দের। আমরা সকলে মিলে এই ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, আমাদের ব্যাংক রেমিট্যান্স, আমানত ও গ্রাহক সংখ্যায় ভালো করছে। ব্যাংকের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

;

একীভূতকরণ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংকের বাইরে আপাতত অন্য কোনো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।

তিনি জানান, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একভূতীকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকগুলোর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংক একীভূত করা হবে কি না, সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংকের একীভূতকরণের ঘোষণার পর তালিকায় এসেছে সরকারি-বেসরকারি আরও ডজনখানেকের নাম। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করেই সুশাসন ফেরানো যাবে না এই খাতে। ব্যবস্থা নিতে হবে দায়ী পরিচালকদের বিরুদ্ধেও।

এদিকে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালার আলোকে দুর্বল (খারাপ অবস্থা) থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। তার আগে দুই ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।

এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে ব্যাংকের অনুসরণের এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;