বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা কড়াপুর ইউনিয়নের শোলনা গ্রামের ট্রাক চালক আনোয়ার হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান রায়হান। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকে আসাদুজ্জামান রায়হান প্রতিদিনের মতো গত ৫ আগস্ট নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। তখন অনেকগুলো গুলি (রাবার বুলেট) আসাদুজ্জামান রায়হানের শরীরের বিভিন্নস্থানে বিদ্ধ হয়। তারমধ্যে একটি গুলি রায়হানের ডান চোখের ভিতর বিদ্ধ হয়। যা এখনো বহন করে যন্ত্রণায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন রায়হান।
অর্থাভাবে চিকিৎসকদের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা না হওয়ায় চোখের দৃষ্টি হারানোর শঙ্কায় আছেন বরিশাল ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) বিবিএ-এর শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান রায়হান। বর্তমানে তিনি ঢাকার ধানমন্ডি বাংলাদেশ আই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসক বলেছেন, তার চোখ রক্ষা করতে হলে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে হলে প্রায় দশ লাখ টাকা প্রয়োজন। যা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।
রায়হানের বাবা ট্রাক চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন তেমন কোনো কাজকর্ম নেই। তাই সংসার চালাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, চোখের সামনে সন্তানের এই অসহ্য যন্ত্রণা দেখে আর সহ্য করতে পারছি না। তাই ছেলের চিকিৎসার জন্য বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার ও সমাজের মহানুভব ব্যক্তিদের সাহায্য কামনা করছি।
আহত আসাদুজ্জামানের স্ত্রী অপ্রিম আক্তার বাবনী জানান, ঢাকায় আসাদুজ্জামানের চোখের একটি অপারেশন শেষ হয়েছে। চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাহিরে নিতে বলেছেন। যার খরচ বহন করা তাদের পক্ষে অসম্ভব। এজন্য অন্তবর্তীকালীন সরকার ও দেশবাসীর কাছে তারা সহযোগিতার জন্য হাত পেতেছেন।
আসাদুজ্জামান রায়হানের চিকিৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে চাইলে তার নিজের ০১৭৯০-৮৬৯৩২৮ (বিকাশ/নগদ) নাম্বার যোগাযোগ করা যাবে।।