যেভাবে হ্যাক হচ্ছে আপনার ফেসবুক পেজ



তোহা ইব্রাহিম সিজান
যেভাবে হ্যাক হচ্ছে আপনার ফেসবুক পেজ

যেভাবে হ্যাক হচ্ছে আপনার ফেসবুক পেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ দেখলেন কোনো এক ভদ্রলোক হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে মেসেজ করেছে এবং আপনার ফেসবুক পেজে বিনামুল্যে ২-৩ হাজার ডলার বুস্ট করে দেওয়ার অফার করছে।

আপনি খুব আগ্রহের সাথে ভদ্রলোকের অফারে রাজি হলেন,ভদ্রলোক এবার আপনাকে দিয়ে আপনার পেজটি তার বিজনেস ম্যানাজারে কানেক্ট করিয়ে নিবে।

এবার আপনার মাথায় আকাশ ভাঙার পালা,ভদ্রলোক টি আসলে অভদ্র হ্যাকার ছিল,আপনার পেজ অলরেডি হ্যাকারের কন্ট্রোলে চলে গিয়েছে।

বর্তমানে  আমাদের  দৈনন্দিন জীবনের কার্যক্রম অনেকটাই ফেসবুকের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরেছে।

পাশাপাশি অনলাইন বিজনেস বা ই-কমার্সের বড় একটা  অংশ ফেসবুক পেজ নির্ভর।যায়হোক ফেসবুক পেজের গুরুত্ব বা ভূমিকা কমবেশি আমরা সবাই জানি, আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ফেসবুক পেজ হ্যাক নিয়ে।

ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে পাবলিক ফিগার পেজ বা বিজনেস পেজ হ্যাক হওয়ার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।এক শ্রেণীর হ্যাকার চক্র খুব কৌশলে হ্যাক করে নিচ্ছে  মুল্যবান  ফেসবুক পেজ গুলো। হ্যাকার দের টার্গেট একটু বড় পেজের দিকে ,অর্থাৎ বেশি লাইকের পেজে।

শুরুতেই   বিজনেস ম্যানাজার এর মাধ্যমে হ্যাক হওয়ার ব্যাপার উল্লেখ করেছিলাম, বিজনেস ম্যানাজার এর নাম শুনলেও অনেকেই হয়তো জানেন না এটা কীভাবে কাজ করে, তাই শুরুতেই চলুন জেনে নেওয়া যাক বিজনেস ম্যানাজার কি এবং কিভাবে কাজ  করেঃ

ফেসবুক বিজনেস ম্যানাজার এমন একটি একাউন্ট বা ফাংশন যা একটি ফেসবুক পেজের জন্য সর্বময় ক্ষ্মতার অধিকারি।যদি কোনো ফেসবুক পেজে বিজনেস ম্যানাজার একাউন্টে সংযুক্ত করা থাকে তাহলে সেই বিজনেস ম্যানাজার একাউন্ট থেকে পেজের যেকোনো এডমিন কে যেকোনো সময় পেজ থেকে রিমুভ করে দেওয়া যায়।কিন্তু পেজে থাকা একাধিক এডমিন মিলেও পেজ থেকে বিজনেস ম্যানাজার একাউন্টটি রিমুভ করতে পারবেনা।তাহলে বুঝতেই পারছেন বিজনেস ম্যানাজার একাউন্ট এর ক্ষমতা।

এছাড়াও বিজনেস ম্যানাজার দিয়ে ফেসবুকে বুষ্ট বা এডস রান করা সহ অনেক কাজ করা যায় ,কিন্তু আমরা আজ শুধু আমরা আলোচনা করবো বিজনেস ম্যানাজার এর সাথে ফেসবুক পেজের সম্পর্ক নিয়ে।

ধরুন আপনার একটি বিজনেস ম্যানাজার একাউন্ট আছে ,এখন আপনি যদি চান আপনার বন্ধুর ফেসবুক পেজ আপনার বিজনেস ম্যানাজারে সংযুক্ত করবেন ,এতে আপনার বন্ধুর পেজে আপনি এডমিন না থাকলেও চলবে।আপনাকে আপনার বিজনেস ম্যানাজার এর পেজ অপশন থেকে আপনার বন্ধুর পেজ এড করতে হবে এবং আপনার বন্ধুর ইমেইলে ফেসবুক থেকে মেইল যাবে যে আপনি তার পেজ আপনার বিজনেস ম্যানাজারে এড করতে চাচ্ছেন,আপনার বন্ধু যদি একসেপ্ট করে তাহলে আপনি তার পেজের সমস্ত এক্সেস পেয়ে যাবেন।

এমন আরো কিছু অপশন আছে যার অপব্যাবহার করে হ্যাকার আপনার আমার পেজ হ্যাক করে নিয়ে যাচ্ছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক যেভাবে হ্যাক হচ্ছে ফেসবুক পেজ গুলোঃ

পদ্ধতি ১-

আপনার ফেসবুক পেজ মেনশন হয়েছে এমন একটা নোটিফিকেশন আসবে আপনার কাছে,সেখানে যেয়ে দেখতে পাবেন “ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডাস ,ভেরিফিকেশন পেজ ইত্যাদি টাইপের পেজ থেকে আপনার পেজ সহ আরো অনেক পেজ মেনশন করেছে এবং লিখে রেখেছে আপনার পেজে ভায়োলেশন হয়েছে তাই ভেরিফিকেশন করতে হবে,সেই মর্মে একটা লিংকে ক্লিক করতে বলবে।

আপনি যদি ভুলে সেই লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনার একাউন্ট হ্যাক হওয়ার দ্বার প্রান্তে চলে গেলেন,কারন লিংকে ক্লিক করার পরে হুবহু ফেসবুকের লগইন পেজের মত একটা পেজ আসবে যেখানে আপনার পাসয়ার্ড দিতে বলবে ,বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী ভুলটা এখানেই করে বশেন,তারা এই ভুয়া লগইন পেজ দেখে আসল ভেবে বসেন তখনই পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন সেখানে,তখন সাথে সাথে আপনার পাসওয়ার্ড চলে যাবে হ্যাকারের কাছে।

আর হ্যাকারের কাছে পাসওয়ার্ড যাওয়া মানে আপনার একাউন্ট হ্যাক সাথে আপনার ফেসবুক পেজ ও হ্যাক হয়ে যাবে।

পদ্ধতি ২

হ্যাকার যেকোনো ভাবে আপনার ফেসবুক একাউন্টে থাকা ইমেইলে সংগ্রহ করবে এবং আপনাকে ফেসবুক এর নাম করে একটা ফেইক ইমেইল থেকে মেইল পাঠাবে এই সংক্রান্তে যে আপনার পেজে ভায়োলেশন পাওয়া গেছে এবং আপিল করার জন্য একটি লিংক পাঠাবে।এরপর পদ্ধতি ১ এ যেভাবে বর্ণ্না করেছি এমন একটা ঘটনা ঘটতে পারে এবং আপনার একাউন্ট সহ পেজ হ্যাক হতে পারে।

পদ্ধতি ৩

লেখার শুরুতে বলেছিলাম এ ব্যাপারে  যে কেউ একজন ইমেইলের বা হোয়াটসএপ এর মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে ,সে বলবে আপনার পেজে তার ভালো লেগেছে এবং আপনার পেজের সাথে সে কাজ করতে চায়।আপনার পেজে  আনুমানিক ৩-১০ হাজার ডলার বুস্ট/এডস দিয়ে দিবে এমন একটি অফার দিবে।এমন একটি অফার তো কেউ হাতছাড়া করতে চায়বেনা।আপনি যদি রাজি হয়ে যান তাহলে সে আপনার একাউন্টে থাকা ইমেইল চাইবে,আপনি যদি আপনার ইমেইলটি তাকে প্রদান করেন তাহলে সে তার বিজনেস ম্যানাজার এ আপনাকে এডমিন করে দিবে এবং আপনাকে বলবে সেই বিইজনেস ম্যানাজারে আপনার পেজ টি এড করে দিতে।আপনার যদি বিজনেস ম্যানাজার নিয়ে ধারনা না থাকে তাহলে আপনি কোনো প্রকার সন্দেহ ছাড়াই আপনার পেজটি তার বিজেনস ম্যানাজারে এড করে দিবেন,মজার ব্যাপার হলো আপনার যেহেতু বিজেনস ম্যানাজার নিয়ে ধারনা নেই তাই হ্যাকার আপনাকে সব কিছু স্ক্রিনশর্ট দিয়ে দেখিয়ে দিবে কিভাবে আপনার পেজ সেখানে এড করতে হয়

সুতরাং আপনার ফেসবুক প্রোফাইল এবং পেজ হ্যাকার থেকে নিরাপদ রাখতে নিম্নে বর্নিত কয়েকটি নির্দেশনা অনুসরণ ক্রুনঃ

১।ফেসবুক একাউন্টে টু ফেক্টর অথেনটিকেশন ফিচার এক্টিভ রাখুন।

২।আপনার ফেসবুক পেজ আপনার নিজস্ব বিজনেস ম্যানাজার কানেক্ট করে রাখুন।

৩। Facebook.com ব্যাতিত কোনো লিংকে যেয়ে আপনার ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৪।ফেসবুকে কোনো নোটিফিকেশন পেলে তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করে দেখুন সেটা ফেসবুকের পক্ষ থেকে কিনা এবং সেখানে কি বলা আছে।

৫। আপনার ন্যাশনাল আইডেন্টি কার্ডের সাথে মিল রেখে ফেসবুক প্রোফাইলের নাম করন করে রাখবেন।এতে করে আপনার প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গেলেও রিকোভার করতে পারবেন।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;