সর্ববৃহৎ গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করলো হুয়াওয়ে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের ডংগুয়ানে নিজেদের সর্ববৃহৎ গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি প্রটেকশন ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে।

বুধবার (০৯ জুন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন জিএসএমএ, এসইউএসই, ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্সটিটিউশনের প্রতিনিধিগণ এবং সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রকরা।

নতুন সেন্টার চালু করার পাশাপাশি হুয়াওয়ে এর প্রোডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইন প্রকাশ করেছে। যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো এর প্রডাক্ট সিকিউরিটি বেজলাইন ফ্রেমওয়ার্ক ও ব্যবস্থাপনা অনুশীলন পুরো খাতের জন্য উন্মুক্ত করে হুয়াওয়ে। এ পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠানটির খাতজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে ক্রেতা, সাপ্লায়ার, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট নির্ধারক সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে যৌথভাবে কাজের প্রচেষ্টা গ্রহণের বিস্তৃত পদক্ষেপের অংশ।

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান কেন হু বলেন, সাইবার নিরাপত্তা এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, একীভূত শিল্পখাত হিসেবে আমাদের একসাথে কাজ করা প্রয়োজন এবং শাসন ব্যবস্থা, মানদণ্ড, প্রযুক্তি ও যাচাইকরণে নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো আদান-প্রদান করতে হবে। সাধারণ মানুষ এবং নিয়ন্ত্রকরা যেনো প্রতিদিনকার ব্যবহৃত পণ্য ও সেবার নিরাপত্তার ব্যাপারে আস্থা রাখতে পারেন, আমাদের সে কারণ তৈরি করতে হবে। একসাথেই আমরা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বিশ্বে নিরাপত্তা ও উন্নয়নের সঠিক ভারসাম্য বজায়ে কাজ করতে পারি।

বিগত বছরগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি ডিজিটালাইজেশন এবং ফাইভজি ও এআই এর মতো নতুন প্রযুক্তি সাইবার ক্ষেত্রকে আগের চেয়ে বেশি জটিল করে তুলেছে। এক্ষেত্রে, আরও ভূমিকা রেখেছে কোভিড-১৯। এই পরিস্থিতিতে মানুষের অনলাইনে অনেক বেশি সময় কাটানো। এসব প্রবণতাই সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।

এসব বিষয় চিহ্নিত এবং সাইবার গভর্নেন্স নিয়ে খাত-সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের দক্ষতার আদান-প্রদানে, পাশাপাশি প্রযুক্তিগত সমাধান নিয়ে একসাথে কাজ করার জন্য হুয়াওয়ে ডংগুয়ানের নতুন এই সেন্টার চালু করেছে। এর মাধ্যমে নানা সমাধান প্রদর্শন করা হবে ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান করা হবে, যোগাযোগ ও যৌথ উদ্ভাবন বৃদ্ধিতে কাজ করা হবে এবং সিকিউরিটি টেস্টিং ও ভেরিফিকেশনে সহায়তা প্রদান করা হবে। সেন্টারটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্বাধীন তৃতীয় পক্ষ টেস্টিং প্রতিষ্ঠান, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং হুয়াওয়ের ক্রেতা, অংশীদার ও সাপ্লায়ারদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

টেলিকম খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে একটি সমন্বিত পদ্ধতি জোরদারকরণে জিএসএমএ ও থ্রিজিপিপি খাতসংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে এনইএসএএস সিকিউরিটি অ্যাসুরেন্স স্পেসিফিকেশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট সার্টিফিকেশন বিষয়ে উৎসাহিত করতে কাজ করছে। এ বেজলাইনগুলো সংশ্লিষ্ট খাতে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এবং সুরক্ষিত নেটওয়ার্কের উন্নয়নে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জিএসএমএ’র মহাপরিচালক ম্যাটস গ্র্যানরিড বলেন, ফাইভজি যুগে বিদ্যমান ও নতুন সেবা প্রদান বিশেষভাবে নির্ভর করবে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলোর কানেক্টিভিটি সেবা এবং মূলত নির্ভর করবে এ প্রযুক্তি সুরক্ষা এবং এর ওপরে আস্থার ওপরে।

তিনি বলেন, অংশীজনদের সহায়তা করতে জিএসএমএ ফাইভজি সিকিউরিটি নলেজ বেসের মতো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে তারা নেটওয়ার্কের ঝুঁকি বুঝতে পারেন এবং এ ঝুঁকি প্রশমনে কাজ করতে পারেন। অন্যদিকে, শিল্পখাতজুড়ে নেটওয়ার্ক সরঞ্জামের বিকাশ ও নিরাপত্তার উন্নয়নে শিল্পখাত সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটি অ্যাসুরেন্স ফ্রেমওয়ার্ক ‘এনইএসএএস’ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে এর প্রডাক্ট সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন প্রকাশ করে। পণ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় এক দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা, বিস্তৃত পরিসরের বাহ্যিক বিধিমালা অন্তর্ভুক্তিকরণ, কারিগরি মানদণ্ড এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজনীয় বিষয় সমন্বিত করে প্রডাক্ট সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন তৈরি করা হয়েছে। এ বেজলাইন হুয়াওয়ের অন্যান্য গভর্নেন্স মেকানিজমের সাথে মিলে প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মান, সুরক্ষা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিতে সহায়তা করবে। বিগত বছরগুলোতে হুয়াওয়ে ১৫শ’র বেশি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে যা ১শ’ ৭০টি দেশে ৩শ’ কোটির বেশি মানুষকে যুক্ত করেছে। এর মধ্যে কোনও নেটওয়ার্কে বড় ধরনের কোনও সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা উদ্ভূত হয়নি।

হুয়াওয়ের গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি প্রটেকশন অফিসের পরিচালক শন ইয়াং বলেন, আমরা ক্রেতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রযুক্তি সেবা দাতা এবং টেস্টিং প্রতিষ্ঠান সহ সকল অংশীজনদের আমন্ত্রণ জানাই আমাদের সাথে কাজ যুক্ত হয়ে একসাথে সাইবার সিকিউরিটি বেজলাইন নিয়ে আলোচনা করার ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। একসাথে আমরা ধারাবাহিকভাবে এ শিল্পখাতে পণ্যের নিরাপত্তার উন্নয়নে কাজ করতে পারি।

বর্তমানে মানদণ্ডের ভিত্তির ক্ষেত্রে এ খাতে এখনও অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে; বিশেষত, গভর্নেন্স, কারিগরি সক্ষমতা, সার্টিফিকেশন ও যৌথ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে।

‘সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবার দায়িত্ব রয়েছে, উদ্বোধনী বক্তব্যের শেষে বলেন কেন হু। সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ শনাক্তে সমন্বিত পদ্ধতি নিয়ে সরকার, মানদণ্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং প্রযুক্তি সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর একসাথে কাজ করতে হবে। এটা অবশ্যই আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা হতে হবে। আমাদের সবার সমন্বিত লক্ষ্য থাকতে হবে, দায়িত্বের ব্যাপারে একসাথে হতে হবে এবং বিশ্বাসযোগ্য ডিজিটাল পরিবেশ তৈরিতে একসাথে কাজ করতে হবে, যা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।

   

বেসিস নির্বাচন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি চাই’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছ থেকে এই ট্যাক্স এক্সেমশন আদায় করতে চাই। টিম সাকসেসের দৃঢ় বিশ্বাস, তথ্যপ্রযুক্তির মেধা আর চাহিদা সমন্বয় করতে এই ট্যাক্স এক্সেমশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

সম্প্রতি কাকরাইলে আইডিইবি মিলনায়তনে নির্বাহী কমিটির ১১ পদে ৩৩ প্রার্থীর পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেশের সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০২৪-২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে তিন প্যানেলে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের পক্ষে ফ্লোরা টেলিকমের মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক বলেন, আমাদের একটি বড় লক্ষ্য বেসিসের জন্য স্থায়ী ঠিকানা গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটি স্থায়ী জমি, তার উপর নির্মাণ করা হবে বেসিসের নিজস্ব ভবন। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কারার জন্য আমরা ঢাকা সিটি মেয়র এবং রাজউক কর্তৃপক্ষকে সাথে রেখে নিষ্ঠার সাথে এই সাফল্য অর্জন করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সদস্যদের সবচেয়ে জরুরি দাবি কর অব্যাহতির সময় বাড়াতে কাজ করতে চাই। বর্তমানে ২০২৪ সালের জুন মাসে এই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

অনুষ্ঠানে টিম সাকসেসের অন্য প্রার্থীরা তাদের পরিচিতি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য তৌফিকুল করিম, মোহাম্মদ আমিনুল্লাহ, মো. সহিবুর রহমান খান, ফারজানা কবির, মো. শফিউল আলম, ইমরান হোসেন, সৈয়দা নাফিসা রেজা এবং এন এম রাফসান জানি (সহযোগী), আবদুল আজিজ (অ্যাফিলিয়েট) ও আবু মুহাম্মদ রাশেদ মজিদ (আন্তর্জাতিক)।

প্রার্থী পরিচিতি সভা পরিচালনা করেন বেসিসের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান টি আই এম নুরুল কবির। তার সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন বোর্ডের অপর দুই সদস্য সৈয়দ মামনুর কাদের ও নাজিম ফারহান চৌধুরী। নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান এ তৌহিদ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের মোট সদস্যসংখ্যা ২ হাজার ৪০১। তবে এবারের নির্বাচনে ভোটার হয়েছেন ১ হাজার ৪৬৪ জন। তাদের মধ্যে সাধারণ ৯৩২, সহযোগী ৩৮৯, অ্যাফিলিয়েট ১৩৪ ও আন্তর্জাতিক সদস্য শ্রেণিতে ভোটার ৯ জন।

;

এক মাসেও ঠিক হচ্ছে না দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সিমিউই-৫) থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে দেশে ইন্টারনেট সমস্যার এখনো কোনো সমাধান হয়নি। ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে গ্রাহকেরা এবার দীর্ঘ দুর্ভোগে পড়েছেন।

ক্যাবল মেরামত না হওয়ায় সহসাই এই সমস্যার সমাধান মিলছে না। রাষ্ট্রায়ত্ব বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মূলত গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সিমিউই-৫ ক্যাবলটি কাটা পড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

সাবমেরিন ক্যাবলের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ার সাগর অংশে প্রবেশের অনুমতি এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমতি পেতে তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এরপর কাটা ক্যাবল মেরামত করতে আরও ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যেতে পারে। সব মিলিয়ে এক মাসেও দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল থেকে ব্যান্ডউইথ পুরোপুরি সরবরাহ করা সম্ভব হবে না।

তবে বিকল্প উপায়ে তারা দেশব্যাপী ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এখন পর্যন্ত তারা যে পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সরবরাহের চাহিদা পেয়েছেন প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল থেকে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ৪০ শতাংশ পূরণ করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সচল এখনো করা যায়নি। এজন্য কাজ করছে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। তারা বলছে, ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। এই সময়কালে তারা চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ইন্টারনেট সচল করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি)।

;

ডেটায় সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ ও তীব্র প্রতিযোগিতা থাকার পরেও ডেটা সেবা থেকে আয়ের উপর নির্ভর করে সামগ্রিক আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে রবি। মোট ডেটা গ্রাহকের বিচারে এই খাতে সর্বোচ্চ শতাংশ ফোরজি গ্রাহক নিয়ে রবি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে তার অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।

নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে নতুন ৫৭৭টি ফোরজি সাইট যুক্ত করেছে রবি। পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের ফলে রবি'র ৮১ শতাংশের বেশি ডেটা গ্রাহক এখন ফোরজি ব্যবহারকারী, যা এই খাতে সর্বোচ্চ। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৪) প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির আয় হয়েছে ২ হাজার ৫১৬ দশমিক ২ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। একই সময়ের ব্যবধানে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

রবি'র আর্নিংস বিফোর ইন্টারেস্ট, ট্যাক্স, ডেপ্রিসিয়েশন এবং এমোর্টাইজেশন (ইবিআইটিডিএ) গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেড়ে ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মার্জিনসহ ১ হাজার ২২০ দশমিক ২ কোটি টাকা হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ছিল ১০৬ দশমিক ৭ কোটি টাকা, আর কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল শূন্য দশমিক ২ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রবির গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৮১ লাখে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৩৬ লাখ। ফোরজি ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। রবির গ্রাহকদের ৭৫ শতাংশেরও বেশি ডেটা ব্যবহার করেন যা এই খাতে সর্বোচ্চ।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে এক হাজার ৬০৫ দশমিক ৫ কোটি টাকা, যা ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে রবির অর্জিত আয়ের ৬৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এ সময়ে ৩৬৬ দশমিক ২ কোটি টাকা মূলধনী বিনিয়োগ করেছে কোম্পানিটি।

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‍আমরা দেখতে পাচ্ছি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং মূল্যস্ফীতির প্রভাব আমাদের গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের ওপর পড়ছে। একইসাথে লক্ষণীয় যে, স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যবহারের প্রসার অনেকাংশে থমকে গেছে।

উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের তুলনায় ডেটা ব্যবহার বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে অতি সত্বর স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রসার বাড়াতে সরকার থেকে নীতি সহায়তা প্রয়োজন।

গুণগত মান নিশ্চিত করে সেবা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রাজীব শেঠি বলেন, গ্রাহকের অভিজ্ঞতা দিয়েই বলা যায়, আমাদের নেওয়া উদ্যোগের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে, যার জন্য আমি গর্বিত। গত এক বছরে গড় ডেটা স্পিড শতভাগেরও বেশি বেড়েছে। সারাদেশে কভারেজ ও নেটওয়ার্কের সর্বত্র ধারাবাহিক স্পিড নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ উন্নতি অর্জন করা হয়েছে। কল ড্রপের হার একইভাবে গত এক বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। আমরা নিশ্চিত যে পরিষেবার গুণমান বৃদ্ধির উপর চলমান উদ্যোগ গ্রাহকের আস্থা অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

;

ইন্টারনেটের ধীরগতি প্রকট হতে পারে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) ব্যান্ডউইথ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেটের এই ধীরগতি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এই সমস্যা শুরু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। যেহেতু এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে তাই বিকল্প উপায় খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে ফাইবার কেবল `ব্রেক’ করায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সিঙ্গাপুরে ফাইবার ব্রেক করায় বাংলাদেশ ছাড়াও আরও কিছু দেশে ইন্টারনেটে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

এ বিষযে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহমেদ জানান, ইন্টারনেটের সমস্যা মেরামতে তিন দিনের বেশি সময় লাগতে পারে। এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে তারা চেষ্টা করছেন।

বর্তমানে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হয়। এই সরবরাহের পুরোটা বন্ধ রয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে (প্রথম সাবমেরিন কেবল) বিকল্প উপায়ে ইন্টারনেট সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা চলছে।

বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজার ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সাবমেরিন কেবল কোম্পানি আড়াই হাজারের বেশি ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে। বাকি চাহিদা মিটিয়ে থাকে ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি)।

;