আমিনুলকে পেলাম, জুবায়েরকেও কিন্তু পেয়েছিলাম একসময়ে..



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জুবায়ের হোসেন (বাঁয়ে) টিকতে পারেন নি আমিনুল কি পারবেন?

জুবায়ের হোসেন (বাঁয়ে) টিকতে পারেন নি আমিনুল কি পারবেন?

  • Font increase
  • Font Decrease

একটি জরুরি ঘোষণা ..। 

পাড়া মহল্লায় আগে রিক্সায় মাইক লাগিয়ে কোনো একটা জরুরি ঘোষণা এভাবে ঘোষিত হত।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও মাঝে মাঝে এমন জরুরি ঘোষণা দিয়ে লেগস্পিনার বা রিস্ট স্পিনারের খোঁজ করে। প্রায় সময়ে সেই খোঁজ মেলে না। যাও বা মেলে দুদিন পরে হারিয়ে যায়। সর্বশেষ এবার আরেকজন লেগস্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের খোঁজ পেয়েছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তার অভিষেকও হয়ে গেল। সেই ম্যাচে বেশ ভাল পারফর্ম করেছেন এই তরুণ লেগস্পিনার। আর্ন্তজাতিক ক্যারিয়ারে নিজের তৃতীয় বলেই উইকেট পেয়েছেন আমিনুল। ম্যাচে ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট পান তিনি। ম্যাচ শেষে সিনিয়র ক্রিকেটাররা এবং বিশেষ করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তরুণ এই লেগস্পিনারের বোলিংয়ের বেশ প্রশংসা করেন।

ধরেই নেয়া যাচ্ছে সামনের সময়ও খেলছেন লেগস্পিনার আমিনুল। কিন্তু কতদিন? সেই প্রশ্নের উত্তর কি জানেন কেউ?

একজন ঠিকই জানেন- জুবায়ের হোসেন লিখন!

তিনিও লেগস্পিনার। তার মধ্যেও সামনের দিনের ক্রিকেটে টিকে থাকার প্রতিভা একসময় খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুতে তুমুল প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনিও। বলাবলি শুরু হয়ে গিয়েছিল-আমরা পেয়ে গিয়েছি বাংলাদেশের ‘ওয়ার্নকে’! কিন্তু ২০১৪ সালের অক্টোবরে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালের নভেম্বরেই আপাতত ‘শেষ’ তার বাংলাদেশ ক্যারিয়ার।

সবমিলিয়ে ৬ টেস্ট ৩ ওয়ানডে এবং ১ টি-টোয়েন্টিতেই আটকে গেল আমাদের ‘ওয়ার্ন’ এর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ১০ ম্যাচের তার এই আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার সময়সীমা মাত্র ১৩ মাস!

এবার আফগানিস্তান দল যখন এল তখন আবার হঠাৎ করে তাদের প্রস্তুতি ম্যাচে জুবায়ের হোসেন লিখন বিসিবি একাদশের হয়ে খেললেন। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের দুদিনের সেই ম্যাচে ৬৮ রানে সাফল্যহীন সময় কাটে তার।

জুবায়ের কেন লম্বা সময় ধরে টিকতে পারলেন না আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে? বয়স এখনো তার ২৫ ছাড়ায়নি। হয়তো এখনো ফেরার সময় আছে তার। কিন্তু শুরুর সুযোগটা কেন তিনি কাজে লাগাতে পারেননি- চলুন খুঁজি সেই প্রশ্নের উত্তর।
 
মাত্র ১৯ বছর বয়সে জুবায়ের হোসেন লিখনের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। বলা হয়ে থাকে লেগস্পিন একটা শিল্প। আর সেই শৈল্পিকতা শেখার জন্য সময় লাগে। কিন্তু শুরুতে জুবায়েরের সাধারণ পারফরমেন্স দেখে হতাশ হয়ে সবাই ধরেই নেন-‘নাহ্, এর হচ্ছে না!’

শুধু আর্ন্তজাতিক অঙ্গনেই নয়, ঘরোয়া এবং ক্লাব ক্রিকেটেও ক্রিকেট কর্তাদের সবাই ‘নগদে পারফরমেন্স’ দাবি করেন। যথাযথ প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিভাবানের কাছ থেকে সেরাটা নেয়ার চেয়ে সবাই শুরুতেই নতুনদের কাছে বিশ্বসেরা পারফরমেন্স প্রদর্শনের দাবি করে বসেন। নতুন আসা কেউ যখন শুরুতে সেই দাবি পুরণ করতে না পারেন তখনই তার ব্যাপারে নাক কুঁচকানো সিদ্ধান্ত-‘নাহ্, এ চলে না!’

আর তাই জুবায়ের হোসেন লিখন ক্লাব ক্রিকেটে নেটে হরদম বোলিং করলেও একাদশে তার সুযোগ হয় না। একটা ম্যাচে বেশি রান খরচা করলেই কর্তাদের সাফ সিদ্ধান্ত-‘নাহ্, একে দিয়ে হবে না!

তবে নিজের ক্রিকেট পরিভ্রমণের পথ হারানোর পেছনে জুবায়ের হোসেনেরও যে দায় নেই, তা কিন্তু নয়। সামনে থাকা বাধা পেরিয়ে যে জিততে জানে, সেই তো আসল বিজয়ী।

জুবায়ের হোসেনের মধ্যে সেই বাধা জেতার জেদের দেখা মিলল কই?
 
বিপিএল চলাকালে মাশরাফি তাকে নেটে ডাকলেন। অনুশীলনে রাখলেন। জুবায়ের হোসেন এলেন। আবার কাউকে কিছু না বলে চলেও গেলেন! কিছু লড়াই নিজে থেকে জিততে হয়। জুবায়ের হোসেন লিখনের মধ্যে সেই স্পিরিটের অভাব স্পষ্ট। অনুশীলনে অনীহা। ফিটনেসে ঘাটতি। নিজের দক্ষতাকে শাণিয়ে দেয়ার যে তেজ তরুণের মধ্যে থাকা চাই-তার দেখা মিলল না। বরং সানগ্লাসটা ঠিক মানাচ্ছে কিনা। বা চুলের স্টাইলটা আর্কষণীয় হলো কিনা- সেদিকেই বেশি নজর কাড়লেন জুবায়ের হোসেন।
 
দায় বিসিবিরও আছে।

২০১৪ সালের অক্টোবরে অভিষেক এই লেগস্পিনারের। মাঝে কেটেছে পাঁচ বছর। এই সময়টায় কি লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনের জন্য বিশেষায়িত কোনো অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে পারতো না বিসিবি?
 
যদি পারতো তাহলে আজ আবার একটি জরুরি ঘোষণা...‘আমরা একজন লেগস্পিনার খুঁজছি’, বিসিবির মাইকে এমন ঘোষণা শুনতে হতো না!

# পাদটীকা: ২০১৫ সালের নভেম্বরে জুবায়ের হোসেন লিখন তার একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন। মিরপুরে সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। নতুন লেগস্পিনার আমিনুলের টি- টোয়েন্টি অভিষেক হলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আমিনুলও ২ উইকেট পেলেন।

আশায় থাকলাম আমিনুলের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের গল্প যেন জুবায়েরের সঙ্গে মিল না খায়!

   

‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব’ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ না খেলে দেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব খেলবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। খেললেও শুরুর দিকে থাকবেন না দলে। আর এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিবকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে দুদিন আগে জিম্বাবুয়ের সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ঘোষণা করা ১৭ সদস্যের দলেও নেই সাকিব। তবে কি আসলেই খেলছেন না সাকিব? বা ঠিক কয়টি ম্যাচ খেলবেন? সব প্রশ্নের উত্তর এবার দিলেন সাকিব নিজেই। জানালেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলার কথা এবং জানালেন কয়টি ম্যাচে খেলবেন। 

সাকিব এই মুহূর্তে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে সব খোলাসা করে জানান দেশের সাবেক এই অধিনায়ক। 

সেই অনুষ্ঠানে জিম্বাবুয়ে সিরিজ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে...আসলে অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই।’

সেখানে সিরিজের শুরু দিকে কেন থাকছেন না এ নিয়েও কথা বলেন সাকিব। ‘আসলে এইগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়। আমার ইচ্ছেমত না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুইটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই ম্যাচ দুইটা খেলা।’

উল্লেখ্য, আগামী ৩ মে থেকে শুরু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি। সেই ম্যাচ সহ সিরিজের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। সিরিজের সেই দুই ম্যাচ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে, ১০ ও ১২ মে। 

;

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন তেভেজ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুকে তীব্র ব্যথা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার কার্লোস তেভেজ। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় গতকালই তিনি ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। আপাতত বাসার ফিরে বিশ্রামে থাকবেন ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার। 

বুকের ব্যথা তীব্র রূপ নিলে তেভেজকে ভর্তি করানো হয় আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসের কাছে সান ইসিন্দ্রোর একটি ক্লিনিকে। বিষয়টি গতকাল জানা যায় আর্জেন্টাইন শীর্ষ বিভাগের ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্তের এক বিবৃতিতে। এবার নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে তারাই জানায় তেভেজের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার বিষয়টি। 

সেই পোস্টে ক্লাব ইন্দিপেন্দিয়েন্ত জানায়, কার্লোস তেভেজের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে তাকে হাসপাতাল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসায় ফিরে তিনি বিশ্রাম নেবেন এবং আগামীকাল ফিরবেন অনুশীলনে।’

তবে ঠিক কী কারণে বুকে এই ব্যথা অনুভব করেছেন তেভেজ সেই সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। 

গত বছরের আগস্টে আর্জেন্টিনার এই ক্লাবটির কোচ হয়ে আসেন তেভেজ। ক্লাবটির সঙ্গে তেভেজের চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত। কোচিং ক্যারিয়ারটা অবশ্য আরও আগেই শুরু হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানচেস্টার সিতি, জুভেন্টাস ও বোকা জুনিয়র্সের সাবেক এই তারকা ফুটবলারের। ২০২১ সালে খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলকে বিদায় জানানোর পর ২০২২ সালে রোজারিও সেন্ট্রালের কোচে দায়িত্ব নিয়ে নিজের ম্যানেজেরিয়াল ক্যারিয়ার শুরু করেন তেভেজ। 

;

মোহিতের ‘বিব্রতকর’ রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএল ইতিহাসে কোনো ম্যাচে একজন বোলারের সর্বোচ্চ রান হজমের রেকর্ডটি এতদিন ছিল বাসিল থাম্পির। ২০১৮ আইপিএল আসরে তিনি এক স্পেলে রান হজম করেছিলেন ৭০। এবার সে রেকর্ডটি ভেঙে দিলেন ভারতের সাবেক পেসার মোহিত শর্মা।

আইপিএলের চলতি আসরে গুজরাট টাইন্টান্সের হয়ে খেলছেন মোহিত। গতরাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল গুজরাট। যেখানে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২২৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় স্বাগতিক দিল্লি।

গুজরাটের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভার বোলিং করে সবচেয়ে বেশি ৭৩ রান হজম করেছেন মোহিত। বিনিময়ে একটি উইকেটও শিকার করতে পারেননি। বাজে পারফরম্যান্সের এই রাতে নিজের নামে করে নিলেন ‘বিব্রতকর’ এই রেকর্ডটিও।

মোহিতের এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের রাতে হেরেছে তার দল গুজরাটও। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েও শেষে মাত্র ৪ রানের হতাশাজনক হারের মুখ দেখতে হয় তাদের। এই হারের পর পয়েন্ট তালিকার সাতে অবস্থান করছে গুজরাট।

;

বিশ্বকাপের আগে চোটে পড়লেন রিজওয়ান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে বর্তমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। যেখানে চোটের কারণে দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, উইকেটকিপার-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ছিটকে যেতে হলো। চলিত সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে এই চোটে পড়েন তিনি।

পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তিন ম্যাচ শেষে বর্তমানে ১-১ সমতায় আছে দু’দল। সবশেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান রিজওয়ান। কিউইদের বিপক্ষে চলতি সিরিজটিটে আর খেলা হবে না তার।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেডিওলজি রিপোর্ট দেখে রিজওয়ানকে সিরিজ থেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চোটটি অতটা গুরুতর নয় বলেও জানিয়েছে বোর্ড। তাদের ভাষ্যমতে, এক সপ্তাহ থেকে দশ দিনের মতো মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি।

নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর সামনে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফর এবং জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসর আছে। শুরুতে রিজওয়ানের সেখানে খেলা নিয়ে অনেকের মনে শঙ্কা তৈরি হলেও আসন্ন সফরগুলোতে তাকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তাদের ক্রিকেট বোর্ড।

;