মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সঞ্চয় ১৭৫ রান
স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের যা রান তা কিন্তু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পরিসংখ্যান বলছে- জেতার জন্য যথেষ্ট। এখানে টি-টোয়েন্টির প্রথম ইনিংসে গড় রান ১৩৭। বাংলাদেশ বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তুলেছে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। ব্যাট হাতে দলের সেরা পারফর্মার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ৪১ বলে ৬২ রান।
এই মাঠের উইকেটের আচরণের কথা মনে রাখলে বাংলাদেশের ১৭৫ রানের স্কোরকে বড় রান মানতেই হচ্ছে।
টসে হেরে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামে। লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ওপেনিং জুটিতে দল পায় ৪৯ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত তার অভিষেক টি-টোয়েন্টিকে ব্যাট হাতে স্মরণীয় করতে না পারলেও লিটন দাস কিন্তু ঠিকই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। ২২ বলে ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন লিটন। মিডল-অর্ডারে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আরেক দফা ব্যাট হাতে ব্যর্থ। মুশফিক রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-দলের দুই সিনিয়র ব্যাটসম্যান চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৭৮ রান।
মূলত এই জুটিই বাংলাদেশের স্কোরকে বড় সংগ্রহের পথে রাখে। ২৬ বলে ৩২ রান করে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসলেও মাহমুদউল্লাহ ঠিকই খেলে যান। ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে এই ব্যাটসম্যানও আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে ফর্মে ফিরলেন শেষমেশ! সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচ পরে হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেললেন মাহমুদউল্লাহ।
৪১ বলে ৬২ রানের ইনিংসে তার ছক্কাই ছিল ৫টি। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশ ছক্কা হাঁকায় ৮টি। যার পাঁচটিই মাহমুদউল্লাহর।
২০ ওভারের কোটা পুরো করতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক মাসাকাদজা সাতজন বোলার ব্যবহার করেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ১৭৫/৭ (২০ ওভারে, লিটন ৩২, নাজমুল ১১, সাকিব ১০, মুশফিক ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৬২, আফিফ ৭, মোসাদ্দেক ২, সাইফুদ্দিন ৬, জারভিস ৩/৩২, এমপুফু ২/৪২)