টিভি-অনলাইনে আজ যা থাকছে খেলার আয়োজন
-
-
|

টিভিতে দেখুন
টিভিতে দেখুন
ছবি: সংগৃহীত
চলতি মাসে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে সামনে রেখে সব দল প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু করে দিলেও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সদ্য শেষ হওয়া ঘরোয়া আসর বিপিএলের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিতে নজর দিলেও বিশেষ কিছু করার নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। কারণ দলের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প দেশে নেই। তাতে কোনরকমে প্রস্তুতি সারছে টাইগার শান্তরা।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও হেম্পের পারফর্মেন্সে খুশি নন বিসিবি। তাতে গেল বছরের ডিসেম্বরে দেশে যাওয়া হেম্প ছুটি শেষে এখনো দেশে ফিরেন নি। আর হেম্পের অনুপস্থিতিতে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও দলের ব্যাটিংয়ের দেখা শোনা করেছিলেন তিনি।
এদিকে গত মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার পরেই পদত্যাগ করেছিলেন জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলের সদস্য ও সহকারী কোচ নিক পোথাস।
২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত থাকার কথা থাকলেও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে পদ ছাড়েন তিনি। বর্তমানে বাংলাদেশের কোচের পদে এখন আছেন ফিল সিমন্স। বোলিং কোচের দায়িত্বে আছেন আন্দ্রে অ্যাডামস।
ছবি: সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে থাকছেন না অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স । চোটের কারনে দল থেকে ছিটকে পড়েছেন তিনি। তাতে তার বিকল্প নেতৃত্বও খুজতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটকে। তবে এবার সুখবর শোনালেন কামিন্স, কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন অজি দলপতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজ সদ্য ভুমিষ্ঠ কন্যা সন্তানের ছবি পোস্ট করে কামিন্সের স্ত্রী ব্যাকি লিখেন,‘ সে এসে গিয়েছে। আমাদের সুন্দরী মেয়ে এডি, এডিথ মারিয়া বস্টন ক্যামিন্স। শব্দ দিয়ে এই আনন্দের ভাষা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’
এর আগে ২০২১ সালে পুত্রসন্তানের বাবা হয়েছিলেন কামিন্স। তখন স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য ক্রিকেট থেকে ছুটিও নিয়েছিলেন তিনি। স্ত্রীর গর্ভধারণের খবর জনসম্মুখে আসার পর গেল বছরের অক্টোবরে তিনি বলেছিলেন, 'ছেলের জন্মের সময় আমি অনেক দিন ছিলাম না। কিনন্তু এ বারে আমি ব্যাকির পাশে থাকতে চাই। একসঙ্গে ঠিক করব কী ভাবে সময় কাটাব।’
এদিকে চলতি মাসে শুরু হতে চ্যাাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে অজি শিবির। দলপতি কামিন্সের পাশাপাশি চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন জস হেজ়লউড, মিচেল মার্শরা। আর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ায় দল থেকে বাদ দিতে হচ্ছে মার্কোস স্টায়নিসের নাম। তাতে বেশ চাপের মুখে আছে অজিরা। কারণ নতুন ক্যাপ্টেন খোঁজার পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে দলে চারটি পরিবর্তন করতে হবে তাদের।
তামিম ইকবাল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ(বিপিএল) এর পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। দেখতে দেখতে বিপিএল কাটিয়ে দিয়েছে তার একাদশ আসর। এত পুরনো একটা টুর্নামেন্ট হয়েও ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স ছাড়া আর কোনো দল সেরকম অর্থে ফ্যানবেইজ গড়ে তুলতে পারেনি। এবার বিপিএলের দলগুলোর ফ্যানবেইজ গড়তে না পারার কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিম অবশ্য দুষেছেন বিপিএল নিয়মকেই। বারবার ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলের কারণ দলগুলো কোনো ফ্যানবেইজ গড়তে পারেনা বলে জানান তামিম। যার ফলে একটা দল এক আসর খেললে তার পরের আসর খেলবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
তাছাড়া বিপিএলের নিয়মের জন্যও বেশি খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারেনা দলগুলো। গত দুই আসরে নিয়ম ছিল আগের আসর থেকে সর্বোচ্চ তিনজন করে ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে পারবে দলগুলো।গতকাল ফাইনাল শেষে তাই ক্রিকেটারদেরকে ধরে রাখার নিয়মে পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে রাখলেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন,‘এত কষ্ট করে একটা ফ্যানবেইজ তৈরি করেছি আমরা। প্রথম বিপিএল থেকে সবাই চায় যে, সব ফ্র্যাঞ্চাইজির একটা ফ্যানবেইজ হোক। আইপিএলে মূল ক্রিকেটাররা একই দলে থেকে যায়। ফলে তাদের একটা বড় ফ্যানবেইজ তৈরি হয়। বিপিএলেও একটা দলকে ৫/৬ জন খেলোয়াড় ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত।’
শেষে তামিম যোগ করেন,‘দলগুলোর যদি ইচ্ছে হয় যে ধরে রাখবে না, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। শুধু মালিক বদলে যাওয়ার কারণে অন্য দলগুলো ভুগবে, এটা ঠিক নয়। তাই আমার মনে হয়, অন্তত যদি ৬ জন ক্রিকেটারকে ধরে রাখার সুযোগ যদি দেয়, তাহলে এই ধরনের ফ্যানবেজ, আপনারা যা দেখছেন, এটা আরও বড় হবে।’
ছবি: সংগৃহীত
টার্ফের সবুজ গালিচায় সাদা আলোর অপরূপ দৃশ্য। চারপাশে সারিবদ্ধ দর্শকের ভিড়। থেমে থেমে উল্লাসের সুর বেজে উঠছে দর্শক ও খেলোয়ারদের মাঝে। রেফারি বাঁশিতে ফুঁ দিতেই শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। তবে এ যুদ্ধ সংঘাতের নয়, সৌহার্দ্যের ফুটবল যুদ্ধ। প্রথম দিন প্রতিটি ম্যাচে ফুটবল শৈলীতে শেষমেশ জয়ের হাসি হাসে ছয়টি দল।
তবে গোলে স্বপ্নভঙ্গ হলেও দারুণ খেলে সবার মন কেড়েছে প্রতিটি ফুটবল দল। টানটান উত্তেজনার মধ্যে টুর্নামেন্টের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় ছয়টি ম্যাচ। হালিশহর কেএসআরএম টুর্নামেন্টের গতকালের চিত্র এটি।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর হালিশহর কেএসআরএম টার্ফে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন কেএসআরএমের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নবাব সিরাজুদ্দৌলা, সেলিম উদ্দিন, করিম উদ্দিন, সরওয়ার জাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (করপোরেট) শামসুল হক ও পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জসিম উদ্দিনসহ উর্ধ্বতর কর্মকর্তারা।
টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমন্বয়ে ২৮টি দল। প্রথম দিনে ১২টি দলই তাদের নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম হয়।
৫২ ম্যাচের প্রতিযোগিতামূলক এ টুর্নামেন্টের খেলা চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
কেএসআরএম ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন ও খেলাধুলার মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা এবং ইতিবাচক মনোজাগতিক পরিবর্তনে বদ্ধপরিকর।