প্রথম চার দিনে ম্যাচটায় একটা বলও মাঠে গড়ায়নি। পঞ্চম দিনেও যে মাঠে গড়াবে খেলাটা, এমন কোনো আশাও ছিল না। আগের দুই দিনের বৃষ্টি মাঠের পরিস্থিতি বিগড়ে দিয়েছিল রীতিমতো। শেষ দিনেও তাই আর খেলা হয়নি। আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের একমাত্র টেস্টটায় একটা বলও মাঠে গড়ায়নি। তার আগেই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে ম্যাচটা।
ম্যাচটা আফগানিস্তানের ইতিহাসের দশম টেস্ট ছিল। তারা এমনিতেই ম্যাচ পায় না খুব একটা। এক ম্যাচ যাও পেল পূর্ণশক্তির নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, সেটাও এভাবে সুযোগ সুবিধার অভাবে গেল ভেসে।
এদিকে কিউইরাও কম হতাশ হওয়ার কথা নয়। এই সিরিজের পর শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে তারা। সেখানে দু’টি, আর ভারতের মাটিতে তিনটি টেস্ট খেলবেন কেন উইলিয়ামসনরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ওই পাঁচ ম্যাচের প্রস্তুতি এখানে নেওয়া হতে পারত, সেটা হলো না বৃষ্টির বাগড়ায়।
নয়ডা টেস্টের প্রথম দুই দিনে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু তার আগে হয়ে যাওয়া বৃষ্টির ফলে থেকে যাওয়া পানি সরানো যায়নি সময়মতো। বাজে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে খেলা হয়নি ওই দুই দিনে। এরপর তৃতীয় চতুর্থ দিনে আবারও নামে বৃষ্টি। যার ফলে আজ যে খেলা হচ্ছে না, তা একরকম নিশ্চিতই ছিল।
সেটা একেবারে পরিষ্কার হয়ে গেল আজ সকালের বৃষ্টিতে। যার ফলে খেলা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগেই দুই আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ও কুমারা ধর্মসেনা মিলে খেলা পরিত্যক্ত হওয়ার ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অষ্টম বারের মতো বল হওয়ার আগেই টেস্ট পরিত্যক্ত হয় কোনো ম্যাচ।
একটা টেস্ট মাঠে গড়ায় ৫ দিনে, সেখানে নিদেনপক্ষে ৪৫০ ওভার খেলা হতে পারে। আর তাই আবহাওয়া যতোই প্রতিকূল হোক, অন্তত একটা বল তো হয়েই থাকে! কিন্তু আফগানিস্তান আর নিউজিল্যান্ডের টেস্টে ওই একটা বলও হতে পারেনি। তা হবে টসটা হওয়ার পরই তো, নাকি? সেই টসটাও হতে পারেনি এই টেস্টে।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এমন দৃশ্য কমই দেখা গেছে, যা দেখা গেল দিল্লির অদূরে বৃহত্তর নয়ডা স্টেডিয়ামে। যারই ফলে একটা বলও না হওয়া টেস্টের বিরল তালিকায় ঢুকে গেছে আফগানিস্তান আর নিউজিল্যান্ডের এই টেস্ট।