আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দেশের বাকি সব জায়গা থেকেও কর্তাব্যক্তিদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গেছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকেও সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি বিদায় নিয়েছেন সময়ের আগেই।
পদত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আর নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণকেও। তবে সে চাপের কাছে মাথা নোয়াচ্ছেন না সভাপতি সালাউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, ‘সাধারণ মানুষ’ নন তিনি, যে চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন।
সভাপতি সালাউদ্দিন, নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ আর সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগ চেয়ে গত সপ্তাহে তাদের আলটিমেটাম দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস। সে দাবির পুরোটা পূরণ না হওয়ায় গত রোববার মার্চ টু বাফুফে কর্মসূচি পালন করে তারা। সেখানে বিক্ষোভ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাউদ্দিন দেশের ফুটবলে তাদের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, ‘প্রথমত, দেশের ফুটবলে তাদের অবদানটা কী? আমি ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। আমি সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কি না, সেখানে তারা কিছু বলার কে? আমি যদি আবার নির্বাচনে যাই, তাহলে তাদেরকে হুমকি দেওয়ার, ভাঙচুর করার অধিকারটা কে দিয়েছে?’
এরপরই তিনি জানান পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্তটা। তার কথা, ‘আমি পদত্যাগ করছি না। আমি আবারও নির্বাচন করব। কারণ আমি হুমকির মুখে ফুটবল ছেড়ে চলে যাব না।’
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান আছে সালাউদ্দিনের। দেশের ফুটবলের ইতিহাসেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। যে কারণে বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার পেয়েছেন। সে বিষয়গুলো সামনে এনে নিজেকে ‘অসাধারণ’ ব্যক্তিত্ব দাবি করেছেন সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমি সাধারণ কোনো মানুষ নই। আমার দীর্ঘ ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। আমি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি, দেশের অধিনায়ক ছিলাম। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার, স্বাধীনতা পুরস্কার, বিজয় দিবস পুরস্কার, শেখ কামাল আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছি জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ, খালেদা জিয়া, আওয়ামী লীগের শাসনামলে। আমি ফুটবল আমার ইচ্ছাতে ছাড়ব, কারো হুমকির মুখে নয়।’