মোস্তাফিজের জোড়া আঘাতে বিপদে নিউজিল্যান্ড



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের ওভারে মেডেন নিয়ে চাপ বাড়িয়েছিলেন নাসুম আহমেদ। পরের ওভারের প্রথম বলে সে চাপেই ভেঙে পড়লেন ফিন অ্যালেন। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হয়ে ফিরলেন। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দর্শনীয় এক ক্যাচে অ্যালেনকে ফেরানোয় বড় ভূমিকা রেখেছেন দীর্ঘ সময় পর দলে ফেরা উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। ২০ বলে ৯ রান করে ফিরেছেন অ্যালেন।

নিজের পরের ওভারে তিনে নামা চ্যাড বোয়েসকেও তুলে নিয়েছেন মোস্তাফিজ। বোয়েসও আউট হয়েছেন অ্যালেনের মতোই উইকেটের পেছনে সোহানের তালুবন্দি হয়ে। ৩ বলে মাত্র ১ রান করেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। ১৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছে সফরকারীরা।

মোস্তাফিজ যে দুই ওভারে উইকেট পেয়েছেন, তার ঠিক আগের ওভার দুটি মেডেন দিয়েছেন স্পিনার নাসুম। মানেটা এমন দাঁড়াচ্ছে যে, নাসুম চাপ বাড়াচ্ছেন আর সে চাপমুক্ত হতে গিয়ে মোস্তাফিজের ওভারে উইকেট বিলিয়ে ফিরছেন কিউইরা।

এর আগে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তবে কিউই ইনিংসের বয়স যখন মোটে ৪.৩ ওভার, তখনই ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি। তাতে দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে খেলা। যার ফলে ইনিংসের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪২ ওভারে।

   

বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্টে গলফারদের প্রাণের মেলা



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রত্যয় ভাস্কর্য থেকে শুরু করে ক্লাব ভবন, প্রধান সব গেইট, সবুজ গাছ আর গলফের বিশাল ক্যানভাসে বর্ণিল আলোকসজ্জা। মাঠের মাঝখানে রঙিন ফোয়ারা। জমকালো পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বসেছিল নানা বয়সী গলফারদের প্রাণের মেলা।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কেন্দ্র ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে (বিজিসিসি) দ্বিতীয় বসুন্ধরা কাপ গলফ টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণের চিত্র ছিল এমনই।

'প্লে গলফ লিভ লং' স্লোগানে দুই দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্টে সিনিয়র, লেডি ও জুনিয়র গ্রুপে ২১৫ গলফার অংশ নিয়েছেন। এবার বিজয়ী হয়েছেন কর্নেল মো. এনামুল ইসলাম, রানার আপ লে. কর্নেল মো. আবু ফয়সাল তুষার। জুনিয়র গ্রুপে উইনার মাস্টার মুহতাসিম ইসলাম, রানার আপ মাস্টার ফারহানুল ইসলাম। সিনিয়র গ্রুপে উইনার জে কে ক্যাং, রানার আপ লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ। আর লেডিস গ্রুপে উইনার মিস মাহিবাহ মাহসিন উদ্দিন, রানার আপ মিসেস কিম ইন সুক।

টুর্নামেন্টে বেস্ট গ্রস মেহেরুস উদ্দিন, সেকেন্ড বেস্ট গ্রস স্থপতি এএএম মুজাহিদ বেগ, সেকেন্ড রানার আপ কফিল উদ্দিন ইউসুফ, বেস্ট ফ্রন্ট নাইন কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বেস্ট ব্যাক নাইন কমান্ডার ইমতিয়াজ উদ্দিন মো. সাবির, নাইন হোল উইনার মোহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান, নাইন হোল বেস্ট গ্রস মোহাম্মদ সেলিম, নাইন হোল রানার আপ ড. মো. শহিদুল্লাহ চৌধুরী, লংগেস্ট ড্রাইভ (হোল নম্বর-৯) ড. আবু খালেদ মুহাম্মদ ইকবাল, নিয়ারেস্ট টু পিন (হোল নম্বর-১৫) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন মামুন, বেস্ট পার থ্রি এস কেয়াং চুল অ্যান (গ্রস-১৩) ও বেস্ট পার ফাইভ এস মেজর (অব.) মো. মোকাদ্দেস হোসেন (গ্রস-১৯)।

সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডার এবং ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের সভাপতি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, গলফকে জনপ্রিয় করতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে বসুন্ধরা। বসুন্ধরার মতো বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান গলফ খেলার প্রসারে এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানান গলফাররা। তারা বলেন, এতে পেশাদার গলফাররা প্রেরণা পাবেন। তরুণরা এ খেলায় এগিয়ে আসবেন।

সকালে বেলুন উড়িয়ে টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৭ এডিএ ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ভুঁইয়া, কর্নেল ইমরুল, মেজর এমদাদুল ইসলাম (অব.), নির্বাহী কর্মকর্তা মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন  (অব.), মি. রুবাইয়াত তানভীর প্রমুখ।

এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে এবিজি বসুন্ধরা ও পকেটের পৃষ্ঠপোষকতায়।

;

উইকেট নিয়ে উচ্চবাচ্যে নাঈমের কড়া জবাব



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বাংলাদেশ ১৮০-২০০ রান করলেই সেটা তাড়া করা কঠিন হবে’ - তৃতীয় দিনের খেলার শেষে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কিউই অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে আসা স্পিনার হাসানের ভাবনাও অনেকটা তেমনই। চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ‘অন্তত’ ২০০ রান তো স্কোরবোর্ডে চাইবেন-ই।

ঢাকা টেস্টে মিরপুরের উইকেটের আচরণ আগের মতোই। ঘূর্ণি বোলারদের জন্য স্বপ্ন, বাকি সবার দুঃস্বপ্ন। এমন উইকেটে বড় স্কোরের চেয়ে বরং লড়াকু পুঁজি সংগ্রহের দিকে নজর থাকে দলগুলোর। নাঈম হাসানকে তাই প্রশ্ন করা হয়েছিল - নিউজিল্যান্ডকে কত রানের লক্ষ্য দিলে স্বস্তি পাবেন তারা,  ‘আমার মনে হয় আমরা যত লম্বা সময় ব্যাটিং করতে পারি আমাদের জন্য ভালো। ২০০-২২০ রান করতে পারলে ইনশাল্লাহ আমরা ডিফেন্ড করতে পারবো’ - বলেন নাঈম।

উইকেট নিয়ে ফিলিপসের ভাবনার সঙ্গে মিলে গেল নাঈমের কথা, ‘বোলিংয়ে সমস্যা হচ্ছে না। প্রথম দিনের তুলনায় আজকের ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটটা একটু ভালো ছিল।’

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য আক্ষরিক অর্থেই ‘একটু’ ভালো ছিল, এর বেশি নয়। তা না হলে কী প্রথম ইনিংসে দুই দলের সব ব্যাটার মিলে কেবল একটা ফিফটির দেখা পেতেন!

তবে উইকেটের বোলিং সহায়ক আচরণকে মোটেও অন্যভাবে দেখছেন না নাঈম, ‘উইকেট যাই হোক আমাকে খেলতে হবে, কোনো অজুহাত দেওয়া যাবে না। এখন যদি আমাকে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলতে বলা হয় তাহলে কি আমি বলব আমি বোলিং করব না? ওটা তো বলতে পারব না। এই উইকেটে ব্যাটাররা ব্যাট করছে, রান করছে। আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। উইকেট যেমনই হোক ভালো টোটাল করতে হবে আর বোলিংয়ে ভালো করতে হবে।’

;

এশিয়ান পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে শাম্মী



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন শাম্মী নাসরিন। বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনায়াসে তিন মন ওজন কাঁধে তুলছেন ৫০ এ পা দেয়া এই ক্রীড়াবিদ। দেশের সীমানা পেরিয়ে সেই তিনি এবার লড়বেন এশিয়ান পাওয়ারলিফটিং চ্যাম্পিয়নশিপে। লড়বেন বাংলাদেশকে সম্মান এনে দিতে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় বসতে যাওয়া আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন শাম্মী। বাংলাদেশ পাওয়ারলিফটিং এসোসিয়েশনের গড়া সেই দলে শাম্মীর মতো বাংলাদেশকে গৌরব এনে দিতে লড়বেন তাহসিন আলী, আরাফিউ সাদ, সাদমান জেড, মাইকেল ও তাহমিদ আদনান।

বাংলাদেশের হয়ে প্রতিযোগিতাটিতে অংশ নেবেন বাংলাদেশ পাওয়ারলিফটিং এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব জনাব মমিনুল হক। তবে অন্য প্রতিযোগীদের মতো ভারোত্তোলন করবেন না তিনি। ভারোত্তোলন কারীদের মধ্যে থেকে সঠিক একজনকে বেছে নিতে রেফারি হিসেবে কঠিন দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।

;

বাংলাদেশকে ২০০ রানের মধ্যে আটকাতে চায় নিউজিল্যান্ড



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃষ্টি, আলোকস্বল্পতা আর ভেজা আউটফিল্ডে একের পর এক সেশন বাতিল। এসবের পরও আলোচনার কেন্দ্রে মিরপুরের উইকেট। কখনো স্পিন তো পেসারদের প্রতি উদার মিরপুরের রহস্যঘেরা উইকেট। টেস্টের প্রথম দিনে স্পিনারদের দু’হাত ভরে উইকেট দেয়া মিরপুরের আজ পেসারদের প্রতিও কিছুটা সদয় হয়েছে। যে উইকেটকে ব্যাটারদের জন্য মৃত্যুকূপ ভাবা হচ্ছিল, সেখানে আক্রমণাত্মক ঢংয়ে ব্যাট চালিয়ে সফল হয়েছেন গ্লেন ফিলিপস।

দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই হাজির সেই ফিলিপসই। কোন পরিকল্পনায় ব্যাটিং করে এমন ‘কঠিন’ উইকেটে ৭২ বলে ৮৭ রান করেছেন - এই প্রশ্নের জবাব ফিলিপস দিলেন এভাবে, ‘আমি স্রেফ যত বেশি সম্ভব ব্যাট দিয়ে খেলতে খেলতে চেয়েছি, বিষটা আমি যতটা কার্যকরিভাবে সম্ভব, নিয়েছি। এটা বুঝে গিয়েছিলাম যে তারা অনেক ভালো বল করবে। সে বলগুলোরই আমি মুখোমুখি হয়েছি। এই পরিকল্পনাতেই যতটা পরিষ্কারভাবে আটকে থাকা যেত, আমি থাকতে চেষ্টা করেছি। কিছুটা টার্ন আর বাউন্স থাকবে, এটা মেনে নিয়েছিলাম, সেটাতে উইকেট না দিয়ে যতটা সম্ভব শান্ত থাকতে চেষ্টা করেছি, মাথাটা পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করেছি।’

পুরো একদিন বৃষ্টি আর তারপর আর্দ্র কন্ডিশনে উইকেটের বর্তমান অবস্থা কি? এই প্রশ্নের উত্তরও মিলল ফিলিপসের কথায়, ‘আমার মনে হয় এটা প্রথম দিনের মতোই আছে। স্পিন আছে একটু, স্কিড করছে একটু। এর কারণে কাজটা কঠিন হয়েছে অবশ্যই। যেভাবে দুই দল ব্যাট করেছে তাতে অনেক ঝুঁকি ছিল। আমরা এটা বুঝেছিলাম যে এখানে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বলই খেলতে পারব, রানগুলো তার থেকেই করতে হবে।’

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এমন উইকেটে ম্যাচ জিততে বা অন্তত লড়াই করতে কত রান যথেষ্ট হতে পারে। ফিলিপস রানের রেঞ্জ বলতে কার্পণ্য করলেন না, ‘উইকেটটা যদি না বদলায়, কভারের নিচে পুরো ম্যাচেই একরকম থাকবে উইকেটটা, তাতে আমি বলব, ১৮০-২০০ রানের আশেপাশে যে কোনো কিছুই ভালো স্কোর হবে, তাড়া করাটাও কঠিন হবে।’

আর তাই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০০ রানের মধ্যেই বেঁধে ফেলতে বদ্ধপরিকর এই কিউই ব্যাটার, ‘তাদের ২০০ রানের নিচে আটকে রাখতে পারলে আমি বেশ খুশিই হবো।’

উল্লেখ্য, টস জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৭২ রান করে। জবাব দিতে নেমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ইনিংস ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮ ওভারে ২ উইকেটে ৩৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা করেছে। লিড পেয়েছে ৩০ রানের।

;