টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক সিরিজে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।

আগামী মাসের শুরুতেই ভারতে বসবে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উৎসব। বিশ্বকাপের মহাযজ্ঞ শুরুর আগে বাংলাদেশে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে এসেছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ এখনো বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি, তাই বিশ্বকাপের দল বেছে নিতে বাংলাদেশের নির্বাচকদের কাজ কিছুটা হলেও সহজ করে দেবে এই সিরিজ।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মোড়কে সিরিজ হলেও দুই দলই খেলছে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে। আজ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড।

দীর্ঘ সময় পর বাংলাদেশের ওয়ানডে একাদশে ফিরেছেন সৌম্য সরকার এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও। 

বাংলাদেশ একাদশ

লিটন দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, তৌহিদ হৃদয়, মাহেদী হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমান।

নিউজিল্যান্ড একাদশ

ফিন অ্যালেন, উইল ইয়াং, চ্যাড বোয়েস, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাককনচি, ইশ সোধি, কাইল জেমিসন, লকি ফার্গুসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট।

   

এমন উইকেটে খেলিয়া আমরা কী করিব?  



এম. এম. কায়সার
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগে তাদের মন্তব্য শুনে নেই। 

টিম সাউদি, নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক– ‘সম্ভবত, আমার ক্যারিয়ারে খেলা সবচেয়ে বাজে উইকেট এটি।’

নাজমুল হোসেন শান্ত, বাংলাদেশ অধিনায়ক– ‘টেস্ট ক্রিকেটে আমরা উন্নতি করতে আসিনি। জিততে এসেছি। সেই জয়ের জন্য হোম অ্যাডভান্টেজ নিতে হবে।’

এটি তাদের সাম্প্রতিকতম মন্তব্য। এবার আরেকটু পেছনে ফিরে যাই। সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বড় হারের পর নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘এটি বেশ ভালো উইকেট।’ আর সেদিন ১৫০ রানে ম্যাচ জয়ী বাংলাদেশ অধিনায়কও সিলেট স্টেডিয়ামের টেস্ট উইকেট নিয়ে তার সন্তুষ্টির কথা জানান।

বিদেশি দলের বিরুদ্ধে টেস্টে জয়ের জন্য দেশের মাটিতে, আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে মিরপুরের মাটিতে বিসিবি যে স্লো, লো-বাউন্স এবং পুরোপুরি স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরির পরিকল্পনা কষেছে সেটা বাংলাদেশ দলের জন্য কতখানিক কার্যকর? এই ধরনের উইকেটে খেলে কি টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারবে? 

যেহেতু এই পরিকল্পনার সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেই জড়িত, এই পরিকল্পনার উদ্ভাবক কোচ চন্ডিকা হাতুড়েসিংহে নিজেই, তাই তারা দুজন হার বা জিত যে কোনো পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণের একটা চেষ্টা চালাবেন। তবে মিরপুরের এমন উইকেট যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ক্ষতি ছাড়া আর কোনো কিছুই করছে না সেটা দিনের আলোর মতোই পরিস্কার। বরং অন্যের জন্য খোঁড়া গর্তে বাংলাদেশ তো নিজেই খাবি খাচ্ছে।

-কিভাবে?

ঢাকা টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারটাই যে তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। সবকিছু নিজেদের মতো সাজিয়েও এখানে ম্যাচ জিততে পারল না বাংলাদেশ। বরং এই প্রেসক্রিপশনে বানানো উইকেটে খেলতে নেমে নিজ দলের ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসই চুরমার হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা টেস্টের কথাই ধরুন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ টিকলো মাত্র ৬৬.২ ওভার। দ্বিতীয় ওভারে গুটিয়ে গেল মাত্র ৩৫ ওভারে। নিউজিল্যান্ডও যে খুব বেশি কিছু করলো, তা নয়। স্পিনাররা বল করলেই মনে হচ্ছিল এই যেন আরেকটি উইকেট পড়লো! এমন একপেশে স্পিনবান্ধব উইকেট কোনো মতেই টেস্ট ব্যাটিংয়ের উপযোগী নয়। একটা বল নিচু হচ্ছে তো পরের বলই লাফিয়ে উঠছে! ম্যাচের প্রথম ওভার থেকে বল স্পিন করছে দুই তিন হাত সমান। নিউজিল্যান্ডের জন্য এমন উইকেটে খেলা টা ছিল অচেনা অজানা বিষয়। কিন্তু সেই তারাই এই উইকেটের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনায় দ্রুতগতিতে সবকিছু এমনকি কৌশলও আয়ত্ত্ব করে ফেললো। গ্লেন ফিলিপস দুই ইনিংসেই যে কায়দায় ব্যাট করলেন তেমনটা বাংলাদেশের কেউ করে দেখাতে পারলেন কই?

কি বুঝলেন? 

শুধু উইকেট বানালেই হবে না। সেখানে খেলার এবং জেতার দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সামর্থ্যরে প্রমাণও রাখতে হবে। ঢাকা টেস্টে সেই লড়াইয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ। তাহলে নিজ মর্জি মতো উইকেট বানিয়ে কি লাভ? সেই লাভ তুলে তো নিয়ে গেল অতিথি দল। নিউজিল্যান্ডের জন্য যে গর্ত বা ফাঁদ বানিয়েছিল বাংলাদেশ তাতে নিজেরাই ধরা! 

ঢাকা টেস্ট যদি বাংলাদেশও জিততো তাহলেও কি আমরা টেস্ট ক্রিকেটে অনেক দূর এগিয়ে যেতাম? রেকর্ডবুক হয়তো বলতো আমরা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতেছি। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটেও কি ঐ দলের সমকক্ষ বা ধারে কাছে যেতে পেরেছি? টেস্ট ক্রিকেটের আসল কথাই হলো–লড়াই। দক্ষতা প্রদর্শনের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষা এবং লড়াইয়ে বিরূপ পরিবেশেও নিউজিল্যান্ড ঠিকই জিতে গেছে। আর আমরা নিজেদের চেনা আঙিনায়, অসহায়ত্ব নিয়ে শেষ করলাম। নিজ হাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বানালাম। আর পরীক্ষার হলে বসে উত্তর খুঁজতে গিয়ে ডাহা ফেল করে ফিরলাম।

এই ফেল করায় বিসিবি এবং টিম ম্যানেজমেন্ট যদি অমর্যাদা অনুভব না করে তাহলে বুঝতে হবে সন্মান সম্পর্কে তাদের জ্ঞান এবং বোধশক্তিও সম্ভবত হ্রাস পেয়েছে!

নিজেদের মাটিতে জিততে হলে পুরোদস্তুর স্পিন সহায়ক বা র‌্যাঙ্ক টার্নার উইকেট বানানোর যে প্রয়োজনীয়তা নেই তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ তো সিলেট টেস্ট। সিলেটের উইকেটে স্পিন সহায়তা ছিল। কিন্তু সেখানে ব্যাটসম্যানদের জন্যও রান ছিল। তিনশ প্লাস ইনিংস হয়েছে দু’দলের। সেঞ্চুরি হয়েছে। আবার স্পিনাররাও দাপট দেখিয়েছেন। ব্যাটিং-বোলিংয়ের সেই সমান সমান উইকেটে যদি বাংলাদেশ ১৫০ রানে টেস্ট ম্যাচ জিততে পারে তাহলে মিরপুরে জয়ের জন্য কেন এবং কোন যুক্তিতে এমন ‘উইকেট খোর’ পিচ তৈরি করতে হবে? 

নিউজিল্যান্ডকে আমরা সিলেটের সুন্দর সাবলীল উইকেটে হারাতে পারি। এমনকি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে তাদের ডেরায়ও হারিয়ে এসেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ জিতেছে। জিতেছে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কায়। সেই সব জয়ে কোথাও কিন্তু স্পিনস্বর্গ ছিল না। কিন্তু নিজ মাটিতে টেস্ট জেতার জন্য কোচ চন্ডিকা হাতুড়েসিংহে যে স্পিনগর্ত বানানোর ফর্মূলা দিচ্ছেন সেটা সত্যিকার অর্থেই হাতুড়ে বটে!

এই টোটকায় কোচ হিসেবে হাতুড়েসিংহের কারিকুলাম ভিটায় কয়েকটি টেস্ট জয়ের নামফলক হয়তো যুক্ত হবে; তবে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিটা হয়ে যাবে বাংলাদেশের, বাংলাদেশের ক্রিকেটের।

এম. এম. কায়সার | সম্পাদক, স্পোর্টস বাংলা

;

বাংলাদেশে টেনিস উন্নয়নের সহযোগী সাইফ পাওয়ারটেক



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বরাবরই পৃষ্ঠপোষক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে সাইফ পাওয়ারটেক লি.। সেই ধারাবাহিকতায় এবার টেনিস খেলার উন্নয়ন ও প্রসার ঘটাতে চায় তারা। সেই লক্ষ্যে পাঁচটি খাতে টেনিসের উন্নয়নে আগামী দুই বছর মেয়াদি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তারা। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ও সাইফ পাওয়ারটেক লি: মধ্যে এই চুক্তির মেয়াদ আগামী ০১ জানুয়ারি ২০২৪ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এমপি এবং সাইফ পাওয়ারটেক লি: এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব তরফদার মো: রুহুল আমিন। সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করছেন বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক জনাব আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার, সিআইপি এবং সাইফ পাওয়ারটেক লি: এর নির্বাহী পরিচালক মেজর ফারুক আহমেদ খান (অব:)। অনুষ্ঠানে সাইফ পাওয়ারটেক এর পরিচালক জনাব তরফদার মো: রুহুল সাইফ, বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি জনাব মো: মোতাহার হোসেন (সাজু), জনাব নেয়াজ আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জনাব মো: খালেদ আহমেদ, সদস্য জনাব এ জেড এম সালেক, মিসেস শিরিন আক্তার চৌধুরী সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উক্ত চুক্তির মাধ্যমে জেটিআই প্রোগ্রামের আওতায় দেশের ৩২টি জেলায় প্রতিটি জেলার কমপক্ষে ৪টি করে স্কুলে সর্বমোট ১২৮টি স্কুলে বছর ব্যপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় টেনিস সরঞ্জামাদী স্কুল সমূহে প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ের টেনিস প্রশিক্ষক যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে জেলা ক্রীড়া সংস্থার টেনিস কোর্টসমূহে টেকসই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কোচেস ইডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় জেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্কুল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ব্রেন্ডিংসহ সকল ব্যয়ভার স্পন্সরশীপের আওতায় থাকবে। সর্বোপরি সমঝোতা চুক্তির আওতায় চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত প্রতিবছর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় ‘বিজয় দিবস জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতা’ এর টাইটেল স্পন্সর ‘সাইফ পাওয়ারটেক’ থাকবে।

যে পাঁচটি বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা হলো:
(ক) দেশব্যপী জুনিয়র টেনিস ইনিশিয়েটিভ গ্রোগ্রাম পরিচালনা;
(খ) জেটিআই কোচেস প্রশিক্ষণ ও স্কুল শিক্ষকদের টেনিস প্রশিক্ষণ;
(গ) জেলা ও বিভাগীয় টেনিস প্রতিযোগিতা;
(ঘ) আন্ত:স্কুল টেনিস প্রতিযোগিতা এবং
(ঙ) বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা।

;

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরলেন রাসেল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সবশেষ ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর দেখা যায়নি হার্ড-হিটার আন্দ্রে রাসেলকে। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বাদ পড়েছিলেন তিনি। এরপর আর ফেরা হয়নি ক্যারিবীয় জার্সি গায়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজে আবারও দেখা যাবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের অতি পরিচিত এই মুখকে।

দলের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমর্থকরা মিস করেছেন এই তারকা অলরাউন্ডারকে। এ নিয়ে নির্বাচকদের প্রশ্ন শোনতে হয়েছে ঢের। অবশেষে তাকে ফেরানো হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে। ৩৫ বছর বয়সী তারকা ফিরেছেন ঠিক ২ বছর পর।

রাসেলের মতোই দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেয়েছেন শেরফেন রাদারফোর্ড। এছাড়াও অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের ১৫ সদস্যের দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ২১ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ম্যাথু ফোর্ড। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেকে তিন উইকেট নেওয়ার উপহার স্বরূপ এবার টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পেয়েছেন ফোর্ড। দলে সুযোগ দেওয়া হয়েছে বাঁহাতি স্পিনার গুদাকেশ মতিকে। এছাড়াও ওয়ানডে দলে সুযোগ না পেলেও টি-টোয়েন্টিতে জায়গা পেয়েছেন নিকোলাস পুরান ও জেসন হোল্ডার।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর। এরপর যা শেষ হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্কোয়াড: রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), শাই হোপ, রোস্টন চেজ, ম্যাথু ফোর্ড, শিমরন হেটমায়ার, জেসন হোল্ডার, আকিল হোসেইন, আলজারি জোসেফ, ব্র্যান্ডন কিং, কাইল মায়ার্স, গুদাকেশ মতি, নিকোলাস পুরান, আন্দ্রে রাসেল, শেরফান, রোমারিও শেফার্ড।

;

দুই যুগ পর ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ম্যাচটি হয়েছে বৃষ্টিবিঘ্নিত, তবুও দিনশেষে জয় তুলে নিয়ে ঘরের মাঠে প্রায় ২৫ বছর পর ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারিয়ে দিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২-১ ব্যবধানে সিরিজে জয় তুলে নিল শাই হোপের দল।

বৃষ্টি বাঁধা দেওয়ায় এদিন ম্যাচ হওয়ার কথা ৪৩ ওভারে। ম্যাচ শুরুর পর আরেক দফায় বৃষ্টির আগমণ ঘটায় ৪০ ওভারে নামানো হয় ম্যাচের পরিধি। টসে হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড নির্ধারিত ৪০ ওভারে তোলে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২০৬ রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪ ওভারে ১৮৮ রান। ৬ উইকেট হারিয়ে এবং ১৪ বল হাতে রেখেই এই লক্ষ্য টপকে যায় ক্যারিবীয়রা।

ব্রিজটাউনে নিজের অভিষেক ম্যাচে এদিন আলো ছড়িয়েছেন ম্যাথিউ ফর্ড। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ২৫ বলেই তুলে নিলেন ৩ উইকেট। ইংল্যান্ডের টপ অর্ডারদের ধ্বসিয়ে দিয়ে দলের জয়েও বেশ বড় ভূমিকা রাখলেন তিনি।

অভিষেক ম্যাচে ম্যাচসেরা হওয়াটা কতটা আনন্দের সেটি বললেন ফর্ড, ‘পর্দার আড়ালে অনেক কঠিন পরিশ্রম করেছি। ক্যাম্পে কঠিন অনুশীলন করেছি। স্বপ্ন সত্যি হয়েছে, আমার জন্য বিশেষ কিছু। সবাইকে ধন্যবাদ এটা সম্ভব করার জন্য। ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে, মা–বাবার সামনে এটা খুব আনন্দের।’

অপরদিকে ম্যাচ হেরে হতাশ ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার বলেন, ‘ব্যাট হাতে কিছু রান কম করেছি। ৪০ রানে ৫ উইকেট হারানো আমাদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। মাঠ অনেক ভেজা ছিল, বল হাতে আমরা ভালোই করেছি। স্পিনাররা খেলায় ফিরিয়েছিল। ছেলেদের জন্য দীর্ঘ যাত্রার এটা মাত্র শুরু। আশা করছি, ভবিষ্যতের জন্য কিছু গড়তে পারব।’

১৯৯৭-৯৮ সালে সবশেষ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ক্যারিবীয়রা, ৪-১ ব্যবধানে দাপটের সঙ্গে সেই সিরিজটিতে জয় তুলে নিয়েছিল তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

ইংল্যান্ডঃ ২০৬-৯ (৪০); বেন ডাকেট ৭১, ম্যাথিউ ফর্ড ৩-২৯ (৮)

ওয়েস্ট ইন্ডিজঃ ১৯১-৬ (৩১.৪); কিয়েসি কার্টি ৫০, গাস এটকিনসন ২-৫৮ (৬)

ফলাফল – বৃষ্টি আইনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী

;