টেক্টরের সেঞ্চুরি ও ডকরেলের অর্ধশতকে আয়ারল্যান্ডের বড় সংগ্রহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদের ভেতরে ঢোকা বলে ডিফেন্স করেছিলেন পল স্টার্লিং। তবে মাঝ ব্যাটে করতে পারেননি অভিজ্ঞ এই ওপেনার। বরং এজ হয়ে খানিকটা বাঁদিয়ে যাওয়ার সময় ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণভাবে ক্যাচ লুফে নেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ফিল্ডাররা আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই স্টার্লিংকে ফেরায় বাংলাদেশ।

শুরুতে উইকেট হারিয়ে তিনে নামা অ্যান্ডি বালবির্নিকে নিয়ে হাল ধরার চেষ্টায় ছিলেন স্টিফেন দোহানি। হাসান-ইবাদতদের সামলে ধীরে ধীরে স্কোরবোর্ডে রানও যোগ করছিলেন দুজন। কিন্তু সপ্তম ওভারে হাসানকে অফ স্ট্যাম্পের বাইরে হাঁকাতে গিয়ে মিরাজের তালুবন্দি হন দোহানি। ডানহাতি এই ব্যাটার ফিরলেও স্বাগতিকদের টানতে থাকেন হ্যারি টেক্টর ও বালবির্নি।

পেসারদের বিপক্ষে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারলেও স্পিনারদের পেয়ে জ্বলে উঠেন টেক্টর। তাইজুল ইসলামের এক ওভারে তিন ছক্কা মেরে তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিও। ৫২ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন তিনি। এদিকে ২১ ওভারে দলীয় একশ রানে পৌঁছেছে আয়ারল্যান্ড। টেক্টর মতো হাফ সেঞ্চুরি পথে হাঁটছিলেন বালবির্নিও। যদিও তাকে পঞ্চাশ ছুঁতে দেননি শরিফুল ইসলাম।

বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে মুশফিকের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক। হাফ সেঞ্চুরির খুব কাছে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৪২ রানে ফিরে যেতে হয় তাকে। এরপর নতুন ক্রিজে আসা লর্কান টাকারকেও ফেরাতে সময় নেননি এই পেসার। দলীয় ১৩৮ রানে ১৬ রান করা এই ব্যাটারকে বিদায় করেন শরিফুল। লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই আইরিশ ব্যাটার।

সুবিধা করতে পারেননি কার্টিস ক্যাম্ফার। তাইজুল ইসলামের ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারিতে সুইপ করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। বল প্যাডে আঘাত করলেও খানিকটা সময় নিয়ে আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন ক্যাম্ফার। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ৮ করা এই ব্যাটারের।

ক্যাম্ফার ফেরার পর তাইজুলের বলে এক রান নিয়ে ৯৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন টেক্টর। ৩১তম ইনিংসের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। আইরিশ ব্যাটার হিসেবে যা সবচেয়ে দ্রুততম। এদিন আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন টেক্টর। সাকিব আল হাসানের লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরে আয়ারল্যান্ডের হয়ে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার কীর্তি গড়েছেন তিনি।

এদিকে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালাতে থাকেন জর্জ ডকরেল ও টেক্টর। তাতে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডকরেল। মেহেদি হাসান মিরাজের লেংথ ডেলিভারিতে মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে ৩১ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। একেবারে শেষ দিকে এসে টেক্টরের ঝড় থামান ইবাদত হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ক্যারিয়ারসেরা ১৪০ রানের ইনিংস খেলা টেক্টর।

যদিও আটকানো যায়নি আয়ারল্যান্ডের রান। শেষ পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান তোলে স্বাগতিকরা। মার্ক অ্যাডায়ার ২০ এবং ডকরেল অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানের ইনিংস খেলে। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান ও শরিফুল।

 

   

ইউরোপের রাজা খাতা খুললেন এশিয়ায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সহজ কথায় ইউরোপিয়ান ফুটবলের সিংহাসন দীর্ঘদিন আগলে রেখেছিলেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা বলা হয় পর্তুগিজ সুপারস্টারকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে রেকর্ড ১৪৫ গোল করে অবশেষে নিজেই ইউরোপ ছেড়েছেন। যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে। সেই তিনি এবার খাতা খুলেছেন এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে।

প্রথম সবকিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে গভীর আবেগ। বহু বছর পরেও যা স্মৃতিতে রয়ে যায়। সেই শুরুটাই এবার এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে পেলেন রোনালদো। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর নতুন শুরুর দিনে তার দল তাজিকিস্তানের ক্লাব ইস্তিকললের বিপক্ষে ৩–১ গোলের জয় পেয়েছে। টুর্নামেন্টে যা আল নাসরের দ্বিতীয় জয়।

আগের ম্যাচে গোল না পেলেও গোলে সহায়তা করেছিলেন সিআর সেভেন। এ ম্যাচে আর অপেক্ষা নয়, নিজেই প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়ে পিছিয়ে পড়া দলকে পথ দেখিয়েছেন রোনালদো। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আল নাসরকে। ৭২ থেকে ৭৭; ৫ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে দলকে ৩-১ গোলের জয় এনে দেন তালিসকা।

এই গোলটি যে বিশেষ কিছু ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে কথায় জানিয়েছেন রোনালদো, ‘দলের সবার জন্য ম্যাচটা দারুণ ছিল। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে ১ম গোল করতে পেরে আনন্দিত। আশা করি আমরা জিততেই থাকব।’

;

অর্থের জন্যই ভারতে ধারাভাষ্য দেবেন রমিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। তখনকার বোর্ড প্রধান রমিজ রাজা তো ভারতকে এক প্রকার হুমকিই দিয়ে বসেছিলেন। বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিলেন রোহিত শর্মারা এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না আসলে পিসিবিও ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে বাবরদের পাঠাবে না।

পরে অবশ্য রমিজ রাজা বোর্ড প্রধান থেকে সরে দাঁড়ালে পরিবর্তন আসে দৃশ্যপটে। এমনকি রমিজ নিজেও বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। অবশ্য তার অমন শক্ত অবস্থানের পরও ভারতে ধারাভাষ্য দিতে যাওয়াকে ভালোভাবে নিতে পারেনি পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার দানিশ কানেরিয়া। রমিজ টাকার জন্যই এমনটা করেছেন বলে মনে করেন তিনি।

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজের ইউ-টার্ন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ৬১টি টেস্ট খেলা এই সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘রমিজ রাজা পূর্বে বলেছেন, বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না পাকিস্তান। কিন্তু এখন তিনি নিজেই অর্থের জন্য ভারতে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন।’

কানেরিয়া আরও বলেন, ‘সে সময় তিনি কিছু সাহসী কথা বলেছিলেন। আমার কথা হলো, আপনি যদি তখন এই ধরণের বিবৃতি দেবেন। তবে আপনার কথায় অটল থাকা উচিত। এটা আত্মসম্মানের বিষয়। যখন তিনি বলেছেন পাকিস্তান ভারতে যাবে না, তখন তারও ধারাভাষ্য দেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা উচিত ছিল। আমি এই ইউ-টার্ন পছন্দ করিনি।’

;

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে ভারতীয় সাইডআর্ম বিশেষজ্ঞ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুরু হতে আর বাকি কেবল দুই দিন। অংশগ্রহণকারী দলগুলো এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। প্রতিপক্ষের বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে মাথায় রেখে বাড়তি প্রস্তুতিও সারছে দলগুলো।

বিশ্বজুড়ে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের আধিক্য এখন চোখে পড়ার মতো। নিউজিল্যান্ডের কথাই ধরুন, দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। পাকিস্তানে শাহিন আফ্রিদি, বাংলাদেশে মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম… সব মিলিয়ে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের সংখ্যা এবারের বিশ্বকাপে কম নয়।

সে বিষয়টা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপে বাঁহাতি ফাস্ট বোলিংয়ের মুখোমুখি হবার জন্য নিজেদের ঝালিয়ে নিতে একজন ভারতীয় সাইডআর্ম বিশেষজ্ঞকে দলে ভিড়িয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ডগ-থ্রোয়ার জাতীয় একটি যন্ত্র সাইডআর্ম গত এক দশকে পেশাদার ক্রিকেটে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলেছে। ইংল্যান্ডের অনুশীলন সেশনে কোচরাও এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেন।

কিন্তু তাদের প্রধান কোচের উপর বাড়তি চাপ কমানোর জন্য নিয়োগ দেয় সৌরভ আম্বাতকারকে। গত সপ্তাহে গৌহাটিতে তিনি দলের সাথে যুক্ত হয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই থাকবেন সফরকারী দলটির সঙ্গে।

আম্বাতকারের পাশাপাশি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের জন্য মাসাজ থেরাপিস্ট হিসেবে দলে যোগ দিয়েছেন আরেক ভারতীয় মহেশ আর্য। দলটির মেডিকেল টিমের সঙ্গে কাজ করবেন তিনি।

;

লড়াই করেও হারল নেপাল, এশিয়াডের সেমিতে ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়ান গেমসের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে লড়াই করেও হেরেছে নেপাল। প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের কাছে তারা হেরেছে ২৩ রানে।
হ্যাংজুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়। বিশেষ করে, শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন যশস্বী, তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন রুতুরাজ। তারা দুইজনে মিলে গড়েন ৫৯ বলে ১০৩ রানের ওপেনিং জুটি।
দলীয় ১০৩ রানে গায়কোয়াড় আউট হলেও জয়সওয়াল তুলে নেন নিজের সেঞ্চুরি, খেলেন ৪৯ বলে ১০০ রানের দানবীয় ইনিংস। দলীয় ১৫০ রানে দীপেন্দ্র সিংয়ের বলে আউট হন তিনি। শেষের দিকে রিংকু সিংয়ের ১৫ বলে ৩৭ এবং শিবাম দুবের ১৯ বলে ২৫ রানের উপর ভিত্তি করে ২০২ রানের বিশাল পুঁজি পায় ভারত। নেপালের হয়ে দীপেন্দ্র সিং নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট।
ভারতের দেয়া ২০৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন খারাপ করেনি নেপাল। দলীয় ২৯ রানে ওপেনার আরিফ শেখ আউট হলেও কুশাল মাল্লাকে নিয়ে একটি দারুণ জুটি গড়েন আরেক ওপেনার কুশাল ভুরটেল। তবে দলীয় ৬২ রানে ভুরটেল (২৮) আউট হলেই ঘটে ছন্দপতন। দলীয় ৭৭ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নেপাল। এরপর ব্যাটার দীপেন্দ্র সিং এবং সন্দীপ জরার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল নেপাল। তবে দলীয় ১২২ রানে আউট হন দীপেন্দ্র (১৫ বলে ৩২ রান)। এর কিছুক্ষণ পরই আউট হন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা আরেক ব্যাটার সন্দীপ (১২ বলে ২৯ রান), দলীয় ১৪০ রানে। যার ফলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে যায় ভারতের হাতে। শেষমেশ ১৭৯ রানে থামে নেপালের ইনিংস। ভারতের হয়ে পেসার আবেশ খান এবং লেগস্পিনার রবি বিষ্ণোই উভয়েই নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

;