আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে বিশ্বাসী হাথুরুসিংহে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ড সিরিজের আগে সব জল্পনা-কল্পনা সরিয়ে দ্বিতীয় দফায় চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে টাইগারদের তিন ফরম্যাটের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পূর্ব অভিজ্ঞতা বিবেচনায় শ্রীলঙ্কান এই কোচকে পুনরায় ফেরায় বেশ অবাক হয়েছিল দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।

হাথুরুর অধীনে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারানোর পাশাপাশি সীমিত ওভারের ফরম্যাটেও আইরিশদের হারিয়েছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের মহাতারকারা। তবে যেই কারণে পুনরায় তাকে (হাথুরু) দলে ভেড়ানো হয়েছিল, তা কি এই সময়ে বদলে গেছে কি না, এমন প্রশ্ন বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে।

রোববার (২৬ মার্চ) সাগরিকায় সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এই সময়ে দলে কি বদলেছে। জবাবে টাইগারদের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে জানান, খেলোয়াড়দের মধ্যে খুব বেশি কিছু বদলায়নি। তবে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ কিছুটা বদলেছে।

শ্রীলঙ্কান এই কোচ জানালেন, আমার মনে হয় না খুব বেশি কিছু বদলেছে, ড্রেসিং রুমের মধ্যে পরিবেশ কিছুটা বদলেছে। আমরা যেভাবে কথা বলি, যা নিয়ে কথা বলি; চেষ্টা করছি মনস্তাত্ত্বিকভাবে দলকে নির্ভার রাখতে।

টাইগারদের প্রধান কোচ আরও যোগ করেন, তাদের বলেছি, শুধু রেজাল্টের জন্য তাদের মূল্য কমে যাবে না। তারা একই ক্রিকেটার থাকবে, আমরা একই মানসিকতায় দেখছি, তারা মূল্যবান। আমরা তাদের নিয়েছি স্কিলের জন্যই। এটা ছাড়া কিছুই বদলায়নি, জানি না আগে কী হয়েছে; কিন্তু তাদের স্কিল একই।

বাংলাদেশ দলে সার্বিক পরিবেশ সম্পর্কে হাথুরু জানালেন, আমি এটাকে নতুন যুগ হিসেবে দেখছি না। আমরা সামনেও এভাবেই নিজেদের ক্রিকেট খেলতে চাই। আমরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলব না।

হাথুরুর দাবি, আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, আমি সবসময় বলি এটার মানে এই না যে গিয়েই মারতে হবে। সবদিক থেকেই আমরা আক্রমণাত্মক। দল নির্বাচনে, ফিল্ডিং প্লেসিংয়ে, বডি ল্যাঙ্গুয়েজে, ফিল্ডিংয়ে, ব্যাটিংয়ে আমরা আক্রমণাত্মক। ট্যাকটিক্যালি আমরা আক্রমণাত্মক থাকবো।

তিনি আরও বলেন, কী হবে, সেটা নিয়ে ভাবছি না। সেভাবেই খেলতে চাই, যেটা সবচেয়ে ভালো পারবো। আমার মনে হয়, যখন আমরা এমন আক্রমণাত্মক খেলবো আর স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে পারবো, তখন দল সবসময় ভালো করবে।

 

   

টানা পাঁচ হারে তলানিতে বেঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তারকায় ঠাসা এবং শক্তিশালী স্কোয়াড নিয়েও দলকে একবারও আইপিএলের শিরোপা জেতাতে পারেননি, এই আক্ষেপ বিরাট কোহলির নিজেরও হয়তো আছে। তবে আইপিএলের এবারের আসর শুরুর আগে থেকেই নতুন করে আশার আলো দেখতে থাকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সমর্থকরা। কারণ ২০২৩ সালে ভারত বিশ্বকাপে কোহলির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও ফর্ম তাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে।

কিন্তু আইপিএলের চলতি আসরেও একের পর এক ধাক্কা খেতে হচ্ছে বেঙ্গালুরুকে। আসরের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করে কোহলিরা। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে ছন্দে ফেরার আভাস দেয় দল। কিন্তু এরপর শুরু হয় পতন। গতকাল হায়দরাবাদের বিপক্ষে রেকর্ড পরিমাণ রান হজম করার ম্যাচে হেরে টানা পাঁচ ম্যাচ হারের স্বাদ হজম করতে হলো কোহলিকে, সঙ্গে পুরো বেঙ্গালুরুর সমর্থকদের।

দলের পারফরম্যান্স ভাল না হলেও প্রতি ম্যাচেই নিজের সর্বোচ্চটাই মাঠে ঢেলে দিচ্ছেন সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি। অর্থাৎ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে বেঙ্গালুরুর দলে সবার ওপরেই থাকবে কোহলির নাম। কিন্তু খেলাটা যেখানে দলগত, সেখানে একক পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে জয় তুলে এনে দেওয়াটা এতটাও সহজ নয়। বারবার খুব কাছে যেয়েও আশাভঙ্গ হচ্ছে কোহলির।

গতরাতে হায়দরবাদের শক্ত ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল করুণ। অপরদিকে ব্যাট হাতে সেরাটাই দেখিয়েছেন কোহলি। তাতেও লাভ হয়নি। স্বাগতিকদের বোলিং দুর্দশার সুযোগটা বেশ ভালোমতই কাজে লাগিয়েছেন হায়দরাবাদের খেলোয়াড়রা, গড়েছেন একের অধিক রেকর্ড, তুলে নিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত জয়। অপরদিকে বেঙ্গালুরু এবং কোহলিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এক বুক হতাশা নিয়েই।

এই হারের পর আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার তলানিতে অবস্থান করছে কোহলিরা। ৭ ম্যাচে মাত্র এক জয়ের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট মাত্র ২। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে নড়বড়ে মনোবল পুরো দলের। তবে সমর্থকরা আশাবাদী। তাদের বিশ্বাস যে কোহলির হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে দল। ভালো কিছুর অপেক্ষাতেই আছে বেঙ্গালুরু।

;

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছাড়াও টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ

মোহামেডান-শাইনপুকুর
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

গাজী গ্রুপ-ব্রাদার্স
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

রূপগঞ্জ টাইগার্স-সিটি ক্লাব
সকাল ৯টা, ইউটিউব/বিসিবি

আইপিএল

কলকাতা-রাজস্থান
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ

ডর্টমুন্ড-আতলেতিকো
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ১

বার্সেলোনা-পিএসজি
রাত ১টা, সনি স্পোর্টস ২

;

আইপিএলের রেকর্ড সংগ্রহ হায়দরাবাদের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ আগেই আইপিএলে ২৭৭ রানের দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই রানটিকেও এবার ছাড়িয়ে গেছে তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে এদিন আগে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রান তুলেছে দলটি। যা আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

এদিন হায়দরাবাদকে পথটা দেখিয়ে গিয়েছিলেন তাদের দুই ওপেনার অভিষেক শার্মা ও ট্র্যাভিস হেড। এই জুটি ভেঙেছে দলীয় ১০৮ রানে। আর সেই রানটা এসেছে মাত্র ৮.১ ওভারে। ২২ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন অভিষেক। দলের এমন অবস্থায় ব্যাটিংয়ে প্রমোশন পেয়ে যান হেনরিখ ক্লাসেন। হেডের সঙ্গে ‍জুটি বেধে ছক্কার বৃষ্টি নামান দু’জনে।

হেড খানিকটা পর ৩৯ বলে আইপিএলের চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে ফিরলেও দলকে পথে রাখেন ক্লাসেন। নিজেও ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। বিশাল সব ছক্কায় প্রতিপক্ষের বোলারদের কচুকাটা করছিলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ব্যাট চালিয়েছেন ২০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে। এরপর অবশ্য সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখিয়ে ফিরেছেন ৩১ বলে ৬৭ রান করে। তবে ততক্ষণে বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়া হয়ে গিয়েছে তাদের।

সেই ভিতটাকে আরও পোক্ত করেন আবদুল সামান ও এইডেন মার্করাম জুটি। ব্যাট থেকে শেষ ‍দিকে সুনামি বইয়ে দিয়েছেন দু’জনে। একের পর এক ছক্কায় দলকে নিয়ে গেছেন রান পাহাড়ের চূড়ায়। তাদের দু’জনের ব্যাটিং তাণ্ডবেই ৩ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ২৮৭ রানের রেকর্ড সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। শেষ দিকে ১৭ বলে ৩২ রানে মার্করাম ও ১০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সামাদ। হায়দরাবাদের ব্যাটাররা মিলে পুরো ইনিংসে মোট ২২ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এদিন।

;

চলতি আইপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরি হেডের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি আইপিএলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন ট্র্যাভিস হেড। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকালেন ৩৯ বলে। তার ব্যাটিং তাণ্ডবেই বড় সংগ্রহের পথে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

সেঞ্চুরির পর অবশ্য উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি হেড। এরপর আর মাত্র ২ বল খেলতে পেরেছেন। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৪১ বলে ১০২ রান। যেখানে ৮টি ছক্কা ও ৯টি চার ছিল।

আইপিএলের ইতিহাসে এটি চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে ক্রিস গেইল ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটিই এখন পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। পরের সেঞ্চুরিটি ৩৭ বলে করা ইউসুফ পাঠানের। এরপর ডেভিড মিলারের করা ৩৮ বলের সেঞ্চুরিটি আছে তালিকার তৃতীয় নাম্বারে। এর ঠিক পড়েই অবস্থান হেডের সেঞ্চুরির।

তার সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে আছে হায়দরাবাদ। এবারের আইপিএলে এরইমধ্যে দলীয় সর্বোচ্চ ২৭৭ রানের রেকর্ড গড়েছে দলটি। সেই রানকে এবার টপকে যায় কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।

;