শামসুন্নাহারের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ নেপাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের হ্যাটট্রিকে ভুটানকে হারিয়ে সাফ অনুর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। ফলে লিগের তিন ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষ দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।

ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপালকে পেয়েছে স্বাগতিকরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে গোল পেতে ২১ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় শামসুন্নাহারের দলকে। ম্যাচের ২২ মিনিটে গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন আকলিমা খাতুন। বাঁ প্রান্ত দিয়ে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র আড়াআড়ি ভাবে বল পাঠিয়ে দেন ভুটানের গোল পোস্টের সামনে। সেখানে বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সফরকারী রক্ষণভাগের তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোল করেন স্বাগতিক স্ট্রাইকার আকলিমা (১-০)।

৮ মিনিট পর দ্বিগুণ ব্যবধানে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৩০ মিনিটে ডান প্রান্তে কর্নার থেকে দর্শনীয় হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন শামসুন্নাহার (২-০)। এরপর অবশ্য প্রথমার্ধে আর কোন গোল না হলে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতি থেকে ফিরে ফের গোল উৎসবে মেতে উঠে স্বাগতিক দল। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে মাঝ মাঠে শাহেদা আক্তার রিপার পাস থেকে বল নিয়ে ডান প্রান্ত দিয়ে দ্রুত সফরকারি শিবিরে ঢুকে পড়েন স্বাগতিক অধিনায়ক শামসুন্নার। বেশ ঠান্ডা মাথায় ডি বক্সের কানা থেকে ডান পায়ে প্লেসিং শটে গোল করেন তিনি। তার শটের বলটি ভুটানের সাইডবারে লেগে জালে জড়ায় (৩-০)। ৬০ মিনিটে আকলিমা গোল করে বাংলাদেশের স্কোরকে পৌঁছে দেন ৪-০ ব্যবধানে। পরের মিনিটে আকলিমার ট্রু পাস থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শামসুন্নাহার (৫-০)।

এরপরও প্রতিপক্ষ ভুটানের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে লাল সবুজের দলটি। তবে আর গোলের দেখা পায়নি তারা। শেষ পর্যন্ত ৫-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ছোটনের শিষ্যরা।

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে দুপুরে মাঠে নামছে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের আগ্রাসী ব্র্যান্ড ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ওয়ানডে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

প্রথম ওয়ানডেতে রেকর্ড জয়ের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রানের সুবাদে ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানে সর্বোচ্চ সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানকে টপকে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মুশফিক।

মুশফিকের ব্যাটিং বুঝিয়ে দিয়েছে- ভারতে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরি করার লক্ষ্যে এখন থেকেই কিভাবে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে চাইছে বাংলাদেশ।

প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে বাংলাদেশ। ম্যাচে রান বিবেচনায় নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৮৩ রানের জয় পায় টাইগাররা। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে লড়াই করতে পারেনি সফরকারীরা। দ্বিতীয় ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় সিরিজ সমতায় শেষ করার সুযোগ এখনও আছে আয়ারল্যান্ডের।

এই সিরিজে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দল যে ধরনের ক্রিকেট খেলেছে তাতে সিরিজ হার এড়ানো কঠিন আয়ারল্যান্ডের জন্য।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ১২টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। এরমধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে, আয়ারল্যান্ডের জয় ২টিতে। বাকি ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

তৃতীয় ওয়ানডে থেকে আফিফ হোসেন এবং শরিফুল ইসলামকে বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ। রনি তালুকদারের মত খেলোয়াড়ের দেশের হয়ে প্রথম ওয়ানডে খেলার সুযোগ থাকছে। প্রথম ওয়ানডের আগে অনুশীলন সেশনে ফুটবল খেলতে গিয়ে চোখে ব্যাথা পান অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনজুরি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিনি।

যদিও বিশ্বমানের স্পিন আক্রমণ আছে স্বাগতিকদের। তাই পেসারদের জ্বলে উঠার প্রয়োজন তেমন একটা পড়েনি। কারণ ঘরের মাঠে আইরিশদের গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য স্পিনাররাই যথেষ্ট । ধারণা করা হচ্ছিলো- বাংলাদেশের পেস বোলারদের সহজে মোকাবেলা করতে পারবে আয়ারল্যান্ড। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি।

বাংলাদেশ দল

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী চৌধুরী, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন চৌধুরী, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও রনি তালুকদার।

আয়ারল্যান্ড দল

অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, লরকান টাকার, গ্যারেথ ডেলানি, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, বেঞ্জামিন হোয়াইট, জোশুয়া লিটল ও গ্রাহাম হুম।

;

এবার পেশাদার বক্সিং এ বাংলাদেশের গর্ব সুরো কৃষ্ণ চাকমা-হৃদয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
এবার পেশাদার বক্সিং এ বাংলাদেশের গর্ব সুরো কৃষ্ণ চাকমা-হৃদয়

এবার পেশাদার বক্সিং এ বাংলাদেশের গর্ব সুরো কৃষ্ণ চাকমা-হৃদয়

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক পেশাদার বক্সিং টুর্নামেন্ট, ‘বেক্সিমকো এক্সবিসি ফাইট নাইট’ ২১ মার্চ মঙ্গলবার ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৪ জন অংশগ্রহণকারী ৭টি বিভিন্ন বিভাগের রিংয়ে লড়াই করে। এই বিভাগ বা ক্যাটাগরিগুলো ছিল ফেদারওয়েট, লাইট হেভিওয়েট, ব্যান্টামওয়েট, ক্রুজারওয়েট, ফ্লাই ওয়েট, লাইটওয়েট এবং ওয়েল্টারওয়েট।

ফেদারওয়েট বিভাগে ছয় রাউন্ডের বাউটে দুই বাংলাদেশি বক্সার – উৎসব আহমেদ এবং আমিনুল ইসলামের মধ্যকার লড়াই দিয়ে টুর্নামেন্টটি শুরু হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ৬ রাউন্ডের বাউটে আমিনুলের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেন উৎসব। লাইট হেভিওয়েট ক্যাটাগরিতে, টিকেও (টেকনিক্যাল নকআউট) এ ৩ রাউন্ডের খেলায় শাহরিয়ার শান্তকে পরাজিত করে জাহিদুল ইসলাম অব্যাহত রাখেন তার অপরাজিত রান।

স্থানীয় নায়ক আবু তালহা হৃদয় ব্যান্টামওয়েট বিভাগে ৪ রাউন্ডের লড়াইয়ের পর ভারতীয় বক্সার আশিস কুমারকে পরাজিত করে বাংলাদেশকে গর্বিত করেন। অপরদিকে, ফরাসি বক্সার এলিয়ট মিশেল ক্রুজারওয়েট ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি বক্সার মোঃ কাওসার আলীকে হারিয়ে বিজয়ী হন।

রাতের পঞ্চম লড়াইয়ে,ডব্লিউবিইউ ইন্টারকন্টিনেন্টাল খেতাবের জন্য ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সুপারস্টার রুকসানা বেগম ফ্লাইওয়েট বিভাগে প্রতিভাবান বাংলাদেশি বক্সার তানজিলার বিপক্ষে মুখোমুখি হন।

দুই নারী বক্সারের মধ্যেকার ম্যাচটিই সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠে যেখানে ১০ রাউন্ডে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর তানজিলার বিপরীতে রুকসানা বেগম ডব্লিউবিইউ ইন্টারকন্টিনেন্টাল শিরোপা জিতে নেয়। বিজয় উদযাপন করতে রুকসানা বাংলাদেশি এবং যুক্তরাজ্যের পতাকা জড়িয়ে ধরেন। আর সে সময় বাংলাদেশ বক্সিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, আদনান হারুন, রুকসানার হাতে তুলে দেন ডব্লিউবিইউ ইন্টারকন্টিনেন্টাল চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা।

লাইটওয়েট বিভাগে রাতের ষষ্ঠ বাউটে থাইল্যান্ডের আনান পংখেতের প্রতিপক্ষ হয়ে লড়াই করেন বাংলাদেশি বক্সিং সুপারস্টার সুরো কৃষ্ণ চাকমা। দ্রুততম হাতের অধিকারী হিসেবে পরিচিত, রাঙ্গামাটির ছেলে সুরো লাইটওয়েট বিভাগে আনান পংখেতকে দুই রাউন্ডে নক আউট করে বিজয়ী হন।

রাতের সপ্তম এবং শেষ লড়াইয়ে, বাংলাদেশি বক্সার 'দ্য বুল' আল-আমিন ওয়েল্টারওয়েট বিভাগে তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ দুষ্যন্ত শ্রীবাস্তবের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। ছয় রাউন্ডের এই বাউটিং এ দুষ্যন্ত শ্রীবাস্তবের জয়ের মধ্য দিয়েই ফাইট নাইটটি সমাপ্ত হয়।

;

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় ওয়ানডে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাইগারদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সোমবার (২০ মার্চ) সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আইরিশ পেসারদের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে। তামিম ৩১ বলে ২৩ রান করে রান আউট হলেও ক্রিজে স্থায়ী হন লিটন। সাত ইনিংস পর তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি। আউট হওয়ার আগে ৭১ বলে সমান তিন চার ও ছক্কার মারে খেলেন ৭০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

লিটনের বিদায়ের পর শান্তর সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। ১৯ বলে ১৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে শান্ত তুলে নেন তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। ৭৭ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রান করেন তিনি।

পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিক ও হৃদয় চড়াও হন আইরিশ বোলারদের ওপর। দুজনের জুটিতে আসে ১২৮ রান। দলীয় ৩১৮ রানে ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রান করে আউট হন হৃদয়। অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে মাত্র ৬০ বলে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। যা বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।

সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অবিশ্বাস্য শতক হাঁকানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ওয়ানডে শতকের মালিকও হলেন মুশফিক। ৬০ বলে ইনিংসে ১৪টি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকান অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এর আগে, তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।

মুশফিকের রেকর্ডের দিনে রেকর্ড গড়েছেন তামিম ইকবালও। সোমবার (২০ মার্চ) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তামিম ছুঁয়েছেন ১৫ হাজার আন্তর্জাতিক রানের মাইলফলক। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার তামিমের ধারেকাছেও নেই। ১৩ হাজারের ওপর রান আছে কেবল দুজনের-সাকিব ও মুশফিকের।

;

মুশফিকের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের রানের রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুশফিকুর রহিমের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোর।

এর আগে শনিবার চলতি সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেই ৩৩৮ রানের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ। একদিনের ব্যবধানে সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়েন টাইগাররা।

আজও টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাসকে আটকে রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডের দুই পেসার মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম। প্রথম ৪ ওভারে মাত্র ৫ রান তুলতে পারেনি তামিম ও লিটন। পঞ্চম ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় বাংলাদেশ। পাওয়ার-প্লের শেষ বলে দলীয় ৪২ রানে রান আউট হয়ে থামেন তামিম। ৪টি চারে ৩১ বলে ২৩ রান করেন তামিম।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে দলের রানের চাকা ঘুড়ান লিটন। ২০তম ওভারে ১শ রান পায় বাংলাদেশ। পরের ওভারের প্রথম বলে ছক্কায় ওয়ানডেতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরি পূরন করেন লিটন।

৫৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা লিটন শেষ পর্যন্ত ৭০ রানে পেসার কার্টিস ক্যাম্পারের বলে বিদায় নেন লিটন। ৭১ বল খেলে ৩টি করে চার-ছয় মারেন লিটন। এই ইনিংসেই ওয়ানডেতে ২ হাজার রান পূর্ণ করেন লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে শান্তর সাথে ৯৬ বলে ১০১ রান যোগ করেন লিটন।

লিটনের ফেরার পর উইকেটে এসে ভালো শুরু করেও হুমের প্রথম শিকার হয়ে ব্যক্তিগত১৭ রানে আউট হন সাকিব আল হাসান। সাকিবের সাথে ৩৯ রানের জুটি গড়ার পথে ৫৯ বলে ওয়ানডেতে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন শান্ত।

লিটনের মত ইনিংস করার চেষ্টা করেও ৭৩ রানেই থেমে যান শান্ত। হুমের দ্বিতীয় শিকার হবার আগে ৭৭ বল ৩টি চার ও ২টি ছয়ে নিজের ইনিংস সাজান শান্ত।

৩৪তম ওভারে দলীয় ১৯০ রানে শান্তর আউটে জুটি বাঁধেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। দ্রুত উইকেটে সেট হয়ে মারুমুখী ব্যাট করতে থাকেন তারা। ৪৩তম ওভারে ছক্কায় ৩৪ বলে ওয়ানডেতে ৪৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আজও ছয় নম্বরে নামা মুশফিক।

মুশফিক পারলেও অর্ধশতক হাতছাড়া করেন দারুন খেলতে থাকা হৃদয়। অ্যাডায়ারের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ৩৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছয়ে ৪৯ রানে আউট হন হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ বলে ১২৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের স্কোর ৩শ পার করেন মুশফিক-হৃদয়।

দলীয় ৩১৮ রানে হৃদয় ফেরার সময় মুশফিকের রান ছিল ৪৬ বলে ৭৮। সেঞ্চুরি পেতে ইনিংসের শেষ ৪ বলে ৯ রান দরকার পড়ে মুশফিকের। তৃতীয় থেকে পঞ্চম বলে ১টি চারে ৮ রান নেন মুশফিক। শেষ বলে ১ রান নিয়ে ওয়ানডেতে নবম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ৬০ বলে তিন অংকে পা দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন মুশফিক। ২৪৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই প্রথম ছয় নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করলেন মুশফিক।

মুশফিকের ৬০ বলে অপরাজিত ১০০ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪৯ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রান টাইগারদের। মুশফিকের ইনিংসে ১৪টি চার ও ২টি ছক্কা ছিলো। এই ইনিংস খেলার পথে ৭ হাজার রানও পূর্ণ করেন মুশি। বল হাতে আয়ারল্যান্ডের হুম ৩ উইকেট নেন।

;