প্রধানমন্ত্রীর কাঠগড়ায় আ'লীগের দুর্নীতিবাজ নেতারা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদক ও ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানে আটকরা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের মধ্যম সারির নেতা। চলমান অভিযানে দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু নেতা ক্ষুব্ধ হলেও সাধারণ মানুষের কাছে তা প্রশংসিত হয়েছে। জনগণের সামনে এসেছে কিছু মানুষের দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। মাদক ও ক্যাসিনো ব্যবসা এবং টেন্ডারবাজির অন্ধকার জগতের শিউরে ওঠা তথ্যে চমকে উঠেছেন অনেকেই।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পরিধি প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এর ফলে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পথে অঢেল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে যাওয়া দল ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কমপক্ষে ১০০ দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির নামের তালিকা এখন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। বিশেষ করে গত ১১ বছরে হঠাৎ করেই যারা ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’-এ পরিণত হয়েছেন তাদের মনে ভয়- কখন কী হয়! প্রশাসনের নজর এড়াতে এদের অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন, কেউ বা নীরবে বিদেশ চলে গেছেন আবার কেউ বিদেশে পাড়ি জমাতে গোপন চেষ্টায় লিপ্ত।

আওয়ামী লীগ নেতাদের মতে, র‌্যাব-পুলিশের চলমান অভিযানে দলীয় নেতা-কর্মীরা ধরা পড়লেও এতে দলের ‘ইমেজ’ ভালো হচ্ছে। আর এই সাফল্যের কৃতিত্বের দাবিদার দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স‘ নীতি প্রশাসনকে অভিযান পরিচালনায় সাহস ও উৎসাহ জুগিয়েছে বলে অভিমত তাদের।

সম্প্রতি চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে অপসারণ করা হয়। কিন্তু তখনও আঁচ পাওয়া যায়নি সামনে কী হতে যাচ্ছে! একদিন পরেই যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ধরা পড়েন। এরপরই ঢাকার ‘স্বনামখ্যাত’ ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার খবর সামনে আসে। ক্যাসিনোগুলোতে মদ, জুয়াসহ অসামাজিক কর্যকলাপ সবই চলত বলে চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন খবর সামনে আসে। ক্যাসিনোর খবর ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’তে পরিণত হয়। এরপর একে একে ধরা পড়েন টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম, কৃষকলীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ। ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের বার ও ক্যাসিনোতে যেমন অভিযান চলতে থাকে, তেমনি আটককৃতদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যও যাচাই-বাছাই করতে থাকেন গোয়েন্দাবাহিনীর সদস্যরা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ক্যাসিনোগুলোর টাকার ভাগ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এমনকি আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা পেতেন। বিশেষ করে ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, ওয়ান্ডারাস ক্লাব, ধানমন্ডি ক্লাবের ক্যাসিনোতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের ১০ জন নেতা নিয়মিত যাতায়াত করতেন। এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্পাদক পর্যায়ের নেতাও রয়েছেন। এছাড়া যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত কয়েকজন সংসদ সদস্য, প্রশাসনের বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ক্যাসিনোগুলো থেকে উপার্জিত অবৈধ অর্থের ভাগ নিতেন। তাদের পক্ষে মহানগর যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতা, থানা ও ওয়ার্ড কমিটি পর্যায়ের কয়েকজন নেতাও কাজ করতেন। পুরো চক্রটি ঢাকার অপরাধ জগত তথা আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যাপারে সমস্ত তথ্যই প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে কয়েকমাস আগে। যা দেখে দারুণ ক্ষুব্ধ হন সরকারপ্রধান। সরকারের উপর মহলের সবুজ সংকেত পেয়েই অভিযানে নামে প্রশাসন। আটক খালেদ, শামীম ও ফিরোজের কাছ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখছে পুলিশ। তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে সেগুলো জাতীয় নিরাপত্তা সেলের শীর্ষ কর্মকর্তার কাছেও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি চলমান অভিযানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তার একজন উপদেষ্টা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশমতো সরকারের নির্দেশনা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।

এদিকে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির অংশ হিসেবে দলে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনার দাবি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল থেকে উঠছিল। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব সোর্স ও বাহিনী দিয়ে আওয়ামী লীগসহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগের সকল বিতর্কিত, অপকর্মকারী, দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরি করেন। এখন তাদের শাস্তি দিয়ে দলকে যেমন শুদ্ধ করা হবে তেমনি দলের ইমেজও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এমনকি এই অভিযানের প্রভাব আওয়ামী লীগের সম্মেলনের ওপরেও পড়বে। অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজদের দল থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবেই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলীয় সভাপতি এদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। এ অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু আওয়ামী লীগ নেতা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছেন। তবে সংখ্যাটা কত সেটা আমি জানি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে এ শুদ্ধি অভিযান সারা দেশেই ছড়িয়ে যাবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শুধু যুবলীগ বা ছাত্রলীগের প্রশ্ন নয়, আওয়ামী লীগেরও যারা অনিয়ম, দুর্নীতি করবে- তাদেরও একই পরিণতি ভোগ করতে হবে। যাদের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অন্যায়-অনিয়ম বা দুর্নীতিতে প্রশাসন বা রাজনীতির কেউ যদি মদদ দিয়ে থাকেন তাহলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো গডফাদারই ছাড় পাবে না।

   

আ. লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) 'মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'অন্তরে মম শহীদ জিয়া'।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেনই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কিনা। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা এই ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ডঃ কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

;

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা (বিএনপি) এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত পক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংগঠনের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

;

বিদেশী প্রভুর কাছে নতজানুদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয়, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে যারা ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবিক বিবেচনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের যেমন কমিটমেন্ট আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাচিয়ে রাখার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাচিয়ে রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যারা কলুষিত করতে চায় তাদের নির্মূল করার জন্য এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা আরও জয়োধ্বনিতো হউক।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;