শেখ হাসিনার শাসনামল নির্বাহী বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে: আমীর খসরু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শেখ হাসিনার শাসনামল নির্বাহী বিভাগকে ধ্বংস করে চলে গিয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিবের সাথে অষ্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা গতকাল জেলা প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে সচিবালয়ে হাতাহাতি হয়েছে, জনগণ বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না এমন প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে দেশের সব জায়গায় চরমভাবে রাজনৈতিককরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, সবজায়গায় নিজেদের লোক বসানোর যে অপচেষ্টা ছিলো তার ফলে দেশের নির্বাহী বিভাগ দলীয় নির্বাহী বিভাগে পরিণত হয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসা খুব সহজ কাজ নয়, হয়তো ভুলত্রুটি থাকতে পারে। আমরা বলবো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার জন্য। নিজেদের মধ্য আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হবে।

আমীর খসরু বলেন, এখন কেউ চায় না দেশটা আবার বিশৃঙ্খলায় যাক কারণ সুযোগ সন্ধানীরা এখনো বসে আছে, তাদেরকে তো আমরা সে সুযোগ দিতে পারি না। দেশের মানুষ যে আশা করছে সেটা পূরণে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

অষ্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার সাথে বৈঠকের বিষয়ে এই নেতা বলেন, অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনারের সাথে বৈঠকে তারা জানতে চেয়েছে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিএনপি কি ভাবছে ও অন্তবর্তীকালীন সরকারের একমাস কেমন হয়েছে। এসময়ে আমাদের দলের কি প্রত্যাশা ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে দু'দেশের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই অঞ্চলের জিও পলিটিক্স ও রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সেইসাথে দু'দেশের শিক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন অষ্ট্রেলিয়ায় আমাদের অনেক ছাত্র পড়াশোনা করছে তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়ে তারা আরও কি ভূমিকা রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বিএনপি এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কবে নির্বাচন হবে নির্বাচনের জন্য কত সময় লাগতে পারে তা জানতে চেয়েছে দেশটি। নির্বাচনের আয়োজনের জন্য কি কি পরিবর্তন প্রয়োজন তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মূলত সার্বিকভাবে আলোচনা শেষে যত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে সেটা আলোচনা হয়েছে।

দেশটিকে নির্বাচন নিয়ে কোন নির্দিষ্ট সময়ের কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা তো যৌক্তিক সময়ের কথা বলেছি। যৌক্তিক সময়ের পরিধি কত এইক্ষেত্রে যারা স্টেকহোল্ডার আছে তারা বিবেচনা করবে।

আমীর খসরু বলেন, আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে একটা নিদিষ্ট সময় বেধে দিয়ে তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইনা। আমরা চাই সরকার সফলভাবে তাদের কাজগুলো করুক। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হোক। আমরা নিশ্চিত তারা সে কাজটি করবে।

তিনি আরও বলেন, একদিকে ফায়ার ফাইটিং করতে হবে অন্যদিকে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো ঠিক করতে হবে। সকলের একই প্রশ্ন এই কাজগুলো কত তাড়াতাড়ি হবে। কবে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। এই ব্যাপারে আমরা সরকারকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছি।