ফেনীর মহিপালে ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে নির্বিচারে গুলিতে নিহতের ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহিপালে জাকির হোসেন শাকিল নিহতের ঘটনায় মামলাটি করেছে তার মা কোহিনুর আক্তার।
মামলায় ফেনী-২ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে মহিপালে নিহত শিক্ষার্থী জাকির হোসেন শাকিলের মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ৭১ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত শাকিল সোনাগাজী উপজেলার কুঠিরহাট মান্দারী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
এর আগে মহিপালে নিহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক মো. সবুজের ভাই মো. ইউসুফ বাদী হয়ে ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ছাত্রদের দিকে গুলি করার নির্দেশনা ও অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে নিজাম হাজারীকে এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়। এ নিয়ে ফেনীতে ২টি হত্যা মামলা দায়ের হলো এবং এতে নামীয় ও অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৮৩৬ জন।
মামলায় অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করিম উল্লাহ বিকম ওরফে রেন্সু করিম, যুবলীগ নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলু প্রমুখ। এছাড়া বেশিরভাগ আসামিকে আগের মামলায়ও আসামি করা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছে জনপ্রতিনিধি, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জেলা ও উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাম।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় দুইজন বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।