রোডমার্চে প্রতীকী কারাগার, খালেদা জিয়ার সাজে লুবাবা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রোডমার্চের পিকআপ ভ্যানে তৈরি করা হয়েছে 'প্রতীকী কারাগার'। সেই করাগারের ভেতর একগুচ্ছ ধানের শীষ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শাহ রুফাইদা লুবাবা (৬) নামের এক শিশু। গোলাপি শাড়ি ও চোখে সানগ্লাস পরে এই শিশু সেজেছে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাজে।

রোববার (১ অক্টোবর) ময়মনসিংহ টু কিশোরগঞ্জ বিএনপির রোডমার্চ হয়। সেই রোডমার্চের গাড়িবহরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সেজে সবার নজর কেড়েছে লুবাবা।

লুবাবার বাবা শাহ নাসির উদ্দীন রুমন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক। তার মা তানজিন চৌধুরী লিলি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি। 

ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ বিএনপির রোডমার্চে অংশ নিয়ে রোববার দুপুরে প্রতীকী কারাগারের পিকআপভ্যান মহাসড়কের কলতাপাড়া বাজারে অবস্থান করে। এসময় প্রতীকী কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে লুবাবার বাবা-মা দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়। এদিন বিকেলে প্রতীকী কারাগারের গাড়িটি রোড মার্চের বহরের সাথে কিশোরগঞ্জ চলে যায়।

লুবাবার মা তানজিন চৌধুরী লিলি বলেন, আজকে দেখেন দেশের মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কিভাবে গ্রহণ করেছে। আমার ছয় বছরের শিশু লুবাবাও খালেদা জিয়া সেজে রোদের মধ্যে এই রোডমার্চে অংশ নিয়েছে।  প্রখর রোদে প্রতীকী কারাগারে খালেদা জিয়ার সেজে দেশনেত্রীর মুক্তি নিশ্চিত করতে চাইছে।

লুবাবার বাবা শাহ নাসির উদ্দীন রুমন বলেন, মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নেত্রীর জীবন শঙ্কার মুখে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। উনার মুক্তি চাই ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ প্রেরণ করা হয় এটাই আমাদের দাবি। আর দেশনেত্রী যে কারারুদ্ধ আছেন সেটার একটা প্রতীকী আমার মেয়ের লুবাবার মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

প্রসঙ্গত, রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশালের বগার বাজার হতে বিএনপির রোডমার্চ কিশোরঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।



   

২০ ডিসেম্বর থেকে আ.লীগের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু : কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে  নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাজার জিয়ারতের পর জনসভা হবে। সেটাই হবে প্রথম নির্বাচনী জনসভা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রবর্তন কবে? দেশের স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এবং বাংলাদেশে এমন ঘটনা তার আগে ঘটেনি। নেত্রী বলেছিলেন, এদেশে আমার বাবার হত্যার বিচার চেয়েও বিচার পাইনি। চট্টগ্রামের মৌলভী আবুলকে গুম করে দেশের রাজনীতিতে ঘুমের ধারা প্রথম চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। সেই ধারা খালেদা জিয়া অব্যাহত রেখেছেন।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে কথা বলতে গিয়ে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনে ঘৃণ্য ও জঘন্যতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তার নজীর সমসাময়িক বিশ্বের কোথাও নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব রেকর্ড তারা ভঙ্গ করেছে।

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের কারণে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আপনারা কোনো বিচার চাইবেন কিনা? জবাবে তিনি বলেন, যারা গাজার সিজ ফায়ারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কি লাভ? আমাদের একাত্তরকেও তো হার মানিয়েছে। যারা গাঁজার বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কি লাভ আমাদের বলুন? আর আমাদের এখানে যা ঘটছে সেসব তথ্য তো আমরা দিয়েই থাকি। সেটা আমরা পারস্পরিক বিনিময় করেই থাকি।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে গোপনে আলোচনা কেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোচনা গোপনে হয় না, গোপনীয়তা রক্ষা করেছি। কারণ এইগুলো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আপনি এক কথা বলবেন, আরেকজন আরেক কথা বলবেন। এইজন্য একটু গোপনীয়তা রক্ষা করা।

বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত। এ বিষয়ে আপনারা কি ভাবছেন? উত্তরে তিনি বলেন, আন্দোলন চালিয়ে যাক। সরকার আগামী মেয়াদে আসলে তখনও অবরোধ হরতাল দেবে। এগুলো আমরা এখন আর পাত্তা দিচ্ছি না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার আশঙ্কা আছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কারো সঙ্গে কোন কনফ্লিক্ট নাই। আমরা পরাশক্তি হতে চায় না। আমরা আমাদের জনগণ নিয়ে এই দেশে তে জন্মেছি, এ দেশে তে মরবো। আমরা সুপার পাওয়ার হতে চাই না। আমরা যেভাবে আছি, আমাদের জনগণকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই, সুখে থাকতে চাই।

ভূ-রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলোর মতোবিরোধ নিরসনের আহ্বান জানানো হয়েছে এফবিসিসিআই এর সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাল কথায় সবাই বলার চেষ্টা করে। বাস্তবতাটা যে বড় কঠিন। যারা ভালো কথা বলেন তারাও জানেন। আমাদের অর্থনীতি নিজেদের বিষয়। সারা বিশ্বের অর্থনীতি এখন আবর্তিত হচ্ছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ওপর। যে কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ও বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। সেখান থেকে আমরাও মুক্তি পাইনি। আমরা সংকট সৃষ্টি করিনি অথচ আমাদেরই এই সংকটের মূল্য দিতে হচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। 

;

সাতক্ষীরায় খুন, গুম, মিথ্যা মামলা ঠেকাতে বিএনপির মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, সাধারণ মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপির দুটি গ্রুপ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) শহরের বাঙ্গালের মোড় ও বিকালে সংগীতা মোড়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির দুটি গ্রুপ এই মানববন্ধন করে।

সকালে বাঙ্গালের মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলীর নেতৃত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হবি, জেলা যুবদলের সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল প্রমুখ অংশ নেন।

এছাড়া বিকালে সংগীতা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি রায়ের নেতৃত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ তারিকুল হাসান, তালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক মো. আহসানুল কাদির স্বপন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান হাদি, পৌর কাউন্সিলর আইনুল ইসলাম নান্টা প্রমুখ অংশ নেন।

;

আসন ভাগাভাগি নিয়ে রাতেই ১৪ দলের সাথে বসবে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করতে শরিক ১৪ দলের সাথে বসতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের। সংসদ ভবন এলাকার এমপি হোস্টেল এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, রাতে আমরা আলোচনায় বসবো। আমরা আমাদের চাওয়ার কথা জানিয়েছি। আগের চেয়ে একটু বেশি আসন আমরা চাচ্ছি। আশা করি তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের কথা শুনবে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদে বর্তমানে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলীয় জোটের আটজন সংসদ সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫-৬ আসনে ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে।

;

‘যারা গাজায় যুদ্ধবিরতির বিরোধী, তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ?’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যারা গাজায় যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ? বলে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।

বিএনপির করা মানবাধিকার লঙ্ঘনে পশ্চিমাদের কাছে বিচার চাইবেন কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা গাজার সিজ ফায়ারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ? আমাদের একাত্তরকেও হার মানিয়েছে। এখন এদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ বলুন?

১৪ দল ও জাতীয় পার্টির সাথে সমঝোতা বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়তো আছে, ১৭ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। সময় যখন আছে অস্থির হবার তো দরকার নেই। প্রার্থীরা তো প্রস্তুত হয়েই মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। প্রত্যাহারের একটা সময় আছে না? সে সময় পর্যন্ত এডজাস্টমেন্ট, একুমুডেশন যদি প্রয়োজন হয় আমরা সময়মতো করব। এনিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তা করার দরকার নেই।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;