‘খালেদা জিয়াকে একদিনও বন্দি রাখার আইনগত কোনো কারণ নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খালেদা জিয়াকে একদিনও বন্দি রাখার আইনগত কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজশাহী শাখার আইনজীবীরা।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মালোপাড়ার বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সংম্মেলনে তারা এক কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনের বিএনপি চেয়ারপর্সান বেগম খালেদা জিয়া, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ সারাদেশে আটক বিএনপির নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজশাহী শাখার সভাপতি এবং বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলহাজ্ব মাইনুল আহসান পান্নার সভাপতিত্বে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতায়ীতাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি এডভোকেট আলহাজ্ব আলী আশরাফ।

তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মিথ্যা সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা প্রদান করছে। তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একদিনও বন্দি রাখার আইনগত কোনো কারণ নেই। কারণ সি.আর.পি.সি ৪৯৭ ধারায় স্পস্ট উল্লেখ আছে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ হলে তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। এদিক থেকে বেগম জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বয়স্ক নারী এবং গুরুতর অসুস্থ। সবদিক বিবেচনা তাঁর জামিন না পাওয়ার কোনো কারণ নাই। তাঁর জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে জোর করে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, গত ২৮ জুলাই বিএনপি ঘোষিত ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে গেলে তাঁকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পার্শবর্তী এলাকা থেকে ২৭ জুলাই রাতে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সারারাত আটক রাখার পরে ২৮ জুলাই সমাবেশ শেষ হলে মিলনসহ বেশ কয়েকজনকে ফৌজদারী কার্যবিধিল ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে ঢাকা সি.এম.এম আদালেত হাজির করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠান। সেখান থেকে ৬ আগস্ট ঢাকা আদালত হতে জামিন পেয়ে বের হওয়ার জন্য গেটে আসলে তাঁকে বের হতে না দিয়ে রাজশাহীতে দুইটি মামলায় পুলিশ আবারও আটক দেখান। পরে তাঁকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তিনি মামলায় জামিন পেলেও তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটক করে রাখার জন্য নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। এই মামলাগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বার এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জমসেদ আলী, আইনজীবী ফোরাম রাজশাহীর সহ-সভাপতি ও বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী, ইউনাইটেড আইনজীবী ফোরামের সদস্য এডভোকেট এজাজ, আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট সেফাত জেনির তুলি, সাংগটনিক সম্পাদক এডভোকেট ইমতিয়াজ মাসরুম আলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকটে এনামুল হক, সদস্য এডভোকেট আব্দুল আলিম রাসেল ও এডভোকেট ইশা,  মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

   

বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না কারণ তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিলো, এখনো করছে।’

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে উপমহাদেশের স্মরণীয় রাজনীতিক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আহমেদ ফিরোজ গ্রন্থিত ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। গ্রন্থকার, তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম এবং মো. আবদুল জলিল মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

সাংবাদিকরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিলো। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিলো। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনাবিচারে হত্যা করা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নামের মিল থাকায় মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বলছে- আমি সেই ব্যক্তি নই, আমি সেই ব্যক্তি নই, কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনও ঘটেছে, ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পরে রায় হয়েছে। অল দিজ আর ডকুমেন্টেড। জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন যিনি এখন কানাডায় থাকেন, তিনি নিজে বলেছেন, এই মৃত্যুদন্ডের ফাইলগুলো জিয়াউর রহমান সকালবেলা নাস্তার সময় স্বাক্ষর করতেন। বিদেশ যাত্রাকালে প্লেনে ওঠার আগে সিঁড়িতেও মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন। এভাবে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাদের গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ২ জন অজ্ঞাত পরিচয় নিহত, ৫শ’ জন আহত হয়েছিলো আর সেই হামলার পর যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছিলো সেটির রিপোর্ট ছিলো গাঁজাখুরী। আর এই হত্যাকান্ড নিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার সংসদ সদস্যদের হাস্যরস, এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করা। তারা তাদের সন্ত্রাসীদের নামিয়েছে, নেশাখোরদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে দিনমজুরকে সারাদিনের ৮০০-১০০০ টাকা মজুরির জায়গায় ২০০০ টাকা ধরে দিয়ে বলে এটা মেরে দিয়ে আসো। এগুলো দুস্কৃতিকারীদের কাজ। বিএনপি-জামায়াত এ দুটি সংগঠন এখন দুস্কৃতিকারী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা দুস্কৃতিকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’

আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করবো। আমাদের কাছে শরিকদের সবসময় গুরুত্ব আছে, সে জন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা, সমর্থন আছে কিন্তু শরিকদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আর জাতীয় পার্টি প্রায় ৩শ’ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছে সে জন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সাথে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সাথে ছিলো, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

সোহরাওয়ার্দী ছিলেন রাজনীতির ধ্রুবতারা

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থমোড়ক উন্মোচনকালে গ্রন্থকার আহমেদ ফিরোজ এবং কথাপ্রকাশ প্রকাশনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ দেশের রাজনীতির আকাশে একজন ধ্রুবতারা। তিনি শুধুমাত্র অবিভক্ত বাংলার এবং পাকিস্তানেরও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তা নয়, তিনি দেশ বিভাগের সময় বাংলা এবং আসাম নিয়ে একটি স্বাধীন দেশ রচনার চেষ্টা করেছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্রকে যারা হরণ করেছিলো তাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। দেশ বিভাগের পর যখন পাকিস্তানের ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানে কেন্দ্রীভূত হলো এবং বাঙালিরা বঞ্চিত হচ্ছিল, তখন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সেটির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনেক ভূমিকা ছিলো উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব তিনি হচ্ছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও শ্রমিকদের সাথে নিয়েই তার রাজনীতি শুরু হয়েছিলো। তার ওপর পশ্চিম পাকিস্তানে পার্লামেন্টের সামনে আক্রমণ হয়েছিলো, অপদস্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু কোনো কিছুর কাছেই তিনি কখনো মাথানত করেননি। আমৃত্যু গণতন্ত্রের জন্য তিনি আপোষহীন ছিলেন। আজকে তার এই ৬০তম শাহাদৎবার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

৮০ পৃষ্ঠার ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মপরিচয়, ছাত্রজীবন, বৈবাহিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, জীবনের শেষ দিনগুলো, মৃত্যু ও জীবনপঞ্জী গ্রন্থিত হয়েছে। বইটির গ্রন্থকার কবি, গল্পকার ও গবেষক আহমেদ ফিরোজের ১০টি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কসহ প্রায় বিশটি গ্রন্থ রয়েছে। তিনি ৪টি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন।

;

সম্মানজনক আসন ভাগাভাগি চান ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি যেন সম্মানজনক হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ১০ জন সংসদ সদস্য আছেন। এবার আমাদের প্রত্যাশা ২০ জনের। তবে আমরা সম্মানজনক আসন ভাগাভাগি চাই।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হাসানুল হক ইনু বলেন, জোটের প্রার্থীরা এবারও নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, যেকোনো লেনদেনের দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দরকষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাব। এখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে।

তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় কৌশল কি হবে সেটা বিবেচনা করার জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছি। সময় আছে, আলোচনা করে দেখব। প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবে। 

আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ-কালের মধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের লড়তে হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে গেলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হবে।

১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে, কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকে সম্পন্ন হয়নি আসন ভাগাভাগি।

আসন বণ্টন ইস্যুতে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।

;

আসন বণ্টন নিয়ে আমুর সঙ্গে বৈঠকে মেনন-ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ নেতারা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়। এতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকে সম্পন্ন হয়নি আসন ভাগাভাগি।

আসন বণ্টন ইস্যুতে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ-কালের মধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের লড়তে হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে গেলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হবে।

১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে, কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।

;

চালকের গায়ে ‘আগুন দিতে গিয়ে’ পুড়েছে ছাত্রদল কর্মীর হাতও!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কথায় আছে-পরের ঘরে আগুন দিলে নিজের ঘর আগে পুড়ে! ‘ছাত্রদল কর্মী’ মোহাম্মদ হৃদয়ের ক্ষেত্রেও যেন সেটিই হয়েছে। দুইদিন আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া বাস কাউন্টার এলাকায় একটি বাসে এই হৃদয় আগুন দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন বাসচালক ও সহকারী। তারা এখনো ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আর সেই আগুন দিতে গিয়ে নিজেও দগ্ধ হয়েছেন হৃদয়। ২২ বছরের এই তরুণের বাম হাতের তিন আঙুলে পোড়ার ক্ষত এখনো রয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) হৃদয়সহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত। অন্য দুজন হলেন মো. নাজির শরীফ (২১) ও মো. রায়হান (২৪)। তিনজনই ছাত্রদলের সমর্থক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোসা. সাদিরা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে খুলশী ও চান্দগাঁও এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তরুণেরা জানিয়েছেন, গরিবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টার এলাকায় ৩১ অক্টোবর এবং ৩ ডিসেম্বর এবং পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ১ ডিসেম্বর বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি তারাই ঘটিয়েছেন।

ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশনায় বাসচালক ও সহকারীকে হত্যার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। মূলত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে তাদের এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।’

পুলিশ জানায়,৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে নয়টার দিকে মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিনের নির্দেশে খুলশী থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নূর আলম সোহাগের ১০-১২ জন অবরোধের সমর্থনে দামপাড়া বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি পুলিশ লাইন্স আবাসিক গেটে এলে সেখানে রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থানরত ঢাকা মেট্রো-ব-১২-১৮৬৩ রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের একটি বাস ভাঙচুরসহ বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এতে গাড়ির চালক তারেক ও হেলপার নাজিম উদ্দিন গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। গ্রেফতার হওয়া মো. হৃদয় মশাল দিয়ে বাসে আগুন দেন। গ্রেফতার অন্য দুজন নাজির শরীফ ও মো. রায়হানসহ অন্য আসামিরা মশাল মিছিলে অংশগ্রহণসহ বাস ভাঙচুর করেন।

;