'দেশ বাঁচাতে হলে গণজাগরণ করতে হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের গভর্নর ডি গ্রেড পেয়েছেন। এই চতুর্থ শ্রেণীরই যোগ্যতা এদের। এরা চতুর্থ শ্রেণীর লোক, কিন্তু লুটপাটে একেবারে এ প্লাস, দালালিতে এ প্লাস, দেশ বিক্রিতে এ প্লাস। কাজেই এই দালাল, লুটপাটকারী, দেশ বিক্রিকারী যারা আজকে রাষ্ট্র প্রশাসনে বসে সরকারের ভোট ডাকাতি, তাদের আরেকটি নীল নকশার নির্বাচনকে জায়েজ করতে চান, সফল করতে চান, তাদের সমস্ত ষড়যন্ত্র নস্মাৎ করে দিতে হবে। এ জন্য আমাদের দরকার গণজাগরণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী এবং গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জুনায়েদ সাকি।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ ও পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।  

সাকি বলেন, আগামী ৩০ তারিখ শনিবার যুগপৎ আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংগঠনগুলো যৌথভাবে একটি শ্রমিক কনভেনশনের আয়োজন করেছে। সেটির স্থান নেওয়া হয়েছিল মহানগর নাট্যমঞ্চ। সেটির অনুমতি সিটি করপোরেশন দিয়েছে। কিছুক্ষণ আগে ডিএমপি জানিয়েছে, ওই বায়তুল মোককররমের গেইটে নাকি কৃষক লীগ সমাবেশ ঘোষণা করেছে। কাজেই ওই মহানগর নাট্যমঞ্চে তারা এই কনভেনশন করার অনুমতি দিতে পারবে না। এই হচ্ছে বর্তমান সরকারের অবস্থা।

তিনি বলেন, সরকার নাকি সভা সমাবেশে কোনো বাধা দেয় না, তারা নাকি এই দেশে আইনশৃঙ্খলা, শান্তি খুব বজায় রেখেছে, তারা নাকি একটি সুষ্ঠু ভোট করবে। এসব কাজের পরে সারা দুনিয়ায় তারা যখন মাথা হেইট করে, বাংলাদেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসে, তখন আবার আওয়ামী লীগ আবদার করে, আমরা কেন তাদের পক্ষ নিচ্ছি না, দেশের পক্ষ নিচ্ছি না। আমেরিকা কিংবা অন্যরা বাংলাদেশকে নানাভাবে চাপ দিয়ে তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে যাচ্ছে।

সাকি আরো বলেন, আজকে মানুষকে মাঠে নামতে হবে। বাংলাদেশের কঠিন সময়ে আপনারা যদি বিভ্রান্ত হন, তাহলে আপনারা সময়ের যে দাবি, সেখান থেকে বহুদূরে সরবেন। এই দেশর ধ্বংসের জন্য তারাও দায়ী থাকবেন। কাজেই আমরা জনগণকে বলবো, আপনারা রাজপথে নামার প্রস্তুতি নিন।

আমরা বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে নেই৷ আমরা বাংলাদেশের মানুষের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশের আগামী ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম,ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক,জেএসডি'র সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। 

 

 

   

মাগুরাকে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো: সাকিব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান বলেছেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সবাইকে সাথে নিয়ে মাগুরাকে এগিয়ে নিতে চাই। যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। সব সময় আমি কাজে বিশ্বাস করি। কাজের মাধ্যমেই সব কিছুর প্রমাণ দিতে চাই। সবাই মিলে এক সাথে কাজ করে বাংলাদেশের মধ্যে মাগুরাকে মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।’

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের জমরুতলা জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বর্ধিতসভায় সাকিব এ কথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ’র সভাপতিত্বে বর্ধিতসভায় মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসানসহ বক্তব্য রাখেন, মাগুরা-২ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. বীরেন শিকদার এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুন্ডু, সহ-সভাপতি মুন্সি রেজাউল হক, আবু নাসির বাবলু, সৈয়দ শরিফুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কামরুল লাইলা জলি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল, শাখারুল ইসলাম শাকিল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকি ইমাম, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মাকুলসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বর্ধিত সভায় দলীয় নেতারা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।

বর্ধিতসভায় মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসান বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সবাইকে সাথে নিয়ে মাগুরাকে এগিয়ে নিতে চাই।যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। সব সময় আমি কাজে বিশ্বাস করি। কাজের মাধ্যমেই সব কিছুর প্রমাণ দিতে চাই।

পরে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেখানে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা কালীন তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।

;

বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না কারণ তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিলো, এখনো করছে।’

মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে উপমহাদেশের স্মরণীয় রাজনীতিক হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আহমেদ ফিরোজ গ্রন্থিত ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। গ্রন্থকার, তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম এবং মো. আবদুল জলিল মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

সাংবাদিকরা আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিলো। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিলো। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনাবিচারে হত্যা করা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নামের মিল থাকায় মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বলছে- আমি সেই ব্যক্তি নই, আমি সেই ব্যক্তি নই, কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনও ঘটেছে, ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পরে রায় হয়েছে। অল দিজ আর ডকুমেন্টেড। জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন যিনি এখন কানাডায় থাকেন, তিনি নিজে বলেছেন, এই মৃত্যুদন্ডের ফাইলগুলো জিয়াউর রহমান সকালবেলা নাস্তার সময় স্বাক্ষর করতেন। বিদেশ যাত্রাকালে প্লেনে ওঠার আগে সিঁড়িতেও মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছেন। এভাবে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাদের গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ২ জন অজ্ঞাত পরিচয় নিহত, ৫শ’ জন আহত হয়েছিলো আর সেই হামলার পর যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছিলো সেটির রিপোর্ট ছিলো গাঁজাখুরী। আর এই হত্যাকান্ড নিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার সংসদ সদস্যদের হাস্যরস, এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’

বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করা। তারা তাদের সন্ত্রাসীদের নামিয়েছে, নেশাখোরদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে দিনমজুরকে সারাদিনের ৮০০-১০০০ টাকা মজুরির জায়গায় ২০০০ টাকা ধরে দিয়ে বলে এটা মেরে দিয়ে আসো। এগুলো দুস্কৃতিকারীদের কাজ। বিএনপি-জামায়াত এ দুটি সংগঠন এখন দুস্কৃতিকারী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা দুস্কৃতিকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’

আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করবো। আমাদের কাছে শরিকদের সবসময় গুরুত্ব আছে, সে জন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা, সমর্থন আছে কিন্তু শরিকদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আর জাতীয় পার্টি প্রায় ৩শ’ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছে সে জন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সাথে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সাথে ছিলো, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

সোহরাওয়ার্দী ছিলেন রাজনীতির ধ্রুবতারা

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থমোড়ক উন্মোচনকালে গ্রন্থকার আহমেদ ফিরোজ এবং কথাপ্রকাশ প্রকাশনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এ দেশের রাজনীতির আকাশে একজন ধ্রুবতারা। তিনি শুধুমাত্র অবিভক্ত বাংলার এবং পাকিস্তানেরও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তা নয়, তিনি দেশ বিভাগের সময় বাংলা এবং আসাম নিয়ে একটি স্বাধীন দেশ রচনার চেষ্টা করেছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন, গণতন্ত্রকে যারা হরণ করেছিলো তাদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। দেশ বিভাগের পর যখন পাকিস্তানের ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানে কেন্দ্রীভূত হলো এবং বাঙালিরা বঞ্চিত হচ্ছিল, তখন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সেটির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধুকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনেক ভূমিকা ছিলো উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবনে যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব তিনি হচ্ছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও শ্রমিকদের সাথে নিয়েই তার রাজনীতি শুরু হয়েছিলো। তার ওপর পশ্চিম পাকিস্তানে পার্লামেন্টের সামনে আক্রমণ হয়েছিলো, অপদস্ত করা হয়েছিলো। কিন্তু কোনো কিছুর কাছেই তিনি কখনো মাথানত করেননি। আমৃত্যু গণতন্ত্রের জন্য তিনি আপোষহীন ছিলেন। আজকে তার এই ৬০তম শাহাদৎবার্ষিকীতে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

৮০ পৃষ্ঠার ‘সোহরাওয়ার্দী’ গ্রন্থে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্মপরিচয়, ছাত্রজীবন, বৈবাহিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, জীবনের শেষ দিনগুলো, মৃত্যু ও জীবনপঞ্জী গ্রন্থিত হয়েছে। বইটির গ্রন্থকার কবি, গল্পকার ও গবেষক আহমেদ ফিরোজের ১০টি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কসহ প্রায় বিশটি গ্রন্থ রয়েছে। তিনি ৪টি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন।

;

সম্মানজনক আসন ভাগাভাগি চান ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগি যেন সম্মানজনক হয়।

তিনি বলেন, বর্তমানে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ১০ জন সংসদ সদস্য আছেন। এবার আমাদের প্রত্যাশা ২০ জনের। তবে আমরা সম্মানজনক আসন ভাগাভাগি চাই।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে হাসানুল হক ইনু বলেন, জোটের প্রার্থীরা এবারও নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, যেকোনো লেনদেনের দর কষাকষি হবে, মন কষাকষি হবে। বন্ধুদের মধ্যে দরকষাকষি হয়, মন কষাকষি হয়। দিনের শেষে হাসিমুখে হাত ধরাধরি করে বেরিয়ে যাব। এখানে জোটের প্রার্থী আসবে, সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উঠে যাবে।

তিনি আরও বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলীয় কৌশল কি হবে সেটা বিবেচনা করার জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে বলেছি। সময় আছে, আলোচনা করে দেখব। প্রার্থীরা নৌকা মার্কায় নির্বাচন করবে। 

আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ-কালের মধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের লড়তে হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে গেলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হবে।

১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে, কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকে সম্পন্ন হয়নি আসন ভাগাভাগি।

আসন বণ্টন ইস্যুতে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।

;

আসন বণ্টন নিয়ে আমুর সঙ্গে বৈঠকে মেনন-ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ নেতারা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়। এতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকে সম্পন্ন হয়নি আসন ভাগাভাগি।

আসন বণ্টন ইস্যুতে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ-কালের মধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের লড়তে হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে গেলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হবে।

১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে, কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।

;