ক্ষমতা কি মামার হাতের মোয়া: জিজ্ঞাসা হানিফের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ক্ষমতা কি মামার হাতের মোয়া?

ক্ষমতা কি মামার হাতের মোয়া?

  • Font increase
  • Font Decrease

'বিএনপি নেতারা বলছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে। ক্ষমতা কি মামার হাতের মোয়া? যে চাইলেই ছেড়ে দিলাম?' জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, তোমরা কারা? তোমাদেরকে এদেশের জনগণ চেনে। একাত্তরের রাজাকার-শাবকদের কথায় এদেশের ক্ষমতা পরিবর্তন হবে না।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগের যৌথ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময় নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমেরিকার ভিসা নীতির পরে গতকাল দেখলাম বিএনপি নেতৃত্ব ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে। তোমাদেরকে এদেশের লোকজন চেনে।

তিনি আরও বলেন, আজ যে বিএনপি বড় বড় কথা বলে, বিএনপিকে তৃতীয় গ্রেডের সন্ত্রাসী দল ঘোষণা করেছিল আমেরিকার ফেডারেল কোর্ট। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশকে ব্যর্থ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।

বিএনপির সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন কোর্টে তাদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছে। কোনো বিদেশি শক্তি এসে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসাতে পারবে না। ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে হবে। নির্বাচনের বিরোধিতা করলে রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করা হবে।

   

আসন বণ্টন নিয়ে আমুর সঙ্গে বৈঠকে মেনন-ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাসদ নেতারা।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে আমির হোসেন আমুর ইস্কাটনের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়। এতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ১৪ দলের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘ পৌনে চার ঘণ্টার বৈঠকে সম্পন্ন হয়নি আসন ভাগাভাগি।

আসন বণ্টন ইস্যুতে জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ-কালের মধ্যে ১৪ দলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে।

তিনি বলেন, সব জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। ১৪ দলের সঙ্গে আমাদের একটা সমঝোতা অবশ্যই হবে। আজকালের ভেতরেই আসনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থীদের লড়তে হবে। কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থীকে চাপ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরাতে গেলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হবে।

১৪ দলের জোটের আসন প্রত্যাশা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রত্যাশা কত, আর তারা পাবে তার বাস্তবতা কত, দুইটা মিলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তাদের কিছু হয়তো নৌকায় করবে, কিন্তু তাদের অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের নিজেদের মার্কায় অনেকেই নির্বাচন করবে।

;

চালকের গায়ে ‘আগুন দিতে গিয়ে’ পুড়েছে ছাত্রদল কর্মীর হাতও!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কথায় আছে-পরের ঘরে আগুন দিলে নিজের ঘর আগে পুড়ে! ‘ছাত্রদল কর্মী’ মোহাম্মদ হৃদয়ের ক্ষেত্রেও যেন সেটিই হয়েছে। দুইদিন আগে রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া বাস কাউন্টার এলাকায় একটি বাসে এই হৃদয় আগুন দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

যে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন বাসচালক ও সহকারী। তারা এখনো ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। আর সেই আগুন দিতে গিয়ে নিজেও দগ্ধ হয়েছেন হৃদয়। ২২ বছরের এই তরুণের বাম হাতের তিন আঙুলে পোড়ার ক্ষত এখনো রয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) হৃদয়সহ তিনজনকে গ্রেফতারের পর পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই গাড়িতে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত। অন্য দুজন হলেন মো. নাজির শরীফ (২১) ও মো. রায়হান (২৪)। তিনজনই ছাত্রদলের সমর্থক বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোসা. সাদিরা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে খুলশী ও চান্দগাঁও এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার তরুণেরা জানিয়েছেন, গরিবুল্লাহ শাহ বাস কাউন্টার এলাকায় ৩১ অক্টোবর এবং ৩ ডিসেম্বর এবং পাহাড়তলী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ১ ডিসেম্বর বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি তারাই ঘটিয়েছেন।

ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশনায় বাসচালক ও সহকারীকে হত্যার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষের চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। মূলত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে তাদের এই ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।’

পুলিশ জানায়,৩ ডিসেম্বর রাত পৌনে নয়টার দিকে মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিনের নির্দেশে খুলশী থানা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নূর আলম সোহাগের ১০-১২ জন অবরোধের সমর্থনে দামপাড়া বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করে। মিছিলটি পুলিশ লাইন্স আবাসিক গেটে এলে সেখানে রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থানরত ঢাকা মেট্রো-ব-১২-১৮৬৩ রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের একটি বাস ভাঙচুরসহ বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

এতে গাড়ির চালক তারেক ও হেলপার নাজিম উদ্দিন গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। গ্রেফতার হওয়া মো. হৃদয় মশাল দিয়ে বাসে আগুন দেন। গ্রেফতার অন্য দুজন নাজির শরীফ ও মো. রায়হানসহ অন্য আসামিরা মশাল মিছিলে অংশগ্রহণসহ বাস ভাঙচুর করেন।

;

এন্টি ভোটে জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করবে: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের তুলনায় এন্টি আওয়ামী লীগ ভোট অনেক বেশি। জনগণ ভোট দিতে পারলে এন্টি ভোটেই জাতীয় পার্টি সরকার গঠন করবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর ) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাপা মহাসচিব বলেন, মানুষ যদি ঠিকমতো ভোট কেন্দ্রে আসে, আর যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে জাতীয় পার্টি অনেক ভালো ফল করবে। প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম আমরা, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা, লোকজন ভোট দিতে পারবেন কিনা। নির্বাচন কমিশন, সরকার ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে সুষ্ঠু ভোটের। নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে ইসিকে সহায়তা করার বড় দায়িত্ব সরকারের, তারাও বলেছে ভোট সুষ্ঠু হবে। তারপর আমরা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে এখনই কথা বলার সময় আসেনি। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা যখন মাঠে যাবেন, তখন বুঝা যাবে ভোটের পরিবেশ।

বিএনপির অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে বলেন, তারা কেনো নির্বাচনে আসেনি আপনারা সকলেই জানেন। তাদের দাবি দাওয়া রয়েছে, তাদের দাবি দাওয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। প্রত্যেকটি দল কৌশল নিয়ে চলে। এটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত সে বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। জাতীয় পার্টি তার কৌশলের অংশ হিসেবে ভোটে এসেছে। ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করি। এখন দেখা যাক কি হয়।

;

দুই হাত ধরে টানাটানি করেছেন শেখ হাসিনা-শমসের মবিন: মান্নান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অন্যদিকে তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী দুজনেই হাত ধরে টানাটানি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট-২ আসনে তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডক্টর মো. আব্দুল মান্নান খাঁন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আব্দুল মান্নান খাঁন বলেন, সত্যি কথা বলা ঠিক না। কারণ এদিকে শেখ হাসিনা টানছেন, আরেক দিকে শমসের মবিন। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি ডান দিকে না বাম দিকে, কোন দিকে যাবো। তবে, শেষ পর্যন্ত দেখলাম শমসের মবিনের দলে অনেক শিক্ষিত ও জ্ঞানী লোক যোগ দিয়েছেন। তারাই আমাকে দলে ডেকেছেন। আমার বিশ্বাস সিলেট-২ আসনের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে।

তিনি বলেন, ১৩ লাখ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে দেশের বাইরে। বিভিন্ন এমপি-মন্ত্রীরা বলেন বাংলাদেশ গরিব দেশ। কিন্তু আমার দেশ গরিব নয়। যদি গরিব হতো তাহলে এতো টাকা কিভাবে পাচার হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমি মনে করি মাত্র ১০ বছরের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। শুধুমাত্র যাকাতের টাকা গরিব-দুঃখী মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিলেই তা সম্ভব হবে।

মান্নান বলেন, আমি ব্রিটিশ সরকার ও জাতিসংঘ থেকে দুটি পেনশন ভাতা পাই। আমার কোনো কিছুর অভাব নেই। আল্লাহ যা দিয়েছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট। সিলেট-২ আসনের জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে আমি এখান থেকে একটি টাকাও বেতন নেবো না। সব টাকা গরিব-অসহায় মানুষকে বিলিয়ে দেবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- তার দুই মেয়ে ইয়ারুন আক্তার জেসমিন ও তাহমিনা আক্তার মুন্নি।

;