তাপসের ঢাকায় ঢুকতে না দেওয়ার জবাবে ফখরুল: এটা তাদের জমিদারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে তাদের কথা বলার চরিত্র ও মানসিকতা। তাদের সব কিছুর মধ্যে একটা সন্ত্রাসী ব্যাপার থাকে। এটা হচ্ছে তাদের জমিদারি। তারা এই ধরনের কথা বলে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে, বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিএনপি মহাসচিব লজ্জায় ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে মুখ লুকিয়েছেন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন, এসব তাদের মস্তিষ্কে আসে না।

মেয়র তাপসের বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এই ধরনের কথাকে গুরুত্ব দেই না। কারণ অতীতে আমরা এগুলো বহুত (অনেক) ফেস করেছি। এগুলো নিয়ে আমরা চিন্তাও করি না।

তিনি বলেন, কে কি বলল এতে বাংলাদেশের জনগণের কিছু যায় আসে না। জনগণের লক্ষ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

   

২৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই, অতি অল্প সময়ের মধ্যে মামুনুল হকসহ সব আলেম-ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায়, ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সারাদেশ থেকে জনগণ জড়ো হয়ে মহাসমাবেশ করবে।

মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি, হেফাজত নেতাদের নামে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ফ্রি মিক্সিংসহ ইসলাম বিরোধী পাঠ বাতিল এবং হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মহিউদ্দিন বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাওলানা মামুনুল হকসহ সকল আলেমকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় আগামী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচনের আগেই হেফাজতে ইসলাম কঠোর কর্মসূচিতে যাবে।

;

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপি'র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রুহুল কবির রিজভী

রুহুল কবির রিজভী

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী রোববার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।

রিজভী বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আগামী রোববার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

গুম, খুন, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার দলীয় নেতাকর্মী ও নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

;

জাতীয় পার্টি জাতির জন্য একটা বিষফোড়া: ইসলামী আন্দোলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেচাঁকেনার হাটের মত প্রার্থী ও দলকে নির্বাচনে আনা হচ্ছে জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল ১৪ দল। এখন আওয়ামী লীগ তাদের কোন সিট দিচ্ছেনা। এজন্য ইনু-রাশেদ খান মেনন খুব পেরেশানিতে আছেন। তাদের সিটও গেছে। সব স্বার্থপর। জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধী দল বানাইছে। জাতীয় পার্টি জাতির জন্য একটা বিষফোড়া।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর ) দুপুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, সকল রাজবন্দীদের মুক্তি ও বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর এই সমাবেশের আয়োজন করে।

জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি ডায়রেক্ট বলি তারা একটা বিষফোড়া। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে, আবার ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে তারা নির্বাচন করে। ওরা অংশীদার, মন্ত্রীত্ব হয়- তারা বিরোধী দল হয় কীভাবে। এটা তো ধোকাবাজি। অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছে জিএম কাদের। এখন তারা নির্বাচনে চলে গেছে। জাতীয় পার্টি বলছে তারা ভোট করবে। অথচ আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করে আসন ভাগাভাগি করেছে। জাতীয় পার্টি চায় ৭২ টি আসন, সরকার বলছে ২০টার বেশি দিতে পারবো না। এই দরকাষাকষির ভোট চলছে।

তিনি বলেন, এদিকে তৃণমূল বিএনপিতে সব বিশ্বাসঘাতকরা এক হয়েছে। এইগুলো জাতির জন্য কলঙ্ক। এদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এরা আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক। টাকা ও সিট ছেড়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আলেমরাও টাকার কাছে বিক্রি হচ্ছে। ইসলামী আন্দোলন মানুষের সঙ্গে আছে, প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারতে উৎখাত করবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর মত নির্বাচন আমরা চাইনা।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরকারকে ব্যাক করানোর জন্য ইসলামী আন্দোলন রাজপথে নেমেছে। সরকারকে বলবো ফিরে আসুন। আগামীতে যে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হবে এর দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগ সরকারকে নিতে হবে।

সমাবেশে দলটির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। পরে পল্টন সড়কে মিছিল ও দোয়ার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করে ইসলামী আন্দোলন।

;

‘সবার জন্য নির্বাচনের পথ খোলা ছিল, তারা আসেনি- অগ্নিসন্ত্রাস করছে’



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের বাকি আর এক মাস। নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি সহ সমমনা দলগুলো। মহাজোটের সঙ্গে আসন নিয়ে চলছে লুকোচুরি, মান-অভিমানের খেলা। নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে রয়েছে দেশি-বিদেশি চাপ। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার চোখ রাঙানি।

আর এইসব নিয়ে বার্তা২৪.কম এর সাথে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বার্তা২৪.কম এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রুহুল আমিন।

বার্তা২৪.কম: ভূ-রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এখন খুবই সংবেদনশীল অবস্থানে। ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া, চীনসহ অনেক দেশের দৃষ্টি এখন বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে। তাছাড়াও নির্বাচনের পরে আমেরিকা থেকে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে এমন গুঞ্জন রয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ কি ভাবছে?

বাহাউদ্দীন নাছিম: এখন কেউ ইচ্ছে করলেই আমাদেরকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলতে পারবে না। ওই জায়গায় নেই। কারণ এটা শুধু আমাদের একার ইচ্ছের ওপর নয় তাদেরও ব্যাপার আছে, তাদেরও প্রয়োজন আছে। তাদের প্রয়োজন, আমাদের প্রয়োজন সব মিলিয়েই তো বিশ্ব। তবে হ্যাঁ, কেউ একটু বেশি শক্তিশালী, কেউ একটু কম শক্তিশালী। কিন্তু তারপরও সম্পর্কটা পারস্পরিক ও বহুপাক্ষিক। আমাদের অর্থনীতি যে জায়গায় দাঁড়িয়েছে কেউ চাইলেই ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারবে না। তাহলে তো স্যাংশন দিয়ে তারা আগেই আমাদেরকে শেষ করে দিত।

নেগেটিভ চিন্তায় সমৃদ্ধ একটি অংশ সব সময় খারাপ কিছুই দেখে। ভালো কিছুর স্বপ্ন যারা দেখতে পারে না তারা এ ধরনের কথা বলে ও ছড়িয়ে বেড়ায়। এটাও কিন্তু এক ধরনের তথ্য সন্ত্রাস। এরা ভালো করেই জানে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পর্যায়ে আছে; আমরা একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। আমরা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এরকম অপপ্রচারও হয়েছিলো, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনীকে আর নেয়া হবে না। চাইলেই কি সম্ভব? আমাদের সৈনিকরা পেশাগত দক্ষতা ও সাহসিকতা দিয়ে এক নম্বরে পৌঁছেছে।

বার্তা২৪.কম: সম্প্রতি উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে স্যাংশান ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বাংলাদেশেও কি এরকম কিছু হবার সম্ভাবনা আছে?

বাহাউদ্দীন নাছিম: সেখানে কোন দিয়েছে, কি কারণে দিয়েছে? সেটার ব্যাখ্যা কিন্তু দিতে হবে। সেখানে তারা বিজয়ী হতে পারে বা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে- এমন দলগুলোকে নির্বাচন করতে না দিতে আইন করেছে। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। বাংলাদেশে তো এটা করা হয়নি। বাংলাদেশে তাদের নির্বাচন করার সমস্ত ধরনের সুযোগ দেওয়া আছে। এই অধিকার তাদের দেওয়া হয়েছে। তারা আসে নাই। উল্টো হামলা ও অগ্নিসন্ত্রাস করছে। তাহলে বাংলাদেশ আর কম্বোডিয়ার ঘটনা কি এক ঘটনা? এই সত্য জিনিসটা বাংলাদেশের মানুষদের সামনে তুলে ধরতে হবে।

বার্তা২৪.কম: বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য আওয়ামী লীগের কি কোন উদ্যোগ ছিলো?

বাহাউদ্দীন নাছিম: আমরা নির্বাচনে যাব, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, জনগণের কাছে এই ঘোষণা দিয়েই তো সবাইকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছি। বাংলাদেশে যে সমস্ত নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে তাদের সবার সপ্রণোদিত হয়েই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে, জনগণের ম্যান্ডেড পাওয়ার জন্য। তারা জনগণের ম্যান্ডেড পাওয়ার চেষ্টা না করে সরকারকে উৎখাত করে নির্বাচনে আসতে চায়। এটা কি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত? সাংবিধানিক নিয়মের বাইরে যা ইচ্ছা তাই বললে সেটা কেন দেশের মানুষ মেনে নেবে?

তারা নির্বাচনে আসবে বলে না গো ধরেছে। এখন তাদের তো হাতে পায়ে ধরে নির্বাচনে আনা যাবে না। অথবা লাঠিপেটা করে, পুলিশ পাঠিয়ে ধরে এনে জোর করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো যাবে না। এটা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। এখানে কি বলা হয়েছে নির্বাচনী দাঁড়ালে তাদের মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হবে? অথবা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলে তাদেরকে গ্রেফতার করে বন্দিশালয় পাঠানো হবে? এ ধরনের কোনো কর্ম হয়েছে?

বার্তা২৪.কম: এখনো কি বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ আছে?

বাহাউদ্দীন নাছিম: কিভাবে? ট্রেন তো এখন কক্সবাজারের আধুনিক স্টেশনে পৌঁছে যাবার পথে।

বার্তা২৪.কম: প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র বা ডামি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তৃণমূলে বিভক্তি সৃষ্টি করছে বলে বলছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে, মারামারিও হচ্ছে কোথাও কোথাও। দীর্ঘ বিভক্তি যেন সৃষ্টি না হয় এ নিয়ে আওয়ামী লীগ কি পদক্ষেপ নেবে?

বাহাউদ্দীন নাছিম: আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। আমরা নির্বাচনে উৎসবের আমেজ তৈরি হোক- এটা চাই। ইতিমধ্যেই কিন্তু নির্বাচনের উৎসবমুখর আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাঁড়াবার সুযোগ সাংবিধানিক ভাবেই আছে। কোন জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র দাঁড়িয়েছে। এমন অতীতেও দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই জনগণের ভোটে, জনপ্রিয় প্রার্থী নির্বাচিত হউক। তাতে করে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। কাউকে মনোনয়ন থেকে বা নির্বাচন থেকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া কোন উদ্যোগ আমরা নিচ্ছি না। জনপ্রিয়তা যাদের বেশি তারা নির্বাচিত হবে, এখানে দোষের কিছু নেই।

বার্তা২৪.কম: নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় নৌকা ও স্বতন্ত্রের পক্ষে ভাগ হয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের কর্মীরা। সে ক্ষেত্রে কর্মীরা কার সাথে থাকবে? নৌকা নাকি স্বতন্ত্রের পক্ষে?

বাহাউদ্দীন নাছিম: তারা তাদের পছন্দের দিকে মুভ করবে। এটা নিয়ে যেহেতু দলের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি এটার মানে কি? তার অর্থটা কি? এটা কিন্তু আমাদের নেতা কর্মীরা বুঝবে, বুঝে গিয়েছে। আপনাদেরকেও কিন্তু বুঝতে হবে।

বার্তা২৪.কম: সিনিয়র নেতাদের অনেকেই বলছেন, নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হবে যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আপনি বলছেন আমরা কোন ব্যবস্থা নেব না এই যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে, এ নিয়ে কি বলবেন?

বাহাউদ্দীন নাছিম: আমাদের মাঝে কোন বিভ্রান্তি নেই। কেউ যদি বলে থাকেন তাহলে- এটা তাকেই জিজ্ঞেস করবেন। আমাদের মূল স্পিরিট হলো নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক। নির্বাচনের প্রায় তিন হাজারের মতো প্রার্থী প্রতিযোগিতায় আছে, তারা যদি নির্বাচন অংশগ্রহণ করে এটা ভালো না খারাপ? বেশি প্রার্থী যদি নির্বাচন অংশগ্রহণ করে যারা জনপ্রিয় তারা বিজয়ী হবে। অনেকে বেশি ভোট পাবে, অনেক কম পাবে এটাই তো স্বাভাবিক। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক কিন্তু দলের স্পিরিট সম্পের্কে লেছেন। সেটা পরিষ্কার। তা হলো ১৪ দলের যারা দাঁড়িয়েছে তাদেরকেও কিন্তু এই বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা যেন কেউ উইথড্র না করে।

বার্তা২৪.কম: ১৪ দলের শরিকদের আসন বণ্টনের দায়িত্ব আপনাদের দেয়া হয়েছে, বিষয়টা নিয়ে কতটুকু অগ্রসর হলেন?

বাহাউদ্দীন নাছিম: আমাদের আলোচনা চলছে। তাড়াতাড়ি শেষ হবে। আগে বলেছিলাম ১৬-১৭ তারিখের মধ্যে শেষ হবে। আমার মনে হয় তার আগেই শেষ হবে।

বার্তা২৪.কম:  শরিক দলগুলো আরও বেশি আসন চায়, সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ কি শরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আসন বণ্টন করবে?

বাহাউদ্দীন নাছিম: ব্যাপারটা এভাবে বলা ঠিক হবে না। এটা শুধুমাত্র প্রাপ্তি ও চাওয়া-পাওয়ার বিষয়। নির্বাচনে উইনেবল প্রার্থীকে গুরুত্ব দেয়া হয়। আমরা ১৪ দলকে বলেছি, উইনেবল প্রার্থীকে অবশ্যই গুরুত্ব দেয়া হবে।

বার্তা২৪.কম: গত তিন নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আপনাদের শরিক দল ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এবার আপনাকে আসনটি থেকে প্রথমবারের মত নৌকা দেয়া হয়েছে। শরিকরা কতটুকু সহযোগিতা করছে নির্বাচনী মাঠে?

বাহাউদ্দীন নাছিম: এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্ষীয়ান নেতা মেনন (ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন) ভাইয়ের সাথে আমার আজকেও আলাপ হয়েছে। আমাদের সাথে শরিকদের ব্যক্তিগতভাবে ও দলগতভাবেও ভালো সম্পর্ক আছে। সবকিছুই সুন্দরভাবে সমাপ্ত হবে। এটা নিয়ে নতুন কোন ভাবনা, আশঙ্কা নাই।

বার্তা২৪.কম: ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। জয়ী হলে এলাকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কি পদক্ষেপ নেবেন?

বাহাউদ্দীন নাছিম: আমি দলীয় কাজ করার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সাথেও বসতেছি। তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে, মানুষের মাঝে উচ্ছ্বাস আছে। আওয়ামী লীগের যারা মাঠের কর্মী, তৃণমূলের কর্মী তারা খুবই আনন্দিত ও খুশি। আমি নিজেকে যোগ্য লোক আমি মনে করি না। তবে বুঝতে পারছি এখানে বিজয়ী হতে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। আরও একটা বিষয় আমার মনে হচ্ছে, ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসবে। দল মত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আমাকে ভোট দেবে।

;