এবারের বাজেট ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব অস্থিরতায়ও শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। সরকার মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে।

কাদের বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে অস্থির অবস্থা। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে। সারা বিশ্বে সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে।

বাজেট নিয়ে বিএনপির সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের, সেই বিএনপি এই বাজেটকে লুটপাটের বাজেট বলে কী করে? তাদের সময় কী পরিমাণ বাজেট ছিল? আজ তা কী হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। আট থেকে ৯ অর্থবছরে কী ছিল বাংলাদেশ, আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটের কৃচ্ছতাসাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কী ছিল? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে, তবে সব সংকটই দ্রুত সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে; কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়ন অবদান অস্বীকার, এগুলো কি মানা যায়?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধীদল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।

কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।

নেতিবাচক সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণেই মানুষ কষ্টে আছে সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে।

বিএনপি বলছে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট লুটপাটের বাজেট এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা হতো আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ হামলা করে না। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু অবাধ রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি।

   

আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে যাবে: শাহাদাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম চট্টগ্রাম 
আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে যাবে: শাহাদাত

আ.লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে যাবে: শাহাদাত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এতো বেশি অহংকারী হয়ে উঠেছেন যে, দেশের মানুষের অবস্থা চিন্তা করছেন না। বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি উদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে।’

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকালে নগরীর লাভ লেইনস্থ মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের হলে চট্টগ্রাম মহানগর জিয়া মঞ্চের ৩০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির তিনি বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলো বলছে যে, আমরা একটা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। তখন সেটা তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। কিন্তু এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারবে না। মা-বোনেরা ভোট দিতে পারে না।’ 

এর আগে জিয়া মঞ্চের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাজির দেউরী মোড় থেকে এক বর্নাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। 

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে বাধ্য করব পদত্যাগ করতে, সংসদ বিলুপ্ত করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নতুন নির্বাচন দিতে। সেখানেই এই রাজনৈতিক সমাধানে একমাত্র পথ।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে গৃহবন্দি রেখে অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। একটি মাত্র কারণ যে, সরকার জানে, বেগম খালেদা জিয়া যদি বাইরে থাকেন তাহলে আওয়ামীলীগের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর জিয়া মঞ্চের আহবায়ক জহিরুল হাসান জীবনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কে এম শাহনুর সিদ্দিকী টিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান প্রমূখ।

;

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২০

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী লালমনিরহাট জেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে।

শনিবারে(৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফুলবাড়ি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের অনেককে ফুলবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিএনপি’র সমর্থক নেতা-কর্মীরা উপজেলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। তারা বেলা তিনটা থেকে মহিলা ডিগ্রী কলেজ কদমতলা মোড়, কাচারি মাঠ, ফুলবাড়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও ব্র্যাকমোড়ে সমাবেত হতে থাকলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন সেখানে গিয়ে তাদেরকে শান্তিপূর্ন ভাবে কর্মসূচি পালন করার আহবান জানান।

পরক্ষণে উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সমর্থকদের কয়েকটি অটোরিকশা উপজেলা শহরে প্রবেশ করে শ্লোগান দেওয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাথে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে সমাবেশস্থল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে সদরের তিনকোনা মোড়ে প্রবেশ করলে ছাত্রলীগের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে।

এতে উপজেলা ছাত্রলীগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল পোদ্দার, লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাহাদ হাসান তুষার ও বায়জিদ বোস্তামী বাঁধনসহ প্রায় ৮/১০ জন এবং বিএনপি’র উপজেলা সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেজাউল ইসলাম রেজা, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা, তোতা মিয়া, বিএনপি’র রেজাউল ইসলাম, আয়নাল, আলামিন, শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ১০/১২ জনের মত আহত হয়। পরে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে।

পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলার মহিলা কলেজ সংলগ্ন কদমতলা মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করেন। এসময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের প্রায় ১০/১২ জনের মত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানান তিনি।

এদিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তিনকোনা মোড়ে সমাবেত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন জানান, তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। তারপরও বিএনপির লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালায়। উপজেলা আওয়ামী লীগ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত আছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, আমাদের শান্তিপূর্ন
মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০/১২ জন সক্রীয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নাজমুস সাকিব সজীব জানান, ঘটনার সাথে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। কেউ শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করলে তা দমন করা হবে।

;

‘প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর প্রাঙ্গণে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ’ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে, প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা। শুধু প্রাণিসম্পদ খাতই নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নেও তার বিকল্প নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সারাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে বিকশিত করতে চায়। শেখ হাসিনা না থাকলে এ খাতের বিকাশ হতো না। তিনি না থাকলে তৃণমূল মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য আয়ের উৎস হিসেবে গরু, ছাগল, ভেড়া বিনামূল্যে দেওয়া সম্ভব হতো না ‘

প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে ডিমের উৎপাদন বেড়েছে, মাংসের উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমান সরকারে সময়ে বিগত ১২ বছরে দুধের উৎপাদন প্রায় ৪ গুণের অধিক, মাংসের উৎপাদন প্রায় ৬ গুণ এবং ডিমের উৎপাদন প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু প্রাণিজ আমিষ গ্রহণের হারও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন কোরবানির সময় প্রতিবেশী দেশ থেকে গবাদিপশু আনার প্রয়োজন হয় না। পৃথিবীর অনেক দেশ এখন আমাদের থেকে মাংস নিতে চায়। তারা রোগমুক্ত ও নিরাপদ মাংস চায়। দেশের প্রাণিসম্পদ তথা গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগি যাতে রোগাক্রান্ত না থাকে সেজন্য সরকার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগলের মাংসের চাহিদা মধ্যপ্রাচ্যের দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে। দেশে পিপিআর রোগের উপস্থিতি থাকায় বিদেশে মাংস রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে । এ রোগটি নির্মূল করতে পারলে মাংস রপ্তানির দ্বার উন্মোচিত হবে। বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতায় ‘পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায়  আজ থেকে আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে সারাদেশে প্রায় ২ কোটি ৯৫ লক্ষ ছাগল-ভেড়াকে পিপিআর ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। এ ধারাবাহিকতায় আগামী বছর একইভাবে সারাদেশে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে পিপিআর রোগ নির্মূল করা আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থা হতে এ রোগ নির্মূলের সনদ পাওয়া যাবে।’

;

কৃষকলীগের মহাসমাবেশ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫১ বছরে পর এই প্রথম রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।

এর আগে, দেশে বিরোধী পক্ষ যেনো কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে স্মরণকালের সেরা শোডাউন করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

জানা যায়, সারাদেশে থেকে প্রায় তিন লাখ কৃষক, কৃষাণী ও নেতাকর্মী জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃষক লীগের এটাই হবে সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ।

এ সমাবেশ থেকে বিএনপি–জামায়াতের শাসনামলে সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত করতে গিয়ে যেসব কৃষক শহীদ হয়েছেন তাদেরও স্মরণ করবে দলটি।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, তাদের সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে হলো- সারা দেশের কৃষক সমাজ যাতে এক হয়ে সরকারের উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে। কোনো ষড়যন্ত্র এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। আগামীতেও শেখ হাসিনা সরকার থাকবে।

তারা আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ হলো উন্নয়নের সরকার। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ উন্নত হবে। দেশে যাতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য তারা সজাগ রয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটি আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখে চলছে।

;