পৃথক সভায় দাঁড়িয়ে রওশনের দাবি জাপায় কোন বিভেদ নেই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই, এরশাদের রেখে যাওয়া নির্দেশনামতেই চলবে পার্টি। যারা তার নির্দেশনা মানবেন না, তারা পার্টি ও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ ।

সোমবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইমানুয়েলস সেন্টারে জাতীয় পার্টির একাংশ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। পার্টির চেয়ারম্যানসহ মূল ধারায় সবাইকে বাইরে রেখে পৃথক অনুষ্ঠান করলেও রওশন এরশাদ দাবি করলেন পার্টিতে কোন বিভেদ নেই।

রওশন এরশাদ আরও বলেন, নতুন পুরাতন নবীন প্রবীণ সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের একসঙ্গে নিয়েই দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করলে, পার্টি শক্তিশালী হবে। গণতন্ত্রের মূল শর্ত হচ্ছে নির্বাচন, যথা সময় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাংবিধানিক ধারা মেনেই হবে সেই নির্বাচন। জাতীয় পার্টি বরাবরই নির্বাচনমুখী দল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পার্টি সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে হবে। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। তাই এখন থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনে গণসংযোগ শুরু করতে হবে। এজন্য সর্তকতার সঙ্গে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে এক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হলে পার্টি সংস্কার করতে দ্রুত কাউন্সিল শেষ করতে হবে। সে জন্য জেলা পর্যায়ের নেতৃত্ব এখনই ঠিক করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

তিনি বলেন, রমজানের পর জাতীয় পার্টি ব্যাপক সাংগঠনিক কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আমাদের দরজা সব দেশপ্রেমিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল-মত ও ব্যক্তির জন্য খোলা আছে।

রওশন এরশাদ বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে লাখ শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয় লাল সবুজের সার্বভৌম বাংলাদেশ। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ অর্ভূথান, ৭১ এর স্বাধীনতাযুদ্ধ বাঙালির এক গৌরবগাথা অহংকার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ নানা বিবর্ণ সময় অতিক্রম করে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত। যার পথধারায় দেশের স্বর্ণউজ্জল উন্নয়নের ইতিহাসে, নয় বছরের সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম লেখা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজানের সিয়াম সাধনাকে তোয়াক্কা না করে সব নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে চলছে। দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলছে।

এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে নিত্যপণ্যের এমন কোনো দ্রব্য নেই, যার দাম বৃদ্ধি পায়নি? এদের জন্য দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা আর উন্নয়নের উজ্জ্বলতা প্লান হয়ে পড়ছে। এতে করে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মাহতি দানকারী শহীদদের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে। সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজদের জন্য দেশপ্রেমিক জনতার এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়নি। সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এখন ক্যান্সারের রূপ নিয়েছে। এদের কঠোর হাতে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টির তৃণমূলের কর্মী সমর্থক সকলেই এখানে রয়েছে। আর যারা নিজেকে জাতীয় পার্টি দাবি করেন, তাদের সঙ্গে তৃণমূলের কেউ নেই। প্রকৃত এরশাদ প্রেমিকরা রওশনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।

আমরা আমাদের নিয়ে জাতীয় পার্টি করবো। যারা রওশনের নেতৃত্বে রয়েছেন তারাই দল পরিচালনা করবে। আমাদেক নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অনেকে প্রশ্ন করেন কি হবে, কখন হবে। তাদের আমি বলি নির্বাচন অনেক দূরে, নির্বাচন যখন আসবে তখন দেখতে পারেন।

রওশন এরশাদ ঘোষিত জাতীয় পার্টির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএমএম আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা। সভা পরিচালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা ইকবাল হোসেন রাজু।

লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিএনপির হারিকেন মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে রাজধানীতে হারিকেন মিছিল করেছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত ৮টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয় কাকরাইল মোড় হয়ে ফের নয়াপল্টনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে মিছিল শেষ হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবিরের নেতৃত্বে মিছিলে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিদ্যুৎ সেক্টরে সরকারের নানা অনিয়মের কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী। অবিলম্বে লোডশেডিং বন্ধের জোর আহবান জানান তিনি।

মিছিলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহিদুল কবির জাহিদ, যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন সোহান, মশিউর রহমান রনি, ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দিন নাসির, আখতার হোসেন, মারুফ এলাহী রনি, মঞ্জুরুল রিয়াদ, রিয়াদ রহমান, আব্দুল বাসেদ, সাফি ইসলামসহ আরও অনেকে অংশ নেন।

;

প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা: আমু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দেশবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা উল্লেখ্য করে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপির সঙ্গে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।

মার্কিন ভিসানীতির সমালোচনা করে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায়। মার্কিন ভিসানীতির কারণে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলব-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।

;

‘হীন উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বিএনপি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে বিএনপি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের কাছে করুণা প্রার্থনা করছে।”

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “কাঙ্ক্ষিত স্যাংশন না পেয়ে বিএনপির মহাসচিব চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রলাপ বকছেন। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী কুৎসা ও বদনাম রটাচ্ছেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণের মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”

কাদের বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভীত নয়। কারণ আমরা সর্বদা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি এই ভিসানীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ হয়, তাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, তারা বরাবরই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে।”

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিএনপি নেতারা খুনি-স্বৈরশাসক, সংবিধান ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে ভ্রান্ত মিথ তৈরি করার অপচেষ্টা করে আসছে।”

তিনি আরও বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আজ বিএনপির কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে তাদের এতটাই দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যে, তাদের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বলা চলে না। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের পদলেহনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।”

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুনিগোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না জানিয়ে কাদের বলেন, “জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে উৎখাত করা হবে।”

;

সিলেটে বিএনপির ৪৩ নেতাকে ‘আজীবন বহিষ্কার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৪৩ নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

সোমবার (৫ জুন) রাতে দলটির দফতর সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভি স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা ‘বেঈমান’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘মীরজাফর’ হিসেবে চিহ্নিত থাকবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী এবং ৩৮ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও ৪ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন।

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষনা অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে বিএনপি। ঘোষণা অনুযায়ী চলমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতেও অংশ নেয়নি দলটি। নির্বাচনে দলের কোন নেতাকর্মী প্রার্থী না হওয়ার কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ অমান্য করে কেউ প্রার্থী হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হবেন, দলের পক্ষ থেকে এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে গাজীপুরের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সিলেটের প্রার্থীদের মধ্যেও একই আতঙ্ক ছিল। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতে কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ৪৩ প্রার্থীর প্রাথমিক সদস্যপদ সহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এর আগে গত শনিবার তাদেরকে শোকজ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।

আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমন।

সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি (১নং ওয়ার্ড), মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম (৬নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম (১৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল (১৮নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব তুহিন (২১নং ওয়ার্ড), মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ (২৫নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু (১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু (৩নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী (৫নং ওয়ার্ড), আমিনুর রহমান খোকন (৫নং ওয়ার্ড), শাহেদ সিরাজ (৫নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের (১০নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির (১১নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান (১৫নং ওয়ার্ড), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন (২৩নং ওয়ার্ড), এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা (২২নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন (২৪নং ওয়ার্ড), ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি (২৬নং ওয়ার্ড), জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা ইউনুস মিয়া বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন- জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৬)।

;