‘ইতিহাসের মহানায়ক আর ইতিহাসের ফুটনোট এক কথা নয়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

অনেকে ইতিহাসের মহানয়কের সাথে ইতিহাসের ফুটনোটের তুলনা করেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইতিহাসের মহানায়ক আর ইতিহাসের ফুটনোট এক কথা নয়।

রোববার (১৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সত্তরের নির্বাচনে জনগণ বঙ্গবন্ধুকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে স্বাধীনতা ঘোষণার বৈধ অধিকার দেওয়া হয়েছিল, সেই অধিকার বলে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার আর কারও বৈধ অধিকার ছিল না। আমাদের মনে রাখতে হবে। ইতিহাসকে যারা বিকৃত করেছে, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল এখনো তারা ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক আর স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক এক কথা নয়। স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক অনেকে ছিলেন। আবুল কাশেম সন্দিপ, মরহুম এম এ হান্নান, চট্রগ্রামের অনেকে ছিলেন। এরা ছিলেন ঘোষণার পাঠক কিন্তু ঘোষক ছিলেন না। 

এসময় বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী সকল অপশক্তির হোতা বিএনপি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ প্রচার এবং প্রকাশনা সম্পাদক ড আব্দুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় এবং মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

‘জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সকালে ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

জাতিসংঘ কেন মধ্যস্থতা করতে যাবে— প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকটে সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংকটে আর কোনো সমাধান নেই। সংবিধানই যদি কোনো দেশের সমাধান না দিতে পারে তা হলে সে দেশে গণতন্ত্র হবে কি করে?

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব। বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান করেছিলেন। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কী হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কি পেয়েছে? তারা আমেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কি পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।

;

লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিএনপির হারিকেন মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী অসহনীয় লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে রাজধানীতে হারিকেন মিছিল করেছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত ৮টায় নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয় কাকরাইল মোড় হয়ে ফের নয়াপল্টনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে মিছিল শেষ হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবিরের নেতৃত্বে মিছিলে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিদ্যুৎ সেক্টরে সরকারের নানা অনিয়মের কঠোর সমালোচনা করেন রিজভী। অবিলম্বে লোডশেডিং বন্ধের জোর আহবান জানান তিনি।

মিছিলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহিদুল কবির জাহিদ, যুবদল নেতা আলমগীর হোসেন সোহান, মশিউর রহমান রনি, ছাত্রদল নেতা নাসির উদ্দিন নাসির, আখতার হোসেন, মারুফ এলাহী রনি, মঞ্জুরুল রিয়াদ, রিয়াদ রহমান, আব্দুল বাসেদ, সাফি ইসলামসহ আরও অনেকে অংশ নেন।

;

প্রয়োজনে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা: আমু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্দোলনে থাকা বিএনপির সঙ্গে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এবং ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দেশবিরোধী দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

সংবিধানের মধ্যে থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা উল্লেখ্য করে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপির সঙ্গে যেকোনো আলোচনা হতে পারে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে।

মার্কিন ভিসানীতির সমালোচনা করে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমেরিকার ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায়। মার্কিন ভিসানীতির কারণে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে বিএনপিকে বলব-সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।

;

‘হীন উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বিএনপি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে ম্লান করে বিএনপি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “দেশের মানুষের প্রতি তাদের কোনো আস্থা ও বিশ্বাস নেই। দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র, নির্বাচন ও গণরায়কে অবজ্ঞা করে তারা কেবল বিদেশি প্রভুদের কাছে করুণা প্রার্থনা করছে।”

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “কাঙ্ক্ষিত স্যাংশন না পেয়ে বিএনপির মহাসচিব চিরাচরিত ভঙ্গিতে প্রলাপ বকছেন। মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে তারা প্রতিনিয়ত সরকারবিরোধী কুৎসা ও বদনাম রটাচ্ছেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ও এ দেশের জনগণের মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।”

কাদের বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার ভীত নয়। কারণ আমরা সর্বদা সংবিধান, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি এই ভিসানীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ হয়, তাহলে বিএনপি নেতাকর্মীদের এর আওতায় আসার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা, তারা বরাবরই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। তারা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে ও নির্বাচন প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসের মাধ্যমে সাংবিধানিক রাজনীতির অচলাবস্থা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে।”

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “মিথ্যাচার-অপপ্রচারের মাধ্যমে বিএনপি নেতারা খুনি-স্বৈরশাসক, সংবিধান ও গণতন্ত্রের হত্যাকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে ভ্রান্ত মিথ তৈরি করার অপচেষ্টা করে আসছে।”

তিনি আরও বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, আজ বিএনপির কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে তাদের এতটাই দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যে, তাদের আর কোনো রাজনৈতিক সংগঠন বলা চলে না। জনগণের প্রতি আস্থা না রেখে বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের পদলেহনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।”

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ ধরনের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী খুনিগোষ্ঠী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না জানিয়ে কাদের বলেন, “জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশবিরোধী এই অপশক্তিকে উৎখাত করা হবে।”

;