দেখতে ভদ্রলোক হলেও ফখরুলের অন্তরে বিষ: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক আর সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, দেখতে ভদ্রলোক হলেও ফখরুলের অন্তরে বিষ।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর ধোলাইখালে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল দেখতে মনে হয় ভদ্রলোক, আর অন্তরে বিষ। একটা মানুষ এত মিথ্যা কথা বলতে পারে, সেরা মিথ্যাবাদীর নাম মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের দেশ পাকিস্তান নাকি ভালো ছিল। আজ পাকিস্তানের রিজার্ভ ৩.৫ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তান আজ দেউলিয়া হয়ে গেছে। পাকিস্তানের চেয়ে সবদিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির দুটি গুণ দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। অর্থ পাচারকারী তারেক লন্ডনে আছে, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক দেশে ফিরবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দুর্নীতিতে বিএনপি পরপর ৫ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতিবাজের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা। এরা চুরির কথা বলে, ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। ক্ষমতার স্বপ্ন দেখছেন। বেপরোয়া গাড়ির বেপরোয়া ড্রাইভারে চলতে চলতে গাড়ি খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির আন্দোলন জখম হয়ে গেছে!

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে পদ্মা সেতু হতো না, ঢাকায় মেট্রোরেল হতো না, এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। শেখ হাসিনা যদি চুরি করতেন তাহলে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল হতো না। একদিনে একশ রাস্তা হতো না। শেখ হাসিনা চুরি করেননি, চুরি থেকে বাংলাদেশকে, ক্ষমতার রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করেছেন। গত ৪৮ বছরে দক্ষ প্রসাশক জন্ম নেয়নি মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা চুরি করলে তার নামে হাওয়া ভবন তৈরি হতো। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দিতে পারতেন না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই গৃহহীনরা ঘর পাচ্ছে, ভূমিহীনেরা ভূমি পাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, অপশক্তি উন্নয়নকে থামিয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) ৩ মাসের সরকারের নামে ২ বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। সংবিধানের বাইরে এক চুল যাওয়ার সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না, হবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারে গিয়ে বলেছেন, সরকার নির্বাচন কমিশনে প্রভাব বিস্তার করবে না। বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনুরোধ রইলো, নির্বাচনে আসুন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, জাতির পিতা আমাদের গৌরব। তিনি ছিলেন বলেই এ দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্নীতিবাজদের সবচেয়ে ঘৃণা করতেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন জিহাদ করেছেন। যারা ঘুষ খায়, চাঁদাবাজি করে তারাই দূর্নীতিবাজ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সারাবাংলার মানুষ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। তারপর জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশ থেকে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী’র সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর ও দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সঞ্চালনায় জনসভায় বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির প্রমুখ।

সিলেটে মেয়র ও কাউন্সিলর ৪০ প্রার্থীকে বিএনপির শোকজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করায় এক মেয়র প্রার্থীসহ ৪০ কাউন্সিলর প্রার্থীকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বিএনপি ওই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

তারা জানান- কেন্দ্র থেকে পাওয়া নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ব্যক্তি স্বার্থে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিতভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতরে জমা দিতে হবে।

নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সালাউদ্দিন রিমন, সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সভাপতি অ্যাডভোকেট রুকশানা বেগম শাহনাজ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক উসমান হারুন পনির, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা কামাল, গউছ উদ্দিন পাখি, সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন নাদিম, ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুফতি কমর উদ্দিন কামু, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠু, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. কামাল মিয়া, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য খালেদ আকবর চৌধুরী, আমিনুর রহমান খোকন, শাহেদ সিরাজ, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান জুবের, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আব্দুর রহিম মতছির, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মুজিবুর রহমান, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সালমান চৌধুরী শাম্মী, ২৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রহমান মামুন, এমসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বদরুল আজাদ রানা, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য হুমায়ুন কবির সুহিন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি সেলিম আহমদ রনি, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আব্বাস, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক জাবেদ আমিন সেলিম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক রাজু মিয়া, বরইকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি সানর মিয়া, টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেদায়েত হোসেন তানবীর, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দুলাল আহমদ, সিলেট জেলা বিএনপি নেতা দেলওয়ার হোসেন জয়, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাছিব, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সহক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক সুমন আহমদ সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপি নেতা সাহেদ খান স্বপন, বরইকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা নুরুল ইসলাম মাসুম।

এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, সিলেট মহানগর মহিলা দলের সহসভাপতি রুহেনা বেগম মুক্তা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সিলেট ইউনিটের সদস্য অ্যাডভোকেট জহুরা জেসমিন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি কামরুন নাহার তান্নি।

এদিকে, এই ধরণের কোন নোটিশ হাতে এখনো পাননি বলে জানান, মেয়র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিমন। রিমন জানান, তিনি বর্তমানে গণসংযোগে ব্যস্ত, এসব নিয়ে নোটিশ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।

;

আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, যেভাবে বাকশাল গঠন করা হয়েছিলো, সেভাবেই সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদের অজান্তেই দেশে বাকশাল গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (৩ জুন ) নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের বলেন, শাসন ব্যবস্থার সকল প্রতিষ্ঠান একটি দলের সদস্য হয়ে গেছে। দেশের বাকি মানুষ যেনো মানুষ নয়। সাধারণ মানুষ খেলো কি খেলো না, তা দেখার কেউ নেই। বাকশালের মত একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে স্থায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। সামনের নির্বাচনে বাকশালের মত সরকারকে চির স্থায়ীত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। দেশে বাকশালের মত দল হয়েছে, এখানে সাধারণ মানুষের কোন স্থান নেই। সাধারণ মানুষ বিচার পায় না, সাধারণ মানুষের কথা গ্রাহ্য করা হয় না, সাধারণ মানুষ নির্বাচন করতে পারে না। সাধারণ মানুষ নির্বাচন করে জিততে পারবে না, এটাই বাস্তবতা।

তিনি বলেন, দেশে একটি দল আছে। সেই দল স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ শাসন করছে। সেই দলের মধ্যে প্রশাসন, আর্মি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সবাই সদস্য। সংসদ ও সংসদের স্পিকার সেই দলের হয়েই কথা বলছেন। সবাইকে সেই দলই রক্ষা করছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আমরা গর্ব করতাম। কিছু দিন আগে সরকারি দলের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে আমরা নামিয়ে দিয়েছি। কে নামিয়ে দিয়েছে? আওয়ামী লীগ নামিয়ে দিয়েছে। তার মানে বিচার বিভাগকেও ওই দলের সদস্য হতে হবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশন সবাই ওই দলের সদস্য হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের এবং তাদের নেতা একজন। সেই নেতা যা বলেন, সবাই তাই করেন। তাই নির্বাচন কিভাবে সুষ্ঠু হবে? সেখানে দুর্নীতিবাজরা কিভাবে শাস্তি পাবে? কীভাবে মেধাবিরা চাকরি পাবে? সবাই দলীয় আস্তরনের মধ্যে আছে। যে নির্দেশ আসে সবাই সে নির্দেশ মেনে চলে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করছি, আমরা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসিনি। সরকারের কথা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। একদলের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই দেশের মানুষ বেঁচে থাকার অবলম্বন পাবে। দেশকে মুক্ত করা না গেলে হাজার-হাজার কোটি টাকা আবারও বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। সরকারের বিপক্ষে সত্য কথা বললে কোন গণমাধ্যম প্রকাশ করতে পারে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে গণমাধ্যমের গলা টিপে রাখার জন্য। শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, আগামীতে ফাঁসির ব্যবস্থা করা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আইন করে, নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে দেশে লুটপাটের ব্যবস্থা হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতেই আমাদের রাজনীতি। বাজেটের কারণে সামনের দিনগুলো আরো কঠিন হয়ে উঠবে। সেজন্য সরকারের কোন প্রস্তুতি নেই। সরকার জান বাঁচাতে নির্বাচন পার করতে চাচ্ছে। তারপর তারা দেখিয়ে দেবে তারা কোথায় আর জনগণ কোথায়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সামনের দিনগুলো কেমন করে চলবে তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে আয় দিয়ে সংসার চালাতে পারছে না। মধ্যবিত্তরা এখন নিম্নবিত্ত নয়, দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেট কখনোই জনবান্ধব হতে পারে না। যে ট্যাক্স বিদ্যমান আছে তাই দেশের মানুষ দিতে পারছে না। কিন্তু আরো ট্যাক্স বাড়ানো হয়েছে। মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে, জিনিস পত্রের দাম আরো বাড়বে। মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যারা চাকরি করে তারা চাকরি হারাচ্ছে। সরকার করোনা আর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দোহাই দিয়ে জিনিস পত্রের দাম বাড়িয়েছে। এখন আইএমএফের পরামর্শে আরেক দফা বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। সব কিছুর দাম বাড়াচ্ছে। সারাদেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে, এ দায় সরকারের। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে কিন্তু আমাদের দেশের মত কোন দেশের মানুষ এত অসহায় নেই। মুল্যস্ফীতির কারণে মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে, সামনের দিকে হয়তো অনেকেই না খেয়ে মারা যাবে।

তিনি বলেন, বেশির ভার কলকারখানা বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুতের অভাবে। শতভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে লাখ-কোটি টাকা তসরুপ করেছে। সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো দু‘শো ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো বিদ্যুৎ দেওয়া নয়। সরকারের তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনার পয়সা নেই। এখন হাতে পায়ে ধরে বাকিতে গ্যাস, তেল ও কয়লা কিনতে হচ্ছে। গোঁজামিল দিয়ে দেশ চলছে। সরকারের হাতে বৈদেশিক মূদ্রা নেই। বকেয়া ঋণ পরিশোধ করলে সরকারের হাতে আর টাকা থাকবে না। এ কারণে, বিদেশ থেকে মাল আনতে পারছে না সরকার। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখেননি কিন্তু সরকার কয়লার বিল বকেয়া রেখেছেন কেন? মানুষের দুর্দশার জন্য বর্তমান সরকার দায়ী। সরকার মানুষকে বিভ্রান্ত করে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পেকা লুটর নামে লাখ-কোটি টাপাট করে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এ কারণেই বিদ্যুৎ দিতে পারছে না সরকার। কিছু কিছু কোম্পানির সাথে সরকার চুক্তি করেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন হোক বা না হোক ডলারে তাদের পেমেণ্ট করতে হবে। এলএনজি খালাস হোক বা না হোক প্রতিদিন খালাস করার জায়গার জন্য একলাখ ডলারের বেশি দিতে হচ্ছে। এসব কোম্পানি হচ্ছে সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু পরিবারের। আমরা পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার দেখেছি এখন ২২ হাজার পরিবার সৃষ্টি হয়েছে যারা সরকারের সহায়তায় লুটপাটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছে।

জাতীয় পার্টি মহাসিচব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দেশের মানুষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন বা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় না। দেশের মানুষ চায় ভোটাধিকার। দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে চায়। গ্রামের মানুষ দিনে ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পায় না। দেশের মানুষ মুক্তি চায়। বিদ্যুতের নামে সরকার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে কিন্তু বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। আবার বিএনপি বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিলো। এই দুটি দলকে দেশের মানুষ আর চায় না।

নরসিংদী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব ফখরুল ইমাম এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোট । স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামীম রানা ভূঁইয়া, হাজী মো. নূরুল ইসলাম, আব্দুল কাদির কিবরিয়া, মো. দেলোয়ার হোসেন, এডভোকেট সারোয়ার মোল্লা, শফিকুল ইসলাম সুমন, এডভোকেট কামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কাস আলী, মো. দেওয়ান আলী গাজী, মো. হাবিবুর রহমান, হারুন অর রশিদ হিরা, এডভোকেট আবুল হাসনাত মাসুম, মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, জাকির হোসেন মৃধা।

;

বাজেটে কর্মসংস্থানের কথা বললেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক: মেনন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তরুণ সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে তুলতে হবে। কেবল বাজেটে নয়, সামগ্রিক ক্ষেত্রে তরুণদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (৩ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে জেলা যুব মৈত্রীর ৬ষ্ঠ জেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা অতীতের অর্জন নিয়ে কথা বলছি, ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু বর্তমানের দুঃস্বপ্ন দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি, অপসংস্কৃতির ছোবল, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদের আক্রমণ, সেখানে দাঁড়িয়ে বাজেটে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলতে পারি না।

তিনি বলেন, বাজেটে তরুণদের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও সেই অঙ্কে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁক। সেখানে কর্মসংস্থানের কোন সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাই না। কারণ বেসরকারি খাতে যখন বিনিয়োগ কমে যায় তখন কর্মসংস্থানের সুযোগ হয় না।

এর আগে, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর সভাপতি তৌহিদুর রহমান। এতে জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক এ্যাড. মো. নাসিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির পুলিট ব্যুরো সদস্য মাহমুদুল হাসান মানিক, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমেদ রুবেল, বিজয়নগর ওয়ার্কার পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।

;

এবারের বাজেট ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এবারের বাজেট সংকটে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব অস্থিরতায়ও শেখ হাসিনা ম্যাজিক লিডারশিপের পরিচয় দিয়েছেন। সরকার মুদ্রাস্ফীতি সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করছে।

কাদের বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই অর্থনৈতিক সঙ্কটে অস্থির অবস্থা। অনেক চিন্তা করে এবারের বাজেট করা হয়েছে। সারা বিশ্বে সংঘাতময়, অস্থির পরিস্থিতি বিরাজমান। পাশাপাশি ডলার সংকট রয়েছে।

বাজেট নিয়ে বিএনপির সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাদের অর্থনীতিই ছিল লুটপাটের, সেই বিএনপি এই বাজেটকে লুটপাটের বাজেট বলে কী করে? তাদের সময় কী পরিমাণ বাজেট ছিল? আজ তা কী হয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অগ্রগতির ফলে জিডিপির উন্নয়ন হয়েছে। আট থেকে ৯ অর্থবছরে কী ছিল বাংলাদেশ, আজ ৩৫তম অবস্থানে আছে। বাজেটের কৃচ্ছতাসাধন করে জিডিপির অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর রিজার্ভ কী ছিল? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। বিশ্ব সংকটে এটার কিছুটা তারতম্য আছে, তবে সব সংকটই দ্রুত সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাদের কথা শুনলে মনে হয় দেশে দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকতেই পারে; কিন্তু প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি আর উন্নয়ন অবদান অস্বীকার, এগুলো কি মানা যায়?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা শেখ হাসিনাকে ফলো করেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদেশের বিরোধী দলের রাজনীতি বিশ্বে বিরল। বিরোধীদল শুধু সমালোচনা আর বিরোধিতা করে কিন্তু ভালো কোনো পরামর্শ দিতে পারে না।

কাদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করে আর তাই এবারের বাজেটও তৈরি করেছে দেশ ও মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে। এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে।

নেতিবাচক সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নেতিবাচকগুলোকে ইতিবাচক অবস্থায় পরিণত করতেই এবারের বাজেট। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে বিশ্বের সবাই কষ্টে আছে। বিশ্ব পরিস্থিতির কারণেই মানুষ কষ্টে আছে সরকার মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে।

বিএনপি বলছে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট লুটপাটের বাজেট এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপির সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে হামলা হতো আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ হামলা করে না। বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগ বারবার নির্যাতিত হয়েছে কিন্তু অবাধ রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে বিএনপি।

;