যৌথসভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যৌথসভা ডেকেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণের এই সভা হবে।

দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

‘১/১১-এর সরকার বাংলার মাটিতে কায়েম হতে দেওয়া হবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

মিথ্যার বেসাতি ছাড়া বিএনপির কাছে আর কোন কিছু নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ওরা (বিএনপি) স্বপ্ন দেখে আবার এক/এগারোর সরকার কায়েম করবে। এক/এগারোর সরকার বাংলার একটি মানুষ জীবিত থাকতে আর কায়েম হতে দেওয়া হবে না। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে মির্জা ফখরুল সাহেব তার ফল শুভ হবে না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাঙালি জাতি শেখ হাসিনার নেৃতত্বে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এগিয়ে যাবেই।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোন যুক্তিতে চান? আপনাদের নেতা আপনাদের মাতা বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল নিরপেক্ষ বলতে কেউ নেই। এক পাগল আর শিশু হল নিরপেক্ষ। তাহলে আপনারা নিরপেক্ষ সরকার চান তাহলে আপনাদের ম্যাডামের ভাষায় মির্জা ফখরুল আপনারা নয় শিশু, নয় পাগল। আসলে ওরা (বিএনপি) দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। ওরা বাংলাদেশের অকল্পনীয় উন্নয়নকে মেনে নিতে পারছে না বলেও জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা শত্রু-মিত্রের তালিকা করতে পারি নাই বলে শত্রু সেদিন ঘাপটি মেরে বসেছিল। আমরা মোশতাক-জিয়াদের তালিকা করে কবর রচনা করতে পারি নাই বলেই সেদিন মোশতাক-জিয়ারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আজকের বাংলাদেশে পাকিস্তানের সেই প্রেতাত্মারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যাচ্ছে তখন তারা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করছে বলে অভিযোগ করেন নানক।

আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে যুব মহিলা লীগের ওপর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদে অকথ্য অত্যাচার নির্যাতনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, সেকথা কি ভুলে গেছেন মির্জা ফখরুল সাহেব? মেয়েদের ব্লাইজ ছিঁড়ে দিয়েছেন, আমাদের মেয়েদের বিবস্ত্র করা হয়েছে। আপনাদের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে। আর আজকে আন্দোলন করেন, সমাবেশ করেন, মহাসমাবেশ করেন তারপরও বলেন গণতন্ত্র নাই? কথা বলার অধিকার নাই? কি অধিকার আর চান?

যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেউজির সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

;

নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচনকে ভয় বলেই ষড়যন্ত্রের পথে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তার অবস্থা জানে বলেই তাদেরকে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। এ কারণে তারা নির্বাচনের পথে না হেঁটে ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।’

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন সম্মেলন কক্ষে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা রিপোর্টিং’ সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিবের ‘নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিকে আসলে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ভীতি পাওয়া স্বাভাবিক, কারণ ২০০৮ সালে বিএনপি সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল। পরবর্তীতে উপনির্বাচনে তারা ৩০টি আসন অতিক্রম করতে পেরেছে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বর্জন করেছিল। আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দলের ঐক্য করে ড. কামাল হোসেন সাহেবের মতো মানুষকে ‘হায়ার’ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মহিলা আসনসহ মাত্র ৭টি আসন পেয়েছিল। তারা তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জানে, নির্বাচনে সাফল্য কতটুকু হতে পারে সেটি জানে, সে জন্য তাদেরকে নির্বাচনী ভীতি পেয়ে বসেছে। ফলে ষড়যন্ত্রের পথেই হাঁটছে তারা।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই, বিএনপি নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে উঠে নির্বাচনে অংশ নিক। অন্যান্য সমস্ত গণতন্ত্রের দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবে এখানেও নির্বাচনকালীন সরকার হবে চলতি সরকার এবং নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে। সেখানে সরকারি দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে এবং বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের কথা শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির কথা মনে হয়’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মির্জা সাহেবের বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন, পাকিস্তানপন্থী ছিলেন। স্বাধীনতার পরে মির্জা ফখরুল সাহেবও অনেকদিন আত্মগোপনে ছিলেন, এ জন্য উনার বেশি বেশি শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে, এছাড়া অন্য কিছু নয়। তারা যখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি করে, হয় নিজেরা মারামারি করে অথবা পুলিশের সাথে মারামারি করে। দেশে যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতি বজায় থাকে সে জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা শান্তি সমাবেশ করছি।’

এর আগে সেমিনারের বিষয় সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সড়ক দুর্ঘটনা শুধু একজন মানুষকে পঙ্গু বা হত্যা করে তা নয়, পুরো পরিবারকে হত্যা করে, পঙ্গু করে দেয়। এটিকে বন্ধ করার জন্য যানবাহন মালিক, চালক, শ্রমিক, আইন রক্ষাকারীসহ আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। একইসাথে টেলিভিশনগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। রাজনীতি নিয়ে এতো টক শো হয়, সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও টক শো হওয়া প্রয়োজন, ভালো রিপোর্টিং হওয়া প্রয়োজন।’

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আল মাহবুব উদ্দীন আহমেদ, বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলম তালুকদার, বার্তা সংস্থা ইউএনবির উপদেষ্টা সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বিআরটিএ পরিচালক (সড়ক নিরাপত্তা) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রাব্বানী, এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডিভালপমেন্ট (এআইবিডি) প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাবিল তিরমাযি (Nabeel Tirmazi), এনআইএমসি পরিচালক ড. মো. মারুফ নওয়াজ ও সেমিনার পরিচালক মোহাম্মদ আবু সাদিক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এআইবিডি’র সহায়তায় আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ২০জন সাংবাদিক অংশ নেন।

;

কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের

কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে স্বাভাবিকভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব, তবে কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে দলীয়করণ করে কর্তৃত্ববাদী সরকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ ) জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনকে সরকার দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করছে। এমন অবস্থায় বা এমন কাঠামোতে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া বা না নেয়ার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনো আসেনি। কারণ, সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা এমনই রাখবে নাকি কিছু পরির্বতন করবে তা আমরা এখনই জানি না। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে নির্বাচনের আগে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।

তিনি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট শুরু হয়ে গেছে। দুটি দল নিজের অবস্থানে অটল আছে। এমন অবস্থা থেকে তাদের বেরিয়ে আসার কোন উপায় নেই। দল দুটি মনে করছে, তারা ছাড় দিলে তারা ধংস হয়ে যাবে। তারা ভাবছে, ছাড় দিলে নির্বাচনে তারা টিকবে না এবং তাদের রাজনীতি টিকবে না। তাই, সামনের দিকে বাঁচার জন্য দুটি দল জীবনপণ লড়াই করবে। দেশে সহিংসতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার দিকে দেশ ধাবিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশ চালানো হচ্ছে গোঁজামিল দিয়ে। অগ্রগতির কথা বলে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। অর্থের অভাবে দেশের স্বাভাবিক আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। প্রবাসীদের আয় এবং রফতানি থেকে যে আয় হয় তার চেয়ে দেশের ব্যয় অনেক বেশি। দেশের রিজার্ভ আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। এ কারণেই আমরা আমদানি করতে পারছি না, আমদানি অর্ধেক হয়ে গেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না, নিত্যপণের দাম বেড়ে গেছে। ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশের অভাবে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। একারণে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। একারণে, সরকার আমদানি কমিয়ে দিয়ে, ধার-কর্য করছে এবং বাকিতে মালামাল কিনছে। এটাকে আমারা গোঁজামিল দিয়ে দেশ চালানো হচ্ছে বলে মনে করছি।

তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে আমরা যা দেখছি বিশাল বিশাল অবকাঠামো হচ্ছে, মেগা প্রজেক্ট হচ্ছে। এর সুফল আমরা এখনো দেখিনি। গেলো বাজেটের সময় ঋনের ভার জনপ্রতি ছিলো প্রায় ১ লাখ টাকা। এখন ঋণের বোঝা আরো বাড়বে। সরকারের হাতে টাকা নেই। এমন বাস্তবতায় সরকার নতুন করে ১ লাখ কোটি টাকা ছাপাচ্ছে। এজন্য দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি ও মুদ্রাস্ফিতি হচ্ছে। ডলার সংকট চলছে। সরকার রিজার্ভের যে হিসাব দিচ্ছে তা আইএমএফ এর হিসেব অনুযায়ী অনেক কম। সরকার বলেছে রির্জাভ আছে ৩১ বিলিয়ন ডলার আছে। আইএমএফ বলছে এখানে অন্তত ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার নেই। এই টাকা বিভিন্ন জায়গায় ঋণ দেয়া হয়েছে এবং লগ্নি করা হয়েছে। সেই হিসেবে রির্জাভের পরিমাণ ২২ দশমিন ৫ বিলিয়ন ডলার থাকার কথা। কিন্তু, এবছর ঋণ ও আসল পরিশোধ করতে হবে ২৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। সরকারি হিসেবে বকেয়া ১৮ বিলিয়ন ডলার বেসরকারি এবং ৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সরকারি খাতে এখনই শোধ করতে হবে। অতিতের বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৩৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে সরকারের হাতে কোন টাকা থাকার কথা নয়। আইএমএফ ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা ঋণ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু, তারা আমাদের ঋণ না দিলে দেশ যে কোন মুহূর্তে দেউলিয়াত্বের মধ্যে চলে যেতে পারে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরোনের জন্য আমাদের সুপারিশমালা আছে আমরা তা সময় মত জানাবো। আমাদের সুপারিশমালা যদি গ্রহণ করার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তবেই আমরা সুপারিশমালা দেবো। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। অনেক শক্তিশালী এবং গ্রহণযোগ্য মানুষ প্রতিদিন জাতীয় পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, এসএম আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভ রায়, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, উত্তরের আহ্বায়ক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু , এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আকতার এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান আতিক, জহিরুল ইসলাম জহির, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল আলম রুবেল, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের এমপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে- জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় মহিলা পার্টি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি, জাতীয় শ্রমিক পার্টি, জাতীয় তরুণ পার্টি, জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টি, জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় হকার্স পার্টি, পল্লীবন্ধু পরিষদ , ফ্রান্স শাখা জাতীয় পার্টি।

;

দলে কোনো বিভেদ নেই, পৃথক অনুষ্ঠান দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে না: রওশন এরশাদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দলে কোনো বিভেদ নেই, পৃথক অনুষ্ঠান দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে না: রওশন এরশাদ

দলে কোনো বিভেদ নেই, পৃথক অনুষ্ঠান দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে না: রওশন এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই, পৃথক অনুষ্ঠান দ্বন্দ্ব প্রমাণ করে না। দলীয়ভাবে নেতার জন্মদিন স্মরণ করে কর্মসূচি পালন করেছে, বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে আমিও দোয়ার আয়োজন করেছি।

সোমবার (২০ মার্চ ) রাজধানীর গুলশানে বিরোধী দলীয় নেতার বাসভবনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিবস উপলক্ষে আয়োজিত কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির দলীয় কর্মসূচির বাইরে পৃথকভাবে এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করেন রওশন এরশাদ।

রওশন এরশাদ আরও বলেন, সাংবিধানিক ধারা মেনেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে তাঁর দল। নির্বাচন হতে এখনো অনেক দেরি আছে। সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন হবে এবং সে নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পার্টি।

তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতি নিয়ে এগিয়ে যাবে তাঁর দল। তাঁর রেখে যাওয়ায় দিকনির্দেশনা অনুযায়ী চলবে পার্টি। যারা তাঁর নির্দেশনা অনুযায়ী চলবেন না, তাদের চলার সুগম হবে না।

জাতীয় পার্টি এরশাদের নিজস্ব পার্টি। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তিনি এই পার্টি দাঁড় করিয়েছেন। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সবাইকে দোয়া করার আহবান জানান জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি বলেন, আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি আবার সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পল্লীবন্ধুপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ এমপি বলেন, আমরা কাছে আপনারাই পরিবার। সে কারণে দলের নেতাকর্মীরা পরিবারের সদস্য বলেই আপনারা আমার আপনজন। আপনাদের সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যাবো আমি।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় নেতার মূখপাত্র কাজী. মামুনূর রশীদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, সাবেক উপদেষ্টা রফিকুল হক হাফিজ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গহীর, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, সাবেক উপদেষ্টা অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নূরু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতি, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক এমপি অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক ছাত্র নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মামুনূর রশীদ, ইঞ্জিনিয়ার ইকরাম খান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, অ্যাড. অশোক কুমার ঘোষ, নারী নেত্রী মনোয়ার তাহের মানু, শারমিন পারভিন লিজা, কেয়া চৌধুরী, আব্দুল আজিজ, শ্রমিক নেতা সাখাওয়াত হোসেন, এম জাহের, শাহ জামাল রানা, ডা. সেলিনা, হাসনা হেনা, এজাজ আহমেদ খান, মো. কামাল হোসেন, মঞ্জুরুল হক সাচ্চা, কামাল খন্দকার, নজরুল ইসলাম, শেখ রুনা, জহির উদ্দিন জহির, ইসরাফিল মিয়া, আজমল হোসেন জিতু, ইদ্রিস আলী, ইমদাদুল হক, সাজিউল ইসলাম রকি, জাতীয় ছাত্র সমাজের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাফসা সুলতানা, সদস্য সচিবআবু সাঈদ লিয়ন, জাপা নেতা শফিকুল ইসলাম, মিশু আহমেদ, এবি মাসুম রেজা, জিয়াউল হক জুয়েল প্রমুখ।

;