আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া ঘরে ফিরবে না আ. লীগ: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। দিয়াশলাইয়ের কাঠিতে যেমন খোঁচা দিলে জ্বলে ওঠে তেমনি আমাদের নেতাকর্মীদের একটা গুণ হল খোঁচা দিলে জ্বলে উঠে। তারা আমাদের খোঁচা দিয়েছে, আমরা জ্বলে ওঠেছি। আমরা রাজপথে নেমেছি। আগামী নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আর ঘরে ফিরে যাবে না।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নাই, তাই তারা অনেক ষড়যন্ত্র এঁকেছে, তারা নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করেছে। তারা এখন যদিও বা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাহানা করছে, সুযোগ পেলেই তারা আবার নাশকতা করবে, জনগণকে ছোবল মারবে। তাই নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানাব, সতর্ক থাকতে হবে। রাজপথে নেমেছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। কাউকে দেশে বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না। যদি কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় আওয়ামী লীগ জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের প্রতিহত করবে।

তিনি বলেন, দুনিয়ার কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাই, আছে শুধু একমাত্র পাকিস্তানে। বাংলাদেশ পাকিস্তানকে অনুকরণ করে না, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে অনুকরণ করে। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সমস্ত সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেই সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও নির্বাচনকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আর নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।

তিনি বলেন, বিএনপি আজকে সমগ্র বাংলাদেশে আটটি জায়গায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে বিএনপি এবং তার জোট ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে। তারা ঘোষণা দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করে দিবে। আগ বাড়িয়ে আবার ঘোষণা দিয়েছিল ১০ তারিখের পর বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নাকি দেশ চলবে।

তারা বলেছেন, ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে। তারা যাতে লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ করতে পারে সেজন্য আমরা বললাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে না গেলেও বাণিজ্য মেলার মাঠ কিংবা বিশ্ব ইজতেমার মাঠে যান। ওনারা বললেন, নয়াপল্টনের অফিসের সামনে সমাবেশ করবেন। কোনভাবেই নয়াপল্টন থেকে সরবে না। শেষ পর্যন্ত গরুর হাটের মাঠে সমাবেশ করলো। আর তাদের অফিসে পাওয়া গেল তাজা বোমা, দুই লাখ পানির বোতল, কয়েক টন চাল। তার মানে, তাদের পরিকল্পনা ছিল ঢাকা শহরে বোমাবাজি করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

তিনি বলেন, আসুন, আপনারা নির্বাচনে আসুন। আপনারা নির্বাচনকে বয়কট করবেন, নির্বাচনকে ভয় পাবেন, আপনাদের নির্বাচনের ট্রেনে তোলার দায়িত্ব আমাদের নয়। তারা চায় এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা, যেই ব্যবস্থা তাদেরকে ক্ষমতায় বসানো নিশ্চিত করবে। সেই ধরণের নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না। বাংলাদেশে হবে অবাধ সুষ্ঠু স্বচ্ছ ও নিরেপক্ষ নির্বাচন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে সমগ্র পৃথিবী কর্তৃক একটি প্রশংসিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি পূর্ণ শক্তি দিয়ে আসন পেয়েছিল ২৯টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ডান-বাম, অতিডান-অতিবাম, তালেবানসহ সবাইকে নিয়ে ঐক্য করে তারা আসন পেয়েছিল মাত্র ৬টি। তাই তারা বুঝতে পেরেছে আগামী নির্বাচনেও কোন সম্ভাবনা নাই। তাই তারা এখন নানা বাহানা করছে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ খোরশেদ আলম সুজন, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, উপদেষ্টা আলহাজ শফর আলী, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মিরসরাইয়ে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা এলিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিরসরাইয়ে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা এলিট

মিরসরাইয়ে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা এলিট

  • Font increase
  • Font Decrease

মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট মাসব্যাপী ইফতারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেছেন।

তার ধারাবাহিকতায় শনিবার  (২৫ মার্চ)  মিরসরাইয়ের ১ ও ২ নং ইউনিয়নের হিংগুলি বাজারে,৫ নং ইউনিয়ন,৬ নং ইউনিয়ন,৭ নং ইউনিয়নের ৭ নং  ওয়ার্ড ও ৮ নং ওয়ার্ড , ৮ নং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড, ৯ নং ইউনিয়ন, ১০ নং ইউনিয়ন, ১২ নং ইউনিয়ন, ১৫ নং ইউনিয়ন ওয়াহেদপুরে, ১৬ নং ইউনিয়ন এ মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিট।


আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার এবং মানবিক যুবলীগের প্রবক্তা যুবলীগের মাননীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে সারা দেশে   যুবলীগের নেতাকর্মীরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তার ধারাবাহিকতায় আজ মিরসরাইয়ে যুবলীগের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করি। আজকে আমরা ১৬ ইউনিয়ন এবং ২ পৌরসভার  অন্তর্গত সমগ্র উপজেলায় ইফতার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করি। বাকি মিরসরাইয়ের অন্যান্য ইউনিয়নে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে  নিজ নিজ এলাকায় উপস্থিত থেকে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসবো।


এই সময়  নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের সাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সহ মিরসরাই উপজেলা এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

আ. লীগের নেতাকর্মীদের ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সামাবেশে এই কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোন ইফতার পাটির আয়োজন করবেন না। আমাদের নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরির মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে: শেখ পরশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

শনিবার (২৫ মার্চ) ভয়াল সেই কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহিদদের স্মরণে যুবলীগের উদ্যোগে ‘কালরাত্রি স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত রকিবুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসে ভয়ংকর একটা রাত ২৫ মার্চের কালরাত। অস্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে, ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে জন্মেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ঐসকল হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আজকে অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নি সন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল প্রশ্রয়দাতাদের ভূমিকা কী ছিল? নিশ্চয়ই তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন। কেন এখনো ২৫ মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় না? এসব ব্যাপারে তারা কি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে? বা প্রতিবাদ করে? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও ওই জামাত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানি কায়দায় আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়া দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল. তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল, সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও কি তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে সরব ছিল? ১৫ই আগস্টে যখন নারী শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে। কেন এখনো ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তার উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সারা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ তখন বাঙালি জাতিকেই পাকিস্তানি শাসকরা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাই বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ইতিহাসের কলঙ্কময় গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হায়েনারা।

;

বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি। বিএনপি হৃদয়ে, চেতনায় পাকিস্তান।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি নামক যে দল তারা কেন ২৫ মার্চ পালন করতে চায় না? ২৫ মার্চে বিএনপির কোনো কমসূচি নেই। কারণ তারা ২৫ ও ২৬ মার্চের চেতনা ধারন করে না।

তিনি বলেন, চেতনা ধারণ করে না বলে ইতিহাসের নির্মম, পৈশাচিক হত্যা দিবসে তারা আজ চুপচাপ আছে। তাদের অনুভূতি কিছুই যেন নেই। এ নিয়ে তাদের চেতনাবোধ আছে বলে জাতি বিশ্বাস করে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের সকল অপশক্তির মুখপাত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি ও দক্ষিণের প্রচার সম্পাদক সাইফুন্নবী সাগর।

;