বিএনপি দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, এরা (বিএনপি) দেশের শাসন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল।

‘আওয়ামী লীগ দেশের শাসন ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি সব সময় চায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে। তারা যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাসই করত তাহলে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য তাদের এমপিদের সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করত না। তারা কখনোই দেশের মঙ্গল চায় না।

তিনি বলেন, বিএনপি দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানানোর শেষ প্রান্তে দাঁড় করিয়েছিল। তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে আবার গণতন্ত্রের গল্প শোনায়। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনতে সত্যি খুবই আশ্চর্য লাগে। তারা এ দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে, প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তারা যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দল করে ক্ষমতায় এসে শাসনের নামে দুঃশাসন করেছে। তাই এখন এই অপশক্তিকে বাংলার জনগণ সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার উন্নয়ন কার্যক্রম থামানো যাবে না। বিএনপি প্রথমে বিক্ষোভ দিয়ে তাদের আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এখন করছে নীরব পদযাত্রা। পথ হারিয়ে বিএনপি এখন নীরবে পদযাত্রা করছে। তাদের আন্দোলন, ১০ তারিখের লাল কার্ড, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত, তারেক রহমানের ফিরে আসা, খালেদা জিয়ার সিংহাসনে বসা, তাদের ৫৪ দল, ২৭ দফা, ১৪ দফা সবকিছু ভুয়া।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন বাংলাদেশের মানুষকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে দেশকে বিশ্বে মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু ঘাতকের দল আমাদের মহান নেতাকে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার আগেই নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা করে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করেছেন। ঘাতকদের বিচার কার্যকর করার মধ্য দিয়ে তিনি দেশকে এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

ভাষা আন্দোলনের কথা স্বরণ করে তিনি বলেন, আমরাই পৃথিবীর একমাত্র দেশ, যারা নিজের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করার জন্য জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছি। সারা বিশ্বের সকল ভাষাকে আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো উচিৎ। যার যার ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখাই আমাদের একুশের চেতনা। এই একুশের চেতনাকে আন্তর্জাতিক দুনিয়া স্বীকার করেছে এটাই আমাদের বড় গৌরবের পরিচয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি আবদুল মতিন, জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনেট সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মিরসরাইয়ে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা এলিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মিরসরাইয়ে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা এলিট

মিরসরাইয়ে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা এলিট

  • Font increase
  • Font Decrease

মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট মাসব্যাপী ইফতারের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেছেন।

তার ধারাবাহিকতায় শনিবার  (২৫ মার্চ)  মিরসরাইয়ের ১ ও ২ নং ইউনিয়নের হিংগুলি বাজারে,৫ নং ইউনিয়ন,৬ নং ইউনিয়ন,৭ নং ইউনিয়নের ৭ নং  ওয়ার্ড ও ৮ নং ওয়ার্ড , ৮ নং ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড, ৯ নং ইউনিয়ন, ১০ নং ইউনিয়ন, ১২ নং ইউনিয়ন, ১৫ নং ইউনিয়ন ওয়াহেদপুরে, ১৬ নং ইউনিয়ন এ মাসব্যাপী ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি বিতরণ করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিট।


আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার এবং মানবিক যুবলীগের প্রবক্তা যুবলীগের মাননীয় চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে সারা দেশে   যুবলীগের নেতাকর্মীরা ইফতার সামগ্রী বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তার ধারাবাহিকতায় আজ মিরসরাইয়ে যুবলীগের পক্ষ থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করি। আজকে আমরা ১৬ ইউনিয়ন এবং ২ পৌরসভার  অন্তর্গত সমগ্র উপজেলায় ইফতার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করি। বাকি মিরসরাইয়ের অন্যান্য ইউনিয়নে আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে  নিজ নিজ এলাকায় উপস্থিত থেকে ইফতার সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসবো।


এই সময়  নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের সাথে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সহ মিরসরাই উপজেলা এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

আ. লীগের নেতাকর্মীদের ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ শেখ হাসিনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের নেতাকর্মীদের ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সামাবেশে এই কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পবিত্র রমজান মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো কোন ইফতার পাটির আয়োজন করবেন না। আমাদের নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে দরিদ্র মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ইফতারের আয়োজন না করে পার্টির পক্ষ থেকে, যারা কষ্টে আছেন, যারা গরির মানুষ তাদের হাতে খাবার তুলে দেব।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সভাপতি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে: শেখ পরশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ

  • Font increase
  • Font Decrease

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

শনিবার (২৫ মার্চ) ভয়াল সেই কালরাত্রিতে স্বাধীনতাকামী শহিদদের স্মরণে যুবলীগের উদ্যোগে ‘কালরাত্রি স্মরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক ও ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত রকিবুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সভ্যতার ইতিহাসে ভয়ংকর একটা রাত ২৫ মার্চের কালরাত। অস্ট্রেলিয়ার ‘সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ পত্রিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে, ঘুমন্ত নিরীহ বাঙালিকে বিনা বিচারে হত্যা করেছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনী, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সৌভাগ্য আমাদের দেশে জন্মেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, যার অপ্রতিরোধ্য প্রতিবাদ ও সাহসী সংগ্রামের ফলে আমরা আমাদের এদেশের মানুষকে ঐসকল হায়নাদের গ্রাস থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, আজকে অনেকে গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বলছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, ১৯৭১ সালে যখন রাজাকার, আলবদর, আল-সামস বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্বিচারে হত্যা ও অগ্নি সন্ত্রাস করেছে তখন এই সকল প্রশ্রয়দাতাদের ভূমিকা কী ছিল? নিশ্চয়ই তারা প্রশ্রয় দিয়েছেন। কেন এখনো ২৫ মার্চ গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় না? এসব ব্যাপারে তারা কি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন তুলে? বা প্রতিবাদ করে? আমি সেটা জানতে চাই। এমনকি ২০০১ সালেও ওই জামাত-বিএনপি সরকার যখন সেই পাকিস্তানি কায়দায় আমাদের হিন্দু ভোটারদের গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়া দিয়ে তাদেরকে উৎখাত করেছিল. তখনো কি এই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ধারক এবং বাহকেরা প্রশ্ন তুলেছিলেন? বাংলাদেশে প্রায় এক যুগের বেশি সময় যে অগণতান্ত্রিক মিলিটারি শাসকদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছিল, সে ব্যাপারে এবং সেই সময়ও কি তারা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের রক্ষক হিসেবে সরব ছিল? ১৫ই আগস্টে যখন নারী শিশু হত্যা করা হয়েছিল, সে ব্যাপারে তাদের কোন প্রতিক্রিয়া ছিল কিনা, আমার বড্ড জানতে ইচ্ছে করে। কেন এখনো ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মের নেতাকর্মীদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তার উদার গণতান্ত্রিক, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ ধারণ করতে হবে। তা না হলে আমরা একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারব না। আমাদের লক্ষ্য একটা সুখী-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল বাংলাদেশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সারা জাতি যখন ঐক্যবদ্ধ তখন বাঙালি জাতিকেই পাকিস্তানি শাসকরা শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাই বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যেই ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ ইতিহাসের কলঙ্কময় গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তানি হায়েনারা।

;

বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি। বিএনপি হৃদয়ে, চেতনায় পাকিস্তান।

শনিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি নামক যে দল তারা কেন ২৫ মার্চ পালন করতে চায় না? ২৫ মার্চে বিএনপির কোনো কমসূচি নেই। কারণ তারা ২৫ ও ২৬ মার্চের চেতনা ধারন করে না।

তিনি বলেন, চেতনা ধারণ করে না বলে ইতিহাসের নির্মম, পৈশাচিক হত্যা দিবসে তারা আজ চুপচাপ আছে। তাদের অনুভূতি কিছুই যেন নেই। এ নিয়ে তাদের চেতনাবোধ আছে বলে জাতি বিশ্বাস করে না।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের সকল অপশক্তির মুখপাত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি ও দক্ষিণের প্রচার সম্পাদক সাইফুন্নবী সাগর।

;