‘আ.লীগ কখনো দেশ ছেড়ে পালায় না, বিএনপি নেতারা পালায়’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ পালানোর সময় পাবে না বিএনপির নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ যারা বলে আওয়ামী লীগ পালানোর সময় পাবে না, তাদের উদ্দেশ্যে বলি আওয়ামী লীগ এদেশ থেকে পালায় না। বিএনপির নেতারাই এদেশ থেকে পালায়।

তিনি বলেন, এদেশে জিয়াউর রহমান, এরশাদসহ অনেকেই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে কেউ উন্নয়ন করেনি।

রোববার রাজশাহীর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।

বিকাল তিনটার দিকে জনসভায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় উপস্থিত হয়ে ২৬টি প্রকল্প উদ্বোধন ও ছয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এসময় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর আগে দুপুরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জনসভা শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, নৌকায় ভোট দেওয়ায় ফাহিমা-মহিমাদের নির্যাতন করেছে। অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এই নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই এদেশ স্বাধীন হয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হতে পারতো না। নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই জিয়াউর রহমান মেজর জেনারেল হতে পারছে। কিন্তু সেই নৌকার প্রতি এতো ক্ষোভ কেন।

বাংলাদেশের মানুষ ভালো থাকুক এটা বিএনপি সহ্য করতে পারে না বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই এদেশে লুটপাট আর দুর্নীতি করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এদেশের মানুষ শান্তিতে থাকে, ভালো থাকে।

জনসভায় আসার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারদায় পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

   

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেশনিং চালু, টিসিবির পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা কর্মীরা।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার সিন্ডিকেটকে লালন করছে। চাহিদা, জোগান, সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়ার কোন কারণ নাই। বাণিজ্য মন্ত্রী ১ লাখ মানুষকে কার্ড দিচ্ছেন কিন্তু টিসিবির ট্রাকে কিছু জনকে দেওয়ার পর মাল শেষ হয়ে যায় মানুষ গুলো দাঁড়িয়ে থাকে।

তিনি বলেন, সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বাজারে দাম বৃদ্ধি করে জনগণের টাকা হাতিয়ে তাদের থলে ভরছে। সরকার নিজেরাই তো সিন্ডিকেট। জনগণকে এই স্বৈরচারী সরকার এর কাছ থেকে মুক্ত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রতিবাদ চলবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রশিদ মান্না। তিনি সরকারকে ডামি সরকার উল্লেখ করে বলেন, বিনা ভোটে গঠন করা সরকার জনগণের জন্য কোনো কাজ করবে না।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন, ড.আবু ইউসুফ সেলিম, বাচ্চু ভুইয়াসহ আরও অনেকে।

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সততা না মেনে তাঁর সৈনিক হওয়া যায় না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন, নেতাকর্মীদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন! বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনা। রাত দুটোয় ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়! তিনি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।

'বঙ্গবন্ধু'র নাম এ বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় তিনি আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর! এই বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে! বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে, সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাবো বিজয়ের সোনালি বন্দরে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাপেট’ সরকার না আসলে সব নির্বাচনই ত্রুটিপূর্ণ: জয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ‘পাপেট’ সরকার ক্ষমতায় না এলে দেশের কোনো নির্বাচনই তাদের মতে ত্রুটিমুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সোমবার (১৮ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওই পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা ইংরেজিতে লিখেছেন: ‘Unless the United States gets its puppet regime in place in Bangladesh, no election will be good enough according to them!’

এর বাংলা অনুবাদে তিনি লিখেছেন: যুক্তরাষ্ট্রের মতে, বাংলাদেশে যদি তাদের 'পাপেট' সরকার ক্ষমতায় না আসে, কোনো নির্বাচনই ত্রুটিমুক্ত নয়!

সজীব ওয়াজেদ জযয়ের ফেসবুক পোস্ট

সজীব ওয়াজেদ জয়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে সোমবার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সরব হয় যুক্তরাষ্ট্র। এই সুযোগে দেশের অন্যতম একটি বড় রাজনৈতিক দলও দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। তারা ভোট বানচাল করতে যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমানুষের মধ্যে ভীতি তৈরির চেষ্টা করে। তবে তাদের অপচেষ্টা বানচাল হয়ে যায় জনগণের ভোটে। এসবের পরেও প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। এতে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। এ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে বাংলাদেশে দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর পিটার ডি হাস গত ১০ মার্চ বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে উপসম্পাদকীয় লেখেন। তার শিরোনাম ছিল গণতন্ত্রের ব্যাপারে গভীরভাবে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।

ওই উপ-সম্পাদকীয়তে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পাঠকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এবং অন্যত্র গণতন্ত্র প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একজন রাষ্টদূত হয়ে পিটার হাসের এমন লেখা কূটনৈতিক নীতি বহির্ভূত।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দুই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই) এবং ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যেখানে বলা হয়েছে, এবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে। তবে কয়েকটি দলের অংশগ্রহণ না করা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়ায় নির্বাচনের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।

;

মেজর হাফিজ সরকারের ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ: মঈন খান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ফেল করলে আরও প্রকল্প নিয়েছিল। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে সেটি সরকারে ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) সদ্য কারামুক্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবির বাসায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব: হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকার যে অপচেষ্টা করেছিল সেটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সেটি প্রমাণিত হয়েছে। সরকার এই নির্বাচনের আগে একটি প্রকল্প নিয়েছিল, তারপর সে প্রকল্পে ফেল করলে আরও একটি প্রকল্প নিয়েছিল। হাফিজ সাহেবকে নিয়ে গণমাধ্যমে যেটি এসেছে সেটি সরকারের ব্যর্থ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ।

মঈন খান বলেন, সরকার একটা প্রহসনের করে, একটা নির্বাচনের নাটক মঞ্চায়িত করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে আত্মস্বীকৃত নির্বাচন বলে প্রমাণ হয়ে গেলো।

বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা তো আমরাও চাই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চায় একটি এক দলীয় শাসনের জন্য, আমরা কিন্তু বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তা চাই একটি ভিন্ন কারণে, সেটি হলো বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের জন্য। আমরা তো কারো সাথে কোনো শত্রুতা চাই না।

বাংলাদেশের মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্র, এছাড়া দ্বিতীয় কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সে কথা সরকার স্বীকার করুক আর নাই করুক।

;