প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত রাজশাহী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত রাজশাহী

প্রধানমন্ত্রীকে বরণে প্রস্তুত রাজশাহী

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর রোববার রাজশাহী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমন ঘিরে গোটা রাজশাহীজুড়ে যেন উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে রাজশাহী নগরীকে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজশাহীতে বিভিন্ন চলমান ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। জনসভকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে ভরে গেছে পুরো শহর। সড়ক বিভাজকগুলোতে করা হয়েছে রঙ।

শনিবার মাদরাসা মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ। মাঠও প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচার করতে শহরজুড়ে লাগানো হয়েছে মাইক। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠের পাশে বসানো হয়েছে অস্থায়ী টয়লেট। রাজশাহী ওয়াসা ব্যবস্থা করেছে পানি সরবরাহের। জনসভাস্থলে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহরজুড়েও চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর টহল।

এদিকে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়াশী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আগামীকালের জনসভা উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ বছরে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। এ জনসভা থেকে আমরা তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।

জনসভায় বিপুল সংখ্যক নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাও অংশ নিবেন। সবমিলিয়ে ৫-৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে এ জনসভায় বলেন তিনি।

মেয়র লিটন বলেন, রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠটিতে বেশি লোকের জায়গা হবে না। সেজন্য আমরা এ মাঠের সঙ্গে ঈদগাহ মাঠটিকে সংযুক্ত করেছি। আশেপাশের সিএন্ডবি মোড়, ফায়ারা বিগ্রেড মোড় থেকে চারদিকে অন্তত ২০০ মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১২টি প্রজেক্টরের মাধ্যমে জনসভায় আগত মানুষ মাঠে ঢুকতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে ও দেখতে পারবেন। এছাড়াও দেড় লাখ বোতাল পানি, টয়লেটসহ আনুসঙ্গিক সব ব্যবস্থায় আমরা রেখেছি।

   

আমাদেরকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই

যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই

  • Font increase
  • Font Decrease

‘আজকে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে, ১৯৭৭, ৭৮, ৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের হত্যার শিকার নিরপরাধ সেনা সদস্যদের স্বজনদের সংগঠন 'মায়ের কান্না'র আর্তনাদ কি তারা শোনে না? ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্বজনদের কান্না তাদের কানে কেন পৌঁছায় না’ প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

‘মায়ের কান্না’র আহবায়ক কামরুজ্জামান লেলিনের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং স্বজনহারা ব্যক্তিবর্গ এ সময় বক্তব্য দেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশ জুড়ে মায়ের কান্না কেঁদে চলছে। আমি প্রশ্ন রাখি যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করেন, তাদের কর্ণকুহরে এই কান্না কেন পৌঁছায় না। আপনাদের কাছে দেখা করার দরখাস্ত দেওয়া হয়েছিল, আপনারা এখনও পর্যন্ত দেখা করেন নাই। অর্থাৎ মানবাধিকার এখন কিছু কিছু রাষ্ট্রের একটি অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সমস্ত দেশ উন্নয়ন-অগ্রগতি করে কিন্তু তাদেরকে ঠিক মতো ব্যবসা দেয় না, তাদেরকে দমিয়ে রাখার জন্য মানবাধিকার এখন একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করা, অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা দেশে-বিদেশে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

আগামী নির্বাচন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই অগ্রযাত্রা অনেকের পছন্দ নয়। সে জন্য নানা ছলছুতায় প্রথমে আনে মানবাধিকার তারপর বলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। আমাদের দেশে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং জনগণের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন হবে। সরকার সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে।

বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর প্রতি তথ্যমন্ত্রী বলেন, দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না। আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে হামলা চালিয়ে, ঘেরাও করে কেউ হত্যাকান্ডের শিকার হয় নাই। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় মেনে নেন নাই। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নাই। সুতরাং আমাদেরকে গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে আসবেন না।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এ দেশের মানুষকে সঙ্গবদ্ধ করে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। সুতরাং যারা মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বলে দেশে দেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে তারা দয়া করে আমাদেরকে গণতন্ত্র শেখাতে আসবেন না।

 

;

বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের (কেপিসি) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।

বিএনপি আইন মানে না, বিচার ব্যবস্থা মানে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটাই প্রমাণ করে তাদের মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই। সবসময় তাদের মধ্যে সন্ত্রাসী মনোভাব বিদ্যমান। বিএনপি আসলে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যতটা উদ্বিগ্ন তার চেয়ে এটা নিয়ে রাজনীতি করাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এটাকে একটা রাজনৈতিক ইস্যু বানাতে তারা ব্যস্ত।

হানিফ বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও বেগম জিয়ার নামে আরও মামলা আছে, কিন্তু বিএনপি আদালতে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তার মানে দুর্নীতির ঘটনা সঠিক।

এসময় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি)'র নবনির্বাচিত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, সহ-সভাপতি মিলন উল্লাহ, শেখ হাসান বেলাল, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফরোজা আক্তার ডিউ, নির্বাহী সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন শ্যামলীসহ নির্বাচিত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাববক ও সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদেন তিনি।

;

রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ময়মনসিংহ 
রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ 

রোডমার্চের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ 

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোড মার্চে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকায় গাড়িবহরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

রবিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চর হোসেনপুর ভূইয়া ফিলিং স্টেশনের বিপরীত দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক মশিউর রহমান কাঞ্চন বলেন, ‘উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ আমরা কয়েকজন চা পান করছিলাম। এমন সময় একটি পিকআপ ভ্যানে যাওয়া বিএনপি নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর ভাষায় গালাগাল করতে থাকে।’ 

তিনি বলেন, ‘এর প্রতিবাদ জানালে আমাদের উপর পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়। আমরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে শতাধিক গাড়ি থেকে একসঙ্গে লোকজন নেমে হামলা চালিয়ে আমাদের সাতটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে চলে যায়। যারা হামলা করেছে তাদের কাউকে চিনতে পারিনি।  এ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু জানান, ‘গাড়িবহরের পেছন থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে আমাদের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।’

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘আমাদের রোডমার্চ থেকে যুবলীগ বা ছাত্রলীগের ওপর কোনো হামলা করেনি। উল্টো তারা ঈশ্বরগঞ্জ যুবদলের গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুর করেছে। এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সশস্ত্র হামলায় মোটরসাইকেলসহ ৭টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।’ 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ‘একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

;

নয়াপল্টনে বিএনপির কৃষক সমাবেশ দুপুরে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ সোমবার কৃষক সমাবেশ করবে বিএনপি।

দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি ও কৃষক দলের সিনিয়র নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন পেশাজীবীদের রাস্তায় নামানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। তারই অংশ হিসেবে গত শনিবার শ্রমিক কনভেনশন করা হয়েছে। এরপর আজ কৃষক সমাবেশ। পরে ৪ অক্টোবর সম্মলিত পেশাজীবীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সবগুলো ছাত্র সংগঠন উদ্যোগে সমাবেশে করার পরিকল্পনা রয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ১৫টি ছাত্র সংগঠনের একটি জোটও করা হয়েছে।

;